আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ইস্পাতের বৈশ্বিক উৎপাদন ৩.৭ শতাংশ কমেছে

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা ইস্পাতের বাজারকে নিম্নমুখী চাপে ফেলেছে। শিল্প উৎপাদন থেকে শুরু করে অবকাঠামো নির্মাণসব খাতেই পরিলক্ষিত হচ্ছে ধীরগতি। এ কারণে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না শিল্প ধাতুটির ব্যবহার। নিম্নমুখী চাহিদার প্রভাবে প্রতি মাসেই কমছে বৈশ্বিক উৎপাদন। সর্বশেষ নভেম্বরে ধাতুটির বৈশ্বিক উৎপাদন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। জানুয়ারি-নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে উৎপাদন কমেছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশন (ওয়ার্ল্ড স্টিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতি মাসেই অপরিশোধিত ইস্পাতের বৈশ্বিক উৎপাদন পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি। ৬৪ দেশের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। বৈশ্বিক উৎপাদনের ৮৫ শতাংশই আসে এসব দেশ থেকে। প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেম্বরে অপরিশোধিত ইস্পাতের বৈশ্বিক উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৯১ লাখ টনে। ১১ মাসে উৎপাদন হয়েছে ১৬৯ কোটি ১৪ লাখ টন।

বিশ্বের শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদক ও ব্যবহারকারী দেশ চীন। চলতি বছর কয়েক ধাপে দেশটিতে রেকর্ড মাত্রায় করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লকডাউনসহ কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করতে হয়েছে দেশটিকে। এতে প্রায় বছরজুড়েই চীনে ইস্পাতের চাহিদা ছিল তলানিতে। বিষয়টিকে বৈশ্বিক উৎপাদন কমার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হচ্ছে। জানুয়ারি-নভেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে ৯৩ কোটি ৫১ লাখ টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উৎপাদন ১ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। তবে নভেম্বরে দেশটিতে উৎপাদন ৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৭ কোটি ৪৫ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। বছরের ১১ মাসে ভারত ও ইরান ছাড়া বাকি সব শীর্ষ দেশেই উৎপাদন ছিল নিম্নমুখী। এর মধ্যে জাপানে উৎপাদন ৬ দশমিক ৯ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্রে ৫ দশমিক ৫, রাশিয়ায় ৭, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৬ দশমিক ১, জার্মানিতে ৭ দশমিক ৯, তুরস্কে ১২ দশমিক ৩ ও ব্রাজিলে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে।

এদিকে জানুয়ারি-নভেম্বর পর্যন্ত ভারতে উৎপাদন ৬ শতাংশ বেড়েছে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৪২ লাখ টনে। ইরানে ধাতুটির উৎপাদন ৮ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ২ কোটি ৭৯ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে।

ওয়ার্ল্ড স্টিল জানায়, গত বছর করোনা মহামারীর ধাক্কা সামলে বিশ্ব অর্থনীতিতে গতি ফিরতে শুরু করে। ফলে ইস্পাতের বৈশ্বিক চাহিদা ২ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়ে। কিন্তু চলতি বছর তা ২ দশমিক ৩ শতাংশ কমবে। চাহিদার পরিমাণ দাঁড়াবে ১৭৯ কোটি ৬৭ লাখ টনে। যদিও আগামী বছর চাহিদা আবারো ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ওই বছর ১৮১ কোটি ৪৭ লাখ টন ইস্পাতের চাহিদা তৈরি হতে পারে, যা চলতি বছরের তুলনায় ১ শতাংশ বেশি। অবকাঠামো খাতে ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা ওই বছর মোট চাহিদা বৃদ্ধিতে প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা পালন করবে।

ওয়ার্ল্ড স্টিল ইকোনমিকস কমিটির চেয়ারম্যান ম্যাক্সিমো ভেডোয়া বলেন, নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতি, যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা সংকোচন নীতি, চীনে অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ঊর্ধ্বমুখী জ্বালানি ব্যয়, সুদের হার বৃদ্ধি ও বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলাসহ নানা কারণে ইস্পাত ব্যবহারের খাতগুলো মন্থর হয়ে পড়েছে। এ কারণেই আমরা ইস্পাতের চাহিদা পূর্বাভাস কমাতে বাধ্য হয়েছি।


আরও খবর



বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করল ভারত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাস হওয়ার চার বছর পর বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট-সিএএ) কার্যকর করল ভারত। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে ভারতজুড়ে আইনটি কার্যকর হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় আইনটি কার্যকর হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে নয়াদিল্লিতে আসীন কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

২০১৯ সালে তৎকালীন বিজেপি সরকার আইনটি পাস করেছিল। এই আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ ও পার্সি সম্প্রদায়ের যেসব লোকজন সাম্প্রদায়িক নির্যাতন ও নিপীড়ণের মুখে টিকতে না পেরে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

ভারতে প্রথমবার নাগরিকত্ব আইন পাস হয় ১৯৫৫ সালে। সেই আইন অনুযায়ী, বিদেশ থেকে ভারতে আসা যেসব ব্যক্তি বিগত ১৪ বছরের মধ্যে ১১ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছেন এবং অন্তত ১ বছর টানা থেকেছেন, তারা ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলে তা অনুমোদন করা হবে। নতুন এই আইনটিতে ১১ বছরের মেয়াদকালকে কমিয়ে ৫ বছরে আনা হয়েছে।

২০১৯ সালে আইনটি পাসের পর থেকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিজেপিবিরোধী বিভিন্ন ভারতীয় দল ছিল সেই বিক্ষোভের নেতৃত্বে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ব্যাপক বিরোধী।

উত্তর-পূর্ব ভারত থেকেই মূলত আপত্তি উঠেছিল সিএএ নিয়ে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, সিএএ কার্যকর হলে শরণার্থীদের ভিড় ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। তার ফলে ভাষাগত এবং সংস্কৃতিগত সমস্যা প্রকট হতে পারে। নিজেদের ভাষা এবং সংস্কৃতি রক্ষার স্বার্থেই অনেকে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন।

পাশাপাশি আইনে মুসলিমদের বাদ দেওয়া নিয়েও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। শুধু তা-ই নয়, দক্ষিণ ভারতে সিএএ বিরোধিতার মূল কারণ, শ্রীলঙ্কা থেকে আগত তামিলদের উদ্বাস্তুদের বাদ দেওয়া।

বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে এই আইনের ব্যাপক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন কার্যকর করার নোটিশ জারির পরপরই এক বার্তায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন , রাজ্যে কিছুতেই সিএএ চালু হতে দেবেন না তিনি।

এই আইনের বিরোধিতাকারীদের অভিযোগ, আইনটি ভারতের সংবিধানের পরিপন্থী। কেননা, এই আইনে ধর্মীয় কারণে নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্য করা হচ্ছে। তবে বিজেপির বক্তব্য, এই আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না; বরং যারা ধর্মীয় বৈষম্যের কারণে এ দেশে চলে এসেছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

২০১৯ সালে আইনটি পাস হওয়ার পর রাজধানী নয়াদিল্লিসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে দাঙ্গা হয়েছিল। এসব দাঙ্গায় প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ।

তবে এবার যেন কোনো প্রকার সহিংসতা না ছড়ায়, সেজন্য সব রাজ্যের পুলিশ বিভাগকে সজাগ থাকার নোটিশ আগেই দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, লোকসভা ভোটের আগেই সিএএ কার্যকর করার নোটিশ জারি হবে। সোমবার সেই কথা রাখল বিজেপি।


আরও খবর



কুমিল্লা হাইস্কুল কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ চলছে। এছাড়া ভোট কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।  শনিবার (৯ মার্চ) কুমিল্লা হাইস্কুল কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।

