ইসরায়েলের পাশে
দাঁড়াতে ২ হাজার মার্কিন সেনা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের ডেপুটি
প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং। গতকাল মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুই প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার
বরাতে এই তথ্য জানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন।
তারা জানিয়েছেন,
দুই হাজার মেরিন ও নাবিক নিয়ে গঠিত যুক্তরাষ্ট্রের র্যাপিড রেসপন্স ফোর্সকে ইসরায়েলের
জলসীমার কাছে পাঠানো হচ্ছে। ইসরায়েলকে পাহারা দিতে এর আগে পাঠানো একাধিক রণতরি ও যুদ্ধজাহাজের
সঙ্গে যোগ দেবে সংঘাত মোকাবিলায় দক্ষ এই বাহিনী।
যুক্তরাষ্ট্রের
এই পদক্ষেপকে ইরান ও তাদের সমর্থিত লেবানিজ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রতি কড়া সতর্কবার্তা
হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
এর আগে মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, তাদের ইসরায়েলে চিকিৎসা ও লজিস্টিক সহায়তার জন্য মোতায়েনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেনাদের কোথায় মোতায়েন করা হবে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানাননি মার্কিন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন>> গাজার হাসপাতালে ইসরাইলের ভয়াবহ হামলা, ৫০০ জনের মৃত্যু
এক কর্মকর্তা
বলেছেন, তাদের ইসরায়েলের দক্ষিণ উপকূলে পাঠানো হবে। কিন্তু তারা সরাসরি হামাসের বিরুদ্ধে
লড়াইয়ে অংশ নেবে না।
কর্মকর্তারা
বলেছেন, এসব পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে ইরান ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী
হিজবুল্লাহকে বার্তা পাঠাতে চাইছে। ওয়াশিংটন চায় না, ইসরায়েল-হামাস সংঘাত বাইরে ছড়িয়ে
পড়ুক। তবে এসব পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িয়ে যাওয়ার ঝুঁকি
বাড়ছে বলে মনে করছেন ওই কর্মকর্তারা।
গত ৭ অক্টোবর
ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকেই দেশটির পাশে শক্তভাবে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই
মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন প্রদর্শনের অংশ হিসেবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি
ব্লিঙ্কেন তেলআবিব সফর করেছেন। সফরকালে তিনি ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর
সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।