আজঃ মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

ইসরাইলকে রক্ষায় যুদ্ধজাহাজ-বিমান পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলে যে কোনো মুহূর্তে হামলা চালাতে পারে ইরান। আর এমন আশঙ্কায় ঘুম হারাম হয়ে গেছে ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র আমেরিকার। ইরানের হামলা প্রতিহত করতে যেকোনো কিছু করতে চায় তারা। এমনকি ইসরায়েলকে বাঁচাতে মধ্যপ্রাচ্যে আরও যুদ্ধজাহাজ এবং বিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে আরও যুদ্ধজাহাজ এবং বিমান মোতায়েনের কথা নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন। এ ছাড়া ইসরায়েলকে রক্ষায় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের কথাও জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর।

হামাসের রাজনৈতিক শাখার নেতা ইসমাঈল হানিয়া এবং হিজবুল্লাহর এক নেতা নিহতের ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। গত বুধবার ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহেরানে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে নিহত হন ইসমাঈল হানিয়া।

ইসমাঈল হানিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি দেন। এ ছাড়া তিনি তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন।

৬২ বছর বয়সী ইসমাঈল হানিয়া হামাসের একজন প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। গাজা যুদ্ধ বন্ধে তিনি ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনায় নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনায় ছিলেন। তার মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পরই হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ফুয়াদ শুকুরের নিহত হওয়ার খবর আসে।

পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েল বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়নের পাশাপাশি একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ছাড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে ইসমাঈল হানিয়া নিহতের ঘটনায় হামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার শুকুরের নিহতের ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে।


আরও খবর



শেখ হাসিনার ওপর চাপ প্রয়োগ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের লবিং

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের একটি প্রতিবেদনে মার্কিন ও ভারতীয় কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়তে থাকায়, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশ ইস্যুতে শিথিলতা প্রদর্শন করার জন্য চাপ দিয়েছিল ভারত।

ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, একের পর এক বৈঠকে ভারতীয় কর্মকর্তারা দাবি করেন যে বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যেন তাদের গণতন্ত্রপন্থী বক্তব্য কমিয়ে দেয়। যদি একটি উন্মুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে বিরোধীরা ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশ ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোর প্রজননক্ষেত্রে পরিণত হবে। এটি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দেবে বলে দাবি করেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।

ভারতীয় সরকারের একজন উপদেষ্টা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, আপনারা বিষয়টি গণতন্ত্রের দিক থেকে দেখবেন। তবে আমাদের জন্য এসব ইস্যু অনেক অনেক বেশি গুরুতর এবং অস্তিত্বের।

তিনি বলেন, আমেরিকানদের সঙ্গে আমাদের অনেক আলোচনা হয়েছে। সেখানে আমরা বলেছিলাম, এটি আমাদের জন্য একটি মূল উদ্বেগের বিষয়। আমাদের মধ্যে কোনো ধরনের কৌশলগত ঐক্যমত্য না থাকলে আপনি আমাদের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে নিতে পারবেন না।

শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ নিয়ে সুর নরম করে বাইডেন প্রশাসন। এমনকি হাসিনা সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি স্থগিত করে। যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের অনেকে হতাশ হন। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, তারা হিসাব-নিকাষ করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে ভারতীয় চাপের খুব একটা সম্পর্ক নেই।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মার্কিন কূটনীতিকরা এ বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের এবং সমালোচকদের গ্রেফতার করার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সমালোচনা করেছিলেন। বাইডেন প্রশাসন বিচারবহির্ভূত অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের পুলিশের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ন করা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশিদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার হুমকি দেয়।

গত ৫ আগস্ট যখন বিক্ষোভকারীরা সেনাবাহিনীর কারফিউ অমান্য করে শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবনের দিকে এগিয়ে যায়, তখন শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। এরপর ভারত ও ওয়াশিংটনের নীতিনির্ধারকরা বাংলাদেশ পরিস্থিতি সঠিকভাবে মোকাবিলা করেছেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

মার্কিন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে সবসময় ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়। অনেক জায়গায় পরিস্থিতি জটিল এবং অংশীদারদের সঙ্গে এমনভাবে কাজ করতে হয়, যা সব সময় মার্কিন জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে মেলে না।

জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে তা নিয়ে মার্কিন সরকারের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। তৎকালীন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার পক্ষে যুক্তি দেন। তবে কিছু মার্কিন কর্মকর্তা মনে করতেন, শেখ হাসিনাকে বিচ্ছিন্ন করা খুব একটা লাভজনক হবে না।

ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার নেতিবাচক দিকও বিবেচনা করা হয়েছিল। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং নভেম্বরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেন, যেখানে এই বিষয়টি আলোচনা হয়। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও ওয়াশিংটন সফরকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

মার্কিন এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের ব্যাপারে মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, সবসময় উভয় দেশের মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্য বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা বাস্তবতাও বুঝি। বাংলাদেশে পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল এবং সেখানে অনেক স্বার্থ জড়িত।

ভারতের জন্য শেখ হাসিনার দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক পরিস্থিতি এক কঠিন সমস্যা তৈরি করেছে। যদিও শেখ হাসিনা স্বৈরাচারী ও অজনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল, ভারতের সমর্থন অব্যাহত থাকায় দেশটি বেকায়দায় পড়েছে। ওয়াশিংটন পোস্ট উল্লেখ করেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেশকে দক্ষিণ এশিয়ার ছোট প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর হস্তক্ষেপকারী ও কট্টর জাতীয়তাবাদী দেশ হিসেবে দেখা হয়।

জানুয়ারিতে শেখ হাসিনা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠান বা আত্মগোপনে যেতে বাধ্য করেন এবং একতরফাভাবে নির্বাচন আয়োজন করেন। নির্বাচনে তার দল বড় ব্যাধানে জয় পাওয়ার দাবি করে। ভারতের কর্মকর্তারা এই নির্বাচনের ফলাফল সমর্থন দেন, যা বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলন বাড়িয়ে দেয় এবং মালদ্বীপ ও শ্রীলংকার মতো প্রতিবেশী দেশগুলোতে ভারতের প্রভাবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ সৃষ্টি করে।

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি চিফ অব মিশন জন ড্যানিলোভিজ মন্তব্য করেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে গিয়ে এই অঞ্চলে নিজেদের স্বার্থের প্রতি মনোযোগ কমিয়ে দিয়েছে। তবে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা করা ভুল ছিল।

তিনি আরও বলেন, নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনকে নমনীয়তা দেখাতে হবে এবং স্বীকার করতে হবে, তারা বাংলাদেশের জনগণ ও তাদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার পাশে না থেকে ভুল করেছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা ভারতের প্রভাবের সমালোচনা করেন। পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সহিংসতা হ্রাস ও অবাধ নির্বাচনের প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিতর্কিত নির্বাচনের পর বাংলাদেশের ওপর আরও বিধিনিষেধ না আরোপ করায় কেউ কেউ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছিলেন।

বিক্ষোভের ফলে অনেক প্রাণহানির পর, শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন। ভারতীয় কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে কৌশল পরিবর্তন করে জানান যে, বাংলাদেশের যে কোনো নতুন সরকারের সাথে কাজ করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ড. ইউনূসকে সমর্থন দিয়েছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হওয়ার পর, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে অভিনন্দন জানান। ইউনূস আগে শেখ হাসিনার প্রতি সমর্থন জানানোয় ভারতের সমালোচনা করেছিলেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরও ইউনূসের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।


আরও খবর



আয়নাঘরে যা হয়েছিল নওশাবার সঙ্গে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। ২০১৮ সালে সড়ক নিরাপদ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার বিরোধী একটি স্ট্যাটাসের জেরে গ্রেফতার হন তিনি।

বিগত সরকারের আমলে আয়নাঘর-এ রেখে টর্চার করা হয়েছিল- এমনটাই দাবি করেছেন অভিনেত্রী। জনপ্রিয় উপস্থাপক তানভীর তারেকের শোতে এসে সেই ঘটনা বলেছেন নওশাবা যেটি প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছে।

গ্রেফতারের পর চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় তাকে। সেখান থেকে কারাগারে পাঠানো হয় এই অভিনেত্রীকে। ২০১৮ সালের ২১ আগস্ট পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় সিএমএম আদালতে জামিনে মুক্তি পান নওশাবা।

জানা যায়, নওশাবা ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারবিরোধী এক পোস্ট করায় গ্রেফতার হন। তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বেশ আলোচিত হয়।  কিন্তু নওশাবার ব্যক্তিজীবন, সামাজিক জীবন, এমনকি মানসিক-শারীরিক অবস্থার তখন কি হয়েছিল সে কথা কেউ জানেন না। কারণ এ নিয়ে পরে টু শব্দটিও করেননি অভিনেত্রী।

সেসময় অনেকেই এ বিষয়ে সমালোচনা করলেও তার পাশে দাঁড়াননি কেউই।  কারাগার থেকে ফিরে চেষ্টা করেছেন নিজেকে আবারো মেলে ধরার। কিন্তু তার মনে যে গভীর ক্ষত জমা হয়েছিল তা তার ব্যক্তিগত, সামাজিক জীবন, এমনকি মানসিকভাবেও প্রভাব ফেলেছিল। সেই কথা কাউকে না বলতে পেরে ভেতরে এক ভারি বোঝা নিয়ে বছরের পর বছর কাটিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখন দিন বদলেছে। সে সময়ের ক্ষমতাবানরা এখন ক্ষমতাহীন। তাই অকপটে অনেক কথাই বলতে চাইছেন নওশাবা।

সোমবার নিজের কাজ ও গ্রেফতারের দিনগুলোর কথা জানিয়েছেন নওশাবা। প্রচারের অপেক্ষায় থাকা সেই শো এর একটি ছবি পোস্ট করে তানভীর তারেক জানিয়েছেন সেকথা।

তিনি সেখানে লেখেন, ২০১৮ সালে প্রথম রুলিং পার্টির অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী শিল্পী হলেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। এরপর আয়নাঘরে তাকে ২১ দিনের নির্যাতন! অতঃপর রিহ্যাবে ছয় মাস। নিজের মেয়েকেই চিনতে পারতেন না! সেই সময় থেকে একমাত্র কন্যাকে নিয়ে গত ৬ বছরে ২০ বারের ওপরে বাসা বদলেছেন। কেউ বাসা ভাড়া দিতে চায়নি, সংসার ভেঙেছে! নিজের বাড়িতে জায়গা হয়নি, কারণ ভাই ও আত্মীয়রা নিরাপদ মনে করেননি। বন্ধুর নামে বাসা ভাড়া নিয়ে বোরকা পরে ঢুকতেন! কোনো আপস করেননি। অনেক রকম অফার এসেছে! মামলা করেছেন আগেই, যা এখনো চলমান। গল্পগুলো আসছে। শোটি দ্রুতই প্রচার করা হবে বলে জানিয়েছেন তানভীর।


আরও খবর
এটিএম শামসুজ্জামানের জন্মদিন আজ

মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪




রেজিস্ট্রেশন ছাড়া যাওয়া যাবে না সেন্টমার্টিন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যটক সীমিত করার পাশাপাশি রেজিস্ট্রেশন বা অনুমতি ছাড়া কোনো পর্যটক দ্বীপটিতে যেতে পারবে না। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে সেন্টমার্টিন দ্বীপে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে কনসালটেশন শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল হামিদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করে পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষার পাশাপাশি সেখানকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করা হবে। কক্সবাজার শহরকে গুরুত্ব দিয়ে প্লাস্টিক মুক্ত করার জন্য খুব দ্রুত কাজ শুরু করা হবে বলেও জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

সাগরকে প্লাস্টিক মুক্ত রাখতে সকলের সহযোগিতা চেয়ে তিনি আরো বলেন, পাহাড় কাটা ও জলাশয় ভরাটের বিষয়ে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। এটার জন্য জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে। দেশের নদীগুলোর দূষণ নিয়ে আমরা কাজ করছি। নদীগুলোকে দূষণমুক্ত রাখার জন্য ইতিমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

ইউনিডোর সহযোগিতায় পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ইউনিডোর বাংলাদেশ প্রধান ড. জাকি উজ্জামান, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী, বাংলাদেশে টেকসই প্লাস্টিক ব্যবহার এবং সামুদ্রিক লিটার প্রতিরোধের দিকে সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গির জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সোলেমান হায়দার, পরিচালক (এনভি. ক্লিয়ারেন্স) মাসুদ ইকবাল মো. শামীম, পরিবেশবাদী সংগঠন ধরার কক্সবাজার সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সারোয়ার আলম, ইউএনডিপির হেড অব এক্সপেরিমেন্টেশন রমিজ উদ্দিন, বাপার কক্সবাজার সভাপতি এইচ এম এরশাদ, বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু, ইয়েস কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল মামুন, কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জমির উদ্দিন প্রমুখ।