কুমিল্লা সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের ২৭টি, ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও দুইটি রিজার্ভ টিম থাকছে। এছাড়া নিয়োজিত থাকছে র‍্যাবের ২৭টি টিম ও বিজিবি ১২ প্লাটুন।  উপনির্বাচনে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবার দলীয় কোনো প্রতীক না থাকায় সরকার দলীয় দুইজন এবং বিএনপির বহিস্কৃত দুই নেতা মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এদের মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের মেয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. তাহসিন বাহার সূচনা বাস প্রতীকে, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম হাতী প্রতিকে, বিএনপির আজীবন বহিস্কৃত নেতা, সাবেক দুইবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু টেবিল ঘড়ি প্রতীকে এবং বিএনপির আরেক বহিস্কৃত নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ ১৯ মার্চ, প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগে ঢাকার উত্তরে জয়দেবপুরে (বর্তমান গাজীপুর) অকুতোভয় মুক্তিকামী বাঙালিরা পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।

এই উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে শহীদদের কবর জিয়ারত ও আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চে দেওয়া ভাষণে তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে, এই মন্ত্রবলে বলিয়ান হয়ে ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই ঢাকার অদূরে জয়দেবপুরে অকুতোভয় মুক্তিকামী বাঙালিরা সশস্ত্র সেনাবাহিনীর সামনে প্রথমবার রুখে দাঁড়িয়েছিল। হাজার-হাজার জনগণ অবতীর্ণ হয়েছিল সেই সম্মুখযুদ্ধে।

১৯৭১ সালের ১৯ মার্চে ঢাকা ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার থেকে আকস্মিকভাবে পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার জাহান জেবের নেতৃত্বে পাকিস্তানি রেজিমেন্ট জয়দেবপুরের (গাজীপুর) দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিরস্ত্র করার জন্য পৌঁছে যায়। এ খবর জানা-জানি হতেই বিক্ষুদ্ধ জনতা জয়দেবপুরে এক প্রতিরোধ সৃষ্টি করে। সশস্ত্র পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করলে অকুস্থলেই শহীদ হন অনেকে। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ জয়দেবপুরের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে নিজ হাতে লিখে একটি বাণী দিয়েছিলেন। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এই বাণী বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।

ওই সময় বাণীতে বঙ্গবন্ধু বলেন, ১৯৭১ সালের ১৯ শে মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে আরো একটি স্মরণীয় দিন। ওইদিন পাক মিলিটারি বাহিনী জয়দেবপুরে ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত দ্বিতীয় বেঙ্গল রেজিমেন্টের জওয়ানদের নিরস্ত্র করার প্রয়াস পেলে জয়দেবপুর থানা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের যৌথ নেতৃত্বে কৃষক, ছাত্র, জনতা সবাই বিরাট প্রতিরোধের সৃষ্টি করে। ফলে, মিলিটারির গুলিতে তিনটি অমূল্য প্রাণ নষ্ট হয় এবং বহু লোক আহত হয়।

বাণীতে তিনি বলেন, আমি তার কয়েকদিন মাত্র পূর্বে ৭ই মার্চ তারিখে ডাক দিয়েছিলাম, যার কাছে যা আছে, তাই দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোল। জয়দেবপুরবাসীরা তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। আমি তাদের মোবারকবাদ জানাই।

তিনি বলেন, কোন মহৎ কাজই ত্যাগ ব্যতিত হয় না। জয়দেপুরের নিয়ামত, মনু, খলিফা ও চান্দনা চৌরাস্তায় হুরমতের আত্মত্যাগও বৃথা যায় নাই। শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। তাই আজ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের ফলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু বলেন, দেশকে স্বাধীন করার সংগ্রাম শেষ হয়েছে। আসুন আজ আমরা সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গড়ার সংগ্রামে লিপ্ত হই। তিনি জয় বাংলা বলে বাণীটি শেষ করেন।


আরও খবর
আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস

সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪




দাম কমে ৪০ টাকায় ডিমের হালি

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ডিমের চাহিদা কমে যাওয়ায় ঢাকার বাজারে দ্রুত কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম। গত তিনদিনের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা কমেছে। কোনো কোনো বাজারে এর চেয়েও বেশি কমেছে। ফলে বড় বাজারে প্রতি ডজন ডিমের দাম নেমেছে ১২০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়, হালি ৪০ টাকায়।

