নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন হচ্ছে। এজন্য ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস বিফ্রিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম খসড়া আইনটি অনুমোদনের কথা জানান।
খসড়া আইন অনুযায়ী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিতে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতি সংলাপ শুরু করেছিলেন গত মাসে। সংলাপে আমন্ত্রণ পায় দেশের নিবন্ধিত সবগুলো রাজনৈতিক দল।
রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে বঙ্গভবনে সংলাপে অংশ নেয় বর্তমান সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), ওয়ার্কার্স পার্টিসহ দেশের নিবন্ধিত সবগুলো রাজনৈতিক দল।
তবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশগ্রহণ করেননি। আর আজ সংলাপের শেষ দিনে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে যাবেন রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশগ্রহণ করতে।
এদিকে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে প্রায় সবগুলো রাজনৈতিক দলেরই চাওয়া ছিলো আইন তৈরি করে সেই আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা। তাদের সেই চাহিদার প্রতি সাড়া দিয়েই মন্ত্রিসভায় নির্বাচন কমিশন গঠনের আইনের খসড়া অনুমোদন দিলো।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যোগ্যতা হবে বাংলাদেশি নাগরিক যার ৫০ বছর বয়স এবং সরকারি, বেসরকারি, আধা-সরকারি বা বিচার বিভাগীয় পদে কমপক্ষে ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা।