বিচার ব্যবস্থায়
সংস্কারের উদ্যোগের প্রতিবাদে ইসরায়েলজুড়ে গত ১৭ সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে।
শনিবার দেশটিতে লাখো মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। খবরে বলা হয়েছে, ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ তেল আবিব শহরে বিক্ষোভে অংশ নেন।
ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি সরকার বিচারক নিয়োগের কমিটির ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য এই পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করেছে। দেশটির প্রভাবশালী সেনাবাহিনীসহ প্রায় সব অঙ্গন থেকেই বিচার ব্যবস্থায় পরিবর্তনের উদ্যোগের বিরোধিতা আসছে।
আরও পড়ুন: টেক্সাসে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৫
সমালোচকরা বলেছেন,
এই আইনি সংস্কার গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। অথচ বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার বলছে,
পরিকল্পিত পরিবর্তন ভোটারদের জন্য ভালো।
আইন সংস্কার বিরোধীদের দাবি, প্রস্তাব পাস হলে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট দুর্বল হয়ে পড়বে। তেল আবিবের একজন বিক্ষোভকারী বলেন, এটা বিচারিক ব্যবস্থার সংস্কার নয়। ইসরায়েলকে পুরোপুরি একনায়কতন্ত্রে ফেরাতে বিচারিক ব্যবস্থায় বিপ্লব আনা হচ্ছে। আমি চাই, আমার সন্তানদের সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য ইসরায়েল গণতন্ত্রের পথে থাকুক।
আরও পড়ুন: ক্রিমিয়ার তেলের ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
বিচারব্যবস্থার
এ সংস্কারের ফলে নির্বাচিত সরকার বিচারকদের ওপর প্রভাব বজায় রাখার ক্ষমতা পাবে। নির্বাহী
বিভাগের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ বা আইনপ্রণয়নের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতাও খর্ব করা
যাবে এ সংস্কারের ফলে। এ পদক্ষেপের ফলে ইসরায়েলি সমাজে ব্যাপক বিভেদ তৈরি হতে পারে।