আজঃ বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ইউটিউব দেখে দুইবন্ধুর করা মিশ্র ফল বাগান সাড়া ফেলেছে এলাকায়

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শেরপুর থেকে শাহরিয়ার শাকির

প্রবাসী বোনের অনুপ্রেরণা ও সকল ধরনের সহযোগিতায় শেরপুর সদরের কামারিয়ায় মিশ্র ফলের বাগান করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন এমদাদুল হক বিদুৎ ও উদয় কুমার নামের দুইবন্ধু। তারা এ বাগানের নাম দিয়েছে ইউএনবি এগ্রো। তাঁরা আর্থিকভাবে সাবলম্বী হতে ইউটিউবে দেখে এ উদ্যোগ নেন। আর তাদের এই সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্যরাও মিশ্র বাগান করার আগ্রহী হয়ে উঠছে।

শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের কামারিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী এমদাদুল হক বিদুৎ ও পূবালী ব্যাংকে চাকুরীজীবি উদয় কুমার ইউটিউবে ফল বাগানের সাফল্য দেখে তারাও ঠিক করে একটি মিশ্র ফল বাগান করতে। পরে তারা যৌথভাবে কামারিয়া গ্রামেই কৃষকদের কাছ থেকে ২৫ একর জমি ২০ বছরের জন্য লিজ নিয়ে গত বছর বাগানের কাজ শুরু করেন তারা।

২০২০ সালে মাল্টা, সিডলি পেয়ারা, বিভিন্ন জাতের কুল, আপেল, কমলা, আঙ্গুর, ড্রাগন, বারোমাসি আম, লিচু, লটকন, পেপে, লেবু, সৌদী খেজুরসহ মোট ১০০টি প্রজাতির ফলের চাষ করেন তারা। এর মধ্যে কিছু বিদেশী উন্নত জাতের ফলের মধ্যে এভকাডো, ফ্রাই ছবেদা, মালবেরি, বিভিন্ন জাতের ফলের পরীক্ষামূলক চাষ শুরু করেছেন।

জমি লিজের টাকা, বাগানের পরিচর্যা, চারা কেনা, বাগানের চারপাশে ও উপরে জিআই তার আর সূতার জালের বেষ্টনি দেওয়াসহ সর্বমোট তাদের খরচ হয়েছে তিন কোটি টাকা।

তাঁদের শ্রম আর যাতে এক বছরের মাথায় ব্যাপকভাবে ফলন আসতে শুরু করেছে থাই পেয়ারা, পেঁপে আর আপেলকুলের। ফলনের অপেক্ষায় মালটা, চায়না আর দার্জিলিংয়ের কমলার। এরই মধ্যে তাঁরা বাগানের পেয়ারা, পেঁপে আর আপেল কুল বিক্রি করেছেন লাখ টাকার উপরে। প্রায় বিচিহীন আর সুমিষ্ট থাই পেয়ারার ব্যাপক চাহিদা থাকায় বর্তমানে বাগান থেকেই পেয়ারা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে।


নিজেদের সফলতার কথা তুলে ধরে এমদাদুল হক বিদুৎ বলেন, আমি আসলেও ব্যবসা করি। আমার প্রবাসী বোনের কাছ থেকে আর্থিক দিক দিয়ে সকল ধরনের সহযোগিতা পেয়েছি আমরা। ইউটিউব দেখে আমাদের প্রথম ফল চাষে আসলেও আমার বড় বোনের অবদান ছিলো বেশি। এটি একটি লাভজনক চাষ। ধানসহ অন্য ফসল বাদ দিয়ে এই ফলের চাষ করলে কৃষকরা আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হবে। আমরা এখন আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া শুরু করেছি। আমাদের ফলের বাগানের বয়স ১ বছর হলেও আমরা বাগান থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি। বাগানের প্রথম দিকে মাল্টা বেশ ধরেছিলো।

বন্ধু উদয় কুমার বলেন, আমি ব্যাংকে চাকুরি করি। আমারা দুই বন্ধু মিলে আনেকদিন থেকে পরামর্শ করছিলাম কি করলে লাভবান হওয়া যায়। আর এ থেকে ইউটিউব দেখে দুইবন্ধু মিলে এ মিশ্র ফল বাগান শুরু করেছি। আমরা এ বাগান করার ফলে আমরা সফল হয়েছি। পশাপাশি এলাকায় কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। আমি  ব্যাংকে চাকুরির পাশাপাশি এ বাগানে সময় দিয়ে থাকি। আগে বাগানে কম আসলেও এখন বাগানে একদিন না আসলে থাকতে পারি না।

এই সফল দুই বন্ধুর মিশ্র ফলের বাগানের সাফল্যের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রতিদিন আসছে আগ্রহী বেকার যুবকরা। তারা বাগানে এসে মুগ্ধ হচ্ছে। পাশাপাশি বাগান করার খুঁটিনাটি বিষয় জেনে নিচ্ছে তাঁদের কাছ থেকে। তারাও শুরু করছে বাগান করার কাজ।

