আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমারা কত টাকা খরচ করেছে?

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ থেকে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাহায্য ছাড়া ইউক্রেন কোনোভাবেই তাদের রক্ষণভাগ টেকসইভাবে টিকিয়ে রাখতে পারতো না। কিন্তু কী পরিমাণ সাহায্য ইউক্রেন পেয়েছে, আর এই সাহায্য কতটুকু পার্থক্য গড়ে দিয়েছে?

গত সপ্তাহেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের জন্য আরেকটি ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন, যেটি নিয়ে কংগ্রেসে আলোচনা হবে। যদি প্রস্তাবটি অনুমদিত হয়, তবে ইউক্রেনকে সাহায্য নিয়ে এই নিয়ে চতুর্থবার মার্কিন সাহায্য যাবে, সব মিলিয়ে যার আর্থিক মূল্য ১০০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।  এই আকাশছোঁয়া অঙ্ক তাই অনেক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন এটি ইউক্রেনকে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য ইন্ডেপেন্ডেন্টেও তাদের মার্কিন প্রতিনিধি একটি মতামত প্রকাশ করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে যে মার্কিন প্রক্সিযুদ্ধ চলছে না এমন ভান করা থেকে সরে আসার সময় এখনই।

তবে, অনেক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে একমত নন। রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রভাষক ভ্লাদিমির রাউতা  বলেন, এটা যে কোনো প্রক্সিযুদ্ধ নয় তা স্পষ্ট। প্রক্সিযুদ্ধতে গোপনভাবে সাহায্য করা হয়, আন্তর্জাতিক আইনের বাইরে গিয়ে কাজ করা হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেনের সম্পর্ক সামরিক ও অর্থনৈতিক সাহায্যের এক আদর্শ উদাহরণ। প্রক্সিযুদ্ধ হলো ওটাই, যখন রাশিয়া ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরকে সমর্থন করেছে, সাহায্য করেছে এবং তাদেরকে ট্রেনিং করিয়েছে।

যুদ্ধের খরচ: যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপও ইউক্রেনের পেছনে যথেষ্ট টাকা ঢেলেছে। তবে ঠিক কতটুকু খরচ করেছে তা বলা বেশ শক্ত।  সৌভাগ্যক্রমে জার্মান গবেষণা সংস্থা কিয়েল ইনিস্টিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমি (আইএফডব্লিউ) ইউক্রেন সাপোর্ট ট্র্যাকার তৈরি করেছে, যেখানে কে কত সাহায্য করেছে তা নথিভুক্ত করা আছে, যার মধ্যে সামরিক সাহায্য, মানবাধিকার সার্ভিস এবং অর্থসাহায্য  রয়েছে। তারপরেও এই হিসাব করা বেশ জটিল বলে জানিয়েছেন আইএফডব্লিউ-এর একজন অর্থনীতিবিদ আন্দ্রে ফ্রাঙ্ক।  প্রাথমিক সমস্যা হলো তথ্যের পর্যাপ্ততা, বিশেষ করে দেশগুলোর সরকারি তথ্য এবং বিভিন্ন পণ্যের আর্থিক মূল্য, বিশেষ করে সামরিক পণ্যগুলোর আর্থিক মূল্য বের করা। আমরা প্রথম সমস্যাটি বিভিন্ন পদ্ধতিতে খুঁজে বের করে সমাধান করেছি।

সাধারণত, আমরা সরকারের অফিশিয়াল সূত্রগুলোকেই উৎস হিসেবে নিয়েছি।যদিওর্থদানের ব্যাপারে সরকার কোনো তথ্য প্রকাশ না করে, সেক্ষেত্রে আমরা সেগুলোর শূণ্য জায়গা পূরণ করেছি গণমাধ্যমে আসা বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে। একটি বড় সমস্যা হলো, বেশ কিছু দেশের অফিশিয়াল প্রেস রিলিজে যে তথ্য থাকে তা বেশিরভাগ সময়েই অসম্পূর্ণ থাকে। একটি দেশ তাদের তথ্যগুলো কতটুকু বিস্তারিত বা সংক্ষেপে প্রকাশ করে, তার ওপর নির্ভর করে আমাদের কাজ সহজ বা কঠিন হয়ে পড়ে। সাহায্যদাতা দেশগুলো তথ্যতেও অনেকসময় স্বচ্ছতা রাখে না। যেমন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের ডেটাবেজে কী কী জিনিস দান করেছে, কতটুকু দান করেছে, তার বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ করে। সামরিক সাহায্যগুলোও বিস্তারিতভাবে উল্লেখ থাকার ফলে সেগুলোর অর্থের একটি সঠিক পরিমাণ বের করা যায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্ষেত্রে আবার এই চিত্র দেখা যায় না। পূর্ব ইউরোপ, বাল্টিক অঞ্চল এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের দেশগুলো কী কী ধরনের সামরিক সরঞ্জাম কয়টি করে দান করেছে তা পরিষ্কারভাবে বললেও স্পেন, ইতালি আর পর্তুগালের মতো দেশগুলো তা প্রকাশ করে না এবং ইচ্ছা করেই সেই তথ্য চেপে রাখে।

