আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েশি দ্বীপে স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির স্থানীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার প্রধান আলী রহমান বলেন, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন। খবর এএফপির।

রয়টার্সের খবরে এর আগে ৭ জন নিহত হওয়ার কথা জানানো হয়। ভূমিকম্পে  অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় আতঙ্কিত লোকজন ভবন ছেড়ে নিরাপদ স্থানের দিকে ছোটেন।

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ম্যাজেন শহর থেকে ৬ কিলোমিটার (৩ দশমিক ৭৩ মাইল) উত্তর-পূর্বে মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে।

ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার দেওয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে ম্যাজেন শহরে ৪ জন নিহত ও ৬৩৭ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া পাশের মামুজু শহরে ৩ জন নিহত ও ২৪ জনের মতো আহত হন। নিহত বাকিদের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

সংস্থাটি বলেছে, ভূমিকম্পের সময় হাজার হাজার আতঙ্কিত মানুষ বাড়িঘর থেকে বেরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থলের দিকে ছোটেন। ভোরে আঘাত হানা এ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৬০টি বাড়ি। ভূমিকম্পের স্থায়িত্ব ছিল ৭ সেকেন্ডের মতো। তবে ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।

এই ভূমিকম্পের আগে গতকাল বৃহস্পতিবার একই স্থানে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এ সময়ও কিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা আজ ভোরে জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ভূমিকম্পের কারণে অন্তত তিনটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।

২০১৮ সালে সুলাওয়েশি দ্বীপের পালু শহরে ৬ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পর সুনামি হয়। এতে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।


আরও খবর



সোমালি জলদস্যুদের জানতে দেখুন এই পাঁচ সিনেমা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

গত কয়েক বছর স্তিমিত থাকলেও সম্প্রতি নতুন করে ব্যাপক তৎপরতা দেখা যাচ্ছে সোমালি জলদস্যুদের। গত মঙ্গলবার এই জলদস্যুরা বাংলাদেশি একটি জাহাজ ছিনতাই করে ২৩ জন নাবিককে জিম্মি করেছে। এরপর থেকেই ফের আলোচনায় তারা।

গত কয়েক দশকে সোমালি জলদস্যুদের নিয়ে তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি সিনেমা। বাস্তবে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই সিনেমাগুলো তৈরি করা হয়েছে। টানটান উত্তেজনায় ভরা এই সিনেমাগুলোতে দেখানো হয়েছে নাবিকদের জিম্মি করা, মুক্তিপণ চাওয়া এবং না দিলে খুন করে ফেলার ঘটনা। বাস্তবে সোমালি জলদস্যুদের কাছে জিম্মি হওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে এমন ব্যক্তিও অভিনয় করেছেন এসব ছবিতে। তাই প্রতিটি ঘটনা জীবন্ত হয়ে ফুটে উঠেছে পর্দায়। এক নজরে জেনে নিন সোমালি জলদস্যুদের নিয়ে তৈরি পাঁচ সিনেমা সম্পর্কে।

স্টোলেন সিস: ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ২০১২ সালে। সোমালি জলদস্যুদের বিষয়গুলোকে ভিন্ন আঙ্গিকে দেখানো হয়েছে ছবিতে। ২০০৮ সালের ৭ নভেম্বর ড্যানিশ জাহাজ এমভি সিইসি ফিউচার ছিনতাইয়ে ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ছবিটি। জিম্মি হওয়া নাবিকদের দুর্দশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা থিমায়া পেইনের এই ছবিতে।

আ হাইজ্যাকিং: ড্যানিশ এই সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। ডেনমার্কের একটি কার্গো জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা অবলম্বনে নির্মাণ করা হয়েছে এই ছবি। কার্গো জাহাজের মালিকের জলদস্যুদের সঙ্গে দেন-দরবারের দৃশ্যগুলো দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

