আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

ইসলামী আন্দোলনের চার দফা কর্মসূচি ঘোষণা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়ে কাজ না হওয়ায় চার দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

চার দফা কর্মসূচি হলো-

১. নির্বাচন কমিশন একতরফা তফসিল ঘোষণা করতে চাইলে তফসিল ঘোষণার দিন ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল করা হবে।

২. তফসিল ঘোষণার পরের দিন সারা দেশে প্রতিটি জেলা এবং মহানগরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল ।

৩. আন্দোলনরত অন্যান্য বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সব কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন।

৪. জাতীয় সংকট নিরসনে সব রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে আগামী ২০ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

ইসলামী আন্দোলনের আমির রেজাউল করীম বলেন, একজন নেতা ও একটি দলের কারণে দেশ আক্ষরিক অর্থেই যুদ্ধাবস্থায় নিপতিত হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় ক্ষমতার প্রয়োগ অর্থে স্বাধীনতার যে তাৎপর্য তা হারিয়ে গেছে। 

আরও পড়ুন>> আজও নেতাকর্মীশূন্য বিএনপি কার্যালয়, পাহারায় পুলিশ

তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার লোভে সৃষ্ট রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো জাতীয় নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না।


আরও খবর
রবিবার হরতাল-অবরোধ দিচ্ছে না বিএনপি

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




বাড়তি সুবিধা নিচ্ছে অসাধু চক্র : বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বৈশ্বিক কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ে ভীষণ দুঃসময় পার করতে হচ্ছে। এর মধ্যেই বাড়তি সুবিধা নিচ্ছে অসাধু চক্র। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দেশব্যাপী এক কোটি স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ ও চালসহ টিসিবি পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম-২০২৩ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি স্বপ্নের বাংলাদেশ তৈরি করতে চেয়েছিলাম। অসংখ্য মানুষের রক্তে কেনা এই বাংলাদেশ। আমাদের এই বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ করতেই হবে। কিছু অসাধু রাজনীতিবিদ, সুযোগ সন্ধানী, যাদের মাথার ওপর এখনও পাকিস্তানের ভূত আছে, সেসব রাজনীতিবিদের হাত থেকে বাংলাদেশকে আমাদের বের করে নিয়ে আসতে হবে।

ডিমের দামের বিষয়ে তিনি বলেন, ডিম আমাদের দেশে একটিও ঢোকেনি। কিন্তু আমদানির নির্দেশ দেওয়ার পরদিন এক টাকা করে প্রতি ডিমে দাম কমে গেছে। দেড় মাস চেষ্টার পর আমরা ডিম আমদানি করতে পারলাম। বিভিন্ন আইনি জটিলতা পার করে গত দুই দিন আগে ডিম দেশে এসেছে। বাজারে ভীষণভাবে এর প্রভাব পড়েছে। আজকে কোথাও কোথাও ১০ ও সাড়ে ১০ টাকায় ডিম পাওয়া যাচ্ছে। 

আরও পড়ুন>> এলাকাভিত্তিক বিদ্যুৎ-পানির দাম নির্ধারণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

পেঁয়াজের বিষয়ে টিপু মুনশি বলেন, আমরা এক দুঃসময় পার করছি। আজকে বিশ্বজুড়ে যে মূল্যস্ফীতি চলছে, এর প্রভাব থেকে আমরা বের হতে পারছি না। আমাদের দেশে যতটুকু পেঁয়াজ প্রয়োজন তার ৮০ শতাংশ আমরা উৎপাদন করি। ২০ শতাংশ পেঁয়াজ আমাদের সংকট রয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে আমরা এটি উন্নীত করার চেষ্টা করছি। এই বছরও আমাদের ২৪ লাখ টন পেঁয়াজ প্রয়োজন। এরমধ্যে আমাদের ৭ থেকে ৮ লাখ টন সংকট রয়েছে। এটি আমাদের আমদানি করতে হয়। আর আমরা ৯০ শতাংশ পেঁয়াজ আমদানি করি ভারত থেকে। কিন্তু গত কয়েক মাস আগে ভারত তাদের পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। তাদের দেশেও অভাব শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, গত দিন ১৫ আগে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির দাম ঠিক করে দিয়েছে। অতএব ভারত থেকে যদি পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়, তাহলে আমাদের ৯০ টাকা কেজি দাম ধরতে হবে। তারপর আবার ট্যাক্স ও ডিউটি আছে। অর্থাৎ ভারত থেকে আমরা যদি পেঁয়াজ আমদানি করি তাহলে ১১০ থেকে ১২০ টাকা দাম পড়বে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের এই দামেই পেঁয়াজ আনতে হবে। আমাদের দেশি পেঁয়াজও শেষ প্রান্তে। আশা করছি, আগামী মাসের মাঝামাঝিতে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে, তখন পেঁয়াজের দাম কমবে।

