আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

ইনস্টিটিউট থেকে নিজের নাম বাদ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাদারীপুরের শিবচরে প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টি‌য়ার টেকনোলজি থেকে নিজের নাম বাদ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে প্রতিষ্ঠানটির নাম বদলে হচ্ছে ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টি‌য়ার টেকনোলজি

সোমবার (১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টি‌য়ার টেকনোলজি আইন ২০২৪-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্দেশ দেন।

পরে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে উপস্থাপিত শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টি‌য়ার টেকনোলজি (শিফট) আইন-২০২৪-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদনের জন্য আজকের সভায় উপস্থাপিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই বললেন- এটি তার নামে হবে না। এটি থেকে শেখ হাসিনা নাম বাদ দিয়ে ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টি‌য়ার টেকনোলজি আইন-২০২৪ এই নামে অনুমোদিত হয়েছে।

এই ইনস্টিটিউটটি মূলত আইসিটিসংক্রান্ত প্রযুক্তি, গবেষণা, প্রযুক্তি উৎপাদন, গবেষণায় প্রশিক্ষণ প্রদান এবং গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এটি হবে মাদারীপুরের শিবচরে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটির একটি গভর্নিং বর্ডি থাকবে এবং একজন প্রধান পৃষ্ঠপোষক থাকবেন। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওনার নামটা বাদ দিয়েছেন, তিনি তার নামটি গ্রহণ করেননি। তিনি এর আগেও একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে, ওনার নামে নিষেধ করেছেন। যেহেতু এই জাতীয় একটি প্রথম প্রতিষ্ঠান হবে এবং এটির মূল উদ্দেশ্য এটি যেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম অর্জন করতে পারে। মন্ত্রিসভা থেকে অনুরোধ করা হয়েছে (প্রধানমন্ত্রীর নামে) কিন্তু উনি সম্মত হননি। উনি উনার নামে প্রতিষ্ঠান না করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিষয়ে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি দেখানো হবে না। দুর্নীতি তো সবাই করে না। যারা দুর্নীতি করছে, সরকারের নজরে এলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

মাহবুব হোসেন বলেন, দুর্নীতি করে পালিয়ে যাওয়া সম্ভব না। দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পরে সরকার কাউকে ছেড়ে দিয়েছে এমন নজির নেই।


আরও খবর



আইএমএফের ঋণে রিজার্ভ বেড়ে ২৬.৫ বিলিয়ন ডলার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি মার্কিন ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে এ অর্থ যোগ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আইএমএফের ঋণের কিস্তির অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে যোগ হয়েছে। তাতে রিজার্ভের পরিমাণও বেড়েছে।

বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মোট রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ হাজার ৬৫০ কোটি বা সাড়ে ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

এর আগে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর গত ডিসেম্বরে পেয়েছিল দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। এখন তৃতীয় কিস্তির অর্থছাড়ের ফলে বাংলাদেশ সব মিলিয়ে তিন কিস্তিতে আইএমএফের কাছ থেকে প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে। ঋণের বাকি প্রায় ২৩৯ কোটি ডলার আর চার কিস্তিতে পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশ ২০২২ সালের জুলাইয়ে আইএমএফের কাছে ঋণের আবেদন করে। ওই আবেদনের ছয় মাস পর গত বছরের ৩০ জানুয়ারি ৩৮টি শর্তে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। ঋণ অনুমোদনের সময় আইএমএফ জানায়, শর্তপূরণ সাপেক্ষে ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাত কিস্তিতে ঋণের এ অর্থ দেওয়া হবে। এরই মধ্যে তিনটি কিস্তি পাওয়া গেছে।


আরও খবর



সিনিয়র সাংবাদিকদের তথ্য অধিকার আইন বিষয়ে প্রশিক্ষণ

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকদের জন্য আজ রোববার (৯ জুন) তথ্য কমিশন বাংলাদেশ এর সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ বিষয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এতে ঢাকা জেলার ৬০জন সিনিয়র সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। প্রধান তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান তথ্য কমিশনার বলেন, ২০০৯ সনে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সরকার তথ্য প্রাপ্তিকে জনগণের সুযোগ নয় অধিকার হিসেবে নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন। জনগণের প্রত্যাশা পুরণকল্পে স্ব-প্রণোদিত তথ্য প্রকাশ অত্যাবশ্যক। প্রকাশযোগ্য তথ্য ওয়েবসাইটে নিয়মিত হালনাগাদ করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা থাকায় কোন কর্তৃপক্ষই ভবিষ্যতে ছাড় পাবেন না।

এছাড়া নোটিস বোর্ড, বিল বোর্ড ও বার্ষিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে স্ব-প্রণোদিত তথ্য প্রকাশ অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ এ উত্তরণের এই সন্ধিক্ষণে তথ্যকে অবারিত করা ছাড়া বিকল্প নেই। চাইলে তথ্য জনগণ-দিতে বাধ্য প্রশাসন এই মন্ত্রকে ভুলে যাওয়ার অবকাশ নেই।

ডক্টর আবদুল মালেক সংযোজন করেন, সারা দেশে তথ্য অধিকার আইনে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের নিকট ২০২৩ পর্যন্ত দাখিলকৃত আবেদনের সংখ্যা ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬৬৫টি। বিশ্বে ১৪০টি দেশে তথ্য অধিকার আইন রয়েছে। জনগণের তথ্য প্রাপ্তি, অভিযোগ নিষ্পত্তি, স্ব-প্রণোদিত তথ্য প্রকাশ, ওয়েবসাইট হালনাগাদ প্রভৃতি বিষয় বিবেচনায় বর্তমানে বিশ্ব র‌্যাংকিং এ বাংলাদেশ ২৭তম অবস্থানে।

ডক্টর আবদুল মালেক উল্লেখ করেন, পরিসংখ্যান মতে ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত কমিশনে প্রায় ৩০ শতাংশ অভিযোগ দায়ের করেছেন সাংবাদিকগণ। বিশুদ্ধ তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদন তৈরিতে সাংবাদিকদের আহ্বান জানান প্রধান তথ্য কমিশনার।

প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকদের দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন প্রধান তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক।

তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম তথ্য প্রাপ্তির আপিল ও অভিযোগ দায়ের, তথ্য না দিলে জরিমানা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিধানসহ, কোন কোন তথ্য প্রকাশ বা প্রদান বাধ্যতামূলক নয় এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণে অবহিত করেন।

তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি তথ্য সংরক্ষণ, নথি বিনষ্টকরণ, তথ্য ব্যবস্থাপনা, স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশের মাধ্যম প্রভৃতি বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।

ঢাকা জার্নালের এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা এবং এমআরডিআই এর নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান মুকুর এতে বিশেষ রিসোর্স পার্সন হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তথ্য কমিশন বাংলাদেশ এর সচিব জুবাইদা নাসরীন উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ইসরায়েলে রকেট-বিস্ফোরক রপ্তানি করছে ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজায় প্রায় আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা। হামাসকে নির্মূল করার জন্যই মূলত এই হামলা চালানো হচ্ছে। এই হামলার মধ্যে ইসরায়েলের কাছে রকেট ও বিস্ফোরক রপ্তানি করেছে ভারত। বুধবার (২৬ জুন) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে।

বোরকাম নামের একটি মালবাহী জাহাজ গত ১৫ মে ভোরে স্পেনের কার্তাহেনা বন্দরের উপকূলে এসে পৌঁছায়। পরে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়িয়ে জাহাজটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রকাশ করে স্পেনের জনগণ। তাদের অভিযোগ, জাহাজে করে ইসরায়েলের জন্য অস্ত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ জন্য তারা কর্তৃপক্ষের কাছে এই সন্দেহজনক জাহাজ পরিদর্শন করার আহ্বান জানায়।

তবে এই বিষয়ে দেশটির সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই বোরকাম নামের জাহাজটি স্লোভেনিয়ার বন্দর কোপারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায়। তাই বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। আল জাজিরার হাতে কিছু নথি এসেছে, যা থেকে জানা গেছে জাহাজটিতে ভারত থেকে নিয়ে আসা বিস্ফোরক উপকরণ বোঝাই করা ছিল। আর এর শেষ গন্তব্য ছিল ইসরায়েলি বন্দর আশদোদ, যা গাজা উপত্যকা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে।

গত ২ এপ্রিল চেন্নাই থেকে ছেড়ে আফ্রিকার পাশ দিয়ে ঘুরে গেছে জাহাজটি এবং লোহিত সাগরে হুতিদের সম্ভাব্য হামলা এড়াতে এই বিকল্প ব্যবহার করা হয় বলে মেরিন ট্র্যাকিং সাইটের তথ্য থেকে জানা গেছে।

সলিডারিটি নেটওয়ার্ক এগেইন্সট দ্য প্যালেস্টিনিয়ান অকুপেশান (রেসকপ) এসব নথি অনানুষ্ঠানিকভাবে সংগ্রহ করেছে। যা থেকে জানা গেছে, ওই জাহাজে ২০ টন রকেট ইঞ্জিন, সাড়ে ১২ টন বিস্ফোরক-যুক্ত রকেট, দেড় হাজার কেজি বিস্ফোরক এবং ৭৪০ কেজি চার্জ ও কামানের প্রপেলান্ট বোঝাই করা হয়েছিল।

জার্মানের প্রতিষ্ঠান এমএলবি ম্যানফ্রেড লতারজুং বেফ্রাখতুং বোরকাম জাহাজটির বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে। এক বিবৃতিতে আল জাজিরাকে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, জাহাজে এমন কোনো অস্ত্র বা মাল বোঝাই করা হয়নি যেটার গন্তব্য ইসরায়েল।

গত ২১ মে কার্তাহেনা বন্দরে ভারতের দ্বিতীয় একটি জাহাজ এসে পৌঁছালেও নোঙর করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে মানুয়েল আলবারেস বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলের জন্য সামরিক পণ্য বহনকারী জাহাজটিকে স্পেনের বন্দরে ভিড়ার অনুমত দেওয়া হয়নি।

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপরি) গবেষক জেইন হুসেন আল জাজিরাকে বলেন, যাচাই করার মতো তথ্যের অভাবে এ ধরনের লেনদেন আদৌ ঘটেছে কী না, তা নিশ্চিত করে বলা খুবই কঠিন। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে ইসরায়েল ও ভারতের সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটছে, তাই ভারতীয় অস্ত্র বা উপকরণ ইসরায়েলের হাতে এসে পৌঁছানোর এবং তা গাজায় ব্যবহার অসম্ভব কিছু নয়।

এসব ঘটনা থেকে মোটামুটি নিশ্চিত যে, ভারত ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র রপ্তানি করছে, যা দেশটির সামরিক উদ্যোগ নয়, সংলাপের মাধ্যমে সমাধানের পররাষ্ট্রনীতির পরিপন্থী। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতে আমদানি-রপ্তানি বিষয়ে স্বচ্ছতার অভাব থাকায় এ ধরনের লেনদেন সম্ভব হয়ে থাকতে পারে।


আরও খবর



মধ্য গাজায় ইসরায়েলের ব্যাপক হামলা, বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ‍উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গত কয়েকদিন ধরে গাজার এই অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ধারাবাহিক বিমান হামলা ও গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার গাজা প্রতিনিধি বলেন, আল-আকসা হাসপাতাল থেকে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সকে দেইর এল-বালাহ শহরের পূর্ব অংশে যেতে দেখেছি। ওই অঞ্চলে একটি আবাসিক ভবনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ওই হামলায় হতাহতদের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির পাশ দিয়ে যাওয়া লোকজনও রয়েছেন। এ পর্যন্ত তিনজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে, যাদের মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। তৃতীয়জনকে হাসপাতালে আনা হয় ও চিকিৎসকরা তাকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

এদিকে, মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরের একটি স্কুলে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ১২ নারী-শিশুসহ অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার (৫ জুন) রাতে এই হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ওই স্কুলটি পরিচালনা করতো জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)। হামলার সময় স্কুলটিতে বাস্তুচ্যুত অনেক ফিলিস্তিনি অবস্থান করছিলেন। অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, স্কুলটিতে হামাস যোদ্ধারাও আশ্রয় নিয়েছিলেন।

অক্সফাম ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী জাতিসংঘের একটি স্কুলে শিশুসহ কয়েক ডজন লোককে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করেছে। তাছাড়া মধ্য গাজার শরণার্থী শিবিরগুলোতে ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে।

আল জাজিরা আরবির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মধ্য গাজার মাগাজি শরণার্থী শিবিরের একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলায় চারজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছে। এর আগে রাতে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মধ্য গাজার একটি মিউনিসিপ্যাল ​​অফিসে হামলা চালালে নুসেইরাতের মেয়র ইয়াদ আল-মাঘরিসহ পাঁচজন নিহত হন।

এর আগে ইসরায়েলি হামলায় দক্ষিণাঞ্চলীয় আজ-জাহরা ও মধ্য গাজার মাগাজি পৌরসভার মেয়রও নিহত হয়েছিলেন। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজাজুড়ে বেশ কয়েকটি পৌরসভার সদর দপ্তরও ধ্বংস হয়ে গেছে।

গাজায় কাজ করা নার্স ও মেডিকেল রেফারেন্ট কারিন হাস্টার বলেছেন, আল-আকসা হাসপাতাল এখন একটি ডুবন্ত জাহাজ। আহতদের চিকিৎসা ও নিহতদের মরদেহ রাখতে হিমশিম খাচ্ছি আমরা। হাসপাতালটির জরুরি কক্ষের ভিতরের দৃশ্য এখন গত কয়েকদিনের চেয়ে অনেক বেশি খারাপ।

আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গুরুতর আহত অবস্থায় আল-আকসায় আসা অধিকাংশ মানুষই মারা যাচ্ছেন। চিকিৎসা কর্মীরা বলছেন, আমরা রোগীদের ছেড়ে দিচ্ছি না কিন্তু নানা সংকটের কারণে পর্যাপ্ত চিকিৎসাও দিতে পারছি না। জানি না, কবে সবকিছু ঠিক হবে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৩৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ৮৩ হাজার ৩০৯ জন।


আরও খবর



ত্রিশালে কালের সাক্ষী ৫'শত বছরের পুরনো শিমুল গাছ

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সাখুয়া ইউনিয়নের বালির বাজার এলাকার অতি নিকটে চিনু মোড়লের বাড়ির পাশেই একটি বিশাল আকৃতির পুরনো শিমুল গাছ যা কালের সাক্ষী হয়ে ৫শত বছর ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে এখনও। এলাকার মানুষের দাবি গাছটির বয়স অন্তত পাঁচশত বছর হবে। এই পুরনো শিমুল গাছটি নিয়ে জড়িয়ে আছে নানা গল্প কাহিনী।

সৌন্দর্যমন্ডিত প্রাচীণ এই গাছটিকে নিয়ে রয়েছে নানা গল্পকাহিনী। গাছের গোড়ায় দাঁড়ালে নিজেকে উচ্চতার দিক থেকে অতিক্ষুদ্র মনে হয়। আবার কখনও বা মনে হয় পাহাড়ের পাদদেশে দাঁড়িয়ে থাকার অনুভব। এর বিশালতায় দর্শনার্থীদের ভরে যায় মন। আলোচিত এই গাছটি দেখতে দূর থেকেও ছুটে আসেন অনেকে।

পুরাতন এ শিমুল গাছজুড়ে যখন টকটকে লাল শিমুল ফুল ফোটে তখন এক অপরুপ দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। এই গাছটির নিচে অনেকেই মনের বাসনা পূরণের জন্য মানত হিসাবে গরু খাসি, মোরগ, জবাই করে রান্নাবান্না করে। গাছ দেখার জন্য আগত ভক্তদের উদ্দেশ্য একটাই যেন তাদের মনের বাসনা পূর্ণ হয়।

স্থানীয়রা অনেকেই জানান, প্রায় সময় এখানে বিভিন্ন এলাকার লোকজন গাছটি একনজর দেখার জন্য এসে ভিড় করে থাকেন। তারা মানত করেন, স্থানীয়দের মাঝে মোরগ-পোলাও মিষ্টি বিতরণ করেন। তারা মনে করে এ গাছে অলৌকিক কোন কিছু আছে। তাই মনের বাসনা পুরণ করার জন্য দূর থেকে ছুটে আসেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মোকছেদ আলী জানান, এই পুরাতন শিমুল গাছটি কাটার জন্য অনেকেই চেষ্টা করেছে কিন্তু কোন অবস্থাতেই কাটা যায় না। যে গাছটি কাটতে যায় সে অসুস্থ হয়ে যায়। শুনেছি অনেক আগে এ গাছ কাটতে এসে নাক, মুখ দিয়ে রক্ত এসেও মারা গিয়েছে একজন। এটি আমাদের এলাকার পুরাতন একটি গাছ। এটি আমাদের ঐতিহ্য।এভাবেই রুপকথার গল্পের মতো কথাগুলো বললেন মোকছেদ আলী। তার কথাগুলো হাস্যকর মনে হলেও এখানকার মানুষজন তাই বিশ্বাস করেন।

জমির মালিক ইউসুফ আলী জানান, এই বিশাল আকৃতির শিমুল গাছটির বয়স কমপক্ষে হলেও পাঁচশত বছর হবে। পূর্বপুরুষের মুখে শুনে এসেছি এই প্রবীণ শিমুল গাছের কথা। এছাড়াও এই গাছটি নিয়ে অনেক অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে। তাই মানুষ এ গাছে মানত পূরণ করতে আসে। প্রতিবছর ফাল্গুন মাস এলে গাছে শিমুল ফুলের সমারোহ সৌন্দর্য বৃদ্ধ করে এই প্রবীণ গাছটি। ওই সময় এই গাছটি ফুলে লালে লাল হয়ে যায়। গাছের ফুলে ফুলে মৌমাছি, পাখিদের আনাগোনা বেড়ে যায়। এই শিমুল বৃক্ষটি ত্রিশালের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে এমনটাই মনে করেন আগতরা।


আরও খবর