স্বাধীনতা দিবসে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে
একটি রেলস্টেশনে রুশ বাহিনীর রকেট হামলায় শিশুসহ অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন বলে কিইভের
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা জানান, এদিন ব্যাপক গোলাবর্ষণ করা হয়েছে এবং ওই ক্ষেপণাস্ত্র
হামলায় একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন ধরে যায়।
বুধবার ছিল ইউক্রেইনের ৩১তম স্বাধীনতা
দিবস। এদিন ‘রাশিয়া ঘৃণ্য উস্কানি’ দিতে পারে বলে
আগেই সতর্ক করেছিলেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। হামলার আশঙ্কায় দেশটির
কর্তৃপক্ষ স্বাধীনতা দিবসে গণজমায়েত ও উদযাপন বাতিল করে।
ইউক্রেইনের স্বাধীনতা দিবসেই দেশটিতে রাশিয়ার
হামলার ছয় মাস পূর্ণ হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেইনে রাশিয়ার হামলার মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের
পর থেকে ইউরোপের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া এক ভিডিও
বক্তৃতায় জেলনস্কি জানান, পূর্বাঞ্চলের ছোট শহর চ্যাপলিনে একটি ট্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র
আঘাত হেনেছে।
শহরটি রাশিয়া অধিকৃত দোনেৎস্ক থেকে ১৪৫
কিলোমিটার পশ্চিমে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
পরে সন্ধ্যায় এক ভিডিও বক্তৃতায় জেলনস্কি
বলেন, “আজ আমাদের বেদনা
চ্যাপলিনে। এই পর্যন্ত সেখানে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।”
এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা
মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি। তবে বেসামরিকদের লক্ষ্যস্থল করার কথা অস্বীকার
করে আসছে রাশিয়া।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা অলেক্সি
আরেস্তোভিচ জানিয়েছেন, সাধারণ ছুটির দিনটিতে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী রাজধানী কিইভে হামলা
চালানো এড়িয়ে গিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রের শহর খারকিভ, মাইকোলাইভ, নিকোপল ও নিপ্রোতে গোলাবর্ষণ
করেছে।
টুইটারে দেওয়া এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অ্যান্টনি ব্লিনকেন ‘বেসামরিকদের পদচারণায় মুখরিত’ রেলস্টেশনে রাশিয়ার
হামলার নিন্দা করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেইনের পাশে থাকবে ও রাশিয়ার কর্মকর্তাদের
জবাবদিহিতা চাইবে বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালের এই দিনে সোভিয়েত
ইউনিয়ন ভেঙে বের হয়ে আসে ইউক্রেন। গণভোটে ইউক্রেনের নাগরিকরা স্বাধীনতার পক্ষে রায়
দেন। সেই থেকে ২৪ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালন করে আসছে ইউক্রেন।