তিনি আরও বলেন, আলুর দামও কমবে। আলু কোল্ড স্টোরেজে আছে। এটা ঠিক ব্যবসায়ীরা কিছুটা সুযোগ নিচ্ছেন। এখানে কিছু তথ্যসংক্রান্ত ব্যাপার পরিষ্কার হওয়া দরকার। আমাদের কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, এক কোটি ৭ থেকে ৮ লাখ টন আলু আমাদের দেশে উৎপাদিত হয়। আর আমরা ভোগ করি ৭০ থেকে ৭৫ লাখ টন। তাহলে ২৭ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত থাকার কথা। কিন্তু আমরা এই হিসাবটি সঠিক বলে দেখছি না। আজকে আমরা সব কোল্ড স্টোরেজ হিসাব করে দেখেছি, এক কেজি আলুও আমদানি হয়নি। তাহলে কোথাও ভুল রয়েছে। হয় উৎপাদনের পরিসংখ্যানে ভুল, অথবা চাহিদাতে ভুল আছে। এই ভুলের কারণে সুযোগ নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। তারা আজকে কোল্ড স্টোরেজে পণ্য রেখেছেন। সেই পণ্যের ওপর দাম বাড়িয়ে দিয়ে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছেন। আমরা সেটি নিরসন করার চেষ্টা করছি এবং পাশাপাশি আলু আমদানির ব্যবস্থা করেছি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে আলু আসতে শুরু করেছে। ৬৮ হাজার টন আলু দেশে এসেছে। যা আমাদের জন্য কিছুই না। কিন্তু তারই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা বুঝতে পারছেন আলু ঢুকবে, তারা দাম কমাতে শুরু করেছেন। এই কথা সত্যি অসাধু ব্যবসায়ীরা বারবার সুযোগ নেয়। আমরা চেষ্টা করছি, সীমিত জনশক্তি নিয়ে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করার। 

আরও পড়ুন>> রিমান্ড শেষে বিএনপি নেতা দুদু কারাগারে

টিসিবির স্মার্টকার্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় এক কোটি পরিবারকে টিসিবির স্মার্টকার্ড দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এখন থেকে আর কোথাও কোনো অসামঞ্জস্যতা থাকবে না। আমরা কয়েক মাসের মধ্যে এই এক কোটি কার্ড সবার মাঝে পৌঁছে দেব। এর জন্য কোনো টাকা দিতে হবে না। কেউ একটি টাকাও এর জন্য খরচ করবেন না।


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




২৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪৯ কোটি ডলার

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

নভেম্বরের প্রথম ২৪ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধ পথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৪৯ কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। দৈনিক এসেছে গড়ে ৬ কোটি ২২ লাখ মার্কিন ডলার করে। সোমবার (২৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি মাসের ২৪ দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৩৪ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০ কোটি ৫২ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৫ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

অক্টোবর মাসে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১৯৭ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার। সেপ্টেম্বরে আসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পরের মাস আগস্টে রেমিট্যান্স আসে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। তার আগের অর্থবছরে এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার।

২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।


আরও খবর



ডাকাতি করতে গিয়ে জনতার পিটুনিতে নিহত ১

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মাদারীপুর প্রতিনিধি

Image

মাদারীপুরের শিবচরে ডাকাতি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ভোরে শিবচরের বাঁশকান্দি ইউনিয়নের সম্ভুক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম মিরজন খালাসী (৪৪)। তিনি সম্ভুক এলাকার মৃত আবু আলী খালাসীর ছেলে। আহত আছমত আলী খান ওরফে হাসমত (৪৪) শিবচর সদরের ছিলারচর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর এলাকার রতন খানের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আজ ভোরে ভ্যানচালক দেলোয়ারের ঘরে ঢুকে সবাইকে জিম্মি করে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায় একদল দুর্বৃত্ত। পরে পাশের হালিম ফকিরের বাড়ির দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন ৫-৬ জন অস্ত্রধারী। এ সময় বাড়ির লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে ডাকাত বলে চিৎকার করেন। তাদের চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন অস্ত্রধারীদের ধাওয়া দেন। এ সময় বাকিরা পালিয়ে গেলেও বাজিতপুর এলাকায় দুজনকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা।দুজনকেই চরম গণপিটুনি দেন তারা।

পরে মিরজন খালাসী ও আছমত আলী খানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিরজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

মাদারীপুরের শিবচর ওসি সমির গোলদার জানান, গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আরেকজন হাসপাতালে। ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উত্তেজিত জনতা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।


আরও খবর
পিরোজপুর মুক্ত দিবস আজ

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

পিরোজপুর মুক্ত দিবস আজ

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




বিএনপি থেকে বেরিয়ে ভোটে অংশ নিচ্ছেন যেসব হেভিওয়েট

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। তবে দলটির একাধিক হেভিওয়েট নেতা দল থেকে বের হয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। কেবল বিএনপির পদে থাকা নেতারা নন, অতীতে বহিষ্কার, পদচ্যুত অথবা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা নেতারাও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এসব নেতা দল ছাড়লেও এতদিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। এখন তারাই শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য বলছে, বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়া অন্তত তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান, দুজন উপদেষ্টা, কয়েকজন মধ্যম সারির নেতা, সাবেক কয়েকজন সংসদ সদস্য এবং মাঠপর্যায়ের প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন নেতা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এদের মধ্যে কেউ বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন (বিএনএম), কেউ তৃণমূল বিএনপি আবার কেউ বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এমনকি একজন প্রভাবশালী নেতা আওয়ামী লীগ থেকেও নির্বাচন করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোটকেন্দ্রিক রাজনৈতির অমোঘ টান উপেক্ষা করতে পারেননি এসব হেভিওয়েট নেতা। তাই দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্যমান সংবিধানের আলোকে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে এসে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর চমক দেখিয়েছেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলটির সঙ্গে যুক্ত প্রবীণ এই নেতা শেষ জীবনে এসে রাজনীতিতে ইউটার্ন নিয়েছেন। ঝালকাঠি-১ আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন তিনি। নৌকার প্রার্থিতা জমা দেওয়ার আগে তিনি বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেন। বিএনপিও তাকে বহিষ্কার করেছে।

এ আসন থেকে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর ১৯৭৯, ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত বিএনপি সরকারের আইন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়া ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ নির্বাচন করবেন কুমিল্লা-৫ আসন থেকে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেন মো. ইউনুস। সে বছর মনোনয়ন চেয়েও পাননি শওকত মাহমুদ।

বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী এই মুহূর্তে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন। তিনি সিলেট-৫ আসনে নির্বাচন করবেন। আর তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকার নির্বাচন করবেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে।

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ একে একরামুজ্জামান স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তার নির্বাচনি আসন ব্রহ্মণবাড়িয়া-১। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিএনপি থেকে বেরিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে দলটির নির্বাহী সদস্য শাহ মো. আবু জাফর। এ মুহূর্তে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তার নির্বাচনি আসন ফরিদপুর-১।

এ আসন থেকে ১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগের, ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির এবং ২০০৫ সালের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবু জাফর। এবার তিনি নোঙর প্রতীকে লড়বেন।

বিএনপি থেকে ছিটকে পড়া বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতাও এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এদের মধ্যে মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান (কিশোরগঞ্জ-২) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন। এ আসনে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

গাজীপুর মহানগর বিএনপি নেতা ও বাসন থানা বিএনপির সহসভাপতি জব্বার সরকার, সাবেক ছাত্রনেতা ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মোজাফফর আহমেদ ও জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরামের সহসভাপতি আব্দুল কাদির তালুকদার তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন।

দলে বড় কোনো পদ না থাকলেও বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বগুড়ার রাজনীতিতে পরিচিত মুখ সাবেক চারবারের সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মোল্লা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তার নির্বাচনি আসন বগুড়া-৪। এ আসন থেকে ১৯৯৪ (উপনির্বাচন), ১৯৯৬ (১৫ ফ্রেব্রুয়ারি), ১৯৯৬ (জুন) এবং ২০০১ সালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য খন্দকার আহসান হাবিব (টাঙ্গাইল-৫) এবং দেলদুয়ার উপজেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার ওয়াহিদ মুরাদ (টাঙ্গাইল-৬) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এ ছাড়া সরকার বাদল বগুড়া-৭ আসনে, দেলয়ার হোসেন খান দুল ময়মনসিংহ-৪ আসনে, ডা. আসমা শহীদ ফরিদপুর-২ আসনে, সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক নীলফামারী-৪ আসনে, মাওলানা মতিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে, বিউটি বেগম বগুড়া-২ আসনে, ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম ঝালকাঠি-২ আসনে, শাহ শহীদ সারোয়ার ময়মনসিংহ-২ আসনে এবং মো. শুকরান বগুড়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গাজীপুর- ১ আসনে জব্বার সরকার, ঠাকুরগাঁও- ২ আসনে মোজাফ্ফর আহমেদ এবং চাঁদপুর- ৪ থেকে আব্দুল কাদের তালুকদার পাটের আঁশ প্রতীকে লড়বেন।

এর বাইরেও আরও কয়েকজন বিএনপি নেতা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তবে দলে তাদের প্রভাব ও পদপদবি তেমন না থাকায় তারা আলোচনায় আসছেন না।

দলের নেতাদের প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, এটাকে আমরা খুব বড় ঘটনা হিসেবে দেখছি না। এত বড় দল থেকে দু-চারজন বেরিয়ে গেলে তেমন কিছু হয় না। সরকারের চাপে পড়ে যে কজন বেরিয়ে গেছেন, তাদের ছাড়াই দল ভালো মতো চলবে।


আরও খবর
রবিবার হরতাল-অবরোধ দিচ্ছে না বিএনপি

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




মুশফিকের আউটের ব্যাখ্যা দিলো আইসিসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড আউট হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ১৪৬ বছরের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়বার কোনো ব্যাটসম্যানের নামের পাশে এই বিরল আউট লেখা হলো। ১৯৫১ সালে ওভাল টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমবার এমন আউট হয়েছিলেন ইংলিশ ওপেনার লেন হাটন। 

বাংলাদেশের ইনিংসের ৪১ তম ওভারে ঘটনাটি ঘটে। কাইল জেমিসনের করা ওভারের চতুর্থ বলটি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেন মুশফিক। বল তার ব্যাটে লাগার পর পপিং ক্রিজে ড্রপ করে আরও ডান দিকে সরে যাচ্ছিল। তখন ডান হাত দিয়ে বলটি আরও ঠেলে দেন মুশফিক। নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়রা আউটের আবেদন করেন। ভিডিও রিপ্লে দেখে মুশফিককে আউট ঘোষণা করেন তৃতীয় আম্পায়ার।

মুশফিকের এমন আউট আলোচনার জন্ম দিয়েছে ক্রিকেট বিশ্বে। অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। এবার আউটটির ব্যাখ্যা দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)। তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে মুশফিকের আউটের বিস্তারিত কারণ জানানো হয়েছে। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, ২০১৭ সাল থেকে হ্যান্ডলড দ্য বল অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউটের ধারায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

৩৭.১১

ব্যাটসম্যান যদি বল খেলার মধ্যে থাকাকালে ইচ্ছাকৃতভাবে কথা বা কাজের মাধ্যমে ফিল্ডিং দলকে বাধা দেন কিংবা মনোযোগ নষ্ট করেন, তবে আউট হবেন। তবে ৩৭.২ ধারা মতে, চোট থেকে বাঁচতে এমন কিছু করলে ব্যাটসম্যান আউট হবেন না।

৩৭.১২

বোলার বল করার পর ব্যাটসম্যান যদি যে হাতে ব্যাট ধরা নেই সেই হাত দিয়ে বলে আঘাত করেন বা ছুঁয়ে সরিয়ে দেন তবে আউট ঘোষিত হবেন (ব্যতিক্রম ৩৭.২ ধারা)। সেটি প্রথম, দ্বিতীয় কিংবা আরও পরে ছোঁয়ার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বল খেলার সময় যেমন তেমনি এরপর ব্যাটসম্যান কিংবা নন স্ট্রাইকার ব্যাটসম্যান উইকেট বাঁচানোর চেষ্টা করার সময়েও এই আইন প্রযোজ্য।

পুরুষদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২তম ব্যাটার হিসেবে অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউট হন মুশফিক। এ ছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটে পাকিস্তানের চার ব্যাটার রমিজ রাজা, ইনজামাম-উল-হক, মোহাম্মদ হাফিজ এবং আনোয়ার আলি এমন বিরল আউট হয়েছিলেন। এছাড়া ভারতের অমরনাথ, ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস, যুক্তরাষ্ট্রের মার্শাল এবং লঙ্কান ব্যাটার গুনাথিলাকাও একদিনের ক্রিকেটে এমন আউটের নজির গড়েছেন।

ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে এমন আউট হয়েছেন তিন জন। ইংল্যান্ডের জেসন রয়, মালদ্বীপের হাসান রাশিদ এবং অস্ট্রেয়ার রাজমাল সিগিওয়াল এমন আউট হয়েছেন।


আরও খবর
বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত দ্বিতীয় দিনের খেলা

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