আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইউরোপে যাচ্ছে সাতক্ষীরার হিমসাগর

প্রকাশিত:শনিবার ২২ মে ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সাতক্ষীরা থেকে দিলীপ কুমার দেব

সাতক্ষীরার হিমসাগর আম ইউরোপের বাজারে পাড়ি জমিয়েছে। গোবিন্দভোগ ও গোপালভোগ আমের পর এবার সাতক্ষীরার নামকরা সুমিষ্টি আম হিমসাগর যাচ্ছে লন্ডন ও ইটালিতে। আম চাষীরা এবার ইউরোপের যুক্তরাজ্য ও ইতালি ছাড়াও ফ্রান্স, জার্মানি, পর্তুগালসহ মধ্যপ্রাচ্যর দেশগুলোতে আম রপ্তানি করছেন। ১৪টি বায়ার কোম্পানি এসব আম সংগ্রহ করছে এবং সাতক্ষীরার মেসার্স ইসলাম ট্রেডার্স-এর মাধ্যমে এই আম বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে এক বছর আম বিদেশে রপ্তানি বন্ধ থাকার পর আবারও বিদেশে আম পাঠাতে পেরে বেশ খুশি সাতক্ষীরার আম চাষিরা।


আম চাষ বদলে দিচ্ছে সাতক্ষীরার আম চাষিদের জীবনযাত্রা। ধানের পরিবর্তে সেই জমিতেই আম চাষ করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন কৃষকরা। জেলার এই আম অর্থনীতির চাকা বদলে দিয়েছে। সারাদেশে সাতক্ষীরা জেলার হিমসাগর আমের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে যাচ্ছে সাতক্ষীরার আম। এবছর আম মৌসুমে বড় ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে না পড়ায় আম চাষে লাভের মুখ দেখছে চাষিরা। কৃষক, দিনমজুর থেকে অনেকেই হয়েছেন আমচাষী। প্রতি বছরই বাড়ছে আম চাষের পরিধি। তবে যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে আমের পরিবহণ খরচ বেশি পড়ায় আমের প্রকৃত মূল্য পাচ্ছে না চাষিরা। রাজশাহী থেকে ঢাকা পৌঁছাতে কেজি প্রতি আমের খরচ পড়ছে মাত্র এক টাকা ১৭ পয়সা। সেখানে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকা পৌঁছাতে আমের কেজি প্রতি খরচ পড়ছে ১২ টাকা থেকে ১৫ টাকা। এরপরও গতকাল শুক্রবার থেকে ইউরোপের পথে সাতক্ষীরার আম। এদিকে দ্বিতীয় দফায় দেশের গন্ডি পেরিয়ে ইউরোপে যাচ্ছে সাতক্ষীরার আম। ৫ হাজার কেজি হিমসাগর আম ইতালি, ফ্রান্স ও লন্ডনে রফতানির জন্য সাতক্ষীরা থেকে যাত্রা শুরুর মাধ্যমে এ মৌসুমে এই সাতক্ষীরা থেকে আম রফতানি শুরু হলো। আম চাষিরা বলছেন, বিদেশে আম পাঠাতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি।


সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, আগের দুই বছর প্রথমবার যে দামে আম রফতানি হয়েছিল, এবার তার চেয়ে অনেক বেশি আম রফতানি হচ্ছে সাতক্ষীরা থেকে। শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাধবকাটি ছয়ঘরিয়া গ্রামের কৃষক মোঃ হাফিজুর রহমানের আম বাগান থেকে সরকারি নিয়ম মেনে ৫ মেট্রিক টন হিমসাগর আম পাঠানো হয়েছে। রফতানি কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল। এসয় তাঁকে সহযোগিতা করেন সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ নূরুল ইসলাম। সাতক্ষীরার মেসার্স ইসলাম ট্রেডার্স-এর মাধ্যমে এই আম বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। ১৪টি বায়ার কোম্পানি জেলার প্রান্তিক পর্যায় থেকে এসব আম সংগ্রহ করছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রপ্তানিকৃত আমের জন্য সাড়ে ৩শ চাষীকে আলাদা প্রশিক্ষণ দিয়েছে। রপ্তানিকারকরা ন্যায্য মুল্যে আম ক্রয় করে সকল প্রস্তুতি শেষে বিদেশে পাঠাচ্ছে। ফলে চাষী ও ব্যবসায়ী উভয় লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দেশে রেমিটেন্স আসবে বলে জানায় সাতক্ষীরা কৃষি অধিদপ্তর।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এর আগে সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও এফএও এর যৌথ কারিগরী সহায়তায় গত ৯ মে জার্মানীতে রপ্তানীর উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা ছাড়ে এক হাজার কেজি গোবিন্দভোগ ও গোপালভোগ জাতের আম। সাতক্ষীরার মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে হওয়ায় অন্যান্য স্থানের তুলনায় আগেই বাজারজাত করা যায় সাতক্ষীরার আম। আমের স্বাদও বেশ ভালো। এসব কারণে ২০১৪ সাল থেকে সাতক্ষীরার আম রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপের ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইতালি ও পর্তুগালে। গত মৌসুমে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে রপ্তানি বিঘ্নিত হলেও কৃষি বিভাগের প্রচেষ্টায় এবং বেসরকারি সংস্থা উত্তরণ ও সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়ার সফল প্রকল্পের সহযোগিতায় চলতি মৌসুমে ৮ মে থেকে গোবিন্দভোগ ও গোপালভোগ জাতের আম পাঠানোর মাধ্যমে বিদেশে আম রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়। এদিকে নির্ধারিত সময়ের আগেই অপরিপক্ক হিমসাগর আম বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ২১ মে থেকে সরকারী ভাবে হিমসাগর আম পাড়ার কথা থাকলেও গত ১৫ দিন ধরে সাতক্ষীরার বাজারে দেদারসে হিমসাগর আম বিক্রি হচ্ছে। এসব অপরিপক্ক আমের রং বাড়াতে ক্ষতিকর রাসায়নিক (ক্যামিকেল) মিশিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে পাঠাচ্ছে মুনাফালোভী আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন আম চাষী ও আড়তদারদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বাজার মনিটরিং কমিটিও নিয়মিত তদারকি করলেও আম বাগান বা গাছ তলায় কোন তদারকি না থাকায় আমে ক্যামিকেল মেশানো সহজ কাজ বলে মনে করেন আম চাষীরাও। বেশী লাভের আশায় অনেক আম চাষী অপরিপক্ক আম পেড়ে রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে তা বাজারে বিক্রি করছে। গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে তথ্যানুন্ধানে এসব জানা গেছে।


ব্যবসায়িরা জানান, ক্ষতিকর ক্যামিকেল মেশানো আম সাতক্ষীরার বাজারে বিক্রি হয় না। বাজারে বর্তমানে আমের ভিতরে ৫০ ভাগ কাঁচা ও ৫০ ভাগ পাকা দেখেই পাইকাররা আম কিনে থাকে। ক্রয় করা আম ট্রাকে লোড দিয়ে ঢাকা বা তার বাইরে যেতে ৩/৪ দিন সময় লাগবে। ট্রাক থেকে তিন চার দিন পর আম আনলোড করার পর আমটি সম্পূর্ন পেকে যাবে। এ অবস্থায় আমে ক্ষতিকর কেমিকেল মেশানোর প্রয়োজনই নেই। তারা আরও জানান, বাজারে বর্তমানে প্রতি মন হিমসাগর আম ১৪ থেকে দুই হাজার টাকা, গোবিন্দভোগ ১৬ থেকে ১৮শ টাকায়, গোপালভোগ ১৪ থেকে ১৬শ টাকায় ও আটিগুটি সাত থেকে আটশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আমচাষীরা জানান, আম বেচাকেনার জন্য সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে পাইকারি হাটবাজার ও আড়ত। আমের মৌসুমে ওই আম বাজারের আড়তে স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আমগাছের আম বেচাকেনা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকররা এখানে এসে ট্রাক ট্রাক আম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার স্থানীয়দের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকার আম ব্যবসায়ী অনেকে কয়েক মাস আগে থেকেই এখানে এসে গাছ দেখে অগ্রিম আমসহ গাছ কিনে নেন। অনেকে এখন একেকটি আম গাছ কয়েক বছরের জন্য কিনে নেন, যা ফলন হবে সেটার জন্য। ওই সকল আম গাছের পরিচর্যা, দেখভাল, আমভাঙা, বাজারজাতকরণ, বেচাকেনাসহ সার্বিক এই আমকে ঘিরে তৈরি হয়েছে অনেকের কর্মসংস্থান।

কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, বাইরে থেকে যারা আম কিনতে আসবেন, তাদেরকে কমপক্ষে তিন দিন কোয়ারিন্টিনে থাকতে হয়। এছাড়া আম চাষিদের সুবিধার্থে ২১ মে হিমসাগর, ২৭ মে ল্যাংড়া, ৪ জুন আম্রপালি ভাঙার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, আমের মৈৗসুমের শুরু থেকে মাঝামাঝি পর্যন্ত কলারোয়ায় ঝড়-বৃষ্টি হয়নি। তবে তাপদাহে আম কিছুদিন আগে থেকে পরিপক্ক হয়েছে। তাই আমভাঙার দিন ও তারিখও এগিয়ে আনা হয়েছে।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, এবার সাতক্ষীরা জেলায় ৪ হাজর ১শ হেক্টর জমিতে ৪০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন জাতের ৫০০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রফতানি করা হবে।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহযোগিতায় সফল প্রল্পের মাধ্যমে সাতক্ষীরা অঞ্চল থেকে নিরাপদ স্বাস্থ্যসম্মত আম রফতানি হচ্ছে। আশা করছি এই আম রফতানি ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



সদকাতুল ফিতর কখন কার ওপর ওয়াজিব

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

পবিত্র রমজানের ইবাদতের মধ্যে সদকাতুল ফিতর আদায় করা অন্যতম একটি ইবাদত। রমজানের সিয়াম সাধনা শেষে আসে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের আনন্দ ধনী-গরিব সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং এ আনন্দে যেন মুসলিম জাতির প্রতিটি সদস্য শরিক হতে পারে এ জন্য ওয়াজিব করা হয়েছে সদকাতুল ফিতর। রমজানের রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিপূর্ণতার জন্যই আবশ্যক করা হয়েছে এটি।

ইমাম ওয়াকি ইবনুল জাররাহ বলেন, রমজান মাসের জাকাতুল ফিতর নামাজের সিজদায়ে সাহুর সমতুল্য। অর্থাৎ নামাজে ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে যেমন সিজদায়ে সাহু দিলে এটা পূর্ণ হয়ে যায় তেমনি রোজার মধ্যে ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে সাদকাতুল ফিতর দিয়ে এর প্রতিকার হয়। তাছাড়া ধনী-গরিব উভয়ে যেন অন্তত ঈদের দিন উত্তম পোশাক ও উন্নতমানের খাবার খেতে পারে এ জন্যই ফিতরার ব্যবস্থা।

ফিতরার নিসাব

যার মালিকানায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও ঋণ  ছাড়া সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা কিংবা এর সমমূল্য কোন সম্পদ বা টাকা থাকে, তাহলে তার ওপর সদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব।

সদকাতুল ফিতর উত্তম হলো ঈদের নামাজের আগে আদায় করে দেয়া। কেননা রাসুল (সা.) ঈদগাহে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।

জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত এমন অভাবী লোকদের সদকাতুল ফিতর দিতে হবে। একজন দরিদ্র মানুষকে একাধিক ফিতর দেওয়া যেমন জায়েজ, তেমনি একটি ফিতরা বণ্টন করে একাধিক মানুষকে দেয়াও জায়েজ।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন-রাসুলুল্লাহ (সা.) সদকাতুল ফিতর আদায় করাকে আবশ্যক করেছেন। এর পরিমাণ হলো, এক সা যব বা এক সা খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপরই এটা আবশ্যক। (বোখারি :  ১৫১২)।

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রোজা পালনকারীর জন্য সদকাতুল ফিতর আদায় অপরিহার্য করে দিয়েছেন, যা রোজা পালনকারীর অনর্থক, অশ্লীল কথা ও কাজ পরিশুদ্ধকারী এবং অভাবী মানুষের জন্য আহারের ব্যবস্থা। যে ব্যক্তি ঈদের সালাতের আগে এটা আদায় করবে, তা সদকাতুল ফিতর হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে। আর যে ঈদের সালাতের পর আদায় করবে তা অপরাপর (নফল) সদকা হিসেবে গৃহীত হবে। (আবু দাউদ : ১৬০৯)।

হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য, যব, বা খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির বা কিশমিশ দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করতাম ৷ (বোখারি : ১৫০৬)।

হাদিস শরিফে এ পাঁচটি দ্রব্যের যে কোনো একটি দ্বারা সদকায়ে ফিতর আদায়ের সুযোগ দেয়া হয়েছে ৷ যেন প্রত্যেকে নিজ নিজ সামর্থ্যানুযায়ী আদায় করতে পারে তবে সবার জন্য সবচেয়ে কম দামের দ্রব্য দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করা অনুচিত; বরং যে ব্যক্তি খেজুর, কিশমিশ দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করার সামর্থ রাখে, সে তা দিয়েই আদায় করবে ৷

সদকায়ে ফিতর যাদের উপর ওয়াজিব

ঈদের দিন সুবহে সাদেকের সময় যার কাছে যাকাত ওয়াজিব হওয়া পরিমাণ অর্থাৎ অত্যাবশ্যকীয় আসবাব সামগ্রী ব্যবহার্য দ্রব্যাদি, বাসগৃহ ইত্যাদি বাদ দিয়ে সাড়ে ৫২ তোলা রূপা বা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ অথবা সমমূল্য পরিমান সম্পদ থাকে, তাহলে তার উপর সদকায়ে ফিতর আদায় করা ওয়াজিব।

ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের সময় এ পরিমাণ মালের মালিক থাকলে, তার উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হবে। যে শিশু-সন্তানটি ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের পূর্বে ভূমিষ্ট হবে, তার ফিতরাও আদায় করতে হবে।

অর্থাৎ পরিবারের যতজন সদস্য ততটি ফিতরা হিসেবে) সকলের ফিতরা আদায় করতে হবে। প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী তার নিজের পক্ষ থেকে এবং নাবালেগ সন্তানের পক্ষ থেকে সদাকাতুল ফিতর আদায় করবেন।

সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ

ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) সদকাতুল ফিতর আবশ্যক করেছেন। এর পরিমাণ হলো, এক সা যব বা এক সা খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপরই এটা আবশ্যক। (বোখারি  : ১৫১২)।

ইবনে আব্বাস (রা.) একবার রমজানের শেষ দিকে বসরায় খুতবা প্রদান করেন। সেখানে তিনি বলেন, তোমাদের রোজার সদকা আদায় করো। লোকেরা যেন ব্যাপারটা বুঝতে পারে নি।

তখন ইবনে আব্বাস (রা.) বললেন, এখানে মদিনার কে আছে দাঁড়াও। তোমাদের ভাইদেরকে বলো, তারা তো জানে না। বলো যে, রাসূল (সা.) এই সদকা আবশ্যক করেছেন। এক সা খেজুর বা যব অথবা আধা সা গম প্রত্যেক স্বাধীন-দাস, পুরুষ-নারী, ছোট-বড় সবার ওপর ওয়াজিব।  (আবু দাউদ: ১৬২২)।

যারা জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত এমন অভাবী লোকদের সদকাতুল ফিতর প্রদান করতে হবে। জাকাতের জন্য সম্পদের বর্ষপূর্তি শর্ত হলেও ফিতরায় এ শর্ত নেই। নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নিজের পক্ষ থেকে, নিজের প্রাপ্ত এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদের পক্ষ থেকে এবং নিজের সেবক-সেবিকাদের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করতে হবে। সন্তান বা অধীনস্থরা অমুসলিম হলেও তাদের ফিতরা আদায় করা আবশ্যক।

গম বা আটা, যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনির- এ পাঁচটি জিনিস বা তার মূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা যায়। সামর্থ্যানুসারে সবার উচিত উৎকৃষ্ট জিনিস সদকা করা। রাসূল (সা.)-এর সময়ে সামর্থ্যানুযায়ী সবাই উত্তম পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতেন।

সর্বোত্তম দান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, দাতার কাছে যা সর্বোৎকৃষ্ট এবং যার মূল্যমান সবচেয়ে বেশি। (বোখারি : ১৯৭৪)।

এ বছরের সদকাতুল ফিতরের নির্ধারিত পরিমাণ‌

ইসলামী ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ' এর অনুকরণে নিম্নে এবছরের (১৪৪৫ হিজরী/২০২৪ইং) এর সদকাতুল ফিতরের বাজার মূল্য তুলে ধরা হলো:

১. উন্নতমানের আটা বা গমের ক্ষেত্রে ফিতরা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা) বা এর বাজার মূল্য ১১৫ টাকা।

২. যবের ক্ষেত্রে (এক সা) ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৪০০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।

৩. খেজুরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ৪৭৫ টাকা

৪. কিসমিসের ক্ষেত্রে  ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিসমিস বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ১৪৫ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে।

৫. পনিরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৭০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে হবে।

