আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ইউক্রেন যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্ব আসন্ন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেন যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্ব আসন্ন তা সবাই জানে। সবাই জানে, রাশিয়ার পরবর্তী আক্রমণ ঠেকাতে এবং হারানো ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারে ইউক্রেনের প্রচুর ট্যাংক ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োজন। সবাই এটাও জানে, আজ হোক বা কাল, ইউক্রেনের প্রয়োজন ঠিকই মেটাবে পশ্চিমা দেশগুলো। সে কারণেই পশ্চিমাদের তোমার পরে! না, তোমার পরে! করার সবশেষ পর্ব পরাজিত হয়েছে।

ইউক্রেনকে ট্যাংক দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত। কিন্তু এটি যেভাবে এসেছে তা ইউক্রেনের জন্য দীর্ঘস্থায়ী যন্ত্রণার কারণ হয়েছে, পশ্চিমা ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং ভ্লাদিমির পুতিন ছাড়া আর কারও উপকারে আসেনি। ন্যাটো সদস্যদের মধ্যে কেউই সবশেষ নাটকের শেষে ভালোভাবে বের হতে পারেনি। তবে তাদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপভাবে আবির্ভূত হয়েছে জার্মানি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাধ্যমে সহায়তা পাঠানোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের পর ইউক্রেনকে সবচেয়ে বেশি সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জার্মানি। এর জন্য তারা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের অধীনে জার্মান সরকারকে অনেকটাই দ্বিধাগ্রস্ত দেখা গেছে। শলৎজের হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে প্রভাবিত হয়েছেন। গত জানুয়ারিতে ইউক্রেনকে সাঁজোয়া যান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর। তবে সেটি এসেছিল ফ্রান্সের একই ধরনের পদক্ষেপ ঘোষণার পরে।

রাশিয়ার আক্রমণের সপ্তম দিন থেকেই জার্মানির তৈরি লেপার্ড ট্যাংক দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছিল ইউক্রেন। কিন্তু জার্মানি তাতে রাজি হয়নি। এমনকি অন্য দেশগুলোকেও তাদের তৈরি ট্যাংক পুনঃরপ্তানির অনুমতি দেয়নি। গত ২০ জানুয়ারি জার্মানিতে থাকা মার্কিন ঘাঁটি রামস্টেইনে জড়ো হয়েছিলেন পশ্চিমা দেশগুলোর নেতারা। সেখানে ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানোর বিষয়ে একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত চুক্তির আশা করা হয়েছিল। কিন্তু জার্মান চ্যান্সেলর সেদিনও রাজি হননি। তবে মিত্রদের পাশাপাশি দেশে নিজের জোটের ভেতর থেকে তীব্র সমালোচনার মুখে গত ২৫ জানুয়ারি অবশেষে সম্মতি দেন শলৎজ।

ইউক্রেনকে এখন ১৪টি লেপার্ড ট্যাংক পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জার্মানি। অন্য দেশগুলোকেও ওই ট্যাংক পাঠানোর অনুমতি দেবে তারা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ৪৫তম জন্মদিনে দারুণ উপহার হতে পারে এটি। তবে বাকি দেশগুলোও পুরোপুরি নির্দোষ নয়। যুক্তরাষ্ট্র আব্রামস ট্যাংক পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে এই কয়েকদিন হলো। ফ্রান্সের এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ মাসের পর মাস না বলার পর মাত্রই জানিয়েছেন, তারা লেক্লার ট্যাংক পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করছেন। যুক্তরাজ্য হয়তো নজির স্থাপনে আগ্রহী। দেশটি ১২ বা ১৪টি চ্যালেঞ্জার ট্যাংক পাঠাতে পারে ইউক্রেনে। তবে এ বিষয়ে লন্ডনও সক্রিয় হয়েছে মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে এবং তারা যেসব ট্যাংক পাঠাবে, যুদ্ধক্ষেত্রে সেগুলো খুব বেশি কাজে আসবে না। কারণ ইউরোপে সেগুলোর যন্ত্রাংশ ও গোলাবারুদের ভালো সরবরাহ ব্যবস্থা নেই।

