আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইতিহাসে আজকের এই দিনে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আজ বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনাবলি:

১৭৮৯ - ফরাসি বিপ্লবের সূচনা হয়।

১৭৯৬ - ব্রিটেনের বিরুদ্ধে স্পেনের যুদ্ধ ঘোষণা হয়।

১৮৬৪ - ঘূণিঝড়ে কলকাতাও সংলগ্ন অঞ্চলে ১৭ হাজার লোকের মৃত্যু হয়।

১৯১০ - তুরস্কের শাসন থেকে বুলগেরিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয় এবং প্রথম ফার্দিনান্দ জার নির্বাচিত হন।

১৯১১ - পর্তুগালের রাজা মনোয়েল ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পলায়ন করে।

১৯১৪ - জার্মান ও ফরাসি বিমানের আক্রমণের মধ্য দিয়ে প্রথম আকাশ যুদ্ধ শুরু হয়।

১৯৭৫ - প্রেসিডেন্টের এক অধ্যাদেশ বলে রক্ষীবাহিনীর সকল সদস্য বাংলাদশ সোনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়।

১৯৮৯ - কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ফতিমা বিবি ভারত সুপিমকোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি মনোনীত হন।

১৯৯০ - একীভূত জার্মানির প্রথম সংসদ অধিবেশন হয়।

২০০২ - ডেটন শান্তিচুক্তির পর নিজস্ব তত্ত্বাবধানে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

১৮০৮ - ভিলহেল্ম ভাইৎলিং, তিনি ছিলেন জার্মান কারুশিল্পী এবং উনিশ শতকের বিপ্লবী। 

আরও পড়ুন>> বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, মাইকিং করে সতর্কতা জারি

জন্ম:

১৮২৯ - চেস্টার এ. আর্থার, তিনি ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২১তম রাষ্ট্রপতি।

১৮৬৪ - লুই লুমিয়ের, তিনি ছিলেন ফরাসি পরিচালক ও প্রযোজক।

১৮৭৯ - ফ্রান্সিস পেটন রউস, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান রোগবিদ্যাবিৎ।

১৮৮৭ - মার্টিন লুথার কিং, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি বিচারক।

১৯০২ - ল্যারি ফাইন, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেতা ও গায়ক।

১৯৩০ - রেইনহার্ড সেল্টেন, তিনি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান অর্থনীতিবিদ।

১৯৩৬ - ভায়কল্যাভ হ্যাভেল, তিনি চেক প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি, প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, নাট্য নির্মাতা ও কবি।

১৯৪০ - বব কাউপার, তিনি ছিলেন সাবেক অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার।

১৯৪৯ - পিটার এক্‌রয়েড, তিনি যুক্তরাজ্যের একজন ঔপন্যাসিক, কবি ও জীবনীকার।

১৯৬৭ - গায় পিয়ার্স, তিনি ইংরেজ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান অভিনেতা ও গায়ক।

১৯৭৫ - কেট এলিজাবেথ উইন্সলেট, তিনি ইংরেজ অভিনেত্রী ও গায়িকা।

১৯৮৩ - মাশরাফি বিন মর্তুজা, তিনি বাংলাদেশী ক্রিকেটার।

১৯৮৭ - নাজমুল হোসেন, তিনি বাংলাদেশী ক্রিকেটার।

মৃত্যু:

১৫৬৫ - লডভিক ফেরারী, তিনি ছিলেন ইতালীয় গণিতবিদ ও অধ্যাপক।

১৮০৫ সাল ব্রিটিশ ভারতের গভর্ণর লর্ড কর্নওয়ালিস।

১৯১৮ - রলান্ড গারস, তিনি ছিলেন ফরাসি সৈনিক ও পাইলট।

১৯৭৪ - আবুল হাশিম, তিনি ছিলেন ভারত উপমহাদেশের প্রখ্যাত বাঙালি রাজনীতিবিদ।

১৯৭৬ - লার্স অনসেজার, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নরওয়েজিয়ান আমেরিকান রসায়নবিদ ও পদার্থবিদ।

১৯৮৪ - মুজিবুর রহমান খাঁ, তিনি ছিলেন সাংবাদিক-সাহিত্যিক।

১৯৮৫ সালে এই দিনে মৃত্যুবরণ আবদুস সাত্তার, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি।

২০০৪ - মরিস হিউ ফ্রেডরিক উইলকিন্স, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নিউজিল্যান্ড ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী ও জীববিজ্ঞানী।

