আজঃ রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ৫৭ বছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি)। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর থেকে যাত্রা করে সুদীর্ঘ ৫৭ বছর পূর্ণ করে ৫৮-তে পা রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। পথচলায় নানা অর্জন, আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে অবদানের মাধ্যমে স্বমহিমায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে শাটল ট্রেনের ক্যাম্পাসটি।

আজ শনিবার দিবসটি উদযাপনে বর্ণিল সাজে সেজেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও স্থাপনাগুলোতে করা হয়েছে আলোকসজ্জা। দিনব্যাপী নানা আয়োজনে রয়েছে র‌্যালি, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, কেক কাটা, আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

প্রতিষ্ঠার দিন থেকে শুধু জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রসার নয়, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ দেশের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পালন করেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ৫৭ বছরের পথচলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাপ্তির ঝুড়ি যেমন অনেকটা পূর্ণ হয়েছে, তেমনই কিছু অপ্রাপ্তির বোঝা এখনও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে।

যেভাবে শুরু : মাত্র ৮ জন শিক্ষক নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রথমে চালু হয় বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও অর্থনীতি-এ চার বিভাগ। যার অধীনে ছিলেন মাত্র ২০৪ জন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক ড. আজিজুল রহমান মল্লিক।

বর্তমানের চবি : বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। পাঠদানে রয়েছেন ৯০৬ জন গুণী শিক্ষক। এখানে ৯টি অনুষদের অধীনে ৪৮টি বিভাগ ছাড়াও রয়েছে ৬টি ইনস্টিটিউট। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ১৪টি আবাসিক হল ও ১টি ছাত্রাবাস। এর মধ্যে ৯টি ছেলেদের ও ৫ মেয়েদের হল। আবাসিক হল ও হোস্টেলে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রায় ৭ হাজার আসন বরাদ্দ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে রয়েছে শাটল ও ডেমু ট্রেন।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি : কাটাপাহাড়, হতাশার মোড়, দোলা স্মরণী, একখণ্ড ঝুলন্ত সেতু, চালন্দা গিরিপথ-চবির সৌন্দর্য শুধু এগুলো নয়। ঋতুরাজ বসন্ত, ঝুম বৃষ্টির আষাঢ়, ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা শীতে শাটলের ক্যাম্পাস নিজস্ব ঢঙে বদলায় তার রূপ। তার মোহনীয় রূপে শুধু চবির শিক্ষার্থীরাই বিমোহিত হন না, ক্যাম্পাসে অতিথি হয়ে আসা যে কেউই অনায়াসে আপন করে নেন নিঝুমপুরীর জ্ঞানগৃহের এই সৌন্দর্যকে।

চবিকে মহিমান্বিত করেছেন যে কয় গুণিজন : বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল পুরস্কার বিজয়ী এবং ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের স্বনামধন্য শিক্ষক ছিলেন। বিশ্বখ্যাত বিশ্বতত্ত্ববিদ, পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতবিদ একুশে পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. জামাল নজরুল ইসলাম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। যিনি শুধু দেশের টানে বিদেশের চাকরির লোভনীয় প্রস্তাব ছেড়ে দেশে ফিরে এসেছিলেন। ঐতিহাসিক ও শিক্ষাবিদ আবদুল করিম, একুশে পদকজয়ী সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ ড. আনিসুজ্জামান, শিক্ষাবিদ আহমদ শরীফ, হুমায়ুন আজাদ, চিত্রশিল্পী রশিদ চৌধুরী, কলামিস্ট আবুল মোমেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। সাবেক জাতীয় অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান, অপরাজেয় বাংলার স্থপতি ভাস্কর সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ, ঔপন্যাসিক আলাউদ্দিন আল আজাদ, সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন, অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, মুর্তজা বশীর, ঢালী আল মামুনসহ দেশবরেণ্য বহু কীর্তিমান মনীষীর জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত এ বিশ্ববিদ্যালয়।

ইতিহাসে চবি: কেবল গবেষণা আর পড়াশোনা নয়, দেশের প্রতিটি ক্রান্তিকালে এ বিশ্ববিদ্যালয় রেখেছে অগ্রণী ভূমিকা। ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন যার সাক্ষী। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে চবির কমপক্ষে ১৫ জন মহানায়ক তাদের নিজেদের জীবন বিলিয়ে দেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বীরপ্রতীক খেতাব পেয়েছেন শহিদ মুক্তিযোদ্ধা মো. হোসেন।

স্থাপত্যকর্ম: সবুজঘেরা ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নজরকাড়া সব স্থাপত্যকর্ম। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রয়েছে স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্য, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ, শহিদ মিনার। মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বীর সন্তানদের স্মৃতিকে অমলিন রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখেই নির্মাণ করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ স্মরণ। আরও আছে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি-সংবলিত বঙ্গবন্ধু চত্বর। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধকে শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরতে নির্মিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য জয় বাংলা