আরও খবর



মহাকাশে আটকে পড়া সুনিতাকে উদ্ধারের সামর্থ্য নেই ভারতের: ইসরো

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) আটকে পড়েছেন ভারতীয়-মার্কিন মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। ইতোমধ্যে, নাসা ইলন মাস্কের স্পেসএক্স বেছে নিয়েছে মহাকাশচারীদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য। এক প্রতিবেদনে ভারতীয় ম্যাগাজিন বিজনেস টুডে এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নভোচারীরা প্রাথমিকভাবে বোয়িং এর স্টারলাইনারে পৌঁছেছিলেন, যা আট দিনের মিশন হওয়ার কথা ছিল। তবে, বোয়িং ক্যাপসুলের প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তাদের অবস্থান ৭৮ দিন বেড়ে যায়। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) কি তাদের ফিরিয়ে আনতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিতে পারেবে?

জবাবে ইসরো প্রধান এস সোমনাথ বলেছেন, সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোরকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে ভারত সরাসরি কোনোভাবেই সাহায্য করতে পারে না। একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র কিংবা রাশিয়া-ই দুই মহাকাশচারীকে ফিরিয়ে আনতে পারে।

ইসরো প্রধান এস সোমনাথ আরও বলেন, আমাদের কাছে এমন কোনও মহাকাশযান নেই যা সেখানে গিয়ে তাদের বাঁচাতে পারে। এটা সম্ভব নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে স্পেসএক্স ক্রু ড্রাগন মহাকাশযান রয়েছে এবং রাশিয়ার কাছে সয়ুজ নভোযান রয়েছে যা উইলিয়ামস এবং উইলমোরকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে ফিরিয়ে আনতে পারে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ জুন নাসার মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে বোয়িং-এর স্টারলাইনারে চড়ে মহাকাশের উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন। তারা দুই মাসের-ও বেশি সময় ধরে মহাকাশে আটকে আছেন।

নিউজ ট্যাগ: আইএসএস ইসরো

আরও খবর



গাজায় আরও ছয় ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় হামাসের হাতে আটক ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা ইসরায়েল। সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাস্তায় হাজারো মানুষের ঢল। যুদ্ধবিরতির দাবিতে সোমবার সারাদেশে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ইসরায়েলের প্রধান এবং বৃহত্তম শ্রমিক ইউনিয়ন।

রোববার রাতে বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। অনেক বিক্ষোভকারী তেল আবিবে রাস্তা ব্লক করেছে এবং পশ্চিম জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ করেছে। গাজার রাফাহ অঞ্চলে অভিযান পরিচালনার সময় রোববার একটি টানেল থেকে ৬ জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করে ইসরায়েলের সেনারা।

খবরটি জানাজানির পর থেকেই প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠে গোটা ইসরায়েলজুড়ে। তেল আবিব  জেরুজালেমসহ দেশটির সবকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে বিক্ষোভে নেমেছে হাজারো মানুষ। জিম্মিদের মৃত্যুর জন্য প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে দায়ী করছেন তারা। 

এদিকে সোমবার দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ইসরায়েলের প্রধান শ্রমিক ইউনিয়ন হিসটাদ্রুত। বিমানবন্দর, ব্যাংকিং  ও স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাত এই ধর্মঘটের আওতায় থাকবে।

সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এদিন বিক্ষোভ কর্মসূচির ডেকেছে জিম্মিদের পরিবারও। এই অবস্থায় হামাসের কাছে বন্দি নাগরিকদের মুক্ত করতে ইসরায়েল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

তীব্র বিক্ষোভের মুখে নেতানিয়াহু বলছেন, যুদ্ধ বিরতির চুক্তি চায় না হামাস। তবে হামাসের দাবি, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীই এই চুক্তি আটকে রেখেছেন।

এদিকে গাজায় ২৪ ঘণ্টায় শরণার্থী শিবিরসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। পশ্চিম তীরে ষষ্ঠ দিনের মতো ইসরায়েলি অভিযান অব্যাহত থাকায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। হামলার মধ্যেই প্রথম দিন ৭২ হাজার ৬১১ জন শিশুকে পোলিও টিকা দিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর