আজঃ রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

‘ইস্পাত শিল্পে আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ একটি রেফারেন্স প্ল্যান্ট’

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

জিপিএইচ ইস্পাতের কোয়ান্টাম ইলেকট্রিক আর্ক ফার্নেস প্রযুক্তি সমৃদ্ধ প্ল্যান্ট একটি রেফারেন্স প্ল্যান্ট। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে বিশ্ব মানের ইস্পাত সামগ্রী তৈরি করছে। এসব প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা নিতে জিপিএইচ ইস্পাত প্ল্যান্টে এসেছে ভিন্টন স্টিল জাপানের জেনারেল ম্যানেজার তাতসুইয়া ফুকুইয়ামা এবং ভিন্টন স্টিল ইউএসএর জেনারেল ম্যানেজার এডুয়ারডো গঞ্জালেজ। শনিবার দিনব্যাপী জিপিএইচ ইস্পাতের কুমিরাস্থ প্ল্যান্ট পরিদর্শন করে এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

উক্ত প্ল্যান্টের প্রযুক্তি সহায়ক প্রতিষ্ঠান প্রাইমেটালসর তত্ত্বাবধানে তারা ইস্পাত খাতের এই বিশ্বমানের প্রজেক্ট পরিদর্শনে আসেন। জিপিএইচ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম তাদের সাথে সাক্ষাত করেন।

প্ল্যান্টে এসে পৌঁছালে তাদের স্বাগত জানান জিপিএইচ ইস্পাতের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলমাস শিমুল এবং জিপিএইচ ইস্পাতের নির্বাহী পরিচালক (ফিন্যান্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট) কামরুল ইসলাম।

জিপিএইচ ইস্পাতের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলমাস শিমুল বলেন, জিপিএইচ দেশী বিদেশীদের কাছে অনুকরণীয় বলেই ১১টি স্টিল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পরিচালনাকারী বিশ্বখ্যাত ভিন্টন ষ্টীল প্রতিনিধিদল আমাদের প্ল্যান্ট সফর করায় নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করছি। ভিন্টন প্রতিনিধিদল স্ক্র্যাপ প্রকিউরমেন্ট, অক্সিজেন প্ল্যান্ট, পরিবেশ সহ এই ইন্টিগ্রেটেড প্ল্যান্টের সার্বিক বিষয়ে অবহিত হন।

মতবিনিময়কালে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাইমেটালস অস্ট্রিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট (গ্লোবাল বিজনেস ইউনিট) জোসেফ গালেটনার এবং প্রাইমেটালস অস্ট্রিয়ার লং রোলিং পিটিইউএস এর মার্ক শোর, মিডিয়া এডভাইজার অভীক ওসমান, চিফ অপারেটিং অফিসার টি মোহন বাবু, এবং হেড অব প্ল্যান্ট শ্রীনিবাসা মাদুলুরি রাও।


আরও খবর



বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন অবন্তী সিঁথি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন জনপ্রিয় গায়িকা অবন্তী সিঁথি। গণমাধ্যমকে বিয়ের খবরটি জানিয়েছেন তিনি নিজেই। তার হবু বরের নাম অমিত দে। তিনি লন্ডনপ্রবাসী, অ্যাকাউন্টিংয়ে পড়াশোনা শেষ করে এখন একটি ফিন্যান্স ফার্মে কর্মরত আছেন।

গণমাধ্যমকে অবন্তী সিঁথি বলেন, অমিতের সঙ্গে আমার পরিচয় বেশি দিনের না। সাত-আট মাস হবে। ও খুব ভালো গান করে। আমাদের একসঙ্গে একটা গান করতে গিয়ে পরিচয় হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বছরখানেক আগে গায়ক ও যন্ত্রশিল্পী মিথুন চাক্রার উদ্যোগে একটি গান করার পরিকল্পনা হয় আমাদের। ওই গানে কণ্ঠ দেয়ার কথা ছিল আমার ও অমিতের। ওই প্রকল্প সূত্রে পরিচয় হয় আমাদের। এরপর কথাবার্তা হয়। 

আরও পড়ুন>> মাঝরাস্তায় গাড়ি রেখে ঘুম, গ্রেপ্তার হলেন টিফানি হাডিশ

বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পর্কে অবন্তী বলেন, বিয়ের পুরো ব্যাপারটি পারিবারিকভাবেই হচ্ছে। দুই পরিবার বিয়ে-পূর্ব যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা এরইমধ্যে সম্পন্ন করেছে। ইতিমধ্যে আশীর্বাদ হয়ে গেছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর রাজধানীর মিরপুরের একটি পার্টি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠান হবে।

ভারতীয় টেলিভিশন রিয়্যালিটি শো সারেগামাপাখ্যাত কণ্ঠশিল্পী অবন্তী সিঁথি। তিনি বেড়ে উঠেছেন জামালপুরে। সেখানকার জামালপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক আর দিগপাইত শামসুল হক ডিগ্রি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থী থাকার সময় গান গেয়ে পরিচিতি পান তিনি। গিটার আর হারমোনিয়াম বাজানো শিখেছেন ছোটবেলাতেই। কলেজে পড়ার সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও গান করতেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: অবন্তী সিঁথি

আরও খবর



সেমির পথে নিউজিল্যান্ড, আশা বাড়ল বাংলাদেশের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শ্রীলংকাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রাখল নিউজিল্যান্ড। তবে হেরে আগামী চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার আশা প্রায় শেষ হয়ে গেল লংকানদের। আর পয়েন্ট টেবিলে সেরা আটে থেকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার আশা বাড়ল বাংলাদেশের। অন্যদিকে কিউইদের জয়ে বিশ্বকাপে শেষ চারে খেলা অনেক কঠিন হয়ে গেল পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের।

এর আগে আসরে প্রথম চার ম্যাচে জয়ের পর টানা চারটি হারে নিউজিল্যান্ড। অবশেষে পঞ্চম জয়ের স্বাদ পেল তারা। আর এই জয়ে সেমিফাইনালের অনেক কাছেই চলে গেল গেল গতবারের রানার্সআপরা। বড় জয়ে নিজেদের নেট রানরেট আরেকটু বাড়িয়ে নিয়েছে কিউইরা, প্রথম পর্ব শেষে সেটি এখন ০.৭৪৩।

তবে সেমিতে ওঠা পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের এখন প্রায় অসম্ভব। নিজেদের শেষ ম্যাচে শুধু জিতলেই হবে না, নিউজিল্যান্ডকে টপকে যেতে পাকিস্তান (০.০৩৬) ও আফগানিস্তানকে (-০.৩৩৮) সে কাজটি করতে হবে প্রায় অসম্ভব এক ব্যবধানে। ফলে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার পর শেষ দল হিসেবে নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনালে খেলা এখন অনেকটাই নিশ্চিত।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে শ্রীলংকার সেরা আটে থেকে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার আশা প্রায় শেষ হয়ে গেল। ৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে নবম স্থানে। সমান পয়েন্ট নিয়ে সাত ও আটে থাকা ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশ যদি শেষ ম্যাচে অনেক বড় ব্যবধানে হারে এবং দশে থাকা নেদারল্যান্ডস ভারতের কাছে হারে, তাহলেই কেবল সুযোগ তৈরি হতে পারে শ্রীলংকার।

গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শ্রীলংকান ব্যাটিংয়ে ধস নামল। বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল শ্রীলংকা ও নিউজিল্যান্ড। তবে কিউই বোলারদের তোপে প্রথমে ব্যাট করা লংকানরা ৪৬.৪ ওভারে মাত্র ১৭১ রানে গুটিয়ে যায়। দলের হয়ে একমাত্র হাফসেঞ্চুরি করেন কুশল পেরেরা।

আরও পড়ুন>> টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নিউজিল্যান্ড

আজ ব্যাঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে খেলতে নামে দুদল। বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় ম্যাচটি শুরু হয়। যেখানে কিউই বোলারদের তোপে প্রথমে ব্যাট করা লংকানরা ৪৬.৪ ওভারে মাত্র ১৭১ রানে গুটিয়ে যায়। দলের হয়ে একমাত্র হাফসেঞ্চুরি করেন কুশল পেরেরা। জবাবে ডেভন কনওয়ে ও রাচীন রবীন্দ্রর ৮৬ রানের উদ্বোধনী জুটিতে এরপর কাজটি সহজ করে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড। ২৩.২ ওভারেই ৫ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করেছে তারা।

১৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ডের ১৩তম ওভারে দুষ্মন্ত চামিরা কনওয়ে-রাচীন ‍জুটি ভাঙেন। কিন্তু ততক্ষণে আসলে লড়াই থেকে ছিটকেই গেছে শ্রীলংকা। কনওয়ে (৪৫) ও রাচীন (৪২) পরপর ২ ওভারে ফিরলেও নেট রানরেটের কথা ভেবে গতি কমায়নি নিউজিল্যান্ড।

নিউজিল্যান্ড পরে আরও ৩টি উইকেট হারিয়েছে। কিন্তু ড্যারিল মিচেলের ৩১ বলে ৪৩, উইলিয়ামসনের সঙ্গে ২৯ বলে ৪২ রানের জুটিতে নিজেদের কাজটি দারুণভাবে করার পথেই এগিয়ে যায় তারা। ২৪তম ওভারের প্রথম ২ বলে ২ চারে জয় নিশ্চিত করেন গ্লেন ফিলিপস।

টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে এদিন দলীয় ৩ রানেই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাকে হারায় শ্রীলংকা। টিম সাউদির বলে ব্যক্তিগত ২ রানে উইকেটরক্ষক টম ল্যাথামের কাছে ক্যাচ দেন নিশাঙ্কা। এরপর ট্রেন্ট বোল্টের এক ওভারে দুই উইকেট হারায় লংকানরা। অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসের পর সাদিরা সামারাবিক্রমাকে ফেরান এই বাঁহাতি।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো শ্রীলংকার হয়ে ঝড়ো ব্যাট করেন আরেক ওপেনার কুশল পেরেরা। এই বাঁহাতি ২৮ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫১ রান করে লকি ফার্গুসনের শিকার হন। শেষ দিকে মহেশ থিকশানা ৯১ বলে ৩টি চারে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন।

নিউজিল্যান্ড বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান বোল্ট। এছাড়া ২টি করে উইকেট দখল করেন ফার্গুসন, মিচেল স্যান্টনার ও রাচীন রবীন্দ্র।

আগামী ১৫ নভেম্বর মুম্বাইয়ে প্রথম সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড খেলবে, সেটিও অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে।


আরও খবর
ইউরো ২০২৪ এর ড্র অনুষ্ঠিত

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

হঠাৎ দুবাইয়ে সাকিব

শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3




মা-খালাসহ নিহত ৩, বেঁচে গেল শিশু কন্যা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহের তারাকান্দার কাশিগঞ্জে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন তিনজন।

তাঁরা হলেন- নেত্রকোনা সদরের লাকি আক্তার (৩০), তার ফুফাতো বোন সাকি আক্তার (২২) ও সিএনজিচালক মোস্তাকিম আহমেদ (৩৫)। সিএনজিচালক সম্পর্কে লাকির মামাতো ভাই।

লাকি আক্তার ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। তার সঙ্গে নিজের মেয়ে, ভাই, ভাগ্নি ছিল। দুর্ঘটনায় লাকি মারা গেলেও তার তিন বছরের মেয়ে হুমায়রা আক্তার বেঁচে আছে। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন।

দুর্ঘটনায় আহত শাহীন খান বলেন, বোনের চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছিলাম। আমাদের সামনে ও পেছনে দুটি ট্রাক ছিল। হঠাৎ সমানে থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে আমাদের সিএনজির সংঘর্ষ হয়। এতে আমার বোন, ফুফাতো বোন ও মামাতো ভাই সিএনজি চালক মারা গেছেন। আমার বোনের মেয়ের অবস্থাও ভালো নয়।

দুর্ঘটনায় তিন বছরের হুমায়রা বেঁচে গেলও তার অবস্থা সংকটাপন্ন। হুমায়রা নেত্রকোনা সদরের শফিকুল ইসলামের মেয়ে। স্বজনরা হুমায়রাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুপুরে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে শিশুটিকে না রাখায় ফের ময়মনসিংহ মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।

তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী একটি সিএনজি নেত্রকোনার দিকে যাচ্ছিল। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কাশিগঞ্জ বাজার এলাকায় এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজির দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় আরও তিনজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে আরও একজনের মৃত্যু হয়। ট্রাক ও সিএনজি জব্দ করা হয়েছে।


আরও খবর



হবিগঞ্জে মালবাহী ট্রাকে পেট্রোল ঢেলে আগুন

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জে পণ্যবাহী ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে পুরো ট্রাকটি। সেই সাথে ট্রাকে থাকা সব মালামালও পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভায়।

সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ বাইপাস সড়কের ধুলিয়াখাল এলাকায় (কবির কলেজের কাছে) এ ঘটনাটি ঘটে।

