ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। এ যেন মৃত্যু আর আতঙ্কের উপত্যকা। আকাশে যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দ। চারদিকে বিধ্বস্ত ভবনের ইট-পাথর। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। এ সংঘাতে নিহত হয়েছেন ২৩০০ মানুষ।
গতকাল বুধবার বিবিসি জানায়, সংঘাতে এখন
পর্যন্ত এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি ও এক হাজার ১০০ ফিলিস্তিনি নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও
এই সংঘাতে আহত হয়েছেন পাঁচ হাজারের বেশি।
জ্বালানির অভাবে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেছে। আপাতত জেনারেটর দিয়ে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে সেখানেও জ্বালানি ফুরিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন>> ইসরাইলে জরুরি ঐক্য সরকার গঠনের ঘোষণা
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত শনিবার থেকে এখন
পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় জাতিসংঘের অন্তত ৯ কর্মী নিহত হয়েছেন। গাজায় রেশনিং ব্যবস্থা
চালু করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনাদের
হামলায় অধিকৃত পশ্চিম তীরে অন্তত ৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৯ জন।
এদিকে বিরোধী নেতা বেনি গানৎসকে নিয়ে যুদ্ধকালীন
সরকার গঠন করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা
জানিয়েছেন, হামাস সেখানকার একটি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, কিন্তু এতে কেউ হতাহত হয়নি।
তারা বলছেন, ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।
শনিবার সকালে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীদের
সংগঠন হামাস কয়েক বছরের মধ্যে ইসরায়েলের ওপর সবচেয়ে বড় হামলা চালায়। ইসরায়েলের
ভূখণ্ডে ৫ হাজারেরও বেশি রকেট হামলা করে সংগঠনটি। এ রকেট হামলার ৫ ঘণ্টা পর জনগণের
উদ্দেশে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধের ঘোষণা
দেন।