২০১০ - মেরি লেওনা জামিন, তিনি ছিলেন আমেরিকান মডেল ও অভিনেত্রী।

২০১১ - স্টিভ জবস, তিনি ছিলেন অ্যাপল ইন কর্পোরেশনের স্থাপক ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।


আরও খবর
ইতিহাসে আজকের এই দিনে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

২৫ জানুয়ারি : ইতিহাসে আজকের এই দিনে

বৃহস্পতিবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৪




সদরঘাটে লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে নিহত ৩, আহত ৫

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালে বার্দিং করার সময় তাসরিফ লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে তার আঘাতে ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ৫ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নৌপুলিশের সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ভোলাগামী তাশরিফ-৪ লঞ্চের ধাক্কায় ৩ জন যাত্রী নিহত ও ৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। লঞ্চটি ঘাটে বেঁধে রাখা ছিল, হঠাৎ রশি ছিঁড়ে যাত্রীদের ধাক্কা দিলে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদের উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতাদের ‘হস্তক্ষেপ’ নিয়ে চিন্তিত প্রার্থীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রথম অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনের দিকে নজর সবার। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত বেশ তৎপর। যেহেতু দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে না, তাই এবার দল থেকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে বেশিরভাগ উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগই। তাই-তো তৃতীয় কোনো প্রার্থী থাকলে সেদিকেও নজর দিতে হচ্ছে তাদের। অন্যদিকে, স্থানীয় সংসদ সদস্যরা (এমপি) তাদের নিজস্ব বলয়ে রাখতে চাইছেন উপজেলাগুলো। আবার ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও চাচ্ছেন, তাদের বলয়ের মধ্যে থাকুক উপজেলার চেয়ার। এমন এক বা একাধিক বলয়ের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে প্রার্থীদের।

তবে, একাধিক প্রার্থী জানিয়েছেন, তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রী কিংবা কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ চান না। কোনো রকম প্রভাব ছাড়াই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন প্রত্যাশা তাদের।

বর্তমান সংসদ সদস্যরা উপজেলার চেয়ারম্যান পদটিও অনেক স্থানে ভাগিয়ে নিতে চাচ্ছেন। নিজের পছন্দ মতো প্রার্থী দিচ্ছেন। যদিও ক্ষমতাসীনরা এবার দলীয় প্রতীক দেয়নি। সেই সুযোগ নিতে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র এমপিরা। এতে তৃণমূল রাজনীতিতে গ্রুপিংটা আরও প্রকাশ পাচ্ছে।

জানা গেছে, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এসব উপজেলার চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ৬৯৬ জন। তার মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অন্তত ৪৬৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাকিরা বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য দলের প্রার্থী। তবে, বিএনপি ও জামায়াত দলীয়ভাবে নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের অনেক প্রার্থী এখনও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার দৌড়ে আছেন। এ নিয়ে চিন্তিত ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা। তাদের এক পক্ষ হস্তক্ষেপ চান, অপর পক্ষ হস্তক্ষেপ চান না বলে জানা গেছে।

দলীয় সূত্র মতে, উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে থাকার রেষ কাটতে না কাটতে উপজেলা নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনের সব জের যেন উপজেলা নির্বাচনে প্রকাশ পাচ্ছে। অনেকের মতে, তৃণমূলে আরও বড় হচ্ছে বিভেদের দেয়াল। গেল সংসদ নির্বাচনে নেতাকর্মীদের মধ্যে মনোমালিন্যের যে বাঁক-বদল হয়েছিল, আসছে উপজেলার ভোটে তা আরও নতুন মাত্রা পাচ্ছে। বর্তমান সংসদ সদস্যরা উপজেলার চেয়ারম্যান পদটিও অনেক স্থানে ভাগিয়ে নিতে চাচ্ছেন। নিজের পছন্দ মতো প্রার্থী দিচ্ছেন। যদিও ক্ষমতাসীনরা এবার দলীয় প্রতীক দেয়নি। সেই সুযোগ নিতে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র এমপিরা। এতে তৃণমূল রাজনীতিতে গ্রুপিংটা আরও প্রকাশ পাচ্ছে।

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় নিকটাত্মীয়দের মনোনয়ন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন উন্মুক্ত মানে উন্মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন করার ইচ্ছা-বাসনা অনেকেরই থাকতে পারে। আমাদের বক্তব্য হলো, এমপি সাহেবরা বা মন্ত্রী-মহোদয়রা কোথাও কোনো প্রভাব বিস্তার করবেন না। প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে। প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেউ হস্তক্ষেপ করলে তা যেন সফল করতে না পারে। আর প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর কেউ দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিকটাত্মীয়ের মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগের অভিযোগ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, আমরা এগুলো জানি। তদন্ত করে খোঁজখবর নিচ্ছি।’

“প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, মন্ত্রী-এমপিরা যেন প্রভাব বিস্তার না করেন। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়, কেউ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। প্রশাসন কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোটদানের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন।

আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন নেতাকর্মীরা। কারণ, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দল থেকে প্রতীক ও কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়া হচ্ছে না। এতে যে যার মতো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছেন না। এজন্য নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়ছে। আবার কেন্দ্র থেকেও পছন্দের প্রার্থী সমর্থনের ইশারা দিচ্ছেন কেউ কেউ। এতে সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

বর্তমান সংসদ সদস্য ও তার আশেপাশের নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে পারে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী বলেন, তারা (ক্ষমতাসীন দল) একশ ভাগ প্রভাব বিস্তার করবে। আমি নিরপেক্ষ নির্বাচন চাচ্ছি, প্রভাবমুক্ত নির্বাচন চাচ্ছি, যেখানে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। ভোট দিতে পারে।”

২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এখনও আইনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান আছে। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। তাদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে আওয়ামী লীগ এবার উপজেলায় দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দিচ্ছে না।

এদিকে, মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, মন্ত্রী-এমপিরা যেন প্রভাব বিস্তার না করেন। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়, কেউ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। প্রশাসন কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোটদানের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। বিএনপি প্রকাশ্যে উপজেলা নির্বাচনের বিরোধিতা করলেও আমাদের জানা মতে তাদের অনেকেই অংশগ্রহণ করবেন।”

জানা গেছে, ২০১৫ সালে আইন সংশোধন করে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এখনও আইনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান আছে। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। তাদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে আওয়ামী লীগ এবার উপজেলায় দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দিচ্ছে না। দলটির নেতারা প্রার্থী হচ্ছেন। অন্যদিকে, শুরুতে এ নির্বাচনে কিছু জায়গায় প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে সরে এসেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির যেসব নেতা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, তাদের তা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগরের পাশের এক উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জাতীয় নির্বাচনে যে সমস্যা হয়েছিল, উপজেলাতেও সেটা হচ্ছে। স্বতন্ত্র এমপিরা মাঠ দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় নেতারাও বসে নেই। তারাও নিজেদের বলয় টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছেন। এতে অন্যান্য প্রার্থীরা বিপদের মুখে পড়েছেন। কেউ দেখাচ্ছেন সাংগঠনিক ভয়, আবার কেউ দেখাচ্ছেন এমপির ভয়। কেউ ঢাকায় বসে, আবার কেউ এলাকায় বসে রাজত্ব চাচ্ছেন। ভোট সুষ্ঠু করতে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। কারও ইশারায় কাজ করা যাবে না। সবাই হস্তক্ষেপ করতে চাইবে, কিন্তু প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: উপজেলা নির্বাচন

আরও খবর



৭০ বছর পর পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে শয়তান ধূমকেতু

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

৭০ বছর পর পৃথিবীর আকাশের দিকে ধেয়ে আসছে একটি ধূমকেতু, যা মাউন্ট এভারেস্টের সমান বড়। ধূমকেতুটির নাম ১২পি/পনস-ব্রুকস যা ডেভিল কমেট বা শয়তান ধূমকেতু নামে বেশি পরিচিত।

সংবাদ মাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, আগামী ৮ এপ্রিল পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সময় বিরল চেহারা দেখাবে শয়তান ধূমকেতু। আর ২১ এপ্রিল ধূমকেতুটি সূর্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছাবে। এ সময় সূর্য থেকে এর দূরত্ব থাকবে ৭ কোটি ৪৪ লাখ মাইল। এ ছাড়া আগামী ২ জুন এটি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসবে। এ সময় পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব হবে প্রায় ১৪ কোটি মাইল।

গত বছর এই ধূমকেতুটির ওপর বরফ ও গ্যাসের বিস্ফোরণের কারণে শিং এর মতো আকৃতি তৈরি হয় এরপর এর নামকরণ করা হয় ডেভিল বা শয়তান ধুমকেতু। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে করতে এই ধূমকেতুটি প্রতি ৭০ বছর পরপর সৌরজগতের ভেতর চলে আসে। ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জ্যোতির্বিদরা বাইনোকুলারের সাহায্যে এটি দেখতে পাচ্ছেন এবং এর ছবি তুলছেন।