এ ছাড়া ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত জাদুঘরে রয়েছে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, কামরুল হাসানসহ বিখ্যাত সব শিল্পীর শিল্পকর্ম, অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর নানা কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তিসহ প্রাচীন জীবাশ্মের সংগ্রহ। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে রয়েছে প্রাণিবিদ্যা জাদুঘর, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগে রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হার্বেরিয়াম ও সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে রয়েছে সমুদ্র সম্পদ জাদুঘর। বাংলা, সংস্কৃত, আরবি, ফারসি, উর্দু ভাষায় লিখিত সুপ্রাচীন সব পাণ্ডুলিপির সংগ্রহ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে। যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে গড়ে তোলা হয়েছে ডিজিটাল মিডিয়া ল্যাব টেলিভিশন স্টুডিও। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধীনে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে গবেষণার জন্য গড়ে তোলা হয়েছে উন্নত সুবিধাসংবলিত গ্রিনহাউস প্রকল্প। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে রচিত বইয়ের সংগ্রহে গড়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্নার

হাজারো প্রাপ্তির ভিড়ে বিরাজমান সমস্যা-সংকট : এত কিছুর মাঝে সমস্যাও কম নয়। ১৯৮৮ সাল থেকে শাটলট্রেন চলাচল করলেও ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন আর পুরোনো বগি দিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের প্রধান পরিবহন ব্যবস্থা। বছরের পর বছর শিক্ষার্থী বাড়লেও এ খাতে উন্নতি হয়নি একটুও। শুধু বেড়েছে শটলে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি আর হাঁসফাঁস। এখনও শতভাগ আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়। মাত্র ২০ শতাংশের মতো আবাসিক সুবিধা পান শিক্ষার্থীরা। হলগুলোতে বেশির ভাগ কক্ষ ও খাবারের মান ও ব্যবস্থা নিয়ে রয়েছে আবাসিক শিক্ষার্থীদের অজস্র অভিযোগ। হলে কক্ষ না পেয়ে বাকি শিক্ষার্থীরা আবাসিক সুবিধা নিতে জিম্মি হয়ে পড়েছে নিম্নমানের কটেজগুলোয়।

এ ছাড়া ৩৪ বছরেও হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন। প্রতিষ্ঠার পর মাত্র ছয়বার হয়েছে চাকসু নির্বাচন। এ জন্য সবসময় ক্ষমতাসীন দলগুলোর ছাত্র সংগঠনের আধিপত্য থেকেছে ক্যাম্পাসে। শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় এসব সংগঠনের কার্যক্রম কার্যত পরিহাসের নামান্তর। এত পাওয়া, না পাওয়ার মাঝে শিক্ষার্থীরা অভাব বোধ করছেন একটি ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ও সর্বোপরি তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের।

৫৭ বছরে রাজনৈতিক সহিংসতায় অনেকবার রক্তে রঞ্জিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি। প্রাণ গেছে ১৮ জন শিক্ষার্থীর। কিছু দিন যেতে না যেতেই রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের মধ্যে আধিপত্য, সংঘর্ষ আর হানাহানি, টেন্ডারবাজি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে নেতিবাচক খবর হিসেবে গণমাধ্যমে এসেছে বেশির ভাগ সময়। এত কিছুর পরও এগিয়ে চলছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।


আরও খবর



বিশ্বকাপের সমাপনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবেন যারা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপের শেষের ঘণ্টা বেজে গেছে। প্রায় দেড় মাসের আসরের পর্দা নামবে আগামীকাল। রোববার (১৯ নভেম্বর) ওই ফাইনালে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ভারতের।

মেগা এই আসরের পর্দা নামার আগে হবে বিশ্বকাপের সমাপনী অনুষ্ঠান। এক লাখ ৩০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে সুরের ঝংকার তুলবেন ভারতের বেশ কজন জনপ্রিয় শিল্পী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির সংগীত শিল্পী ও সুরকার প্রীতম গান গাইবেন। তার সঙ্গে থাকবেন ইন্দো-কানাডিয়ান সিঙ্গার জোনিতা গান্ধী। যিনি হিন্দি, তালিক ও মালয়ালম ভাষার জনপ্রিয় কিছু গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।

এছাড়া বুলেয়া খ্যাত সিঙ্গার অমিত মিশ্রা গান পরিবেশন করবেন। ২০১০ এর ইন্ডিয়ান আইডল খ্যাত শ্রীরামা চন্দ গানে কণ্ঠ দেবেন। ফ্যান সিনেমার জাব্রা ফ্যান ও আর.. রাজকুমার সিনেমার সারি কে ফল সা খ্যাত গায়ক নাকাশ আজিজের গান থাকবে। 

আরও পড়ুন>> নিউজিল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত

এছাড়া বিশ্বকাপের থিম সং দিল জাসন বলে গানে কণ্ঠ দেওয়া চরণ থাকবেন বিশ্বকাপের সমাপনী মঞ্চে। খিচ মেরি ফটো কিংবা সানাম তেরি কাসাম-এর মতো জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দেওয়া আকাশও থাকবেন সমাপনী অনুষ্ঠানে।

বিশ্বকাপে নিজেদের যোগ্যতা দিয়েই ফাইনালে উঠেছে দুটি দল। ভারত একমাত্র দল যারা এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে হারের মুখ দেখেনি। টানা ১০ ম্যাচ জিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে এক ধাপ দূরে রয়েছে তারা।

অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে হারলেও পরে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে এখন ফাইনালে অবস্থান করছে। যে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য হেক্সা মিশন কমপ্লিট করা।


আরও খবর
ইউরো ২০২৪ এর ড্র অনুষ্ঠিত

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল ইরাক

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে ইরাক। হামাস ইসরায়েলের মধ্যেকার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মার্কিনদের এই সতর্কবার্তা দিয়েছে দেশটি। শনিবার (২ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল সুদানি যুক্তরাষ্ট্রকে এ সতর্কবার্তা দেন। মূলত ফিলিস্তিনে ইসরায়েলিদের হামলা শুরুর পর ইরাকে মার্কিন হামলার বিষয়ে এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সুদানি আলাপকালে এ যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেন।

সুদানি বলেন, ইরাকে থাকা আন্তর্জাতিক জোটের উপদেষ্টাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের গোপন পরিকল্পনা জেনে যাওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল। দেশটি বলছে, হামাসের হামলার এ পরিকল্পনা তারা এক বছর আগেই জেনে গিয়েছিল।

হামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি, ই-মেইল ও সাক্ষাৎকার পর্যালোচনা করে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা হামাসের অভিযানের পরিকল্পনা জানত। এক বছরের বেশি সময় আগে তারা এসব জেনে গিয়েছিল। তবে বিষয়টিকে তারা পাত্তা দেয়নি। হামাসের দ্বারা এসব কাজ করা সম্ভব হবে না বলে মূল্যায়ন করেছিল তারা।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা হামাসের এ হামলার নথিকে জেরিখো ওয়াল নামে নামকরণ করেছে। এ নথিটি ৪০ পৃষ্ঠার। যেখানে পয়েন্ট আকারে ইসরায়েলে হামলার বিষয় এমনকি নিহতের সংখ্যা পর্যন্তও উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দেড় মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বাত্মক হামলার পর গত ২৪ নভেম্বর প্রথমবারের মতো চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে ইসরায়েল ও হামাস। এরপর দুই দফা এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে একমত হয় দুপক্ষ। তবে শুক্রবার সকাল ৭টায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হলেও চুক্তি বাড়ানো নিয়ে ঘোষণা দেয়নি কোনো পক্ষই।

যুদ্ধবিরতির শেষ হওয়ার পর প্রথম দিনে গাজার ৪০০ স্থাপনায় হামলার দাবি করেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, দীর্ঘ যুদ্ধবিরতির পর গাজায় পুনরায় হামলা শুরু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার ৪০০ স্থাপনায় হামলা করা হয়েছে।

আইডিএফ জানিয়েছে, ইসরায়েলের এসব লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে অন্য হলো হামাসের অস্ত্রাগার ও অবকাঠামো। খান ইয়ানিস ও দেইর আল বালাদের হামাসের এসব লক্ষ্যে হামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি মসজিদকে গাজার আরেক দল ইসলামিক জিহাদ নিজেদের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। এ ছাড়া এ সময়ে আইডিএফ একটি সেলে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৮৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া অন্তত ৫৮৯ জন আহত হয়েছেন এবং ২০টির বেশি বাড়িতে বোমা হামলা হয়েছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, শুক্রবার যুদ্ধবিরতি শেষ হতেই দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে তীব্র বোমাবর্ষণ শুরু হয়। বোমা হামলার মধ্যেই একটু নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বাসিন্দারা গাড়িতে জিনিসপত্র নিয়ে সড়কে নেমে যান। এ ছাড়া গাজা থেকে ইসরায়েলি শহরে রকেট ছোড়া হলে দক্ষিণ ইসরায়েলে সাইরেন বাজানো হয়। যদিও হামাসের এসব হামলায় ইসরায়েলে কোনো হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে সিরিজেও পাকিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা দুই ওয়ানডে জয়ের মধ্য দিয়ে সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের ২-১ ব্যবধানে জয় পায় নিগার সুলতানার নেতৃত্বাধীন দলটি।

