আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ: শেষ ষোলোতে উঠল যেসব দল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৪ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৪ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

করোনাকে তোয়াক্কা না করেই ফুটবলে বুঁদ গোটা বিশ্ব। একদিকে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মেতেছে লাতিন আমেরিকার ৯ দেশ, অন্যদিকে ইউরোপসেরার মুকুট জয়ে মহাযুদ্ধে লিপ্ত ২৪ দেশ।

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হয়েছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ-২০ এর গ্রুপপর্বের খেলা।

ছয় গ্রুপের দুটি করে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের সঙ্গে তৃতীয় হয়ে চারটি দল জায়গা করে নিয়েছে নকআউট পর্বে।

আট দলকে ছেঁটে এবার ১৬ দলের মঞ্চে পরিণত ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত থেকে শুরু হবে নকআউটপর্ব।

দেখে নিই কোন গ্রুপ থেকে কোন দল জায়গা করে নিয়েছে শেষ ষোলোতে

গ্রুপ-এ

তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিয়েছে ইতালি।

একটি করে জয়, হার ও ড্র নিয়ে সমান ৪ পয়েন্ট ওয়েলস ও সুইজারল্যান্ডের। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে রানার্সআপ হয়ে পরের রাউন্ডে উঠেছে ওয়েলস। অন্যান্য গ্রুপের সঙ্গে সমীকরণ মিলিয়ে তৃতীয় হয়েও পরের রাউন্ডে জায়গা করে নিয়েছে সুইজারল্যান্ড।

গ্রুপ-বি

গ্রুপপর্বের তিনটি ম্যাচ জিতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের পর্বে বেলজিয়াম।

বাকি তিন দল ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড ও রাশিয়ারও সমান ৩ পয়েন্ট। তবে গোলব্যবধানে এগিয়ে থেকে রানার্সআপ হয়ে শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিয়েছে শুধু ডেনমার্ক।

গ্রুপ-সি

এই গ্রুপ থেকে নেদারল্যান্ডস সবকটি ম্যাচ জিতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডের টিকিট কেটেছে।

৬ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ হয়ে নকআউটে উঠেছে অস্ট্রিয়া। এই গ্রুপ থেকে ৩ পয়েন্ট নিয়েও তৃতীয় দল হিসেবে নকআউটে জায়গা পেয়েছে ইউক্রেন।

গ্রুপ-বির ফিনল্যান্ড এবং গ্রুপ-ইর স্লোভাকিয়ারও সমান ৩ পয়েন্ট থাকা সত্ত্বেও গোলব্যবধানে এগিয়ে থাকায় পরের পর্বে জায়গা পেয়েছে ইউক্রেন।

গ্রুপ-ডি

তিন ম্যাচের দুটি জয় এবং একটি ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউটে জায়গা করে নিয়েছে ইংল্যান্ড।

একটি জয়, একটি হার ও একটি ড্র নিয়ে রানার্সআপ হয়ে শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছে ক্রোয়েশিয়া।

ক্রোয়েশিয়ার সমান পয়েন্ট হলেও গোলব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় পরের রাউন্ড অনিশ্চিত ছিল চেক প্রজাতন্ত্রের। তবে অন্যান্য গ্রুপের সঙ্গে সমীকরণ মিলিয়ে তৃতীয় দল হিসেবে নকআউটের দুয়ার খুলেছে দলটির।

গ্রুপ-ই

এই গ্রুপ থেকে দুটি জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে জায়গা করে নিয়েছে সুইডেন।

আর এক জয় ও দুটি ড্র করে ৪ পয়েন্ট নিয়েই স্পেন শেষ ষোলোর টিকিট কাটতে সক্ষম হয়েছে।

গ্রুপ-এফ

তিন হ্যাভিওয়েট বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দল নিয়ে গড়া এই গ্রুপের নাম দেওয়া হয় গ্রুপ অব ডেথ। এখান থেকে এক জয় ও দুই ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট পর্বে নাম লিখেছে ফ্রান্স।