ইউক্রেনকে ভারী অস্ত্রশস্ত্র দিতে বিলম্বের কারণে জার্মানির অন্যতম কঠোর সমালোচক ছিল পোল্যান্ড। অথচ তারাও জার্মান ট্যাংক পুনঃরপ্তানির জন্য আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছে মাত্র এই সপ্তাহে এসে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে জার্মান চ্যান্সেলর যুক্তি দেখাচ্ছিলেন, জার্মানির মতো যুক্তরাষ্ট্রও একই সময়ে ইউক্রেনে ট্যাংক সরবরাহ করুক। হতে পারে তিনি ভাবছেন, যুদ্ধ শেষ হলেও ইউরোপে বড় ও শক্তিশালী উপস্থিতি থাকবে রাশিয়ার। সম্ভবত এর জন্যই সতর্ক থাকতে চান শলৎজ।

অনেকে বলবেন, জার্মান চ্যান্সেলরের দ্বিধা সম্পর্কে এই ব্যাখ্যাটি খুবই নিন্দনীয়। ১৯৪১ সালে রাশিয়া আক্রমণ করেছিল জার্মানি। এবার আক্রমণকারী রাশিয়া। কোনো ভুক্তভোগীকে আত্মরক্ষায় সাহায্য করা এবং আগ্রাসনের মধ্যে তুলনা চলে না। জার্মানির যেসব মানুষ এ দুটি বিষয় নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন, তারা তাদের দেশের ভয়ংকর ইতিহাস থেকে ভুল শিক্ষাই নিয়েছেন।


আরও খবর



ভোটের পরিবেশ সন্তোষজনক: ইকরামুল হক টিটু

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামুল হক টিটু। বেলা ৯টায় নগরীর প্রিমিয়ার আইডিয়াল স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, ভোটের পরিবেশ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক। ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতিও ভালো। দীর্ঘদিন মানুষের জন্য কাজ করায় এবার টেবিল ঘড়ি প্রতীক বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবে।

ভোটগ্রহণে ধীরগতি নিয়ে তিনি বলেন, অনেক ভোটারের আঙুলের ছাপ না মেলায় তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসতে হচ্ছে। একজন ভোটার ২ থেকে ৩ বার যদি এই বিড়ম্বনায় পড়ে তার প্রভাব ভোটে পড়তে পারে। বিষয়টির ব্যাপারে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ময়মনসিংহ

আরও খবর



রোজায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে মনিটরিং করবে চসিক

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

রোজায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিং করার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। উচ্ছেদ অভিযানে কারণে এবারের রোজায় সড়কে যানজট কমবে বলে মনে করেন মেয়র।

বুধবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চসিক বাজার মনিটরিং কমিটির উদ্যোগে আসন্ন রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়ে মেয়র বলেন, রমজান মাসে আমাদের দুটি সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এবং যানজট। কেবল আইন বা শাস্তির মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা সম্ভব নয়। এজন্য ব্যবসায়ী ভাইদের সহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি-বেসরকারি সেবা সংস্থার সহযোগিতা প্রয়োজন। রোজার মাসে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ রোজাদাররা যাতে কষ্ট না পান সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। কেউ সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করলে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সাথে কাজ করবে চসিক। আমরা বাজার মনিটরিং করব। প্রয়োজনে রোজা উপলক্ষে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। একারণে অসাধুদের সাবধান করছি, নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে মানুষকে কষ্ট দিলে আইনি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হন।

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ যানজট কমাতে সাহায্য করবে জানিয়ে মেয়র বলেন, রমজান মাসে যানজট বেড়ে যায়। তবে এবার নিউ মার্কেট ও আগ্রাবাদ মোড়ে আমরা যে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি তার কারণে যানজট কম হবে বলে মনে করি। আমরা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখব। যারা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধে হুমকি দিচ্ছে এবং নানাভাবে বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে তাদের উদ্দেশ্যে বলব কোন হুমকিতে অভিযান বন্ধ হবেনা। উদ্ধারকৃত জায়গা প্রতিটি থানা মনিটরিং করলে জনগণকে মুক্ত ফুটপাত, রাস্তা দেয়ার আমার যে পরিকল্পনা তা বাস্তব রূপ নিবে।

সভায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান এবং বাজারের প্রতিনিধিরা তাদের বিভিন্ন অভিযোগ ও পরামর্শ তুলে ধরেন। সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, মেয়রের উদ্যোগে নগরীর অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ এলাকা অবৈধ হকারমুক্ত হওয়ায় প্রকৃত ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে। তবে, দখলের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিরা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে এবং প্রকৃত ব্যবসায়ীদের নানাভাবে হুমকি ও চাপ দিচ্ছে।

চট্টগ্রাম অবৈধ হকারমুক্ত হলে রাষ্ট্র উপকৃত হবে৷ কারণ, প্রকৃত ব্যবসায়ীরা সরকারকে ট্যাক্স-ভ্যাট দিয়ে ব্যবসা করে৷ পক্ষান্তরে, অবৈধভাবে রাস্তা-ফুটপাত দখল করে যারা ব্যবসা করে তারা অপরাধীদের চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করে, যা শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য হুমকি৷ চসিক যেহেতু ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করে সেহেতু লাইসেন্সধারী প্রকৃত ব্যবসায়ীরা যাতে নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। 

সভায় সভাপতির বক্তব্যে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, রমজান মাসে আমাদের তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। আমরা অন্যান্য সরকারি সংস্থাকে সাথে নিয়ে বাজার স্থিতিশীল রাখতে কাজ করব৷ মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানের সামনে ফুটপাত ও হাঁটার রাস্তা দখল না করার আহ্বান জানান৷

সভায় বাজারমূল্য পর্যবেক্ষণ, মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, হাজী নুরুল হক, আবদুস সালাম মাসুমসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন৷ সভায় চসিকের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম,  চৈতী সর্ববিদ্যা,  জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ,

চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্সের পরিচালক অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, বিএসটিআইয়ের সহকারী পরিচালক নিখিল রায়সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং নগরীর বিভিন্ন মার্কেটের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ফের দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি

Image

ফের দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত ইকবাল হোসেন (৪০) নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের কেশারপাড় গ্রামের শফি উল্যাহর ছেলে। রবিবার (১০ মার্চ) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে ডারবান শহরে এ ঘটনা ঘটে। দ্রুত লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি স্বজনদের।

স্থানীয় বাসিন্দা বাচ্চু জানান, প্রায় ৭ বছর আগে জীবিকার সন্ধানে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান ইকবাল। বাড়িতে তার ২ ছেলে ও স্ত্রী রয়েছেন। রবিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক ৭টার দিকে তার ভগ্নিপতি দোকান বন্ধ করেন। এরপর দোকানের সামনে স্থানীয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা তার মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিসান বিন মাজেদ বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। নিহত প্রবাসীর মৃতদেহ দেশে আনতে নিহতের পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে।


আরও খবর



সব বাধা ডিঙিয়ে আল-আকসায় তারাবিতে ফিলিস্তিনিদের ঢল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর ঝুঁকি। কারণ ইসরাইলি সেনারা বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে আছে আল-আকসা মসজিদের ভেতরে বাইরে। কোনো কারণ ছাড়া গুলি করছে। এতে প্রতিদিন শত শত ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছেন। এত নির্যাতনের পর তারা দমে যায়নি। বরং যেটুকু শক্তি আছে তার সঙ্গে সাহসকে সঙ্গি করে স্বাধীনতার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। তার প্রমাণ আবার মিলল আল-আকসা মসজিদে তারাবির জামায়াতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষের অংশগ্রহণের মধ্যমে।

জানা যায়, রমজানের প্রথম দিন পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে নামাজ পড়তে আসেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি।

সোমবার (১১ মার্চ) ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থানে নামাজ আদায় করেন তারা। ভেতরে প্রবেশের সুযোগ না পেয়ে বাইরে জামাতে সালাত আদায় করেন অনেকে। ওয়াফার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায় করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা ওয়াফাকে জানিয়েছে, অনেক যুবককে মসজিদে প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এর আগে, রোববার (১০ মার্চ) রমজানের প্রথম তারাবি পড়তে গেলে ফিলিস্তিনিদের বাধা দেয় নিরাপত্তাকর্মীরা। এমনকি লাঠিচার্জ আর ধরপাকড়ও চালায়। তৈরি হয় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা।

গত মাসে এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনিদের রমজানের শুরুতে আল আকসায় মিছিল করার আহ্বান জানিয়েছিলেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া। মসজিদ কম্পাউন্ডে নতুন করে কড়াকড়ির ঘোষণা দেয় ইসরায়েলি প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের কাছে ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। ইহুদিরা এলাকাটিকে টেম্পল মাউন্ট বলে। প্রাচীনকালে দুটি ইহুদি মন্দিরের স্থান এখানে ছিল বলে দাবি তাদের।

১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ জয়ের মধ্য দিয়ে আল আকসার নিয়ন্ত্রণ হারায় মুসলমানরা। জায়গাটি দখল করে ইসরায়েল। এর আগে, এটি জর্ডানের শাসকদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। বর্তমানে আকসা কমপ্লেক্স ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মসজিদ পরিচালিত হয় জর্ডান-ফিলিস্তিনের একটি ওয়াকফ প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে।

বর্তমানে এ মসজিদে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। এর প্রবেশপথগুলোতে মোতায়েন করা থাকে ইহুদি দখলদার সেনা। ইসরায়েলের মুসলিম বাসিন্দা এবং পূর্ব জেরুজালেমে বসবাসরত ফিলিস্তিনিরা মসজিদুল আকসায় প্রবেশ ও নামাজ আদায় করতে পারেন। যদিও গাজার অধিবাসীদের জন্য বিধিনিষেধ অনেক বেশি কঠোর।


আরও খবর



জাহাজ থেকে লাফ দিয়ে গুরুতর আহত চিত্রনায়ক ইমন

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা নিয়ে নির্মিতব্য অপারেশন জ্যাকপট’ সিনেমার শুটিংয়ের একটি দৃশ্য ধারণ করতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন চিত্রনায়ক মামুনুন হক ইমন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছবির আরেক অভিনেতা জয় চৌধুরী।

জানা গেছে, সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল থেকে অপারেশন জ্যাকপট’ সিনেমার শুটিং চলছিল সুন্দরবন এলাকায়। যেখানে নায়ক ইমনের একটি দৃশ্য ছিল জাহাজ থেকে সাগরে লাফ দেওয়ার। সেই ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্য করতে গিয়েই ইমনের পায়ে নোঙরের লোহা ঢুকে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নায়ক জয় চৌধুরী বলেন, সকালে একটি শট ছিল যেখানে জাহাজ থেকে লাফ দিতে হবে ইমন ভাইয়ের। সেই শট দিতে গিয়েই জাহাজের নোঙরে পা লেগে বেশ জখম হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে পায়ের অবস্থা বেশ একটা ভালো নয়।’

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় অপারেশন জ্যাকপট’। ১৯৭১ সালে নৌ-সেক্টর কর্তৃক পরিচালিত সেই গেরিলা অভিযানের বীরত্বের গল্প এবার উঠে আসছে সিনেমার পর্দায়। অপারেশন জ্যাকপট’ নামেই নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি। এর অর্থায়ন করছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ছবিটির বাজেট ধরা হয়েছে ২১ কোটি টাকা।

চলতি বছরের শুরুর দিকে বিএফডিসিতে শুরু হয়েছিল ছবিটির শুটিং। পালাক্রমে বর্তমানে সুন্দরবনে চলছে সিনেমাটির দৃশ্যধারণ। আর সেখানে শুটিংয়ে গিয়েই গুরুতর আহত হলেন নায়ক ইমন।

সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনন্ত জলিল, ইমন, নিরব, রোশান, শিপন, সাঞ্জু, জয় চৌধুরী, অমিত হাসান, পল্লব, ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল, নিপুণ, নাদের চৌধুরী, শহীদুল আলম সাচ্চু, ড্যানি সিডাক, ইলিয়াস কাঞ্চন, কাজী হায়াত, ওমর সানী, মিশা সওদাগর।


আরও খবর