ট্রাকচালক আব্দুস সাত্তার জানান, ট্রাকটি প্রাণ আরএফএল কোম্পানীর। মিরপুর থেকে ট্রাকটি বিভিন্ন ধরণের প্লাস্টিক পণ্য নিয়ে হবিগঞ্জ শহরের আলম বাজারে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ বাইপাস সড়কের ধুলিয়াখাল এলাকায় কবির কলেজের কাছে পৌঁছলে ২০/২৫ জনের একটি দল মিছিল নিয়ে তাদের ট্রাকে হামলা চালায়। হামলাকারীরা প্রথমে ট্রাকটির গতিরোধ করে ভাংচুর চালায়। পরে তারা পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

ট্রাকচালক জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভান। তবে এর আগেই পুরো ট্রাকটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সেই সাথে ট্রাকে থাকা ৪ লাখ টাকার মালামালও পুড়ে গেছে।

পরে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ও আরএফএল কোম্পানীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং তথ্য সংগ্রহ করেন।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাঁর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দেবে। তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। হয়তো দুএক দিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ও সময় (তফসিল) ঘোষণা করবে। জনগণের ভোটের অধিকার আমরাই নিশ্চিত করেছি। কাজেই জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দেবে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন ও মহাসড়ক বিভাগের বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির শুভ উদ্বোধনসহ প্রধানমন্ত্রী তাঁর নামে নামকরণ করা শেখ হাসিনা স্বরনী (পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে) এবং চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ ১৫৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০ হাজার ৪১টি স্থাপনা ও ঘরের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে একথা বলেন।

তিনি বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, অনেকে নির্বাচনে আসতে চায়না। কারণ, যারা ৩০টি সিট পেয়েছিল (২০০৮ সালে) স্বাভাবিক ভাবে তাদের নির্বাচনে আসার কোন আকাঙ্খাই থাকবে না। নির্বাচন বানচাল করে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে আবার বাংলাদেশের মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলাই তাদের চেষ্টা।

তিনি আজ মঙ্গলবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এসব প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ৯ হাজার ৯৯৫টি অবকাঠামো নির্মাণ সমাপ্ত কাজের উদ্বোধন এবং ৪৬টি অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ সময় দেশের ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ ১০১টি প্রান্ত ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিল।

প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে সারাদেশে ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনে ১ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৬৪৪টি বিভিন্ন উন্নয়ন অবকাঠামো এবং ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৫৩৯৭টি গৃহ নির্মাণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি এদেশের মানুষ একটু শান্তিতে ছিল, স্বস্তিতে ছিল, উন্নয়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল ঠিক সেই সময়ে এই অবরোধ আর অগ্নিসন্ত্রাস-জালাও পোড়াও। গাড়িতে আগুন বাসে আগুন দিয়ে মানুষের জীবনযাত্রা যেমন ব্যাহত করা হচ্ছে, স্কুল-কলেজের ছেলে-মেয়েরা ঠিকভাবে ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারছে না। তাদের লেখাপড়া নষ্ট হচ্ছে। অথচ বিএনপির আমলে যেখানে সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ৪৫ ভাগ সেখান থেকে বর্তমানে আমরা সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৬ ভাগে উন্নীত করেছি। আজকে সমস্ত ছেলে-মেয়ে, প্রায় ৯৮ ভাগ ছেলে-মেয়ে স্কুলে যাচ্ছে। সেসব কিছু আজকে ব্যাহত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াতের শুভবুদ্ধির উদয় হবার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমি এটুকু বলবো যে ওদের সুমতি হোক। এই ধ্বংসযজ্ঞ তারা বন্ধ করুক। অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ করুক।

অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ার আহবান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দেশবাসীকেও বলবো যে এই অগ্নিসন্ত্রাস আপনাদের প্রতিরোধ করতে হবে। সকলেরই জানমাল আছে। ২০১৩,১৪ ও পরবর্তী সময়ে যে অগ্নিসন্ত্রাস, ভূক্তভোগীদের যন্ত্রণা ও কষ্ট আমরা দেখেছি। কাজেই এই ভোগান্তি যেন মানুষের আর না হয়। অনুষ্ঠানে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং খাদ্য মন্ত্রী সাধান চন্দ্র মজুমদার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি তা আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। সে জন্য সরকারের ধারাবাহিকতাও প্রয়োজন।প্রধানমন্ত্রী সরকারের ধারবাহিকতা রক্ষার প্রয়োজন হিসেবে তাঁর ৯৬ থেকে ২০০১ পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দু:শাসনের চিত্র তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ৯৬ সালে তিনি সরকারের এসে দেশকে খাদ্য ঘাটতির একটি দেশ হিসেবে পেয়েছিলেন, ৪০ লাখ মেট্রিক টন ছিল খাদ্য ঘাটতি। উৎপাদন হতো ৬৯ বা ৭৯ লাখ মেট্রিক টন। সে সময় তাঁর সরকার গবেষণা ও খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়ে আলাদা বরাদ্দ দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলে। সে সময় চালের দাম ছিল মাত্র ১০ টাকা। মূল্যস্ফীতি ছিল ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। যখন তাঁর মেয়াদ শেষে দেশে প্রথমবারের মত শান্তিপূর্ণ ভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন তখন ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য দেশে উবৃত্ত রেখে যান। পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দেশকে আবার খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত করে। দেশের গ্যাস বিক্রির দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে রাজি না হওয়ায় ভোট বেশি পেলেও পরবর্তী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, এরপর বাংলাদেশে দুরাবস্থার সৃষ্টি হয়। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-বাংলাভাই-বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, একইসাথে ৫শ জায়গায় বোমা হামলা-এগুলো বাংলাদেশের মানুষকে মোকাবেলা করতে হয়। ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনের পর থেকে ৭১ এর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বর্বরতার ন্যয় বর্বরতা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীও এরকম নির্যাতনের শিকার হয়। আইনজীবী হত্যা, জেলা জজকে বোমা মেরে হত্যা এমনকি ছয় বছরের ছোট্ট রজুফাও গ্যাং রেপ থেকে রেহাই পায়নি। অনেক মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। এদের বিরুদ্ধে মামলা করায় ভিটিমাটি থেকে উৎখাত হতে হয়। দুর্নীতিতে বাংলাদেশ পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। আর এই অবস্থার জন্যই দেশে জরুরি অবস্থা আসে।

২০০৮ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৩৩টি আসনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে যেখানে বিএনপি ৩০ আসন পেয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয় যখন নির্বাচন বানচালের অনেক চেষ্টা হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করে। এরপর ২০১৮র নির্বাচনেও একই ঘটনা ঘটায় তারা।

সরকার প্রধান বলেন, আমরা জনগণের ভোটেই বারবার নির্বাচিত হয়ে এসেছি। আওয়ামী লীগ কোনদিন গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ছাড়া সরকার গঠন করে নাই।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ যাতে সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য আইনকরে নির্বাচন কমিশন গঠন, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন তথা নির্বাচন ব্যবস্থার যাবতীয় সংস্কার আওয়ামী লীগের প্রস্তাবেই করা হয়েছে। কারণ, রাতের অন্ধকারে অস্ত্র তুলে ক্ষমতা দখল করে জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আজ দেশের যে প্রভূত উন্নয়ন তা দীর্ঘসময় একটানা ক্ষমতায় থাকতে পারার জন্যই বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে সক্ষমতা ১৬শ মেগাওয়াট ছিল তা বর্তমানে ২৮ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে উন্নীত হয়েছে। প্রতি ঘরে বিদ্যুতের আলো জে¦লেছে সরকার। অথচ তাঁর সরকার ৯৬ সালে পাওয়া ১৬শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকে উৎপাদন বাড়িয়ে ক্ষমতা ছাড়ার সময় ৪ হাজার ৩শ মেগাওয়াটে রেখে যায়। কিন্তু পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত সরকার এক ইউনিটও উৎপাদন না বাড়িয়ে উল্টো বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৩ হাজার মেগাওয়াটে নামিয়ে আনে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের সাড়ে ১৪ বছরে আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশকে আর কেউ অবহেলার চোখে দেখে না। বাংলাদেশ আজকে বিশ্বে একটি মর্যাদাশীল দেশ। উন্নয়নের রোল মডেল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সেই মর্যাদাটা আমরা আবার ফিরিয়ে আনতে পেরেছি যেটা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর আমরা পেয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী এ সময় দেশের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তরের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ায় কাজ করে যাবার আহবান জানান।

১১টি জেলাকে ও ৬০টি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীণ মুক্ত ঘোষণা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলায় কেউ ভূমিহীন-গৃহহীণ থাকবে না, তাঁর এই অঙ্গীকার পুর্নব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ১১টি জেলা ও ৬০টি উপজেলা সম্পূর্ণ ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত বলে ঘোষণা করেন। জেলাগুলো হচ্ছে- টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, ব্রাক্ষণবাড়িয়া, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, পটুয়াখালী, সিলেট ও মৌলভীবাজার। এনিয়ে দেশের মোট ভূমিহীন ও গৃহহীণ মুক্ত জেলার সংখ্যা দাঁড়ালো ৩২টি এবং উপজেলার সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৯৪টি।


আরও খবর
ফার্মগেটে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ২

শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3