একটি করে জয়, হার ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ হয়ে নকআউটের টিকিট কেটেছে জার্মানি।

বুধবার রাতে ফ্রান্সের সঙ্গে ড্র করে জার্মানির সমান পয়েন্ট নিয়েও হেড টু হেডে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দল হিসেবে পরের পর্বে জায়গা করে নিয়েছে পর্তুগালও।


আরও খবর



বড় ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

প্রথম ইনিংসের তুলনায় চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ও বোলিং উভয় বিভাগে বাংলাদেশ ভালো করেছে। তবে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। সিলেট টেস্টের মতো চট্টগ্রাম টেস্টেও বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ফলে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ।

চট্টগ্রাম টেস্টে হারটা আগেই নিশ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশের। আজ পঞ্চম দিনে বাকি ছিল আনুষ্ঠানিকতা। সেই আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাংলাদেশ ১৯২ রানে হেরেছে। শ্রীলঙ্কার ৫৩১ ও ১৫৭/৭ রানের জবাবে বাংলাদেশ ১৭৮ ও ও ৩১৮ রান করেছে।

মূলত শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসের পরই টেস্টের ফল কি হতে যাচ্ছে তা অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের পর তা নিয়ে আর কোনো সন্দেহ ছিল না। কেননা প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানে পিছিয়ে থাকার পর ম্যাচে ভালো কিছু কল্পনা করাই কঠিন। সেখানে চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৫১১ রান, যা দুঃস্বপ্ন বটে।

বিশাল এ রান তাড়া করার পথে একটা অতি মানবীয় ইনিংস দরকার হয়। কিন্তু বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে কেউ সেই কাজটি করতে পারেননি। চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ যে ৭ ব্যাটার হারিয়েছিল তাদের মধ্যে কিছুটা উজ্জ্বল ছিলেন মমিনুল হক। কিন্তু শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের বিরুদ্ধে তা খুব কার্যকরও ছিল না। কেননা মাত্র ৫০ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। গতকাল পর্যন্ত ইনিংসে এটাই ছিল সর্বোচ্চ রান।

তবে মমিনুল হকের এই রান আজ টপকে গেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ব্যাটারদের লজ্জা দিয়ে তিনি ৮১ রানে অপরাজিত। তাইজুল ইসলাম তাকে আরো কিছু সময় সঙ্গ দিতে পারলে হয়তো ইনিংসে বলার মতো একটা কিছু পাওয়া যেত। কিন্তু তাইজুল ইসলাম আউট হওয়ার পর বাংলাদেশ যে খুব তাড়াতাড়ি গুটিয়ে যাচেছ তা নিয়ে কারো কোনো সন্দেহ ছিল না। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। তাইজুল (১৪) আউট হওয়ার পর হাসান মাহমুদ (৬) ও খালেদ আহমেদ (২) আউট হয়ে যান। শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের লড়াই।

লাহিরু কুমারা ৪ উইকেট শিকার করছেন। এছাড়া কামিন্দু মেন্ডিস পেয়েছেন ৩ উইকেট।


আরও খবর



ব্যাটিং বিপর্যয়: ১৮৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে ২৮০ রানের জবাবে বাংলাদেশ থেমেছে ১৮৮ রানে। ৯২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামবে সফরকারীরা। গতকাল শেষ বিকালে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন পুরোটা খেলতে পারেনি। ৫১.৩ ওভার টিকেছে স্বাগতিকদের ইনিংস।

সর্বনাশের শুরু শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকালে। ১০ ওভার ব্যাট করতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। আজ দ্বিতীয় দিন সকালে এসে সে অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হলো না। দলীয় শতরান পার হওয়ার আগেই টাইগাররা হারিয়েছে আরও ‍২ উইকেট। মধ্যাহ্নবিরতির আগে ফিরেছেন লিটন দাসও। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৩২ রান নিয়ে বিরতিতে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

শাহাদাত হোসেন ১৮ ও লিটন ২৫ রান করে সাজঘরমুখো হয়েছেন। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার জয়ের ইনিংস থেমেছে স্রেফ ১২ রানে। এর আগে ৩ উইকেটে ৩২ রান নিয়ে দিন শুরু করে বাংলাদেশ। তাইজুলকে নিয়ে শুরুটা করেছিলেন জয়। কিন্তু এই ওপেনার খুব একটা সুবিধা করতে পারলেন না। লাহিরু কুমারার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।

শাহাদাত এসেছিলেন এরপর। তাইজুলের সঙ্গে জুটি জমেও উঠেছিল। ৫৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দুজনই দেখেশুনে খেলছিলেন। জুটি যখনই আশা দেখাচ্ছিল, তখনই আক্রমণে কুমারা। আর তাতেই সাফল্য পায় লঙ্কানরা। বাউন্সি বলটা বুঝে ওঠার আগেই শাহাদাতের ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় স্লিপে। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা নেন দিনের দ্বিতীয় ক্যাচ। ৮৩ রানে বাংলাদেশ হারায় পঞ্চম উইকেট।

ক্রিজে আসেন অভিজ্ঞ লিটন। তাইজুলকে সঙ্গে নিয়ে পার করেন দলীয় শতরান। লিটন খেলেছেন একেবারেই টেস্ট মেজাজে। মাথা ঠান্ডা রেখে খেলেছেন তাইজুলও। কিন্তু টাইগারদের এ জুটিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। লাহিরুর দুর্দান্ত ইনসুইং ভেঙে দেয় লিটনের প্রতিরোধ। দলীয় ১২৪ এবং ব্যক্তিগত ২৫ রানে ফেরেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে সেশন শেষ করেছে বাংলাদেশ।

বিরতি পর দ্রুতই আউট হন তাইজুল। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নেমে বাঁ-হাতি এই স্পিনার আউট হয়েছেন ৪৭ রান করে। শেষ দিকে শরিফুল ১৫ ও খালেদ আহমেদ করেন ২২ রান। শ্রীলঙ্কার ভিস্ম ফার্নান্দো নেন ৪ উইকেট। ৩ উইকেট করে নিয়েছেন কাসুন রাজিথা ও লাহিরু কুমারা।


আরও খবর



উদ্বোধনের ৫ মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে চালু হয়নি ট্রেন

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উদ্বোধনের ৫ মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে ট্রেন চালু হয়নি। কবে নাগাদ ট্রেন চলাচল শুরু হবে তা এখনও অনিশ্চিত। ৮টি স্টেশন ও রেল ক্রসিংসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য জায়গায় এখনও জনবল নিযুক্ত করা হয়নি। এ অবস্থায় যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চালুর বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে পারছেন না প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এই রুটে ট্রেন চালুর অপেক্ষায় রয়েছে মোংলা ও খুলনার ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ এবং মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ অক্টোবর খুলনার ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল করে। এরপর ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যৌথভাবে ভার্চুয়ালি খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। কিন্তু এরপর ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি।   

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, এই রেলপথে ৮টি স্টেশন নির্মাণ করা হলেও সবগুলোতে এখনও আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সরঞ্জাম দেয়া হয়নি। রেল স্টেশন ও রেল ক্রসিংগুলোতে নিযুক্ত করা হয়নি কোনো জনবল। এছাড়া মোট কতটি ট্রেন চলবে, ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়া এখনও নির্ধারণ হয়নি।

খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসেন মাসুম জানান, উদ্বোধনের সময় কিছু ফিনিশিং কাজ বাকি ছিল। সেগুলো ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে এখনও জনবল নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি। এই রুটে পণ্য পরিবহনকে প্রাধান্য দেয়া হবে, সেই সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনও চলবে।

খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, খুলনা-মোংলা রেল লাইন এখন যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত। ঈদের পরে ট্রেন চলাচল শুরু করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

প্রকল্প অফিস সূত্রে জানা গেছে, খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। এই রেলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০ কিলোমিটার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ভারতীয় দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড টুবরো এবং ইরকন ইন্টারন্যাশনাল। ভারতের ঋণ সহায়তায় এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকা।

এই রেলপথে রূপসা নদীর উপর ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ৯টি স্থানে ভেইকেল আন্ডারপাস-ভিইউপি (রেল লাইনের নিচ দিয়ে যাওয়ার রাস্তা) নির্মাণ করা হয়েছে। ভিইউপি এর কারণে ট্রেন চলাচলের সময় রেল ক্রসিংগুলোতে যানবাহন আটকা পড়বে না। এছাড়া দুর্ঘটনারও ঝুঁকি থাকবে না। এই রেলপথে স্টেশন রয়েছে ৮টি। সেগুলো হলো ফুলতলা, আড়ংঘাটা, মোহাম্মদনগর, দ্বিগরাজ, কাটাখালি, চুলকাঠি, বাঘা ও মোংলা।

খুলনা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মফিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, আমরা চাই দ্রুত এই রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হোক। ট্রেন চালু হলে মোংলার সঙ্গে রেলপথে যাতায়াত সুবিধার পাশাপাশি আরও গতিশীল হবে মোংলা বন্দর। পর্যটকরাও খুলনা থেকে ট্রেনে করে সুন্দরবনে যেতে পারবে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা বলেন, পদ্মা সেতুর পর রেল সংযোগ মোংলা বন্দরের জন্য একটা আশীর্বাদ। এখন নদী ও সড়কপথে পণ্য বন্দরে আনা-নেয়া করা যায়। তবে রেলের মাধ্যমে কন্টেইনার পরিবহন সবচেয়ে সাশ্রয়ী একটা মাধ্যম। মোংলার সঙ্গে ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলের কন্টেইনার পরিবহন সহজ হবে। কমলাপুর আইসিডি ও ঢাকা থেকে আমদানি-রপ্তানি পণ্য কন্টেইনারে মোংলা বন্দরে আনা-নেয়া সহজ হবে। মোংলা বন্দরে জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পাবে।


আরও খবর



কুৎসার কিসসা আভি ভি বাকি হ্যায়: বেনজীর আহমেদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বহুল পঠিত একটি জাতীয় দৈনিকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ নিয়ে যে তথ্য প্রকাশ হয়েছে সে ব্যাপারে সবাইকে ধৈর্য ধরতে আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। সম্প্রতি ওই প্রতিবেদন প্রকাশ হলে মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) এ নিয়ে ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজ থেকে পোস্ট দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান বেনজীর।

তিনি লিখেছেন, দু একজন অনেক ক্ষিপ্ত, খুবই উত্তেজিত হয়ে এক্ষুণি সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয়, প্রবন্ধ লিখে ফেলছেন। দয়া করে সামান্য ধৈর্য্য ধরুন। ঘোষণাই তো আছে কুৎসার কিসসা আভি ভি বাকি হ্যায়’।”


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




রূপগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৮

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রূপগঞ্জ (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

রূপগঞ্জের কায়েতপাড়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রূপগঞ্জের কায়েতপাড়ার নাওড়া গ্রামের হাজীবাড়ির সামনে এ সংঘর্ষ হয়। রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) দীপক কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধরা হলেন-আকবর (২৪), তাজেল (৩৬), জয়নাল (৩৫), শামীম (২৫), মুক্তার হোসেন (৬০), নুর হোসেন (২৪), আরিফ (৯) ও রোমান (২০)।

জানা যায়, বিভিন্ন আবাসন কোম্পানির পক্ষে জমি বেচাকেনা ব্যবসা ও দখল নিয়ে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও তার ভাই নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমানের সমর্থকদের সঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা এই দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় সময়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এরই জেরে রবিবার রাতে রফিকুল ইসলামের এক অনুসারীকে মোশারফের অনুসারীরা পিটিয়ে আহত করেন। এ ঘটনার জেরে সোমবার সকালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষ দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। পরে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

চিকিৎসকের বরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর (ইনচার্জ) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ৮ জন এখানে ভর্তি আছে। আমরা আহতদের চিকিৎসা চলমান রেখেছি।

রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) দীপক কুমার সাহা বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


আরও খবর