আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইউরোপের গ্যাস আতঙ্ক

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আপনি যদি গত কয়েকদিন ভূমধ্যসাগরের কোনো সৈকতে অথবা বার্লিন, লন্ডন, রোমের উত্তপ্ত রাস্তায় ঘোরেন, তাহলে সবশেষ যে বিষয়টি মাথায় আসার কথা তা হলো- ঠান্ডা আবহাওয়া। তবে ভুল করবেন না- শীত আসছে। আর তা ইউরোপীয়দের জন্য মারাত্মক ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে কেবল জ্বালানি সংকটের কারণে। গত কয়েক দশকে বেশ কয়েকটি বিপর্যয় ইউরোপকে প্রায় ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল, যার মধ্যে ২০১০-এর দশকের শুরুতে ইউরো সংকট ও ২০১৫ সালের অভিবাসী সংকট উল্লেখযোগ্য। এর সঙ্গে যোগ হতে পারে ২০২২ সালের শীতকালীন জ্বালানি সংকট। এতে আরও একবার চরম পরীক্ষা দিতে হবে ইউরোপের ঐক্যকে।

বেশিরভাগ ইউরোপীয় এই গ্যাস্টাস্ট্রোফি চোখে দেখতে পারবেন না। তবে বাজারগুলোতে সতর্ক সংকেত এরই মধ্যে লাল হতে শুরু করেছে। আসন্ন শীতে সরবরাহের জন্য প্রতি মেগাওয়াট/ঘণ্টা গ্যাসের দাম ১৮২ ইউরোতে পৌঁছেছে, যা গত মার্চের শুরুর দিকের তুলনায় প্রায় সমান এবং তাদের দীর্ঘমেয়াদি মাত্রার প্রায় সাতগুণ বেশি। ফ্রান্স-জার্মানির সরকার এরই মধ্যে ইউলিটিগুলোর জন্য অর্থনৈতিক প্রণোদনার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। রেশনিং ব্যবস্থা চালু হলে সবার আগে কোন শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো ধাক্কা খাবে, তা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন বিনিয়োগকারীরা। এমনকি যুদ্ধ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে পরিচিত জ্বালানি ব্যবসায়ীরাও এখন উদ্বিগ্ন।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর পর থেকেই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে গুরুতর জ্বালানি সংকট। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ও রাশিয়ার ব্লাকমেইলে হুমকির মুখে পড়েছে ইউরোপের গ্যাস সরবরাহ। এ মহাদেশের জ্বালানি চাহিদার এক-চতুর্থাংশ পূরণ হয় গ্যাস দিয়ে, যার এক-তৃতীয়াংশ সরবরাহ করে রাশিয়া। জার্মানির মতো কিছু দেশে এর হার আরও বেশি। তেল-কয়লার বাণিজ্য যেমন বৈশ্বিক ও সহজ, গ্যাসের ক্ষেত্রে তেমনটি নয়। এটি হয় পাইপ দিয়ে অথবা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আকারে পরিবহন করতে হয়। তাতে যেসব স্থাপনার দরকার হয়, সেগুলো তৈরি বা পুনর্সজ্জিত করতে কয়েক বছর লেগে যায়। ভ্লাদিমির পুতিন এগুলো ভালোভাবেই জানেন। তাছাড়া গ্যাস এমন একটি বাজার, যেখানে সুবিধাজনক অবস্থান রাশিয়ারই।

তেল রপ্তানি করতে না পারলে রুশ অর্থনীতি ভেঙে পড়তে পারে। পাঁচ বছর ধরে দেশটির জিডিপিতে প্রায় ১০ শতাংশ অবদান রাখছে তেল। তবে তাদের গ্যাসের বাজার অত বড় নয়, জিডিপিতে এর অবদান মাত্র দুই-শতাংশের মতো। অর্থাৎ গ্যাস রপ্তানি না করেও টিকে থাকতে পারবে রাশিয়া। এ কারণেই পুতিন হয়তো ভাবছেন, পাইপলাইনের ট্যাপ বন্ধ করলে নিজেদের যতটা ক্ষতি হবে, তার চেয়ে বেশি আঘাত দিতে পারবেন ইউরোপকে।

আমেরিকা ও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্ত থেকে এলএনজির অতিরিক্ত চালান পাওয়ায় কয়েক সপ্তাহ আগে মনে হচ্ছিল, ইউরোপ হয়তো বড় সংকট এড়াতে চলেছে। তবে সেই পরিস্থিতি হঠাৎ আবারও খারাপ হচ্ছে। এর পেছনে নরওয়ের একটি গ্যাসফিল্ডের সমস্যা ও উত্তপ্ত আবহাওয়াকে আংশিক দায়ী করা যায়। তবে বড় কারণ- রাশিয়ার গ্যাজপ্রম ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া। স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে এর হার অর্ধেক ছিল আগে থেকেই, এখন তা আরও কমে গেছে। রাশিয়া বলছে, গত ১১ জুলাই থেকে নর্ড স্ট্রিম ১ পাইপলাইনের সংস্কারকাজ চলছে আর তা শেষ হবে ২২ জুলাই। তবে দেশটি বিকল্প পাইপলাইনগুলো দিয়ে সরবরাহ বাড়িয়ে ক্ষতি পূরণের কোনো চেষ্টাই করেনি। এ কারণে ব্যবসায়ীদের ধারণা, পুতিন ইচ্ছা করেই ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন।

ইউরোপীয় ভোক্তাদের ওপর কী বিপদ ঘনিয়ে আসছে সে বিষয়ে তাদের ধারণা হয়তো খুব কম। এই মুহূর্তে তাদের অনেকেই মূল্যসীমা, ভতুর্কি, দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির সুবিধা ভোগ করছেন। সাধারণ জার্মানরা গ্যাসের জন্য বাজারমূল্যের মাত্র ৭০ শতাংশ দাম দিয়ে থাকেন। সমস্যায় রয়েছেন শিল্পগ্রাহকরাও। ইউবিএস ব্যাংকের মতে, রুশ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে গোটা ইউরো জোনের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৪ শতাংশ পয়েন্ট কমে যেতে পারে এবং মূল্যস্ফীতি ২ দশমিক ৭ শতাংশ পয়েন্ট বেড়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে জার্মানির অবস্থা হবে আরও খারাপ।

২০২০ সালে করোনাভাইরাসের ধাক্কায় ইউরোপের জিডিপি ছয় শতাংশ কমে গিয়েছিল। তবে জ্বালানি হুমকি আরও ভয়ংকর। গ্যাসের ঘাটতিতে বেগার দাই নেইবর (আপন স্বার্থরক্ষায় এমন পদক্ষেপ নেওয়া যাতে প্রতিবেশী দেশের ক্ষতি হতে পারে) আচরণ শুরু হতে পারে। কেউ কেউ নিজস্ব মজুত বাড়াতে অন্য দেশগুলোতে সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গ্যাসের খুচরা দামের ভিন্নতার কারণে একক বাজার ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। তাদের সরকারি দেনা এখনই যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। একটি মূল্যস্ফীতিসম্পর্কিত ধাক্কা খেলাপি হওয়ার ভয়, এমনকি ইতালীয় ঋণ সংকটের আশঙ্কাও বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা গোটা ইউরো অঞ্চলকে হুমকির মুখে ফেলে দেবে।

এসব কারণে ইউরোপীয় সরকারগুলোকে এখনই জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। টিকার মতো গ্যাসের জন্যেও জাতীয় বিভাগ গঠন করতে হবে। আগামী ২৬ জুলাই জরুরি শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্য একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে ইউরোপীয় কমিশন। গ্যাস বাণিজ্যের পরিপ্রেক্ষিতে এ পরিকল্পনায় ব্রিটেন ও নরওয়েকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। সরবরাহ সর্বাধিক হওয়া দরকার, এ জন্য নেদারল্যান্ডসকে তার গ্রোনিংজেন গ্যাসফিল্ড আগামী বছর বন্ধ করার পরিকল্পনা স্থগিত করতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: ইউরোপ

আরও খবর



ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজও ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে ১৫৬ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শহরটির অবস্থান নবম।

পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ২০৬, ১৯১ ও ১৭৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।

১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।


আরও খবর



পিনাকীসহ দু’জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য ও ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মফিজুর রহমান আশিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগ।

একই সঙ্গে সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ না পাওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপপ্রেস সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারীকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করে সম্প্রতি এ প্রতিবেদন দাখিল করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিটিটিসির উপপরিদর্শক মোহাম্মদ রাহাত হোসেন। আজ রবিবার প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি জানা গেছে।

রাজধানীর রমনা মডেল থানার এ মামলার প্রতিবেদনে পিনাকী ভট্টাচার্য পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বদলি করা হয়েছে।

২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় পিনাকী ভট্টাচার্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগের উপপরিদর্শক এম আব্দুল্লাহিল মারুফ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় মফিজুর রহমান ও মুশফিকুল ফজল আনসারীকে আসামি করা হয়।

মামলায় বলা হয়, ২০২২ সালের ১৪ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্ট কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের নজরে আসে। ওই পোস্টে পুলিশ সদস্যদের সম্পর্কে বিকৃত তথ্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরে ১৫ অক্টোবর পল্লবীর বাসা থেকে মফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পুলিশ মফিজুরের দুটি মুঠোফোন জব্দ করে।

মামলা বলা হয়, আসামি মফিজুর রহমান ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এই তালিকায় আছেন পিনাকী ভট্টাচার্য ও মুশফিকুল ফজল আনসারী। মিরপুরে পুলিশ বাহিনীর একটি অভিযানের ঘটনাকে বিকৃতভাবে প্রচার করা হয়। সেই তথ্য ও ছবি পাঠানো হয় পিনাকী ভট্টাচার্যের ফেসবুক মেসেঞ্জারে। আলামত হিসেবে নাগরিক টিভি ও আমার দেশ পত্রিকার অনলাইনের একটি করে প্রতিবেদন এবং মুশফিকুল ফজল আনসারীর ফেসবুক মেসেঞ্জারে পিনাকী ভট্টাচার্যের কাছে পাঠানো কয়েকটি ছবি ও কথোপকথন তুলে ধরা হয়েছে। সেখানকার আলাপচারিতায় মুশফিকুলকে পিনাকীর কাছে বইয়ের তালিকা চাইতে দেখা গেছে।

মামলায় বলা হয়, মফিজুর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য প্রচার করেছেন। পরে সেই তথ্য তিনি বিদেশে অবস্থানরত পিনাকী ভট্টাচার্য, মুশফিকুল ফজল আনসারীসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে পাঠিয়েছেন। পরে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে। মফিজুর রহমানসহ অন্যরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এর মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার আশঙ্কা হয়।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, মফিজুর রহমানের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালীর খুদুখখালী গ্রামে। চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনা করা পিনাকী ভট্টাচার্য একটি ওষুধ কোম্পানি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কয়েক বছর ধরে তিনি বিদেশে অবস্থান করছেন। পিনাকী ভট্টাচার্য নানা বিষয়ে সরকারের সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে থাকেন। সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ফ্রান্সের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে পিনাকী ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। তাতে তিনি বলেছিলেন, পিনাকী ভট্টাচার্য বিদেশে অবস্থান করে সরকার, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছেন।


আরও খবর



শেরপুরে ৬টি গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে শেরপুরের ৬টি গ্রামে আগাম ঈদুল ফিতর পালিত হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) এইসব গ্রামে আগাম ঈদুল ফিতরের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।

গ্রামগুলো হলো শেরপুর সদর উপজেলার উত্তর চরখারচর ও দক্ষিণ চরখারচর, নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া ও গোবিন্দনগর ছয়আনি পাড়া, নকলা উপজেলার চরকৈয়া এবং ঝিনাইগাতী উপজেলার বনগাঁও চতল। তবে স্থানীয় লোকজন ছাড়াও জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকেও মুসল্লীরা ওইসব গ্রামে ঈদের নামাজ আদায় করতে যান। প্রতি বছর সদর উপজেলার বামনেচর গ্রামে আগাম ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হলেও এবার সেখানকার বেশ কিছু মুসল্লী নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করেছেন বলে জানা গেছে।

বুধবার সকাল ৭টা থেকে ১০টার মধ্যে এসব গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রত্যেকটি জামায়াতে দুইশ থেকে আড়াই'শ জন মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন। এসব জামায়াতে পুরুষ মুসুল্লীদের পাশাপাশি নারী মুসল্লীরাও পর্দার ভিতরে নামাজে অংশ নেন।

জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর ধরে শেরপুরের এসব এলাকায় সৌদির সাথে মিল রেখে একদিন আগেই পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করে থাকে। মুসুল্লীদের সংখ্যাও ধীর গতিতে বেড়ে চলছে বলে জানান এলাকাবাসী।


আরও খবর



বাংলাদেশের হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দফার ভোট শেষ হয়েছে। এবার সবার নজরে দ্বিতীয় দফার ভোট। আর তার আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রচার প্রচারণার জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ এসেছিলেন পশ্চিম বঙ্গে।

এদিন রাজ্যের বিভিন্ন স্থান চষিয়ে বেরোনোর পর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে এক সভাতে ভাষণ দেন অমিত শাহ। ভাষণে উঠে আসে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া শরণার্থীদের নাগরিকত্ব বিষয়টি।

দিনাজপুরের ভাষণে অমিত শাহ এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করেন।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবার আমরা এই বাংলা থেকে কাটমানির কালচার বন্ধ করে দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়বো। সিএএ কার্যকর হবে। সিএএ ও এনআরসি বন্ধ করতে পারবে না মমতাদি।’

অমিত শাহ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে চাইছেন না। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে চাইছেন না। আমি কথা দিচ্ছি, সব হিন্দু শরণার্থীরা নাগরিকত্ব পাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।’

সামনেই লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা। ভোটের প্রচারে এসে ফের টার্গেটের কথা শোনালেন তিনি। পশ্চিম বঙ্গে বিজেপির লক্ষ্যমাত্রা ৪২টি সিটের মধ্যে তিরিশটির বেশি আসন জয়।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মোদিজি সারাদেশের গরিব মানুষের জন্য কাজ করেছেন। ১২ কোটির বেশি শৌচালয় বানানো হয়েছে। ৪ কোটির বেশি মানুষ নিজের বাড়ি পেয়েছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় প্রকল্প এখানে আসতে দেন না।’

পশ্চিম বাংলার মা-বোনরা বিজেপির হাতে সুরক্ষিত থাকবেন বলে আশা করেন অমিত শাহ। দুর্নীতি ইস্যুতেও ফের একবার শাহের মুখে পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গ। বলেন, তৃণমূলের এক মন্ত্রীর বাড়ি থেকে ৫১ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। তৃণমূলের যে নেতারা দশ বছর আগে ঝুপড়ি থাকত, সাইকেলে ঘুরত, তাদের এখন চারতলা বাড়ি।’

শেষে পশ্চিম বাংলার মানুষের কাছে চাইলেন ভোটের প্রতিশ্রুতি। এদিকে ঠিক একদিন আগেই করণদিঘিতে সভা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও খবর



বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় শুরু মহা-সাংগ্রাই উৎসব

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বর্ষবরণকে ঘিরে এখন বর্ণিল সাজে পাহাড়ি জনপদ বান্দরবান। পাহাড়ে তিন সম্প্রদায়ের বড় সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই। জেলায় বসবাসরত ১২টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের প্রায় প্রতিটি ঘরে এখন উৎসবমূখর পরিবেশ। এর মধ্যে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসব শুরু হয়েছে আজ।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান শহরের ঐহিত্যবাহী রাজারমাঠ এলাকা থেকে একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গলশোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে পাহাড়ি সম্প্রদায়গুলোর ঐতিহ্যবাহী পোশাকে শোভাযাত্রায় অংশ নেন মারমা, চাকমা, ম্রো, ত্রিপুরাসহ ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্টি সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষসহ বাঙালিরাও। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী ও ৩০০ নং আসনের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসি।

এ সময় তিনি সকলকে বাংলা নববর্ষ ও সাংগ্রাই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বান্দরবানে সম্প্রীতি, বন্ধুত্ব সব কিছুই আছে। তাই পরিবেশ এর প্রশ্ন তোলার কোনো প্রয়োজন নেই।

শান্তি সম্প্রীতির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বান্দরবানবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-নেতৃত্বের কারণেই আজকে পার্বত্য অঞ্চলে সুখ, সমৃদ্ধি, শান্তি বজায় রয়েছে। আগামীতে সকল দল মতের মানুষ শান্তিতে এগিয়ে যাবে।

পরে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে গিয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বয়স্ক পূজার মধ্য দিয়ে সমাজের প্রবীণ ব্যক্তিদের সন্মান জানানো হয়।

আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে সাঙ্গু নদীর তীরে বৌদ্ধমূর্তি স্নান এবং সোম ও মঙ্গলবার স্থানীয় রাজার মাঠে সাংগ্রাইয়ের অন্যতম আকর্ষণ ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা পানি খেলা উৎসবে হাজারো মানুষের সমাগম ঘটবে। পারস্পরিক মৈত্রীর বন্ধন অটুট রাখা এবং পুরাতন বছরের গ্লানি মুছে ফেলাই হচ্ছে এ জলকেলির মূল উদ্দেশ্য।

নানা আয়োজনে চলবে মারমা সম্প্রদায়ের এই সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন। ১৬ এপিল সন্ধ্যায় বিহারে বিহারে সমবেত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ৪ দিনের এই সাংগ্রাই উৎসবের।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী, বান্দরবান পৌর মেয়র মো. শামসুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ প্রমূখ।


আরও খবর