১৮১২ সালে প্রথম ধূমকেতুটি আবিষ্কার করেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী জ্যঁ-লুইস পনস। এরপর ১৮৮৩ সালে এটি আবার দেখতে পান জ্যোতির্বিজ্ঞানী উইলিয়াম রবার্ট ব্রুকস। তাঁদের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়। এর আগে সর্বশেষ ১৯৫৪ সালে ধূমকেতুটি সূর্যের কাছাকাছি এসেছিল। এরপর ২০৯৫ সালে এটি আবার সূর্যের কাছাকাছি আসতে পারে।

ধূমকেতুটি ২১ এপ্রিল নাগাদ তাওরাস নক্ষত্রপুঞ্জে হাজির হবে। তখন উত্তর গোলার্ধ থেকে সন্ধ্যায় সবচেয়ে ভালোভাবে এটি দৃশ্যমান হবে। এ সময় এটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিগন্তের কাছাকাছি প্রদর্শিত হবে।


আরও খবর



ঈদের সৌন্দর্য সেবায় যত ছাড়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ঈদের আগে থেকেই তোরজোর করে রূপচর্চা চলে। ফেসিয়াল, মেনিকিউর, পেডিকিউর তো আছেই, কেউ কেউ চুলে কেরাটিন, রিবন্ডিং, স্পা করে থাকেন। আর এজন্য ছোটেন পারলারে। ঈদ উপলক্ষে কিছু কিছু পারলার ও স্যালুন সৌন্দর্য সেবার ওপর ছাড়ও দেয়। ঈদের আগের দিনগুলোতে যারা পারলারে  গিয়ে সেবা নিতে চান, তারা জেনে নিন রাজধানীর বিশেষ কয়েকটি পারলারের প্যাকেজ ও ছাড় সম্পর্কে।

রেড বিউটি স্যালুন: রেড বিউটি স্যালুনের যেকোনো শাখা থেকে পছন্দের সেবা নেওয়া যাবে। রেডিয়ান্ট রিফ্লেকশন্স প্যাকেজের আওতায় আপেল ফেসিয়াল উইথ প্যাক, হট অয়েল ম্যাসাজ, কোল্ড থেরাপি উইথ ব্লো ড্রাই, ম্যানিকিওর ও পেডিকিওরের প্যাকেজ পাবেন ২ হাজার ৫০০ টাকায়। ব্লিজফুল ব্লুম প্যাকেজের আওতায় ব্রাইটেনং ফেসিয়াল, হট অয়েল ম্যাসাজ উইথ স্পা প্যাক, কোল্ড থেরাপি উইথ ব্লো ড্রাই, ট্যান রিমুভিং ম্যানিকিওর উইথ শাইনিং বাফার ইত্যাদি পাবেন ৩ হাজার ৫০০ টাকায়। এছাড়া এলিগ্যান্ট এনচানমেন্ট ও বিউটি ব্যালেন্স প্যাকেজ পাবেন যথাক্রমে ৪ হাজার ৫০০ ও ৫ হাজার ৯৯৯ টাকায়।

জারাস বিউটি লাউঞ্জ: ধানমন্ডিতে অবস্থিত এ পারলার থেকে হাইড্রা ফেসিয়াল করতে পারবেন ২ হাজার ৫০০ টাকায়। এডভান্স বায়ো হাইড্রা ফেসিয়াল ৩ হাজার ৫০০ টাকায়, বিবি গ্লো ফেসিয়াল ৩ হাজার ৮০০ টাকায়, ক্রেজি অমব্রে হেয়ার কালার ৫ হাজার ৫০০ টাকায়, পিকাবো হেয়ার কালার ৫ হাজার টাকায়, লরিয়াল প্রফেশনাল বেজ বাল্যাজো কালার ৬ হাজার ৫০০ টাকায়, হেয়ার বোটক্স ট্রিটমেন্ট ৭ হাজার ৫০০ টাকায় করা যাবে। এছাড়াও থাকছে বেশ কিছু প্যাকেজ। সুপার প্যাকেজ-১ এর আওতায় রয়েছে হাইড্রা ফেসিয়াল+ পেডিকিওর + ওয়েল মাসেজ, যার মূল্য ৬ হাজার টাকা। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে অফারে পাবেন মাত্র ৪ হাজার ৫০০ টাকায়।

সুপার প্যাকেজ-২ এর আওতায় রয়েছে ফেসিয়াল+ হেয়ার কাট+ হেয়ার ট্রিটমেন্ট, যার মূল্য ৫ হাজার টাকা। এই সেবাটি নিতে পারবেন মাত্র ৩ হাজার ৫০০ টাকায়। সুপার প্যাকেজ-৩ এর আওতায় রয়েছে হেয়ার ট্রিটমেন্ট + পেডিকিওর+ মেনিকিওর + থ্রেডিং, যার সাধারণ মূল্য ৪ হাজার ১০০ টাকা। অফারে পাবেন ৩ হাজার টাকায়।

এ ছাড়াও বউসাজ, পার্টি মেকওভার, হেয়ার কালার, হেয়ার রিবন্ডিংসহ বিভিন্ন সার্ভিসে চলছে ৩০% পর্যন্ত ডিসকাউন্ট অফার।

রাজিয়াস মেকওভার: ধানমন্ডির রাপা প্লাজার পাশে অবস্থিত এ পারলারে সব ধরনের ফেসিয়াল, স্পা, হেয়ার ট্রিটমেন্ট করা যাবে ৫০ শতাংশ ছাড়ে। হারবাল ও অন্যান্য ফেসিয়াল ১ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে করা যাবে। ঈদের আগে চুল রিবন্ডিং করতে খরচ হবে ৮ হাজার থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত।

শোভনস মেকওভার: নিকেতনে অবস্থিত শোভনস মেকওভার থেকে বায়োহাইড্রা ফেসিয়ালে ৩০%, হেয়ার কালারে ২০%, প্রিমিয়াম ম্যানিকিওর পেডিকিউর এ ৫০% ছাড় পাওয়া যাবে।  শোভনস মেকওভারের সব সার্ভিসের  কম্বো প্যাকেজ শুরু ১ হাজার ৩৮০ টাকা থেকে। রিবন্ডিং শুরু ৩০০০ টাকা থেকে।

স্টুডিও ২০০০ এবং স্টুডিও মেনজ: উত্তরায় অবস্থিত স্টুডিও ২০০০ পারলার থেকে মিনি ফেসিয়াল, ম্যানিকিওর, পেডিকিওর, ফেস ম্যাসাজ, হট অয়েল ট্রিটমেন্ট (প্যাকসহ),হট অয়েল ট্রিটমেন্ট (প্যাকছাড়া), বডি স্ক্রাব, ফেসিয়াল স্পা, হেয়ার স্পা ইত্যাদি সেবা নেওয়া যাবে। এ ধরনের সেবা নেওয়া যাবে ২-৫ হাজার টাকার মধ্যে। স্টুডিও মেনজ থেকে পুরুষেরাও নিতে পারবেন বিভিন্ন ধরনের সেবা।

আকাঙ্ক্ষাস গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড: রামপুরায় অবস্থিত আকাঙ্ক্ষাস গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে ঈদ উপলক্ষে চলছে ছাড়। ৩ হাজার ২০০ টাকার হাইড্রাফেসিয়াল করা যাবে ২ হাজার ৬০০ টাকায়। রিবন্ডিংয়ে ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন। সব ধরনের ফেসিয়াল প্যাকেজে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় রয়েছে।


আরও খবর



আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে টানা তীব্রতাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৮ শতাংশ।

গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ ডিগ্রি ৭ সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আজ চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী তিন দিন আরও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। ৪৩-৪৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে তাপমাত্রা। সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি।

তীব্র গরমে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। এ ছাড়া গরমে জেলা সদর হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া ও শিশু রোগীর সংখ্যা। ফলে ওয়ার্ডের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। বহির্বিভাগেও রয়েছে রোগীদের চাপ। প্রতিদিন গড়ে গরমজনিত কারণে ৭০০-৮০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহা. আতাউর রহমান।

এদিকে তীব্র গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা। দিনে বাসায় থাকা দায় হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাতে মশার যন্ত্রণা। গরমের সঙ্গে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় সারা রাত নির্ঘুম কাটাতে হচ্ছে।

মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চুয়াডাঙ্গা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আবু হাসান বলেন, জেলায় গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন এলাকায় প্রতিদিন প্রায় ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু সেখানে আমরা পাচ্ছি ৯০-৯২ মেগাওয়াট। তাই ঘাটতি পূরণ করতেই লোডশেডিং চলছে।

এদিকে তীব্র গরমে জেলাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে বৃষ্টি প্রার্থনা করলেও কৃষকরা এখনই বৃষ্টি চাচ্ছেন না। কয়েকজন কৃষক বলেন, তীব্র গরমে আমরাও অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। তবে এখন ধান কাটার মৌসুম চলছে। এ সময় বৃষ্টি হলে কৃষকরা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।


আরও খবর