আজঃ শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

ইসলামী ব্যাংক দখল নিতে পাল্টাপাল্টি অবস্থান, গুলিবিদ্ধ ৬

প্রকাশিত:রবিবার ১১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছে দুই পক্ষ। রোববার সকালে ব্যাংকের ছয়জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত তিনজন। সবাইকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এস আলম পন্থীরা বহিরাগত এনে ইউনূস সেন্টারের দিক অস্ত্রসহ অবস্থান নিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকে জামায়াত পন্থীদের মাধ্যমে পরিচালিত হতো। ২০১৭ সালে রাজধানীর রেডিসন হোটেলে সব পরিচালক ও এমডিদের তুলে নিয়ে ব্যাংকেরর মালিকানা বদল হয়। ব্যাংকটি তুলে দেওয়া হয় এস আলম গ্রুপের হাতে। এর পর থেকে এর থেকে এর আর্থিক অবস্থা চরম খারাপ হয়েছে। গত ৫ জানুয়ারি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে যাওয়ার পর থেকে এস আলম পন্থীরা আর ব্যাংকে আসছেন না।

বিক্ষোভকারীরা জানান, সরকার পতনের পরও বিভিন্ন উপায়ে ঋণের নামে অর্থ বের করে নেওয়ার চেষ্টা করছে এস আলম গ্রুপের লোকজন। গত সপ্তাহে তাদের বেনামি ঋণের ৮৪৮ কোটি টাকার চেক আটকে দেওয়া হয়। প্রধান কার্যালয় ও কয়েকটি শাখার কর্মকর্তাদের সহায়তায় আরও বিপুল অংকের অর্থ বের করে নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত আছে। দ্রুত ব্যাংকটিতে সংস্কার না আনলে সঙ্কট আরও বাড়বে। ব্যাংক বাঁচাতে দ্রুত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করেন তারা।

ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, গত কয়েকদিনে এস আলম পন্থীরা ব্যাংকে ঢুকতে পারেনি। তবে রোববার বহিরগত অস্ত্রধারী এনে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে। তারা এখন ইউনূস সেন্টারের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। এরই মধ্যে সেনাবাহিনীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।


আরও খবর
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা নিম্নচাপটি উত্তরপশ্চিমে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭২০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। নিম্নচাপটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

নিম্নচাপটির বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারবেশন টিম (বিডব্লিউওটি) বন্যার সতর্কতায় জানিয়েছে, পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপ ও একইসঙ্গে চীন সাগর থেকে আসা একটি নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের উপর মৌসুমী অক্ষরেখা প্রবল সক্রিয় থাকতে পারে। এই অবস্থায় ভারতের সেভেন সিস্টার রাজ্যসহ বাংলাদেশের সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা বিভাগে ব্যাপক ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা আছে। এর ফলে দেশের পূর্ব, উত্তরপূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব অঞ্চলে পুণরায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

এই অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার জেলাসহ সিলেট বিভাগের নিচু এলাকার মানুষজন আগে থেকে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিয়ে রাখতে পারেন জানিয়েছে সংস্থাটি।


আরও খবর
উত্তাল সাগর, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪




নিজের অতীত নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য বলিউড অভিনেত্রী তৃপ্তির

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউড অভিনেত্রী তৃপ্তি দিমরি ২০১৭ সাল থেকে টুকটাক অভিনয় করলেও নেটফ্লিক্সের বুলবুল ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে প্রথম দর্শকের নজর কাড়েন। এরপরে রণবীর কাপুরের সঙ্গে অ্যানিম্যাল সিনেমায় অভিনয় করে রাতারাতি জাতীয় ক্রাশ-এর তকমাও জুড়ে যায় তার নামের পাশে।

সম্প্রতি কৌতুক ধারার সিনেমা ব্যাড নিউজ-এ ভিকি কৌশলের বিপরীতেও দেখা গেছ তৃপ্তিকে। তবে একসময় এই অভিনেত্রী সামান্য প্রচার পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। প্রয়োজনে যে কোনও কিছু করতে প্রস্তুত ছিলেন বলে জানান এ অভিনেত্রী।