ফিশিং উইদাউট নেটস: এ সিনেমায় জলদস্যুদের জীবনকে পর্দায় তুলে এনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা কাটলার হডিয়র্ন। জীবনে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে কীভাবে জেলেরা বেঁচে থাকার তাগিদে জলদস্যুতে পরিণত হয়েছেন, সেই ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে। ছবিটি ২০১২ সালে সানড্যান্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-এ গ্র্যান্ড জুরি অ্যাওয়ার্ড সহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রচুর প্রশংসা এবং পুরষ্কার জিতেছে।

দ্য প্রজেক্ট: যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক অ্যাডাম চারলস্কি নির্মিত ডকুড্রামা দ্য প্রোজেক্ট। এতে তুলে ধরা হয়েছে সোমালি জলদস্যুদের আধিপত্যের কারণে শিপিং বিশ্ব কতটা হুমকিতে পড়েছে। এই জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণ করতে কী করা যায়, এসব বিষয়ও উঠে এসেছে ডকুড্রামাটিতে। বিশ্বের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখানো হয়েছে ডকুড্রামাটি।

ক্যাপ্টেন ফিলিপস: আমেরিকান মালবাহী জাহাজ মারস্ক আলাবামা ২০০৯ সালের ৭ এপ্রিলে ছিনতাই করেছিল সোমালি জলদস্যুরা। জাহাজটির ক্যাপ্টেন ছিলেন রিচার্ড ফিলিপস। তার জিম্মি অবস্থায় দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে সিনেমায়। রিচার্ড ফিলিপসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন টম হ্যাঙ্কস। জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে রিচার্ড ফিলিপস বই লিখেছিলেন। সেই বই অবলম্বনে পল গ্রিনগ্রাস ক্যাপ্টেন ফিলিপস সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন।


আরও খবর



দেশব্যাপী ইন্টারনেটের ধীর গতি থাকবে আজ

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আংশিকভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় আজ (০২ মার্চ) সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সারাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা আংশিক ব্যাহত হবে।

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) জানিয়েছে, বাংলাদেশকে কক্সবাজার থেকে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে সংযুক্তকারী সাবমেরিন কমিউনিকেশন ক্যাবল সিস্টেম সি-মি-উই-৪ সিঙ্গাপুর অংশের সার্কিট এসময়ের মধ্যে আংশিকভাবে বন্ধ থাকবে।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণের সময়কালে বিএসসিপিএলসির ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িক মন্থরতা বা বাধার সম্মুখীন হতে পারে। রক্ষণাবেক্ষণের কাজের সময় গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তবে কুয়াকাটায় স্থাপিত দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই-৫ চালু থাকবে।

দেশে বর্তমানে মোট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ হাজার জিবিপিএসে। এর অর্ধেকেরও বেশিপ্রায় ২ হাজার ৭০০ জিবিপিএসআসে আন্তর্জাতিক টেরিস্ট্রিয়াল কেবল লাইসেন্সধারীদের মাধ্যমে। বাকি প্রায় ২ হাজার ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ দুটি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সরবরাহ করে বিএসসিপিএলসি।

২০০৬ সালে বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে সংযুক্ত হয়। এর মাধ্যমে প্রায় ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। ২০১৭ সালে সি-মি-উই-৫ চালুর পর থেকে এর মাধ্যমে আরও ১ হাজার ৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়।

বিএসসিপিএলসি ২০২৫ সালের মধ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই-৬ স্থাপনের মাধ্যমে আরও ১৩ হাজার ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহের লক্ষ্যে কাজ করছে। এছাড়া, প্রতিষ্ঠানটি প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের সক্ষমতা প্রায় ছয় গুণ বাড়িয়ে ৪ হাজার ৬০০ জিবিপিএসে উন্নীত করতে তিন দশমিক দুই মিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে যাচ্ছে।

দেশের প্রথম বেসরকারি সাবমেরিন কেবল স্থাপনের জন্য কনসোর্টিয়াম গঠন করেছে সামিট কমিউনিকেশনস, সিডিনেট কমিউনিকেশনস এবং মেটাকোর সাবকম লিমিটেড। ২০২৫ সালের মধ্যে এই কনসোর্টিয়াম ৪৫ হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহের লক্ষ্যে কাজ করছে।


আরও খবর



শ্রীলংকাকে হারিয়ে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

নাজমুল হোসেন শান্তর হাফসেঞ্চুরি হতে তখন দরকার ৩ রান, জয়ের জন্য প্রয়োজন ২। অধিনায়ক দলকে জয় এনে দিলেন ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে বিশাল এক ছক্কা হাঁকিয়ে। নিজের ফিফটিও হলো, বাংলাদেশও মাতলো জয়োল্লাসে।

প্রথম ম্যাচে অসাধ্য সাধনের কাছে এসেও পারেনি বাংলাদেশ। বাঁচামরার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালো স্বাগতিকরা। শ্রীলঙ্কাকে রীতিমত নাকাল করে দাপুটে এক জয় তুলে নিলো নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ (বুধবার) বাংলাদেশ জিতেছে ৮ উইকেট আর ১১ বল হাতে রেখে। তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে টাইগাররা।

রান তাড়ায় ভালো শুরু করেন সৌম্য সরকার আর লিটন দাস। লিটনকে বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখালেও সৌম্য অবশ্য শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলেন। বারকয়েক বেঁচে যান আউট থেকে। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে তো আম্পায়ার আউট দিয়েই বসেছিলেন।

বিনুরা ফার্নান্দোর শর্ট লেংথের বলে পুল করেছিলেন সৌম্য। বল চলে যায় উইকেটরক্ষকের হাতে। শ্রীলঙ্কার আবেদনে সাড়া দিয়ে আম্পায়ার গাজী সোহেল আঙুল তুলে দেন। সৌম্য সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিয়ে নেন। আল্ট্রা এজে স্পাইক দেখা যায়।

কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার মাসুদুর রহমান নটআউট ঘোষণা করেন সৌম্যকে। বল আর ব্যাটের মধ্যে যথেষ্ট ফাঁক ছিল দাবি করেন আম্পায়ার। স্পাইকও বল ব্যাট পেরিয়ে যাওয়ার পর এসেছে, জানানো হয়। যে আউট নিয়ে মাঠে অনেকটা সময় খেলা বন্ধ করে রেখেছিলেন লঙ্কান ক্রিকেটাররা।

ওপেনিং জুটিতে আসে ৪১ বলে ৬৮ রান। সৌম্য সুযোগ পেয়ে যে খুব কাজে লাগাতে পেরেছেন, তা না। ১৪ রানে জীবন পেয়েছিলেন, এরপর ২২ বলে ২৬ করে পাথিরানার বলে ম্যাথিউসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। পাথিরানা নিজের পরের ওভারে এসে তুলে নেন লিটনকেও। ২৪ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৩৬।

সেখান থেকে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ম্যাচ বের করে নিয়ে আসেন তাওহিদ হৃদয় আর নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫৫ বলে তারা অবিচ্ছিন্ন থাকেন ৮৭ রানে। শান্ত ৩৮ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় করেন ৫৩, হৃদয়ের ব্যাট থেকে ২৫ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় আসে ৩২ রান।

এর আগে শ্রীলঙ্কাকে ৫ উইকেটে ১৬৫ রানে আটকে রাখে বাংলাদেশ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শরিফুল ইসলাম বোলিং ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে শুরু করেন মেইডেন দিয়ে। প্রথম ওভারে এক রানও নিতে পারেনি শ্রীলঙ্কা।

দ্বিতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদও সেই চাপ ধরে রাখেন। ৫ রান দিয়ে তুলে নেন আভিষ্কা ফার্নান্ডোর উইকেট। ৭ বলে ০ করা ফার্নান্ডো ঝুঁকি নিতে গিয়ে বল তুলে দিয়েছিলেন আকাশে, তাসকিন নিজেই নেন ক্যাচ। ১ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।

