প্রায় এক বছর
আগে থেকেই তারকা পেসার মোহাম্মদ আমিরের পাকিস্তান দলে ফেরার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। তবে
নানান কারণে তা আলোর মুখ দেখেনি। সব বাধা টপকে আবারও অবসর ভেঙে ফেরার আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন
তিনি।
এদিকে আসন্ন
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে পাকিস্তানের ট্রেনিং ক্যাম্পেও ডাক পড়ে তারকা এই
পেসারের। আমিরকে দলে ফেরাতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও
বৈঠকে বসেন। এতে তার জাতীয় দলে ফেরা অনেকটা প্রত্যাশিতই ছিল। এরপরই অবসর ভেঙে দলে ফেরার
ঘোষণা দেন আমির। এর আগে, একই প্রক্রিয়ায় ইমাদ ওয়াসিমকে দলে ফিরিয়েছে পিসিবি।
শেষমেশ এই দুই
তারকা ক্রিকেটারকে নিয়েই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের
জন্য ১৭ জনের দল ঘোষণা করেছে পিসিবি।
আমির ও ইমাদকে
ফেরানোর বিষয়ে নির্বাচক ওয়াহাব রিয়াজের ভাষ্য, ইমাদ ও আমিরকে দলে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত
নেওয়াটা সহজই ছিল। তারা খেলার জন্য প্রস্তুত আর হারিস রউফের চোট এবং মোহাম্মদ নেওয়াজের
বর্তমান ফর্মও ছিল বিবেচনায়। আমির ও ইমাদ যে ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়, সেটা অস্বীকারের
সুযোগ নেই। আমরা বিশ্বাস করি, দলের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য পূরণে তারা বলিষ্ঠ পারফরম্যান্স
করবেন।
এর আগে, ২০২০
সালে তৎকালীন প্রধান কোচ মিসবাহ-উল-হক ও বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনিসের সঙ্গে দ্বন্দ্বের
জেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন বাঁহাতি এই পেসার। জাতীয় দলের
খেলা বাদ দিলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলছেন আমির। সদ্য সমাপ্ত পাকিস্তান সুপার লিগেও
(পিএসএল) খেলেছেন তিনি। দ্য গ্রিন ম্যানদের হয়ে সব মিলিয়ে ১৪৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ
খেলেছেন আমির।
দীর্ঘদিন পর
জাতীয় দলে ফেরার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) জাতীয় দলে জার্সি পরিহিত
একটি ছবি শেয়ার করেছেন আমির।
ছবির ক্যাপশনে
তার ভাষ্য, বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম। এর বাংলা অর্থ-পরম করুণাময় অতিশয় দয়ালু
আল্লাহর নামে (শুরু করছি)। এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে নতুন শুরুর ইঙ্গিতই
দিয়েছেন তারকা এই পেসার।
২০১০ সালে স্পট
ফিক্সিংয়ের অভিযোগে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মোহাম্মদ আমির। নিষেধাজ্ঞা
কাটিয়ে ২০১৬ সালে জাতীয় দলে ফিরেছিলেন এই পাকিস্তানি পেসার। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস
ট্রফির ফাইনালে ভারতকে হারানোর অন্যতম নায়ক ছিলেন আমির।
উল্লেখ্য, আগামী
১৮ এপ্রিল থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ
শুরু হবে। একই ভেন্যুতে ২০ ও ২১ এপ্রিল হবে পরের দুটি ম্যাচ। এ ছাড়া ২৫ ও ২৭ এপ্রিল
শেষ দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে লাহোরে।
পাকিস্তানের
টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড : বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), সাইম আইয়ুব, উসমান
খান, ইফতেখার আহমেদ, আজম খান (উইকেটরক্ষক), ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, শাহিন আফ্রিদি,
নাসিম শাহ, মোহাম্মদ আমির, আব্বাস আফ্রিদি, আবরার আহমেদ, ফখর জামান , ইরফান খান নিয়াজী,
উসামা মীর ও জামান খান।
রিজার্ভ : হাসিবুল্লাহ,
মোহাম্মদ আলী, আগা সালমান, সাহেবজাদা ফারহান, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।