২০১৮ সালে বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল তার অভিনীত সিনেমা লায়লা মজনু। তৃপ্তির খুব আশা ছিল ছবিটি বক্স অফিসে জনপ্রিয় হবে এবং রাতারাতি পরিচিত মুখ হয়ে উঠবেন তিনি। কিন্তু বক্স অফিসে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয় লায়লা মজনু। এরপর আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ভেঙে পড়েন অভিনেত্রী।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তৃপ্তি দিমরি বলেন, সেই সময় প্রচারের আলোয় আসার জন্য যে কোনও কিছু করতে রাজি ছিলাম। এমনকি, বিগ বস-এর ঘরেও প্রতিযোগী হিসেবে যেতে চেয়েছিলাম।

তৃপ্তি আরও বলেন, মুম্বাই এসেছিলাম তখন ইন্ডাস্ট্রিতে কাউকে চিনতাম না। প্রচণ্ড অন্তর্মুখী ছিলাম আর পরবর্তীতে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ববোধও চলে আসে। আগের তৃপ্তির সঙ্গে আজকের তৃপ্তির প্রধান পার্থক্য হলো আত্মবিশ্বাস; এখন আমার মধ্যে ভয় কাজ করে না। আমি আমার জীবনে সমতা বজায় রেখে চলতে ভালোবাসি, অভিনয় করা আমার পেশা।

সেই সময় অভিনেত্রীর মনে হয়েছিল যেকোনও ভাবে খ্যাতি অর্জন করতে হবে। যদিও বর্তমানে এই ভাবনা চিন্তাকে অনেকটাই পিছনে ফেলে এগিয়ে গেছেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: তৃপ্তি দিমরি

আরও খবর
কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানালেন টেলর সুইফট

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তিতে রিসিভার নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকাধীন বেক্সিমকোর গ্রুপের সব প্রতিষ্ঠান দেখাশোনা করতে রিসিভার নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ ব্যাংককে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

একই সঙ্গে বেক্সিমকোর গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর কী পরিমাণ বকেয়া ঋণ রয়েছে, তা জানাতে বাংলাদেশ ব্যাংককে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান রিটকারি আইনজীবী।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজীব, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।


আরও খবর



ঢাবির সেই ডিনকে কোরআন তেলাওয়াত শোনালেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

পবিত্র রমজানকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বটতলায় কোরআন তেলাওয়াত অনুষ্ঠান আয়োজনের কারণে শোকজ পাঠানো শিক্ষক কলা অনুষদের ডিন ড. আবদুল বাছিরের কার্যালয়ে গিয়ে কোরআন তেলাওয়াত শুনিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। পরে সেখানে দোয়াও করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষক বাছিরও মোনাজাতে অংশ নেন।

সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কলাভবনের দ্বিতীয় তলায় ডিন অফিসে এমন ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, শিক্ষার্থীরা আগে থেকেই তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের জন্য জড়ো হচ্ছিলেন। তিনি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কলাভবনের সামনে এলে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তিনি কলাভবনের তিন তলায় অবস্থান নেন। শিক্ষার্থীরা সেখানে গিয়েও বিক্ষোভ করলে তিনি দ্বিতীয় তলায় ডিন অফিসে প্রবেশ করে দ্রুত পদত্যাগ করেন।

পদত্যাগের পর শিক্ষার্থীরা তার অনুমতি নিয়ে তাকে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত শোনান। পাশাপাশি তার মঙ্গল কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন শিক্ষার্থীরা।

পদত্যাগের পর অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির বলেন, আমি আগেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। শিক্ষার্থীরা আজ এখানে না এলেও আমি আজ পদত্যাগ করে চলে যেতাম।

গত ১৬ মার্চ ঢাবিতে কোরআন পাঠের ঘটনায় আরবি বিভাগের চেয়ারম্যানকে শোকজ করে কলা অনুষদের তৎকালীন ডিন। এর আগে গত ১০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের বটতলায় মাহে রমজান স্বাগত জানিয়ে কোরআন তেলাওয়াত আসরের আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা।


আরও খবর
ইউজিসিতে দুই সদস্য নিয়োগ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ভারি বর্ষণে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ভোগান্তিতে শহরবাসী

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

ভারি বর্ষণে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা। জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শহরবাসী। শনিবার রাত থেকে রবিবার (২৫ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত মুশলধারায় বৃষ্টিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। শহরের পাশাপাশি জেলার নিম্নাঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। সঠিকভাবে বৃষ্টির পানি নামতে না পারায় ভোগান্তিতে পানিবন্ধি হয়ে পড়েছেন অনেক মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, বৃষ্টির পানিতে বাগেরহাট সদর, রামপাল, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা, কচুয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিতে অনেকের পুকুর  ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে।

দুপুর ১টার দিকে শহর ঘুরে দেখা যায়, বাগেরহাট শহরের খানজাহান আলী রোড, রেল রোড, সাধনার মোড়, শালতলা, পিটিআই মোড়, খারদার স্কুল রোড, জেলা হাসপাতাল মোড়,  সরকারি স্কুল, জেলা ডাকঘরের সামনে, বাসাবাটি, মিঠাপুকুরপাড় মোড়, জাহানাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সড়ক, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের পেছনসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। একফুটের বেশি পানি রয়েছে পৌরসভা কম্পাউন্ডের মধ্যে। পৌরভবনের সামনের রাস্তায় অনেক পানি দেখা যায়। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে পানি উঠে গেছে। সড়কে পানি জমে থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। পানিবন্দি পরিবারগুলো এখন দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে।

এদিকে টানা বৃষ্টির ফলে পেটের টানে রাস্তায় বের হওয়া রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক চালকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। যাত্রী না থাকায় যেমন আয় নেই, তেমনি পানিতে নিমজ্জিত রাস্তায় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকে।

রিক্সা চালক খান আরিফুল ইসলাম বলেন, ৪ জনের সংসার চলে আমার পায়ের ওপর। তাইতো সকালে বৃষ্টি মাথায় রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। কিন্তু লোকজন নেই। কি আর করা, একেতো বৃষ্টি তার উপর রাস্তাগুলো পানিতে ডুবে গেছে, মানুষ বের হয়ে কোথায় যাবে?

অটো চালাক জিহাদ হোসেন বলেন, শহরের রাস্তাগুলো ভাঙা, এরইমধ্যে লাগাতার বৃষ্টি। বৃষ্টি হলেই শহরের অধিকাংশ রাস্তায় জমে থাকে। যাত্রী পাওয়া যায় না। ইনকাম করতে কষ্ট  হয়। তে আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।

পুরাতন বাজারের বাসিন্দা রাবেয়া বেগম বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘরের মেঝেতে পানি উঠে যায় । আমাদের এখানকার ৬টি পরিবাবের একই অবস্থা। পানি নিষ্কাশন না হওয়া পর্যন্ত আমরা দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাব না।

পথচারী  হাবিবা খাতুন  বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ড্রেন পরিষ্কার না করায় বৃষ্টির জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। হাঁটু সমান ময়লা পানির মধ্যেই চলাচল করতে হচ্ছে। আমরা দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান চাই।

তবে জলাবদ্ধতার বিষয়ে কথা বলার জন্য পৌরসভার মেয়রসহ দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায় নি। মাস খানেক আগে পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী রেজাউল করিম রিজভি বলেছিলেন, শহরে ৫ কিলোমিটার ড্রেনের কাজ চলমান রয়েছে। ড্রেনের কাজ শেষে ৫টি খাল খনন কাজ শুরু করা হবে। খালের কাজ শেষ হলে পৌরবাসী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।

এদিকে গেল তিনদিন ধরে জোয়ারের পানিতে দিনে দুইবার প্লাবিত হচ্ছে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন। তবে এতে বন্য প্রাণিদের কোন ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির।

নিউজ ট্যাগ: বাগেরহাট

আরও খবর
তিন উপকূলীয় এলাকায় নৌযান চলাচল বন্ধ

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