আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ইউক্রেন যুদ্ধে কোন দেশের অবস্থান কী

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

এক বছর আগে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্ব মূলত তিনটি দলে ভাগ হয়ে যায়। একদল ইউক্রেনের পক্ষে, অন্যদল রাশিয়ার। আর একদল নিয়েছে নিরপেক্ষ অবস্থান। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো ইউক্রেনকে মোট ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সামরিক সহায়তা দিয়েছে। অন্যান্য দেশ রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বা জাতিসংঘে ভোট দিয়ে তাদের অবস্থান জানিয়েছ। বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক, সামরিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থানগুলো তুলে ধরা হলো:

 

রাজনৈতিক অবস্থান: একটি দেশ রাজনৈতিকভাবে কোথায় আছে তা জানার উপায় হলো জাতিসংঘে তারা কীভাবে ভোট দেয়, তা পর্যবেক্ষণ করা। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ (ইউএনজিএ) ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত। এটি জাতিসংঘ ব্যবস্থার সবচেয়ে প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা। রেজুলেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রকে সমান ভোটের অনুমতি দেওয়া হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া রেজুলেশনগুলো মানা বাধ্যতামূলক নয়, যার মানে এগুলোর কোনও আইনি ক্ষমতা নেই। এগুলোকে বরং একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ইচ্ছার অভিব্যক্তি হিসেবে দেখা হয়। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর জাতিসংঘ ২৫ বছরের মধ্যে প্রথম জরুরি অধিবেশন ডাকে। ১৯৩ সদস্যের পরিষদ তখন থেকে ইউক্রেন সংক্রান্ত বিভিন্ন উদ্বেগ মোকাবিলায় চারটি বিশেষ প্রস্তাবে ভোট দিয়েছে।

 

জরুরি অধিবেশন-১ (২ মার্চ, ২০২২): ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের দাবি। ১৪১টি দেশ জাতিসংঘের এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় যাতে রাশিয়াকে অবিলম্বে, সম্পূর্ণ এবং নিঃশর্তভাবে ইউক্রেন থেকে তার সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। প্রস্তাবটি পাসের জন্য হ্যাঁ/না ভোটের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন ছিল। চীন, ভারত, ইরান এবং সাউথ আফ্রিকা ৩৫টি দেশের মধ্যে ছিল যারা ভোট দেয়নি। বেলারুশ, ইরিত্রিয়া, উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া এবং রাশিয়া- এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।

 

জরুরি অধিবেশন-২ (২৪ মার্চ, ২০২২): ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের মানবিক পরিণতি। মানে, ইউক্রেনে ত্রাণ ঢুকতে দেওয়া এবং বেসামরিক জানমাল রক্ষায় প্রস্তাবটি তোলা হয়। ইউক্রেন এবং তার মিত্রদের প্রণীত রেজোলিউশনের পক্ষে ১৪০ দেশ ভোট দেয়। বেলারুশ, ইরিত্রিয়া, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া এবং সিরিয়া বিপক্ষে ভোট দেয়। ৩৮টি দেশ বিরত ছিল। আর ১০টি দেশ ভোটে অনুপস্থিত ছিল।

 

জরুরি অধিবেশন-৩ (৭ এপ্রিল, ২০২২): জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে রাশিয়াকে বাদ দেওয়া। এ প্রশ্নে ৯৩ দেশ পক্ষে ভোট দেয়, বিপক্ষে ছিল ২৪ দেশ। ভোট থেকে বিরত ছিল ৫৮ দেশ। প্রস্তাবটি পাসের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন ছিল। কিয়েভের কাছে বুচা শহরে বেসামরিক মৃতদেহ আবিষ্কারের পর এই রেজুলেশন আসে।

 

জরুরি অধিবেশন-৪ (১২ অক্টোবর, ২০২২): ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা, ইউক্রেনের কিছু অংশ সংযুক্ত করায় রাশিয়ার নিন্দা। এ প্রস্তাবের পক্ষে ১৪৩ এবং বিপক্ষে ৫ দেশ ভোট দেয়। বিরত ছিল ৩৫ দেশ। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের চারটি আংশিক দখলকৃত প্রদেশকে সংযুক্ত করার ঘোষণা দেয়। জবাবে কিয়েভ এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা ভোটকে অর্থহীন এবং অবৈধ বলে প্রত্যাখ্যান করে এই রেজুলেশন তোলে জাতিসংঘে।

 

১০২টি দেশ সব রেজুলেশনের পক্ষে ভোট দিয়েছে: আফগানিস্তান, আলবেনিয়া, অ্যান্ডোরা, অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বেনিন, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, বুলগেরিয়া, কানাডা, চাদ, চিলি, কলম্বিয়া, কোমোরোস, কোস্টারিকা, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, ডিআরসি, ডেনমার্ক, জিবুতি, ডোমিনিকা, ডোমিনিকান রিপাবলিক, পূর্ব তিমুর, ইকুয়েডর, এস্তোনিয়া, ফেডারেটেড স্টেটস অফ মাইক্রোনেশিয়া, ফিজি, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জর্জিয়া, জার্মানি, গ্রীস, গ্রেনাডা, গুয়াতেমালা, হাইতি, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইসরায়েল, ইতালি, আইভরি কোস্ট, জ্যামাইকা, জাপান, কিরিবাতি, লাটভিয়া, লেবানন, লাইবেরিয়া, লিবিয়া, লিচেনস্টাইন, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মালাউই, মাল্টা, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, মৌরিতানিয়া, মরিশাস, মলদোভা, মোনাকো, মন্টিনিগ্রো, মরক্কো, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, উত্তর মেসিডোনিয়া, নরওয়ে, পালাউ, পানামা, পাপুয়া নিউ গিনি, প্যারাগুয়ে, পেরু, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, রুয়ান্ডা, সেন্ট লুসিয়া, সামোয়া, সান মারিনো, সাও টোমে এবং প্রিন্সিপে, সার্বিয়া, সেশেলস, সিয়েরা লিওন, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, সোমালিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, বাহামা, তুরস্ক, টুভালু, ইউক্রেন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, উরুগুয়ে এবং জাম্বিয়া।

 

৪৭টি দেশ অন্তত একটি রেজুলেশনের পক্ষে ভোট দিয়েছে: অ্যাঙ্গোলা, বাহরাইন, বাংলাদেশ, বার্বাডোস, বেলিজ, ভুটান, বতসোয়ানা, ব্রাজিল, ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, কেপ ভার্দে, মিশর, ঘানা, গিনি-বিসাউ, গায়ানা, হন্ডুরাস, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, জর্ডান, কেনিয়া, কুয়েত, লেসোথো, মাদাগাস্কার, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মেক্সিকো, নেপাল, নাইজার, নাইজেরিয়া, ওমান, কাতার, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস, সৌদি আরব, সেনেগাল, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ সুদান, সুরিনাম, থাইল্যান্ড, গাম্বিয়া, টোগো, টোঙ্গা, ত্রিনিদাদ এবং টোবাগো, তিউনিসিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভানুয়াতু এবং ইয়েমেন।

 

১৬টি দেশ রেজুলেশনের ভোটদানে থেকে বিরত ছিল: আর্মেনিয়া, ক্যামেরুন, এল সালভাদর, নিরক্ষীয় গিনি, ইসোয়াতিনি, গিনি, ভারত, মঙ্গোলিয়া, মোজাম্বিক, নামিবিয়া, পাকিস্তান, সাউথ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, সুদান, তানজানিয়া এবং উগান্ডা।

 

১৯টি দেশ অন্তত একটি রেজুলেশনের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে : আলজেরিয়া, বলিভিয়া, বুরুন্ডি, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কিউবা, ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া, ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, লাওস, মালি, নিকারাগুয়া, চীন, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, ভিয়েতনাম এবং জিম্বাবুয়ে।  ৪টি দেশ সব রেজুলেশনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া এবং সিরিয়া।

 

৪টি দেশ কোনও রেজুলেশনেই ভোট দেয়নি: আজারবাইজান, বুরকিনা ফাসো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনিজুয়েলা। গ্যাবনই একমাত্র দেশ যেটি একটি প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।

 

ইউক্রেনকে অস্ত্র দিচ্ছে যারা: জার্মান থিংক ট্যাংক কিয়েল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমির তথ্য অনুসারে, অন্তত ৩২ দেশ ইউক্রেনকে অস্ত্র, সরঞ্জাম বা সেনাবাহিনীর জন্য আর্থিক সহায়তাসহ সামরিক সহায়তা দিয়েছে। সামরিক সহায়তা প্রদানকারী ৩২টি দেশের মধ্যে ২৫টি ন্যাটোর সদস্য। এই তালিকায় নেই হাঙ্গেরি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। যেসব দেশ ইউক্রেনকে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে সেগুলোর মধ্যে আছে, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, কানাডা, ক্রোয়েশিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, ইতালি, জাপান, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, নিউ জিল্যান্ড, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, দক্ষিণ কোরিয়া, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র।

 

ইউক্রেনে পাঠানো সামরিক সহায়তার মধ্যে প্রচলিত অস্ত্রের পাশাপাশি উন্নত সরঞ্জাম এবং আধুনিক অস্ত্র যেমন আর্টিলারি, অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট ওয়েপন, অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ওয়েপন, সাঁজোয়া যান, রিকনেসান্স অ্যান্ড অ্যাটাক ড্রোন, হেলিকপ্টার, ছোট অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বডি আর্মার। জানুয়ারিতে ইউক্রেনে আধুনিক ট্যাঙ্ক পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানি। যুক্তরাজ্য বলেছে, তারা ১৪টি চ্যালেঞ্জার-২ ট্যাঙ্ক সরবরাহ করবে, জার্মানি ৮৮টি লেপার্ড ট্যাঙ্ক পাঠাতে সম্মত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করতে তারা কয়েক ডজন এম১ আব্রাম ট্যাঙ্ক পাঠাবে।

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ফ্রণ্টকে আঘাত এবং মস্কোর দখল নেয়া অঞ্চল পুনরুদ্ধারে সর্বশেষ প্রজন্মের  যুদ্ধ ট্যাঙ্কগুলো ইউক্রেনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ন্যাটো এবং তার মিত্ররা বিশেষ বাহিনীসহ কয়েক হাজার ইউক্রেনীয় সেনাকে প্রশিক্ষণও দিয়েছে।

 

ইউক্রেনকে সাহায্য প্রদানকারী দেশগুলো: কিয়েল ইনস্টিটিউট অনুসারে, ৪০টি দেশ ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত ইউক্রেনকে আর্থিক, মানবিক এবং সামরিক সহায়তায় কমপক্ষে ১১৫ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একাই দেবে ৫১.২ বিলিয়ন ডলার। ইইউ কমিশন, ইইউ কাউন্সিল এবং ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠানগুলো ইউক্রেনকে ৩৭.৩ বিলিয়ন ডলার দেওয়ায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যেখানে যুক্তরাজ্য ৭.৬ বিলিয়ন ডলার নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এ ছাড়া ২০ নভেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশগুলো ইউক্রেনকে অতিরিক্ত সামরিক প্যাকেজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

 

যে দেশগুলো রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে: অন্তত ৪৬টি দেশ বা অঞ্চল রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মস্কোর ওপর ১১ হাজার ৩০৭টিরও বেশি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে; যা রাশিয়াকে বিশ্বের সবচেয়ে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত দেশ হিসেবে পরিণত করেছে। এসব নিষেধাজ্ঞার ৮০ শতাংশ ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে; যেখানে ১৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে। অবশিষ্ট ২ শতাংশ জাহাজ এবং বিমানকে লক্ষ্য করে। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ওপর সর্বাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তারা দিয়েছে ১ হাজার ৯৪৮টি নিষেধাজ্ঞা। এক হাজার ৭৭৭টি সুইজারল্যান্ড, এক হাজার ৫৯০টি কানাডা, এক হাজার ৪১৪টি যুক্তরাজ্য এবং ইইউ এক হাজার ৩৯০টি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।


আরও খবর



নিকারাগুয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নিকারাগুয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়েন্ডি ক্যারোলাইনা মোরালেস আরবিনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করা সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ডানিয়েল ওর্তেগা, তার স্ত্রী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলোর নিষ্ঠুর নিষ্পেষণে সমর্থন দেয়ায় তার ভূমিকার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মোরালেস আরবিনা বিরোধী কণ্ঠকে নীরব করে দিয়েছেন এবং কমপক্ষে ৩০০ নাগরিকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন। নির্বাসনে থাকা জেলপ্রাপ্ত রাজনৈতিক বন্দিদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ায়ও সমর্থন দিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইচ্ছাকৃতভাবে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের কমপক্ষে আড়াইশ গ্রুপসহ কমপক্ষে ৩৫০০ নাগরিক সমাজের সংগঠনকে বন্ধ করে দেয়ার জন্য দায়ী আরবিনা। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ওর্তেগা-মুরিলো শাসকগোষ্ঠীর ভিত্তিহীন অভিযোগে আক্রমণের অংশ মোরালেস আরবিনা। এসব সংগঠনের বিরুদ্ধেও মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। ধর্মীয় নেতাদের অন্যায়ভাবে বন্দি করা হয়েছে। নিকারাগুয়ান সরকার এবং তার সহযোগীদের জঘন্য আচরণের জন্য জবাবদিহিতা উন্নীত করার জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।


আরও খবর



কর্মী হিসেবে অফিসে আপনার আচরণ কেমন হওয়া উচিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

জীবনের তাগিদে অনেকেরই চাকরি করতে হয়। এ কারণে অফিস বা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কাজ করতে হয়। কর্মক্ষেত্রে থাকা সব মানুষগুলো এক ধরনের হয় না। এরপরও সবার সঙ্গে মানিয়ে চলতে হয়। কাজের ক্ষেত্রে মতামতে অমিল, দক্ষতায় সাম না হওয়া এবং কারও বিশেষ ক্ষেত্রে দক্ষতার জন্য অনেক সময় বিভেদের সৃষ্টি হয়। এই বিভেদ অনেকে প্রকাশ করেন, আবার কেউ কেউ প্রকাশ করেন না। কিন্তু বিভেদ প্রকাশ হোক বা হোক, মনে বিভেদ থাকলে এ থেকে কাজের পরিবেশ নষ্ট হয়। ফলে এক বা দুজনের কারণে পুরো টিমে এর প্রভাব পড়ে। এমনকী ব্যক্তিজীবনেও এর প্রভাব পড়ে।

কর্মক্ষেত্রে সবসময় টিম বা অফিসের ইতিবাচক হয়, এমন চিন্তাভাবনা এবং এ উদ্দেশ্যে সবার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। যেকোনো বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করে অগ্রসর হতে হবে। কারও সঙ্গে মতামতের মিল না হলে ভেবে দেখতে হবে, দুজনের মধ্যে কার সিদ্ধান্ত অফিসের জন্য সেরা সুফল বয়ে আনবে। কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের কেমন আচরণ ও ব্যবহার হওয়া উচিতএ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ক্যারিয়ারবিষয়ক পরামর্শ প্রকাশ করা ওয়েবসাইট কেটি রবার্টস।

সততা: ব্যক্তিগত কিংবা অফিশিয়াল জীবনে সততা সবার ঊর্ধ্বে। কর্মক্ষেত্রে সবসময় খোলামেলাভাবে কাজ করতে হবে। অপ্রয়োজনীয়ভাবে গোপনীয়, বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত বা ক্লায়েন্টের তথ্য অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না। কেউ অসৎ আচরণ বা অন্যায় করলে সেটি সহ্য বা সমর্থন করা যাবে না। এমনটা হলে নিজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাতে হবে।

পরস্পর সম্মান: সবসময় অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব বজায় রাখতে হবে, এমনকি চাপের সময়ও। নিজে কোনো কারণে কোনো কাজের জন্য চাপে বা জটিলতায় থাকা স্বাভাবিক, তাই বলে সহকর্মীদের কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, আঘাত বা অসম্মান করবেন না। হোক সে আপনার সিনিয়র বা জুনিয়র। সবসময় মৌখিক এবং লিখিতভাবে উপযুক্ত ভাষা ব্যবহার করবেন। নিজের ভুল হলে বা কখনো ভুল বোঝাবুঝি হলে ক্ষমাপ্রার্থী হতে হবে এবং অন্যের ব্যক্তিগত মতামতকেও সম্মান করতে হবে।

মিটিং: কর্মক্ষেত্রে অফিসের উন্নয়ন বা নতুন কোনো পদক্ষেপের জন্য মিটিং, আলোচনা সভার প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে আগে থেকেই সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এসব মিটিংয়ে সর্বদা সময়মত পৌঁছান। মিটিংয়ে আপনার কী করতে হবে, তা আগে জেনে-বুঝে নিয়ে কাজগুলো গুছিয়ে রাখুন। মিটিংয়ে থাকা সবার কথাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে শুনুন এবং নিজের কোনো মতামত থাকলে তা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন।

যোগাযোগ: সহকর্মীদের সঙ্গে সর্বদা স্পষ্টভাবে কথা বলুন এবং কিছুটা সময় লাগলেও এমন ভাষায় উপস্থাপন করুন, যাতে সবাই তা বুঝতে পারে। সবার সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণ করুন। সহকর্মীদের সঙ্গে অফিশিয়াল ব্যতীত অন্য কোনো বিষয়ে কথা বলা উচিত নয়। অফিসের বাইরে সহকর্মীদের সঙ্গে অফিস সংক্রান্ত গসিপে জড়ানোও ঠিক নয়। সরাসরি বা মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় সর্বোচ্চ শালীনতা বজায় রাখতে হবে এবং লিখিত যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভাষা নির্বাচনে সতর্ক থাকুন।

টাইম ম্যানেজমেন্ট: অফিসে আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আপনাকে দেয়া কাজটি যথাসময়ে করার চেষ্টা করুন। কখনো বিলম্ব করা ঠিক নয়। প্রয়োজনে কয়েক মিনিট আগে অফিসে পৌঁছান। কোনো কারণ দু-একদিন অফিসে পৌঁছাতে দেরি হতে পারে, তবে সেটি যেন অভ্যাসে পরিণত না হয়ে যায়। অফিসে গিয়ে কফি পান ও সহকর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সব গুছিয়ে ঠিক সময়ে অফিসের কাজ শুরু করুন। কাজের মাঝে চা বিরতি ও দুপুরের খাবার এবং বিরতির সময়সূচি মেনে চলুন। কাজ শেষ হলে যথা সময়ে চলে যান।

অফিসের লক্ষ্য: প্রতিটি অফিসেরই নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য থাকে। সেসব বাস্তবায়নে একেকজন কর্মীর ওপর একেক ধরনের দায়িত্ব দেয়া থাকে। আপনার ওপর অর্পিত দায়িত্ব আপনি নিজে গুরুত্বসহকারে করার চেষ্টা করুন।

দায়িত্ববান হওয়া: নিজের কাজের জন্য নিজেকেই দায়িত্ব নিতে হবে। যেটি প্রয়োজন সেটি করুন এবং নিজের কাজ অন্যের জন্য রেখে দেবেন না। কোনো কারণে নিজের কিছু ভুল হলে বা নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে না পারলে, এটি বিনয়ের সঙ্গে স্বীকার করার অভ্যাস করুন। এ নিয়ে অন্য সহকর্মী বা ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান তৈরি করুন। এতে পরবর্তীতে কাজটি শেষ করা আপনার জন্য সহজ হবে।

টিমওয়ার্ক: কর্মক্ষেত্রে সবাইকে নির্দিষ্ট টিমের সঙ্গে কাজ করতে হয়। এতে প্রায়ই এমন কিছু পরিস্থিতি হয়, যে কাজগুলো আপনার পছন্দের নয়। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে সেই ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ বাদ রেখে সবার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দলগতভাবে কাজ করতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: কর্মক্ষেত্র

আরও খবর



মুন্সীগঞ্জে আ. লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মুন্সিগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন। শনিবার (১৩ এপ্রিল) ভোরে সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের ছোট মোল্লাকান্দি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলেন- মোহাম্মদ রাব্বি (১৯) ও পারভেজ খান (২০)। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে ওই এলাকার আহম্মেদ গ্রুপ ও মামুন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। তার দুই জনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। শনিবার ভোরে আহম্মেদ গ্রুপের লোকজন মামুন গ্রুপের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় অন্তত ৬ জন।

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহাগ বলেন, গুলিবিদ্ধদের মধ্যে রাব্বির অবস্থা শঙ্কামুক্ত। তবে পারভেজের অবস্থা মুমূর্ষু। তার ঘারে ও বাম হাঁটুতে গুলি করা হয়েছে। এতে তার জন্য ৪ থেকে ৫ ব্যাগ রক্ত লাগবে। এখান থেকে স্যালাইন দিয়ে তাকে ঢাকায় পাঠিয়েছি।

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে শুনেছি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রে বসে সালমান খানের বাসায় গুলির পরিকল্পনা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

প্রায় ৪০ বছর ধরে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে পরিবারসহ থাকেন বলিউড তারকা সালমান খান। রবিবার (১৪ এপ্রিল) ভোরে এই অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে গুলি চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সালমানের বাড়ির দেয়ালে গুলি লেগেছে। ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে।

এরই মধ্যে সালমানের বাসার বাইরের সিসিটিভির ফুটেজ এসেছে পুলিশের হাতে। সেখানে দেখা গেছে, রবিবার ভোরে দুজন বাইকে চেপে সালমানের বাসার বাইরে গুলি চালিয়ে পালিয়ে গেছে। এদের মধ্যে একজনের গায়ে সাদা টি-শার্টের ওপর কালো শার্ট, আর একজনকে লাল টি-শার্টে দেখা গেছে। দুজনের মধ্যে একজনের মাথায় কালো টুপি, অপরজনের মাথায় সাদা টুপি রয়েছে।

ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, লরেন্স বিষ্ণইয়ের (বিষ্ণোই গ্যাংয়ের লিডার) ভাই আনমোল বিষ্ণই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরেক গ্যাংস্টার রোহিত গোদারার কাছে শুটার বাছাইয়ের দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন। গোদারার পেশাদার শুটারদের নেটওয়ার্ক পুরো ভারতজুড়ে। গোদারা এ হামলার পুরো দায়িত্ব দেন শুটার বিশালকে।

বিশাল গুরুগ্রামের বাসিন্দা। জেল খাটা আসামি। ২০২০ সালে প্রথমবার পুলিশের খপ্পড়ে পড়েন তিনি। মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে তিহাড়ে বন্দী ছিলেন বিশাল। তিনি বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য। পাশপাশি, রোহিত গোধরা গ্যাংয়ের সঙ্গেও কাজ করছেন। গত বছর গুরুগ্রামে দুই খুনের অভিযোগে নাম জড়ায় তার। এবার সালমানের বাড়িতে গুলি চালিয়ে রাতারাতি আলোচনায় এলেন এই ব্যক্তি।

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হুমকির চিঠি দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে বিষ্ণোই গ্যাং। এই গ্যাংয়ের লিডার লরেন্স বিষ্ণোই এর আগেও সালমানকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। এই মুহূর্তে কারাগারে আছেন গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। তার হয়েই এবার সামাজিকমাধ্যমে হুমকি দিলেন তারই ভাই আনমোল বিষ্ণোই।

এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমদের ওপর হওয়া অত্যাচারের নিষ্পত্তি চাই। যদি তুমি সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে নামতে চাও, তাই সই। আজ যা হয়েছে, তা শুধুই একটা ঝলক ছিল সালমান খান। যাতে তুমি বুঝতে পারো, আমরা কতদূর যেতে পারি। এটাই ছিল তোমাকে দেওয়া শেষ সুযোগ। এরপর গুলিটা তোমার বাড়ির বাইরে চলবে না দাউদ ও ছোটা শাকিল নামের যে দুজনকে তুমি ভগবান মানো, সেই নামের দুটি কুকুর পুষেছি বাড়িতে। বাকি বেশি কথা বলার লোক আমি নই। জয় শ্রী রাম।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারে সালমানের নাম জড়িয়েছিল। এর বদলা নিতে সালমানকে খুনের হুমকি দেয় বিষ্ণোই গোষ্ঠী। গত বছর জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) জানিয়েছিল, জেলবন্দী গ্যাংস্টার বিষ্ণোই যে ১০ জনকে হত্যার তালিকায় রেখেছে, তাদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে সালমানের নাম। এরপর থেকেই সালমানকে নানাভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে এই গ্যাংস্টার। এবার তো অভিনেতার বাড়িতে হামলা করার মতো ঘটনা ঘটিয়ে ফেললেন তারা।


আরও খবর



এবার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল ও রাকাব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

পদ্মা ব্যাংকের পর এবার একীভূত হচ্ছে সরকারি দুই ব্যাংক। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে (বিডিবিএল) সরকারি অন্য দুই ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বুধবার (৩ এপ্রিল) এ সিদ্ধান্তের কথা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে জানিয়েও দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

জানা গেছে, রাকাবকে কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে এবং বিডিবিএলকে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ব্যাংক চারটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্তের কথা আলাদা করে জানানো হয়েছে।

ব্যাংক চারটিকে জানানো হয়, শিগগির ব্যাংক একীভূত বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিমালা দেবে। এরপরই নীতিমালা মেনে নিজ নিজ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় একীভূত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এরপর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাছের ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম ছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেহেতু সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে সরকারি ব্যাংককে একীভূত করা হবে, তাই রাকাব ও বিডিবিএল ব্যাংকের কর্মীদের চাকরি নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।

এর আগে গত ৪ মার্চ ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জানান, চলতি বছরের মধ্যে ৭ থেকে ১০টি দুর্বল ব্যাংককে সবল বা ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হতে পারে। এ সময়ের মধ্যে দুর্বল ব্যাংকগুলো নিজেদের ইচ্ছায় একীভূত না হলে আগামী বছর থেকে তাদের চাপ দিয়ে একীভূত করা হবে।

সে ধারাবাহিকতায় গত ২৫ মার্চ বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংক একীভূত হওয়ার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়। একীভূত হওয়ার পর এটি এক্সিম ব্যাংক নামেই কার্যক্রম পরিচালনা করছে।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