ইউক্রেনের ক্রেমেনচুক শপিংমলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এখনও ৩৬ জন নিখোঁজ
রয়েছেন। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপে অনুসন্ধান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পোলতাভা
অঞ্চলের গভর্নর দিমিত্রো লুনিন। মঙ্গলবার ভোরে তিনি টেলিগ্রামে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
খবর আলজাজিরার।
তিনি বলেন, এক
হাজারেরও বেশি মানুষ ধ্বংসস্তূপের ওপর সারা রাত কাজ করেছেন। উদ্ধারকারী, পুলিশ, চিকিত্সক
এবং স্বেচ্ছাসেবীরা সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করেছেন।
তিনি আরও বলেন,
মোট ৫৯ জন আহত হন। এরই মধ্যে ২৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বর্তমানে
১৮-এ দাঁড়িয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, মধ্যাঞ্চলীয় শহর ক্রেমেনচুকের একটি জনাকীর্ণ শপিংমলে ওই হামলার
সময় ভেতরে এক হাজারের বেশি মানুষ ছিল। ঘটনাস্থলে থাকা গণমাধ্যমকর্মীদের ধারণা, এটি
হয়তো একটি গাইডেড মিসাইল বা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত করার মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছিল। শপিংমলে
ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
আক্রান্ত শপিংমলটি
রুশনিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে প্রায় ৮১ মাইল দূরে। জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র স্টেফান দুজারিচ
বেসামরিক স্থাপনার ওপর এমন হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। পোলটাভা অঞ্চলের প্রশাসনের
প্রধান কর্মকর্তা দিমিত্রো লুনিন এ আক্রমণকে যুদ্ধাপরাধ বলে বর্ণনা করেছেন।
মধ্য ইউক্রেনে
দনিপার নদীর তীরের এ শিল্পকারখানা সমৃদ্ধ এ শহরে প্রায় দুই লাখ ২০ হাজার লোক বাস করে।
এর আগেও শহরটির তেল শোধনাগার ও অন্যান্য স্থাপনার ওপর রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে।
রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ এখনো অব্যাহত। এ মুহুর্তে দোনবাসে চলছে তুমুল লড়াই। এর মধ্যেই এমন খবর দেশটির জনগণের মধ্যে নতুন আশা সৃষ্টি করেছে।