সবচেয়ে বড় সাহায্যদাতা যুক্তরাষ্ট্র: ইউরোপের ডি ফ্যাক্টো নেতা জার্মানি এই সাহয্য হিসাবের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। কারণ বার্লিন দীর্ঘদিন ধরে বাতিল বা ব্যবহার করা হয়নি এমন সব সামরিক সরঞ্জাম তাদের স্টক থেকে দান করেছে যার বর্তমান আর্থিক মূল্য নির্ধারণ করা বেশ কঠিন। জার্মানি কেবল ট্যাঙ্ক-বিরোধী সরঞ্জাম বা বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের মতো ভারি অস্ত্রই সরবরাহ করেনি, মেশিনগান, হ্যান্ড গ্রেনেড এবং অন্যান্য গোলাবারুদের মতো হালকা অস্ত্রও সরবরাহ করেছে। আবার, একদিকে তারা সশস্ত্র বাহিনী বা বুন্দেসভেরের স্টক থেকে সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছে।

আবার, ফেডারেল সরকারের অর্থায়ন করা স্টক থেকেও দিয়েছে। জার্মানির মতো দেশগুলো তাদের বিতরণ করা পণ্যগুলোর সংখ্যার একটি বিস্তারিত তালিকা প্রদান করলেও তাতে সেগুলোর মূল্যের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।। এটি আমাদের কাজকে অবিশ্বাস্যভাবে চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। কারণ জার্মানির কিছু পণ্য বুন্দেসভেরের স্টক থেকে এসেছে, যেগুলো ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সশস্ত্র বাহিনী ব্যবহার করছে। যার ফলে এগুলোর সঠিক মূল্য অনুমান করা প্রায় অসম্ভব, বলে জানান ফ্রাঙ্ক। স্বাভাবিকভাবেই, আইএফডব্লিউর তালিকায় সবচেয়ে উপরের স্থানটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দখলেই, যারা অনান্য দেশের তুলনায় বেশ বড় ব্যবধানে সর্বাধিক সামরিক সহায়তা প্রদান করেছে।

ফ্রাঙ্ক জানান, সামরিক সাহায্যের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারা ২২.৮৬ বিলিয়ন ইউরো বা ২৪.৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ সাহায্য করেছে। যুক্তরাজ্য রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে, তার করেছে ৪,১৩ বিলিয়ন ইউরো বা ৪.৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রকৃতপক্ষে, যুক্তরাজ্য ইউক্রেনের অন্যতম বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী। লন্ডনের সরকার ইউক্রেনকে সামরিক সরঞ্জামের মধ্যে এম২৭০ মাল্টিপল রকেট লঞ্চার, হাজার হাজার অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক অস্ত্র, শত শত স্বল্প-পাল্লার মিসাইল, সাঁজোয়া যান এবং কিছু স্টারস্ট্রিক অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট সিস্টেম সরবরাহ করেছে বা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আরও ১২৫টি বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। জার্মানি, সামরিক সাহায্যের অবস্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের পরে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত তারা ২.৩৪ বিলিয়ন ইউরো বা ২.৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য করেছে।

ইউরোপীয় সমর্থনের বেশিরভাগই এসেছে লন্ডন এবং বার্লিন থেকে। আইএফডব্লিউ-এর মতে, ইইউ সদস্য দেশগুলো সামরিক সহায়তা হিসেবে মোট ৮.৬১ বিলিয়ন ইউরো প্রদান করেছে।

পশ্চিমা সাহায্যের অনস্বীকার্য প্রভাব: ইউরোপীয়দের সাহায্য কেবল সামরিক সমর্থন দিয়েই শেষ হয়নি। যদি আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিচালিত সামরিক প্রতিদান প্রকল্প ইউরোপীয় শান্তি সুবিধাকে অন্তর্ভুক্ত করি, তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামরিক সহায়তা হিসেবে আরও ৩.১ বিলিয়ন ইউরো যোগ হবে, মোট অর্থ বেড়ে দাঁড়াবে ১১.৭১ বিলিয়ন ইউরোতে। ফ্র্যাঙ্ক উল্লেখ করেন। তবে সামরিক সাহায্য বাদ দিলেও ইউক্রেনের প্রতি দেশগুলোর মানবিক সহায়তা, আর্থিক সহায়তাও কম নয়। জানুয়ারি থেকে ইউক্রেনকে আরও ১৮ বিলিয়ন ইউরো সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। এটি কার্যকর হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাহায্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে।

এর ফলে ইউরোপ তখন কিয়েভকে মোট ৫২ বিলিয়ন ইউরো সহায়তা করবে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সামরিক, আর্থিক এবং মানবিক সহায়তার পরিমাণ ৪৮ বিলিয়ন ইউরো, আইএফডব্লিউ জানায়। গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি থেকে শুরু করে সম্প্রতি অনুমোদন করা ১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাহায্যের প্যাকেজ ইউক্রেনকে রুশ আগ্রাসন মোকাবেলার করার অনুমতি দিয়েছে কিছু প্রত্যাশিত উপায়ে।

রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক রাউতা বলেন, প্রায়শই, যুক্তি দেওয়া হয় যে ইউক্রেনের জন্য সাহায্য রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বাজেটের তুলনায় অনেক বেশি। কিন্তু, ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ গোয়েন্দা আপডেট অনুযায়ী, পুতিন ২০২৩ সালে ইউক্রেনে তার যুদ্ধের জন্য ১১৬ বিলিয়ন পাউন্ড বা ১৪০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রয়টার্সের সাম্প্রতিক বিশ্লেষণেও ২০২৩ সালে রাশিয়ার মোট প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাজেট হিসেবে ১৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ধরা হয়েছে।

রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এই যুক্তফ্রন্ট অটল থাকতে পারে কিনা, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে যখন রিপাবলিকান নেতৃত্ব রয়েছে, সেটাই দেখার বিষয়। একদিকে, সাফল্য-পরাজয়ের ভারসাম্য এখনও কোনও দেশের যায়নি, প্রতি মাসেই যুদ্ধের অবস্থা পরিবর্তন হচ্ছে। ইউক্রেন একদিকে আরও এলাকা পুনরুদ্ধার করলেও রাশিয়া অবকাঠামোর ওপর ক্রমাগত আক্রমণ চালিয়ে আচ্ছে। এছাড়াও রুশরা জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে কিয়েভ দখলের জন্য নতুনভাবে এগোবে বলে শোনা যাচ্ছে। আবার, ইউক্রেনও তাদের দেশকে রক্ষার জন্য অটল সংকল্প ধরে রেখেছে, রুশরাও শান্তিচুক্তিতে এগোতে চাচ্ছে না। ২০২৩ সালে যা-ই হোক না কেন, রুশরা যদি শান্তিচুক্তি কররার ভান করে, তবে সেটি হবে সময় কেনা, নিজেদের সংগঠিত করা এবং পুনরায় সংগঠিত করার উপায়ের জন্য। ২০২৩ সালে ইউক্রেনের জন্য আটলান্টিকের দুই পাশ থেকে আরও সাহায্য আসবে বলা আশা করাই যায়, যখন তাদের কয়েক দশকের মধ্যে নিরাপত্তাগতদিক থেকে সবচেয়ে বড় হুমকিতে পড়তে হচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: ইউক্রেন যুদ্ধ

আরও খবর



মুক্তি পেতে যাচ্ছেন মামুনুল হক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

মুক্তি পেতে যাচ্ছেন হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব এবং ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর অন্তত ১১টিতে জামিন পেয়েছেন তিনি। বাকি মামলাগুলোতেও জামিন আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে। মামুনুল হক যেন এসব মামলায় জামিন পান সে বিষয়ে সহযোগিতা করতে সরকারও ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আশা করা যাচ্ছে খুব শিগগিরই মামুনুল হক মুক্তি পাবেন।

এর আগে গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সে সময় তিনি বলেছিলেন, ঈদের আগে আগে মাওলানা মামুনুল হকের জামিন ও মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী। কিন্তু এবার যদি এই আশ্বাস বাস্তবায়ন না হয় তাহলে আমরা কর্মসূচি দেব বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছি।

এদিকে, গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ বিষয়ে মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। ওইসব মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ ছাড়া গত ৫ ফেব্রুয়ারিতে আরও দুই মামলায় জামিন পান তিনি। তার আগে ২০২৩ সালের ৩ মে পাঁচ মামলায় হাইকোর্ট থেকে স্থায়ী জামিন পান মামুনুল হক। গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে সব মিলিয়ে বর্তমানে অন্তত ১১টি মামলায় জামিনে আছে হেফাজতের এ নেতা।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক।

১৫ দিন পর ওই মাদ্রাসা থেকে মোবাইল ও মানিব্যাগ চুরির একটি মামলায় মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে এসব মামলায় তিনি কারাগারে আছেন। অর্থাৎ ২০২১ সালের ১৮ গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কারাগারেই রয়েছেন মামুনুল হক।


আরও খবর



উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

প্রথম ধাপে বিনা ভোটে ২৬ প্রার্থী নির্বাচিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এসব পদে ভোটের প্রয়োজন পড়ছে না।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা ওই প্রার্থীদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা।

চেয়ারম্যান পদে সাত জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নয় জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এতে বালিয়াডাংগি (ঠাকুরগাঁও) উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, হাকিমপুরে (দিনাজপুর) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সাঘাটায় (গাইবান্ধা) চেয়ারম্যান, বেড়া (পাবনা) উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সিংড়ায় (নাটোর) চেয়ারম্যান, কুষ্টিয়া সদরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, বাগেরহাট সদরে সব পদ, মুন্সীগঞ্জ সদরে সব পদ, শিবচরে (মাদারীপুর) সব পদ, বড়লেখায় (মৌলভীবাজার) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পরশুরামে (ফেনী) সব পদ, সন্দ্বীপে (চট্টগ্রাম) ভাইস চেয়ারম্যান, কক্সবাজার সদরে ভাইস চেয়ারম্যান, রোয়াংছড়িতে (বান্দরবান) চেয়ারম্যান পদ, কাউখালীতে (রাঙামাটি) ভাইস চেয়ারম্যান, চুয়াডাঙ্গার ডামুহুদায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ভোটের প্রয়োজন পড়বে না।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে দেড়শ উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে প্রচারে নেমে পড়েছেন।


আরও খবর



১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাধারণ রোগীদের মতো ১০ টাকার টিকিট কেটে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিজের চোখ পরীক্ষা করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে ওই হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। তারপর লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেই টিকিট সংগ্রহ করেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী সাধারণ রোগীদের মতোই নিজের চোখ পরীক্ষা করান। সরকারি হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘটনা দেখে উপস্থিত অনেকেই উচ্ছ্বাস ও আনন্দ প্রকাশ করেন।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ এখন প্রকট আকার ধারণ করে রূপ নিয়েছে অতি তাপপ্রবাহে। প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। তাপমাত্রার পারদ ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রির ঘরে ওঠানামা করলেও তা ৪২ ডিগ্রি ছাড়ালো।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইসঙ্গে তীব্র তাপ প্রবাহ শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) তীব্র দাবদাহের কারণে জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করেছে জেলা প্রশাসন।

চলতি বছরের এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ। শুধু চলতি বছর নয়, আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর টানা প্রায় ১৩ দিন ধরেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে। আর এটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর আশপাশেই থাকছে। টানা তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। বর্তমানে সে তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র দাবদাহ চলমান রয়েছে। দাবদাহের কারণে মানুষের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। আজও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এখনও পর্যন্ত কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে না। ২০২৩ সালে ১৯ ও ২০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর ৪৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।


আরও খবর



আস্থার জায়গা পুনর্নির্মাণ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: ডোনাল্ড লু

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বুধবার (১৫ মে) সাড়ে ৩টায় বৈঠক শুরু হয়।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ডোনাল্ড লু। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে আস্থার জায়গা পুনর্নির্মাণ করতে চাই। একই সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চাই। নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে চাই।

চলমান বাংলাদেশ সফর নিয়ে ডোনাল্ড লু বলেন, আমি গত দুইদিন ধরে বাংলাদেশ সফর করছি। এই সফরের মূল উদ্দেশ্য দুই দেশের মানুষের মধ্যে বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করা। গত বছর আমরা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা দেখেছি।

যুক্তরাষ্ট্রের এ সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখানে অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর পরিশ্রম করেছে। আমাদের ভেতর যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল তা খুবই সাধারণ বিষয়। সম্পর্কে এমনটা হয়েই থাকে। আমরা সামনের দিকে এগোতে চাই, পেছনে তাকাতে চাই না।

তিনি বলেন, আমাদের সম্পর্ক কীভাবে আরও জোরদার করা যায় সেই পথই খুঁজছি আমরা। আমাদের সম্পর্কের কঠিন বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আগে কাজ করতে চাই। বেশ কিছু কঠিন ইস্যু আমাদের সামনে রয়েছে। র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা, শ্রম পরিবেশ সংস্কার, মানবাধিকার ইস্যু, ব্যবসায়িক পরিবেশ সংস্কারের মতো ইস্যু রয়েছে আমাদের সম্পর্কে। এই কঠিন বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে আমরা আসলে আমাদের সম্পর্কে ইতিবাচক ইস্যুগুলোর দিকে তাকাতে চাই।

ডোনাল্ড লু বলেন, আমরা নতুন বিনিয়োগের কথা বলছি। আমরা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার সুযোগের কথা বলেছি।


আরও খবর