এর আগে গত মাসে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পাকিস্তানকে হারায় বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। সেটাও পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সিরিজ জয় ছিল। টি-টোয়েন্টির পর আজ ওয়ানডে সিরিজেও পাকিস্তান নারী দলকে হারায় বাংলাদেশ।

শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৯ উইকেটে ১৬৬ রান তুলতে সমর্থ হয় পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দল।

বাংলাদেশ দলের হয়ে নাহিদা আক্তার ১০ ওভারে ২৬ রানে ৩ উইকেট নেন। ১০ ওভারে ৩৫ রানে ২ উইকেট নেন রাবেয়া খান। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন ফাহিমা খাতুন, নিশাত আক্তার নিশি ও স্বর্ণা আক্তার।

১৬৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ১২৫ রানের রেকর্ড গড়েন মুর্শিদা খাতুন ও ফারজানা হক পিংকি। ১১৩ বলে ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬২ রান করেন ফারজানা হক পিংকি। আর ১০৬ বলে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৬ রান করেন মুর্শিদা খাতুন। এই দুই ওপেনারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটের দাপুটে জয়ে ২৬ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের বড় জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। এর আগে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে সুপার ওভারে জয় পায় বাংলাদেশ।


আরও খবর
ইউরো ২০২৪ এর ড্র অনুষ্ঠিত

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




যুবলীগের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন আওয়ামী যুবলীগের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ শনিবার (১১ নভেম্বর)। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক যুব কনভেননের মধ্য দিয়ে যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যুব নেতা শেখ ফজলুল হক মণি যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। ফজলুর হক মনি ছিলেন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে দেশের যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই যুবলীগ সেই লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।

প্রায় পাঁচ দশকের দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যুবলীগ বর্তমানে দেশের সর্ববৃহৎ যুব সংগঠনে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন সংটকে সমাজকে সংগঠিত করে আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে যুবলীগ। বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে এই সংগঠনের নেতাকর্মীদের আত্মত্যাগও রয়েছে।

এদিকে ৫১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে যুবলীগ। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৮টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। সাড়ে ৯টায় বনানী কবরস্থানে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি ও ১৫ আগস্টে সকল শহীদের কবরে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত।

এছাড়া দুপুর ২টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তন থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর পর্যন্ত আনন্দ র‌্যালী ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। আনন্দ র‌্যালী ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি।

এতে সভাপতিত্ব করবেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। শোভাযাত্রা পরিচালনা করবেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।


আরও খবর
আচরণবিধি লঙ্ঘনে শামীম ওসমানকে শোকজ

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসে না: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে আমরা নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে ডায়লগের কথা বলেন। এই ডায়লগের জন্য গণভবনে শেখ হাসিনা সব দলের সঙ্গে বসেছেন। সেখানে বিএনপিকে পর পর দুই দিনের জন্য ডাকা হয়েছিল।

এ সময় তিনি বলেন, এখন যদি কোনো দল তাদের মত পাল্টে নির্বাচনে আসে, তবে তারাও ওয়েলকাম। যদি বিএনপিও নির্বাচনে আসে, তাহলে তারাও ওয়েলকাম।

বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসে না। সংলাপের কথা বলে দায় চাপানোর চেষ্টা করছে বিএনপি। এ সময় ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। 

আরও পড়ুন>> সারাদেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করেছিলেন। ডায়লগের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন খালেদা জিয়া অংশগ্রহণ তো দূরের কথা, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যে বিশ্রী অসদাচরণ করেছেন, সেটা কারও অজানা নয়।

শেখ হাসিনাকে এ সময় নীলকণ্ঠ উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা হজম করেছেন। আসেননি খালেদা জিয়া। অসদাচরণ করেছেন তিনি।

আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর সময় শেখ হাসিনা উপস্থিত হলে খালেদা জিয়ার অসদাচরণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেদিন (কোকোর মৃত্যু) সন্তানহারা মাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনা গেছিলেন। কিন্তু তিনি শেখ হাসিনাকে ঢুকতে দেননি। অসদাচরণ করেছেন তিনি।

বিএনপির আন্দোলন, সংগ্রাম সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে সেতুমন্ত্রী বলেন, আন্দোলন সংগ্রাম বিএনপি করেছে। আমরা শান্তি সমাবেশ করেছি। কখনও কি তাদের সমাবেশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে? কখনও ব্যাহত হয়েছে? আমরা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করেছি।

তিনি আরও বলেন, নাশকতা, আগুন সন্ত্রাসই তাদের মূল লক্ষ্য। শেষ পর্যন্ত তারা তাদের যে চোরাগোপ্তার পথ, তাদের আতঙ্ক সৃষ্টির পথ, তাদের সন্ত্রাস, অগ্নি সন্ত্রাস করার মেগা প্ল্যান কার্যকর করেছেন।


আরও খবর
আচরণবিধি লঙ্ঘনে শামীম ওসমানকে শোকজ

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