ফিতরা আদায়ের ক্ষেত্রে আমরা অদ্ভুত মানসিকতার পরিচয় দেই। আমাদের দেশে সাধারণত সর্বনিম্ন পরিমাণ অর্ধ সা গম এর মূল্য হিসেবে জনপ্রতি ১০০ টাকা হিসেবে সবাই আদায় করতে চান।

কোটিপতি হতে মধ্যবর্তী সবাই সর্বনিম্ন টাকা দিয়েই দায়মুক্ত হতে চান। সবচেয়ে কম মূল্যের গমের হিসাবে সবাই সাদকা করার প্রবণতা খুব বেশি। বিষয়টি রাসূল (সা.)-এর শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।  বরং এটা তো সর্বনিম্ন সম্পদের মালিকের জন্য চলে, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা যাদেরকে তাওফিক দিয়েছেন, তাদের অন্যান্য দ্রব্য দিয়ে সর্বোচ্চ সদকায়ে ফিতর আদায় করা উচিত। তাই সামর্থ্যানুযায়ী বেশি মূল্যের পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায়ের চেষ্টা করতে হবে।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




ব্যাংক ডাকাতিতে ব্যবহৃত গাড়িসহ কেএনএফের ৪ সদস্য গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের থানচিতে ব্যাংক ডাকাতিতে ব্যবহৃত জিপগাড়িসহ পৃথক অভিযানে কেএনএফের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে রুমা-থানচিতে কেএনএফ তাণ্ডবের ঘটনায় আটটি মামলায় সেনাবাহিনী-র‌্যাব-পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হলো।

সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, গতকাল রোববার রাতে থানচি থেকে একজন এবং রুমা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে সদরের স্যারণপাড়া থেকে কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী-র‌্যাব-পুলিশের পৃথক অভিযানে এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে কেএনএফ তাণ্ডবের ঘটনায় বান্দরবান জেলাজুড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের সাঁজোয়া যানসহ বিভিন্ন ধরনের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি উপজেলায় ব্যাংক বন্ধ থাকায় বান্দরবান জেলা সদরে সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় গ্রাহকের দীর্ঘলাইন। বেড়েছে ভোগান্তিও।

প্রসঙ্গত, গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা এবং থানচিতে ব্যাংক লুট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করেছিল কেএনএফ। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত রুমায় চারটি ও থানচিতে চারটি মামলা করা হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



‘আমার পিতা দেশ ছেড়ে পালাননি, আমিও পালাবো না’

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ উল্লেখ করে সবসময় তাদের পাশে থাকার কথা বলেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নিজ এলাকা আনোয়ারায় টানেল-মুখ সড়কে ঈদ পুনর্মিলনী ও বর্ষবরণ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার পর তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে এসেছিলেন। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দলের হাল ধরেছিলেন। শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। আমিও বলবো, তৃণমূল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ।

প্রয়াত প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান খান কায়সারের মেয়ে ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, আমরা পিতা কখনও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। আমিও পালাবো না। আমি ১০ বছর এমপি ছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে আবারও এমপি করেছেন, অর্থ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন। আনোয়ারায় রাস্তা করলে রাস্তা কেটে দিতো, নামফলক ভেঙে দিতো।

ভদ্রতাকে দুর্বলতা মনে না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আমাদের শিখিয়েছেন উন্নয়নের রাজনীতি। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেশের জনগণের তদারক করার অধিকার আছে। প্রতিটি কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কি না, সেটা অবশ্যই জনগণ পাহারা দেবে। জনগণকে বলবো, কাজে ফাঁকিবাজি করতে দেবেন না। সরকারের অর্থ আপনাদেরও অর্থ। নিজেকে দুর্বল ভাববেন না। ভদ্রতাকে কেউ দুর্বলতা ভাববেন না। নিজেদের মধ্যে কোন্দল থাকলে দুষ্টুরা সুযোগ নেয়। সে সুযোগ দেবেন না।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্রনেতা জিয়াউদ্দিন বাবলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, দক্ষিণের সহ সভাপতি শাহজাদা মহিউদ্দিন, বিএমএর চট্টগ্রামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন মাহমুদ, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক, জেলা পরিষদের সদস্য ইসলাম আহমেদ।


আরও খবর



দুই জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের দুই জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এর আগে বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এদিকে যশোর, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।

দেশের পশ্চিমাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর