আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইউরো অঞ্চলে মূল্যস্ফীতির গতি কিছুটা ধীর

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ইউরো অঞ্চলে মূল্যস্ফীতির গতি কিছুটা ধীর হয়েছে। ইউরো মুদ্রা ব্যবহার করা দেশগুলোয় নভেম্বরে ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) ১০ শতাংশ বেড়েছে। ১৯ দেশের অঞ্চলটিতে অক্টোবরে এ হার রেকর্ড ১০ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর বছরওয়ারি মূল্যস্ফীতির গতি গত মাসে কিছুটা শ্লথ হয়েছে। যদিও তা এখনো দুই অংকের ঘরে রেকর্ডের কাছাকাছি রয়ে গিয়েছে। এ পরিস্থিতি ভোক্তাদের ব্যয় সক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে এবং অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে।

এপির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর থেকেই জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতার কারণে ইউরো অঞ্চলের মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তবে জ্বালানির দাম কিছুটা কমায় মূল্যস্ফীতির চাপও ধীর হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট জানিয়েছে, নভেম্বরে খাদ্য, অ্যালকোহল ও তামাকপণ্যের দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে জ্বালানির দাম বছরওয়ারি ৩৪ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে অক্টোবরে এ হার ছিল ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ।

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম আকাশচুম্বী হয়েছিল। এরই মধ্যে রাশিয়া ইউরোপে গ্যাস সরবরাহে লাগাম টেনেছে। এতে ইউরোপকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যয়বহুল চালানের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার থেকে জাহাজে আসা এ গ্যাস অঞ্চলটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ঘর গরম রাখার কাজে ব্যবহার হচ্ছে। তরলীকৃত এ গ্যাস দিয়ে অঞ্চলটি শীত মোকাবেলা করতে পারলেও সংকটে পড়েছে ইস্পাত ও সারের মতো শিল্পগুলো। উচ্চমূল্যের গ্যাস প্রতিষ্ঠানগুলোকে লোকসানের মুখে ঠেলে দিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অতিরিক্ত জ্বালানি বিল এবং খাদ্যের মতো মৌলিক জিনিসগুলো আরো ব্যয়বহুল হয়ে যাওয়ায় ভোক্তাদের ব্যয় করার সক্ষমতা কমে গিয়েছে। স্বল্পমেয়াদি কেনাকাটার ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম কমলেও আগামী মাসগুলোয় উচ্চ পর্যায়ে থেকে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অর্থাৎ ব্যয়বহুল জ্বালানি ইউরো অঞ্চলের অর্থনীতিকে ক্রমাগত টেনে ধরতে পারে। ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের পূর্বাভাস নিয়ে এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আগামী বছর মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হবে। যদিও তিন মাস আগের সমীক্ষায় ৩ দশমিক ৬ শতাংশের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল।

সম্প্রতি মাংস প্রক্রিয়াকরণ ও সসেজ প্রস্তুতকারকরা ফ্রান্সের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের বাইরে জ্বালানির উচ্চ দাম নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাদের ফেডারেশনের সভাপতি ক্রিশ্চিয়ান নোসাল বলেন, মাংস হিমায়িত করার জন্য জ্বালানির দাম ক্রমবর্ধমান রয়েছে। আমরা এ মূল্যবৃদ্ধি পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারছি না। এমনিতেই জীবনযাত্রার ব্যয় ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে এবং আমরা গুরুতর সমস্যার মধ্যে রয়েছি। আমাদের ভয় হলো, আমরা চলতি বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে অনেক মাংস প্রক্রিয়াজাত কারখানা বন্ধ হতে দেখব। এদিকে এ পরিসংখ্যান ইঙ্গিত দিচ্ছে ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক (ইসিবি) সুদের হার বৃদ্ধি ধীর করতে পারে। অর্থনীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের অর্থনীতিবিদদের মতে, ব্যাংকটি সর্বশেষ দুটি সভায় তিন-চতুর্থাংশীয় পয়েন্ট করে সুদের হার বাড়িয়েছে। তবে ১৫ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে অর্ধ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়ানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে তারা বলেছেন, মূল্যস্ফীতি উচ্চ পর্যায়ে রয়ে যাবে। তবে মূল্যস্ফীতি ধীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুদ্রানীতি কঠোর করার গতিও শ্লথ হবে।

সম্প্রতি ইউরোপীয় সংসদে দেয়া বক্তব্যে ইসিবির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড বলেন, এমন কোনো ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছি না যে আমরা মূল্যস্ফীতির সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গিয়েছি এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি কমতে চলেছে। বরং মূল্যস্ফীতির চাপ আরো বাড়ার ঝুঁকি দেখা যাচ্ছে। এজন্য তিনি আগ্রাসীভাবে সুদের হার বাড়ানো অব্যাহত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: মূল্যস্ফীতি

আরও খবর



সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেটজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়। সোমবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় রাতের মতো অন্ধকার নেমে আসে সিলেট নগরীতে।

স্থায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুহুর্তের মধ্যে সকালেই যেন রাত নেমে আসে। এর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় বজ্রসহ কালবৈশাখী ঝড়। এছাড়া ঝড়ের তাণ্ডবে বিভিন্ন এলাকায় কাচা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়। অনেকের ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এর আগে রোববার (৫ মে) সন্ধ্যার পর থেকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সদর, ৭নং দক্ষিণ বানীগ্রাম, ৮নং ঝিংগাবাড়ি ইউনিয়ন ও ৯নং রাজাগঞ্জ ইউনিয়নে কাল বৈশাখী ঝড়ের সাথে বজ্রবৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এতে প্রচুর গাছপালা ক্ষতি সাধনের পাশাপাশি শিলা বৃষ্টির কারণে ফসলের ও ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। কালবৈশাখী ঝড়ে গাছপালা উপচে পড়ার কারণে কানাইঘাট গাজী বোরহান উদ্দিন সড়কের বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

একইদিন সন্ধ্যায় ৭২ ঘণ্টায় সিলেটসহ সারাদেশে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে সোমবার থেকে বৃষ্টিপাত বেড়ে তাপপ্রবাহ কমার বিষয়ও জানানো হয়।

এ ব্যাপারে কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিলাবৃষ্টিতে গাছপালা ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমার ইউনিয়নের অনেকের ঘরের টিনের চাল উড়ে গিয়েছে। শক্তিশালী ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক লাইনে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক দীলিপ বৈষ্ণব বলেন, গতকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সোমবার সকাল ৬টার পর সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ২৮মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।


আরও খবর



বানিয়ে ফেলুন আমের কাশ্মিরি আচার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

আমের আঁটি শক্ত হয়ে গেলেই বানিয়ে ফেলা যায় দারুণ মজার কাশ্মিরি আচার। সারা বছর সংরক্ষণ করে খাওয়া যায় মিষ্টি স্বাদের এই আচার। জেনে নিন কীভাবে বানাবেন এই আচার।

শক্ত কাঁচা আমের খোসা ছাড়িয়ে ফালি করে কাটুন। ফালি করে কাটা আম লবণ মাখিয়ে রেখে দিন ৩০ মিনিট। আম থেকে টক পানি বের হলে ফেলে দিয়ে আবারও কিছুটা লবণ মেখে রাখুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। চুলায় একটি পাত্রে পরিমাণ মতো পানি বসান। পানি ফুটে উঠলে চিনি দিয়ে দিন স্বাদ মতো। কয়েকটি লবঙ্গ ও এলাচ দিয়ে নাড়ুন। সিরা তৈরি হলে এর মধ্যে পানি ঝরিয়ে রাখা আমের ফালি দিয়ে দিন। জ্বাল দিন আম স্বচ্ছ না হওয়া পর্যন্ত। আম স্বচ্ছ হয়ে গেলে শুকনা মরিচের কুচি, ১ টেবিল চামচ আদা কুচি ও আধা কাপ সিরকা দিন। পছন্দ মতো ঘনত্ব থাকা অবস্থায় নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে সিরা আরেকটি টেনে যাবে। এলাচ ও লবঙ্গ উঠিয়ে কাচের বয়ামে ভরে রাখুন।


আরও খবর



গরমে যে কারণে দই খাওয়া জরুরি

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

অসহ্য গরমে সুস্থ থাকতে খাবার ও পোশাকের প্রতি সবারই বিশেষ নজর থাকে। এ সময় শরীর আর্দ্র ও ঠাণ্ডা রাখা প্রয়োজন। গরমে পানিশূন্যতা একটি বড় সমস্যা। পানিশূন্যতা থেকে ক্লান্তি ও অবসন্ন ভাব হয়। খাদ্য তালিকায় দই রাখলে নিজেকে কিছুটা শিথিল লাগবে। এটি মুড ভালো রাখতেও সাহায্য করে। এ সময় খুব ক্লান্ত লাগলে একটু দই খেয়ে নিন।

এই গরমে দই খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। দইয়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি-১২, জিংক ও ফসফরাস।

শরীর ঠাণ্ডা রাখার পাশাপাশি দইয়ের রয়েছে আরও উপকারী গুণ। দইয়ের কিছু উপকারী গুণ এবং গরমে দই খাওয়া কেন ভালো- এ বিষয়ে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশ হয়েছে একটি প্রতিবেদন।

দইয়ের মধ্যে রয়েছে একধরনের ব্যাকটেরিয়া, যা হজমে সাহায্য করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দই শরীরে বাজে কোলেস্টেরল হওয়া প্রতিরোধ করে হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখে। এটি রক্তচাপকেও ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য করে।

দুধ খেতে ভালো না লাগলে দই খেতে পারেন। এতে দুধের মতোই পুষ্টি থাকে। হাড় ও দাঁতকে ভালো রাখে দই। এটি হাড়ে অসুখ অস্টিওআর্থ্রাইটিস ও অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে কাজ করে। গরমের সময় ডিসেনটির সমস্যা অনেকের হয়। এক কাপ দই খাওয়া ডিসেনটির সমস্যা উপশমে অনেকটাই কাজ করবে।


আরও খবর



ঈদের আগের‌ দিন ফাঁকা বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌ক

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প‌রিবা‌রের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভা‌গি কর‌তে বা‌ড়ি যা‌চ্ছেন মানুষজন। ত‌বে আজ মহাসড়‌কে নেই তেমন কোনো প‌রিবহন। দু্ই-তিন প‌রিবহ‌ন দেখা গে‌লেও ঈদের আগের দিন মহাসড়ক ফাঁকা র‌য়ে‌ছে। ফ‌লে কোনো ভোগা‌ন্তি ছাড়াই স্ব‌স্তি নি‌য়ে বা‌ড়ি যা‌চ্ছেন ঘরমুখো মানুষজন। আজ বুধবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কে এমন চিত্র দেখা‌ গে‌ছে।

দেখা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কের রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও বঙ্গবন্ধু সেতু গোলচত্ত্বর এলাকায় তেমন কোনো প‌রিবহন উত্তরবঙ্গের দি‌কে যে‌তে দেখা যায়‌নি। দুই-‌তিনটা ক‌রে প‌রিবহন গ‌তি‌ নি‌য়ে চলাচল কর‌ছে। এছাড়াও মহাসড়‌কে তেমন কোনো যাত্রীও নেই। ত‌বে কিছু মানুষজন বাস না পে‌য়ে ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রা‌ক ও পিকআপে যা‌চ্ছেন।

জানা যায়, চির‌চেনা এই মহাসড়‌কে প্রতিবছরই ঈদের আগের রা‌তেও ব‌্যাপক মানু‌ষের স্রোত থাকে। ফ‌লে প‌রিবহ‌নের চাপ ছিল মহাসড়‌কে। এতে আইনশৃঙ্খলা বা‌হিনীর সদস‌্যদের মহাসড়‌কের প‌রিবহন চলাচল স্বাভা‌বিক কর‌তে হিমশিম খেত। জেলা পুলিশের নানা পদক্ষেপের কারণে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন মানুষজন।

ত‌বে গতকাল মঙ্গলবার চরম ভোগা‌ন্তি‌তে পড়‌তে হ‌য়ে‌ছিল উত্তরব‌ঙ্গের ঘরমুখো মানু‌ষদের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়‌কেই প্রচণ্ড রো‌দের ম‌ধ্যে যানজ‌টের কব‌লে প‌ড়ে‌ছিল। প‌রে বঙ্গবন্ধু সেতু‌র প‌শ্চিম টোলপ্লাজা বন্ধ রে‌খে সেতু‌তে একমুখী ক‌রে উত্তরব‌ঙ্গের দি‌কে প‌রিবহনগু‌লো ছে‌ড়ে দেওয়ায় টাঙ্গাইলের মহাসড়‌কে প‌রিবহ‌নের চাপ ক‌মে‌ছিল। মঙ্গলবার সকাল থে‌কে বিকেল পর্যন্ত পরপর দুইবার দুই ঘণ্টা ক‌রে প‌শ্চিম টোলপ্লাজায় ঢাকাগামী লেন বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।

মহাসড়কে দায়িত্বরত এক পু‌লিশ সদস্য জা‌নান, বুধবা‌রে ঈদ হ‌বে এই টা‌র্গেটে এবং সব প্রতিষ্ঠান আগেই ছু‌টি হ‌য়ে যাওয়ায় মানুষ আগে থে‌কেই বা‌ড়ি‌তে যাওয়া শুরু ক‌রে‌ছিল। ত‌বে মঙ্গলবার গা‌র্মেন্টসের লোকজনসহ অন‌্যান‌্যরা একসঙ্গে রওনা হওয়ায় মহাসড়কে চাপ বে‌ড়ে‌ছিল। ত‌বে আজ‌কে তেমন মানুষ বা‌ড়ি যাওয়ার নেই। যারা যাওয়ার তারা চ‌লে গে‌ছেন। ফ‌লে মহাসড়‌কে তেমন প‌রিবহন নেই। একদম ফাঁকা মহাসড়ক।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর আশরাফ জানান, মহাসড়‌কে তেমন প‌রিবহন নেই। পরিবহনগু‌লো স্বাভা‌বিক গ‌তি‌তেই চলাচল কর‌ছে। উত্তরবঙ্গগামী মানুষজন স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন। 


আরও খবর



চট্টগ্রামে বস্তিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১১ ইউনিট

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরীর ফিশারিঘাট এলাকার লইট্যার ঘাট বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রামের উপপরিচালক দিনমণি শর্মা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে ওই বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে আমাদের পাঁচটি স্টেশনের ১১টি ইউনিট গিয়ে অগ্নিনির্বাপণে কাজ করছে। আগুন এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

এখন পর্যন্ত আগুনে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলেও তিনি জানান।


আরও খবর