তবে শুরুর সেই চাপ ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে তাসকিন দেন ১৭ রান, পঞ্চম ওভারে শেখ মেহেদি ৯। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান বল হাতে নিয়ে বিলিয়ে দেন ১৫ রান। ফলে প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেটেই ৪৯ রান তুলে ফেলে লঙ্কানরা।

দ্বিতীয় উইকেটে ৪২ বলে ৬৬ রান যোগ করেন কুশল মেন্ডিস আর কামিন্দু মেন্ডিস। অবশেষে সৌম্য সরকারকে বোলিংয়ে এনে এই জুটিটি ভাঙেন অধিনায়ক। ২২ বলে ৩৬ করে কুশল মেন্ডিস ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষককে।

কামিন্দু মেন্ডিস মারমুখী হয়ে উঠছিলেন ক্রমেই। দারুণ বোলিং করা রিশাদ হোসেনকে মেরেছিলেন ছক্কা। তবে পরের বলেই সঙ্গীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউটের ফাঁদে পড়তে হয় তাকে। ২৭ বলে করেন ৩৭। এরপর সাদিরা সামারাবিক্রমাকে আটকে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১১ বলে ৭ করে মোস্তাফিজের কাটারে বিভ্রান্ত হয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে আসেন সাদিরা।

১৪তম ওভারে জোড়া ছক্কা খেয়ে চারিথ আসালাঙ্কাকে বোল্ড করেন শেখ মেহেদি। আসালাঙ্কা ১৪ বলেই দুইশ স্ট্রাইকরেটে করেন ২৮। ১১২ রানে ৫ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।

শেষদিকে ৩৬ বলে ৫২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে লঙ্কানদের লড়াকু পুঁজি এনে দেন দাসুন শানাকা আর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। শানাকা ১৮ বলে ২০ আর ম্যাথিউস ২১ বলে করেন ৩২ রান।

শরিফুল উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান খরচ করেন। সবচেয়ে খরুচে ছিলেন শেখ মেহেদি। ৪ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন এই অফস্পিনার। মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ৪২ এবং তাসকিন ৩৮ রান দিয়ে নেন একটি করে উইকেট। সৌম্য সরকার ১ ওভারে ৫ রানে নেন এক উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

শ্রীলঙ্কা: ১৬৫/৫, ২০ ওভার (কামিন্দু মেন্ডিস ৩৭, কুশল মেন্ডিস ৩৬, ম্যাথিউজ ৩২*; তাসকিন ১/৩৮, মেহেদী হাসান ১/৩৯, সৌম্য ১/৫)।

বাংলাদেশ: ১৭০/২, ১৮.১ ওভার (নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৩*, লিটন ৩৬, তাওহিদ হৃদয় ৩২*, সৌম্য ২৬; মাথিসা পাতিরানা ২/২৮)।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ৬ দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম (ভিডিও)

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠীকে অভিযুক্ত করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইরুজ অবন্তিকা নামে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার ঘটনায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবি বাস্তবায়নের জন্য তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।

শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সমাবেশ শেষে তারা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন ও পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন।


ছয় দফা দাবিগুলো হলো

১. ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে।

২. অভিযুক্ত আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।

৩. জরুরি সিন্ডিকেট আহ্বান করে অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে।

৪. ভিকটিমের (অবন্তিকার) পরিবারকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৫. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করতে হবে।

৬. বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেল কার্যকর করতে হবে।

আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো পূরণ না হলে আগামী সোমবার বেলা ১১টায় উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলেও উল্লেখ করেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মুজাহিদ বাপ্পি বলেন, আমার আমাদের অবস্থানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছি। আমাদের ৬ দাবি ২৪ ঘন্টার মধ্যে পূরন না হলে আমরা ভিসি চত্ত্বর ঘেরাও করবো। আমরা ফাইরুজ হত্যার বিচার চাই।