এদিকে পাড়া-মহল্লার খুচরা দোকানে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা দরে। ফলে ডিম অনেক জায়গায় সরকার নির্ধারিত ১৪৪ টাকার নিচে নেমে এসেছে।

রাজধানীর মালিবাগ, শান্তি নগর ও তেজগাঁও ডিমের বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাইকারি বাজারে ফার্মের মুরগির বাদামি রঙের ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজনপ্রতি ১১৫-১১৬ টাকায়। অথচ গত রোববারেও ঢাকায় প্রতি ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হয়েছে ১২২ থেকে ১২৫ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দাম আরও কিছুটা কমার সম্ভাবনা আছে। কারণ রমজানে ডিমের চাহিদা একদম কম থাকে। এদিকে, মুরগির সাদা রঙের ডিমের ডজন এরই মধ্যে কমে ১১০ টাকায় নেমে এসেছে। তেজগাঁও ডিমের আড়তের ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন ডিম বিক্রি করে লোকসান হচ্ছে খামারিদের।

মালিবাগের ডিম বিক্রেতা সবুজ হোসেন বলেন, পাইকারিতে প্রতি একশো বাদামি ডিম কিনতে খরচসহ ৯৫০ টাকার মতো লাগছে। তাতে খুচরা বাজারেও ডিমের দাম বেশ কমে এসেছে। আর দাম কমার কারণে বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে। দুদিনের ব্যবধানে ১০ টাকা কমেছে প্রতি ডজনে।

শান্তিনগর বাজারে বিক্রেতা ইউনুস হোসেন বলেন, বেশ কয়েক মাস ধরে ডিমের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। চাহিদাও কম বাজারও ঠান্ডা। তিনি বলেন, রোজার সময় পরিবারে ডিম খাওয়া কমে যায়। এছাড়া অনেক হোটেল রেস্তোরাঁ বন্ধ, যার কারণে চাহিদা অনেক কমেছে।


আরও খবর



এবারের বইমেলায় বিক্রি ৬০ কোটি টাকা

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গেল বছরের তুলনায় এ বছর অমর একুশে বইমেলায় অন্তত ১৩ কোটি টাকার বেশি বই বিক্রি হয়েছে। মেলায় মোট ৬০ কোটির টাকার বেশি বই বিক্রি হয়েছে। গত বছর বিক্রি হয়েছিল ৪৭ কোটি টাকা। এ বছর বই প্রকাশিত হয়েছে ৩ হাজার ৭৫১টি। গত বছর প্রকাশিত হয় ৩ হাজার ৭৩০টি বই।

শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে অমর একুশে বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক শাহেদ মমতাজ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। সম্মানীয় অতিথি ছিলেন নবনিযুক্ত সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।

নবনিযুক্ত সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, গেল ১ ফেব্রুয়ারি বইমেলার উদ্বোধনী আয়োজনে এসেছিলাম। জীবনে চিন্তাও করিনি বইমেলার সমাপনী আয়োজনে আমি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে হাজির হবো। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে নাহিদ ইজাহার খান বলেন, আমি কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে চাই না। কোনো প্রমিজে বিশ্বাস করি না, কাজ দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে চাই। প্রতিশ্রুতি তো ভঙ্গ হয়ে যায়। আমরা সবাই মিলে যদি একটি টিমওয়ার্ক করতে পারি, তাহলে কাজটি ভালো হবে।

বইমেলা স্থানান্তরের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বইমেলা এখন ঐতিহ্য হয়ে গেছে। এই বইমেলা সরানোর বিষয়ে কথা উঠেছে। আমরা কোনো না কোনো ব্যবস্থা করে বইমেলা এখানে রাখার ব্যবস্থা করবো।


আরও খবর
একুশে বইমেলার সময় বাড়লো ২ দিন

মঙ্গলবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