ছবির কাজ শেষ
হলেই মুম্বই ছেড়ে লন্ডনে উড়ে যান রাধিকা আপ্টে। স্বামীর সঙ্গে ক'টা দিন কাটিয়ে আসেন।
শুধু তাই নয়, প্রাণ ভরে শ্বাস নেন। সেখানকার বাতাস অনেক বেশি শুদ্ধ বলে মনে করেন
'পার্চড'-অভিনেত্রী।
একটি সাক্ষাৎকারে
রাধিকা জানিয়েছেন, মুম্বইয়ের দমবন্ধ করা পরিবেশ তাঁকে গিলতে আসে। তাঁর সহকর্মীরা সবাই
প্লাস্টিক সার্জারি করে নিজেদের মুখ এবং শরীর বদলাতে ব্যস্ত। সারাক্ষণ যেন কৃত্রিমতার
দাস হয়ে রয়েছে ইন্ডাস্ট্রি। এ সবের মধ্যে খুব ক্লান্ত বোধ করেন রাধিকা।
তাঁর কথায়, বয়স
তো বাড়বেই। তাই বলে ত্বকের ভাঁজ ঢাকতে একের পর এক অস্ত্রোপচার করে যাব? স্বাভাবিকতা
কি এতটাই ঘৃণ্য এখানে? অথচ, কেউ এক বারও প্রতিবাদ করে ওঠেন না। বলেন না, এটা ভুল। আক্ষেপ
'অন্ধাধুন'-এর অভিনেত্রীর।
তাই কাজের প্রয়োজনে
যতটুকু দরকার, মুম্বইয়ের সঙ্গে ততটুকুই সংযোগ রাখেন রাধিকা। এর থেকে বেশি মিশলে তাঁর
মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে বলে মনে করেন তিনি। সেই সঙ্গে এও জানান, পেশাগত
জীবনের আসল চ্যালেঞ্জ হল প্রত্যাখ্যানের ধাক্কা সামলে নিতে শেখা। যা তিনি পেরেছেন।