আরও খবর



নুসরত বাদ, নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা মমতার

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালি ইস্যু এখনো টাটকা মানুষের মনে। তারই মাঝে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে মমতা ব্যানার্জির ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস। বসিরহাটের তারকা এমপি চিত্রনায়িকা নুসরত জাহান আর পাননি টিকিট। তার বদলে এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভূমিপুত্র হাজি নুরুল ইসলামের মতো দক্ষ সংগঠকের ওপর আস্থা রেখেছে ঘাসফুল শিবির।

শোনা যাচ্ছে, তার প্রতিপক্ষ হিসেবে বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী ভারতীয় জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোহম্মদ সামি। যদিও, বিষয়টি এখনো জল্পনার স্তরেই রয়েছে। কোনো তরফ থেকে জল্পনায় চূড়ান্ত বক্তব্য আসেনি।

২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন হাজি নুরুল ইসলাম। বসিরহাট কেন্দ্রে ঘাসফুল ফুটিয়েছিলেন তিনি। তবে ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে আর টিকিট পাননি। জঙ্গিপুর থেকে ভোটে লড়েছিলেন। সেখানে অবশ্য জিততে পারেননি। তার পরিবর্তে ইদ্রিস আলি ভোটে লড়ে জিতে যান। এর পর বিধানসভা ভোটে লড়েন। ২০১৬ এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হাড়োয়া থেকে জেতেন। হাড়োয়ার বিধায়ক হলেও বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের প্রথমে চেয়ারম্যান ছিলেন। গত বছর নভেম্বরে বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি হন। এবার তাকেই লোকসভার মুখ হিসাবে বেছে নিলো তৃণমূল।

গত লোকসভা নির্বাচনে তারকা প্রার্থী নুসরতেই আস্থা রেখেছিল তৃণমূল। এবার কেন দক্ষ সংগঠককেই তুরুপের তাস করল ঘাসফুল শিবির? রাজনৈতিক মহলের মতে, নুসরতকে নিয়ে জনমানসে ক্ষোভ ছিল। তারকা ইমেজে ভোটে জিতলেও কোনো দিন জনপ্রতিনিধি হয়ে উঠতে পারেননি নুসরত। সম্প্রতি সন্দেশখালি ঘটনার পর তারকা এমপির দেখা না মেলায় আরো হতাশ বসিরহাটের মানুষজন। সম্ভবত সে কারণে হাইভোল্টেজ কেন্দ্রেই দক্ষ সংগঠকেই আস্থা তৃণমূলের।

বসিরহাট উত্তর, বসিরহাট দক্ষিণ, বাদুড়িয়া, হাড়োয়া, মিনাখাঁ, সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জ এই সাত বিধানসভা নিয়ে গঠিত বসিরহাট লোকসভায় সংখ্যালঘু ভোট বড় ফ্যাক্টর। এই লোকসভা কেন্দ্রে মুসলমান ভোটার ৪৯ শতাংশ। রাজনৈতিক মহলের কেউ কেউ মনে করছেন, সংখ্যালঘু ভোটকে টার্গেট করতে ফের হাজি নুরুল ইসলামকে প্রার্থী হিসাবে বেছে নিলো তৃণমূল। এরই মধ্যে আবার বসিরহাট লোকসভা আসন থেকে বিজেপির সম্ভাব‌্য প্রার্থীর নাম নিয়ে তুমুল জল্পনা রয়েছে।

শোনা যাচ্ছে, বসিরহাট লোকসভা থেকে এবার নিজেদের প্রার্থী দিতে চলেছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ। সেক্ষেত্রে তারাও যদি সংখ্যালঘু প্রার্থী ঘোষণা করে, তাহলে তা শাসকদল বা বিজেপি-দুইয়ের ক্ষেত্রেই মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সে কারণেও হাজি নুরুল ইসলামকে প্রার্থী হিসেবে তৃণমূল বাছতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত কে জেতেন, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।


আরও খবর