আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইউক্রেইনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৬০ রুশ সেনা নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রুশ অধিকৃত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় একটি প্রশিক্ষণ এলাকায় দুইটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৬০ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছে। আজ বুধবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন সূত্র বিবিসিকে বলেছে, সিনিয়র একজন রুশ কমান্ডারের আগমন নিয়ে দোনেতস্ক অঞ্চলে সেনারা জড়ো হয়েছিল। সেখানেই হামলা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে বহু সংখ্যক নিহত সেনাকে দেখা যাচ্ছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে বিবিসির পক্ষ থেকে এখনো এসব ভিডিও-এর সত্যতা যাচাই করা হয়নি।

রাশিয়ার একজন কর্মকর্তা অঞ্চলটিতে এ হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এই হামলা নিয়ে যেসব রিপোর্ট হয়েছে সেইসবকে 'অতিরঞ্জিত' হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কয়েক ঘণ্টা আগে এই হামলা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বৈঠকে শোইগু বিভিন্ন অঞ্চলের সম্মুখসারিতে রাশিয়ার সাফল্যের দাবি ও সম্প্রতি ইউক্রেনীয় শহর আভদিভকা দখলে নেওয়ার কথা বলেছেন। তবে দোনেতস্ক অঞ্চলে হামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ত্রুদোভস্কি গ্রামের কাছে এক প্রশিক্ষণ এলাকায় ৩৬তম মোটর চালিত রাইফেল ব্রিগেডের সদস্যরা পূর্ব সামরিক অঞ্চলের ২৯তম সেনাবাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল ওলেগ মোইসিয়েভের আগমনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

এই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একজন সৈনিক জানান, ব্রিগেডের কমান্ডাররা তাদের একটি খোলা মাঠে দাঁড় করে রেখেছিলেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি হিমার্স দিয়ে হামলা হয়েছে।

ট্রান্সবাইকালের গভর্নর আলেকজান্ডার ওসিপভ টেলিগ্রাম চ্যানেলে হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে এই হামলা নিয়ে এখন পর্যন্ত মুখ খুলেনি ইউক্রেন।


আরও খবর



তীব্র গরমে ঢাবিতে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

চলমান তাপপ্রবাহের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস চলবে।

আজ রবিবার (২১ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আদিষ্ট হয়ে জানাচ্ছি যে, সারাদেশের ওপর দিয়ে প্রবহমান তীব্র তাপদাহ (হিট ওয়েভ)-এর কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রচলিত ১০% অনলাইন ক্লাসের পরিবর্তে শতভাগ অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে এবং পরীক্ষাসমূহ চলমান থাকবে।

এতে আরও বলা হয়, এক্ষেত্রে কোনো শিক্ষার্থী হল অথবা বাসার বাইরে আসতে চাইলে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে নিম্নোক্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সাথে চলাফেরার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।

সাদা বা হালকা রঙের ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরিধান করা, যথাসম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা, বাইরে যেতে হলে মাথার জন্য চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি, ক্যাপ বা ছাতা ব্যবহার করা, বিশুদ্ধ পানি পান করা; প্রয়োজনে লবণযুক্ত তরল যেমন- খাবার স্যালাইন ইত্যাদি পান করা, তাপমাত্রা বৃদ্ধিকারী পানীয় যেমন- চা ও কফি পান থেকে বিরত থাকা।


আরও খবর



জলবায়ু পরিবর্তনের মূল আঘাত যাচ্ছে এশিয়ার ওপর দিয়ে: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এশিয়া মহাদেশভুক্ত দেশগুলো। জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য।

ডব্লিউএমও’র মতে, অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টানা ও দীর্ঘ তাপপ্রবাহে এক দিকে এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চলের হিমবাহগুলো গলে যাচ্ছে, অন্য দিকে জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে— যা অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের পানির নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ব্যাপক সংকট সৃষ্টি করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ডব্লিউএমও’র প্রতিবেদনে।

মঙ্গলবার প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে ডব্লিউএমওর শীর্ষ নির্বাহী কেলেস্টে সাউলো বলেন, এশিয়ার অধিকাংশ দেশের ইতিহাসে ২০২৩ সাল ছিল উষ্ণতম বছর। বিশ্বে খরা, তাপপ্রবাহ, ঝড়, বন্যার মতো যত বিপর্যয় ঘটেছে, সেসবের অধিকাংশই ঘটেছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। জলবায়ু পরিবর্তনের গভীর প্রভাব ইতোমধ্যে জনজীবন ও পরিবেশের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনীতিতেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। যদি তাপমাত্রা বৃদ্ধি, হিমবাহ গলে যাওয়া এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এই প্রভাব আরও ব্যাপক হবে।’

ডব্লিউেএমও’র তথ্য অনুয়ায়ী, তাপমাত্রা বাড়ছে সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া, পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত। জাপানের ইতিহাসে উষ্ণতম বছর ছিল ২০২৩ সাল। একই সঙ্গে এ সময় প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ এশীয় অংশের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির জেরে এশিয়ার হিমালয় পবর্তমালা এবং এই পর্বতমালার হিন্দুকুশ ও তিব্বত রেঞ্জের ২২ টি হিমবাহের মধ্যে অন্তত ২০টির বরফের মজুত ২০২৩ সালে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি জলসৃষ্ট দুর্যোগও মোকাবিলা করতে হচ্ছে এশিয়াকে। ২০২৩ সালে এশিয়ায় বড় আকারের ঝড়, বন্যা ও তুমুল বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৭৯টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ৯০ লাখ।

জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলোর আবহাওয়া কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং গ্রীন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাসে জোর দেওয়া হয়েছে ডব্লিউএমওর প্রতিবেদনে।

এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, আবহাওয়া কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে খানিকটা হলেও সহায়তা করবে। তবে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমণ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। এই মুহূর্তে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাস কেবল একটি বিকল্প নয়, বরং জরুরি কর্তব্য।’


আরও খবর



এবার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল ও রাকাব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

পদ্মা ব্যাংকের পর এবার একীভূত হচ্ছে সরকারি দুই ব্যাংক। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে (বিডিবিএল) সরকারি অন্য দুই ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বুধবার (৩ এপ্রিল) এ সিদ্ধান্তের কথা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে জানিয়েও দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

জানা গেছে, রাকাবকে কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে এবং বিডিবিএলকে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ব্যাংক চারটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্তের কথা আলাদা করে জানানো হয়েছে।

ব্যাংক চারটিকে জানানো হয়, শিগগির ব্যাংক একীভূত বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিমালা দেবে। এরপরই নীতিমালা মেনে নিজ নিজ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় একীভূত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এরপর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাছের ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম ছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেহেতু সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে সরকারি ব্যাংককে একীভূত করা হবে, তাই রাকাব ও বিডিবিএল ব্যাংকের কর্মীদের চাকরি নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।

এর আগে গত ৪ মার্চ ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জানান, চলতি বছরের মধ্যে ৭ থেকে ১০টি দুর্বল ব্যাংককে সবল বা ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হতে পারে। এ সময়ের মধ্যে দুর্বল ব্যাংকগুলো নিজেদের ইচ্ছায় একীভূত না হলে আগামী বছর থেকে তাদের চাপ দিয়ে একীভূত করা হবে।

সে ধারাবাহিকতায় গত ২৫ মার্চ বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংক একীভূত হওয়ার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়। একীভূত হওয়ার পর এটি এক্সিম ব্যাংক নামেই কার্যক্রম পরিচালনা করছে।


আরও খবর



বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা যেভাবে পরিণত হলো ‘মঙ্গল শোভাযাত্রায়’

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উৎসবপ্রিয় বাঙালি, আর বাঙালির পরিচয়ের উৎসব বাংলা বর্ষবরণ। এই বর্ষবরণে মূল আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রা। প্রতি বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্বব্যাপী বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম পরিচায়ক হয়ে উঠেছে। কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতার পঙতি থেকে এবারই প্রথম প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রার। আমরা তো তিমির বিনাশী প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হচ্ছে বাংলা ১৪৩১ সালকে বরণ।

২০১৬ সালে সংস্কৃতির প্রতীক মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ বা বাংলা বর্ষবরণ, যা এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও সর্বজনীন এক উৎসবে পরিণত হয়েছে। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখের আনন্দে মাতবে গোটা দেশ। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবাই এ দিনটির অপেক্ষায় থাকে। এদিনের অন্যতম আকর্ষণ বর্ণিল সাজ আর আয়োজনের মঙ্গল শোভাযাত্রা। তাই কদিন ধরেই শোভাযাত্রার অন্যতম আকর্ষণ বিশালকায় চারুকর্ম, পাপেট, হাতি ও ঘোড়াসহ বিচিত্র সাজসজ্জা তৈরিতে জোর প্রস্তুতি চলে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্পন্সর করতে চাইলেও অস্বীকৃতি জানান আয়োজক প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এর পরিবর্তে বরাবরই মঙ্গল শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে মাসব্যাপী চারুকলা অনুষদে চলে ফান্ড রেইজিং ক্যাম্পেইন। এবার তা শুরু হয়েছে গত ১৯ মার্চ থেকে। কিন্তু রমজানের কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি খুবই কম বলে জানান আয়োজকরা।

ইতিহাস

বাংলা বর্ষবরণের ইতিহাস কয়েকশ বছরের পুরনো। তবে মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস খুব বেশি আগের নয়। আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে, মানুষ যখন তার খর্বিত মৌলিক, মানবিক অধিকার আর বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য সোচ্চার। ঠিক এই সময় হতাশা-যন্ত্রণার মাঝে আনন্দের দীপশিখা জ্বালিয়ে আশার বাণী শোনাবার জন্য এই শোভাযাত্রা শুরু হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়েছিল যশোরে ১৩৯২ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখে। যশোরের সেই শোভাযাত্রার আদলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ১৯৮৯ সাল থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালিত হচ্ছে।

চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে এই শোভাযাত্রা বের হয়। শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এই শোভাযাত্রা পুনরায় চারুকলার গেটে এসে সমাপ্ত হয়। পরবর্তী সময়ে ধর্মনিরপেক্ষ একটি উৎসব হিসেবে এটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন জেলা সদরে পালিত হয়ে আসছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। তবে প্রথমে চারুকলায় হওয়া শোভাযাত্রাটির নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা ছিল না। তখন এর নাম ছিল বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। পরে এর নাম দেয়া হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। ১৯৮৯ সালে হওয়া প্রথম আনন্দ শোভাযাত্রায় ছিল পাপেট, ঘোড়া, হাতি। ১৯৯০ সালের আনন্দ শোভাযাত্রায়ও নানা ধরনের শিল্পকর্মের প্রতিকৃতি স্থান পায়। ১৯৯১ সালে চারুকলার শোভাযাত্রা জনপ্রিয়তায় নতুন মাত্রা লাভ করে। চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিল্পীদের উদ্যোগে হওয়া সেই শোভাযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য, বিশিষ্ট লেখক, শিল্পীসহ সাধারণ নাগরিকরা অংশ নেয়। এ শোভাযাত্রা সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। সেখানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা এবং ধর্মের মানুষেরা অংশ নেয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালে উপাচার্য অধ্যাপক আবু ইউসুফের সময়। ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে একটি সংস্কৃতিক বলয় তৈরির জন্য প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও চলছে পাখি, মাছ, ফুল, মুখোশ বানানোর কাজ। এই শোভাযাত্রা আরও একটি জায়গায় অনন্য। সেটি হলো এই আয়োজনের স্বকীয়তা। অর্থাৎ এই আয়োজন হয় সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে।


আরও খবর
লিপি চক্রবর্তীর ‘আকণ্ঠ মরেছি’

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।

২০২৪-২৬ মেয়াদের এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুটি প্যানেল। একটিতে আছেন মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল। অন্যটিতে সোনালি দিনের নায়ক মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।

মাহমুদ কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে সহ-সভাপতি পদে লড়ছেন ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান। সহ-সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে আজাদ খান।

কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে থাকছেন সুজাতা আজিম, সাদিয়া মির্জা, নাদের চৌধুরী, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, পীরজাদা হারুন, পলি, মো.সাইফুল, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান।

অন্যদিকে, মিশা-ডিপজল প্যানেলের হয়ে নির্বাচনে সহ-সভাপতির পদে লড়বেন মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডি এ তায়েব। এছাড়া সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল।

এছাড়া কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করছেন নানা শাহ, সুচরিতা, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, রত্না কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন, ফিরোজ মিয়া।

প্রসঙ্গত, ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে স্থান পেতে এবারের নির্বাচনে ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে মোট ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবারের মোট ভোটার ৫৭০ জন। নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে রয়েছেন খোরশেদ আলম খসরু।


আরও খবর