এদিকে ফলের এই বাগান নিয়মিত পরিদর্শন করে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়ার কথা জানান শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. মুহিত কুমার দে। পরিদর্শন করে তিনি বলেন, এ মিশ্র ফলের বাগানে সকল পরামর্শসহ সহযোগিতা করা হবে। এখানকার ফল চাষে বিদেশী ফল আমদানী অনেকাংশেই হ্রাস পাবে। আগে আমাদের ধারনাই ছিলো না শেরপুরের সমতল ভূমিতে মাল্টা চাষ হবে।

এদিকে ওই দুই বন্ধু বাগানে ফল চাষের পাশাপাশি শুরু করেছেন মাছ চাষ, কবুতর, মুরগী পালন। তার এসব উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন আরো অনেকেই।


আরও খবর
অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




মার্চে দেশে ৫৩ নারীর আত্মহত্যা, সীমান্তে হত্যা ৪

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত মার্চ মাসে সারাদেশে ৫৩ নারী আত্মহত্যা করেছেন। পাশাপাশি ২৪৭টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। দেশের ১২টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সংগঠনটি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মার্চ মাসে ৩৮টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ৯টি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ধর্ষণের পরে হত্যার ঘটনা একটি ও ১৪টি ধর্ষণচেষ্টা হয়েছে।

দেশে উল্লেখযোগ্য হারে অজ্ঞাত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাও বাড়ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সারাদেশে গত মার্চ মাসে ৪২ অজ্ঞাত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে ৩৪টি অজ্ঞাত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। মৃতদেহগুলোর অধিকাংশই ডোবা খাল, নদীতে ভাসমান, বস্তাবন্দি, মহাসড়কের পাশে, ব্রিজ ও রেললাইনের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এমএসএফের হিসেব অনুযায়ী, মার্চ মাসে কারা হেফাজতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গণপিটুনিতে ৯ জন এবং সীমান্তে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ মাসে ২১টি রাজনৈতিক সহিংসতায় ৯৩ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। পাশাপাশি পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ৪০ জন সাংবাদিক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে একটি।


আরও খবর



ঈদে ৯০ লাখ মানুষ সড়কপথে ঢাকা ছাড়বে

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার প্রায় দেড় কোটি মানুষ স্বজনদের কাছে যাবে। এসব মানুষ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনসহ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বসবাস করে। এই বিপুলসংখ্যক ঈদযাত্রীর ৬০ শতাংশ যাবে সড়কপথে। এই হিসেবে সড়কপথের যাত্রীসংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ মানুষ নৌ ও রেলপথে ঢাকা ছাড়বে।

আজ সোমবার প্রকাশিত নাগরিক সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির ঈদপূর্ব পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো এবং সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে ঈদ যাতায়াতে জনদুর্ভোগ অনেক কমতে পারে বলে প্রতিবেদনে আশা প্রকাশ করা হয়।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে জানান, বিগত বছরগুলোর মতো এবারও সড়কপথে জনভোগান্তি ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তবে নির্বিঘ্ন ঈদ যাতায়াতের জন্য সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। আশা করছি এবারের ঈদ যাতায়াতে জনদুর্ভোগ অনেক কমতে পারে।

সর্বশেষ জনশুমারির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা বিভাগে ৪ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাস করে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার জনসংখ্যা যথাক্রমে ৫৯ লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৭ ও ৪২ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৫। দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ গার্মেন্টস শিল্প (পোশাক কারখানা) গাজীপুর অঞ্চলে হওয়ায় গাজীপুর মহানগরের জনসংখ্যা এখন প্রায় ৭০ লাখ। নারায়ণগঞ্জ মহানগরে বাস করে ২৫ লাখ মানুষ। তিন শহরের বাইরে এসব জেলায় আরো প্রায় ৫০ লাখ মানুষ বাস করে। এছাড়া নরসিংদী ও মানিকগঞ্জ জেলার জনসংখ্যা যথাক্রমে ২৬ ও ২০ লাখ।


আরও খবর



‘স্থায়ী দোকানে টিসিবির পণ্য সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে স্থায়ী দোকানে টিসিবির সুলভ মূল্যের পণ্য সরবরাহ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে নাগরপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে টিসিবির স্মাট কার্ড ও হুইল চেয়ার বিতরণ এবং অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিসিবির কার্ডধারীদের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি লাঘবে এই চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। টিসিবির ট্রাক সেল থেকে পণ্য নিতে এসে অনেকেরই শ্রমঘণ্টা নষ্ট হতে দেখা যায়। বাড়ির পাশের দোকান থেকেই যদি কার্ডধারীরা টিসিবির পণ্য সংগ্রহ করতে পারেন তাহলে এই সমস্যা থাকে না। এজন্য টাঙ্গাইলের নাগরপুরকে মডেল হিসেবে নিয়ে স্থায়ী দোকানে টিসিবি পণ্য সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের এক কোটি পরিবারের মধ্যে প্রতি মাসে টিসিবির মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে নাগরপুরে রয়েছে ১৬ হাজার ৪২৯ পরিবার। টিসিবি অনেক বড় একটি কর্মযজ্ঞ। এ দেশের মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা পূরণে ১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টিসিবি প্রতিষ্ঠা করেন।

নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সামিনা বেগম শিপ্রা, পাকুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক, গয়হাটার ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শামসুল হক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. এমরান হোসাইন শাকিল প্রমুখ।

এর আগে মন্ত্রী কলিয়া-সরিষাজানি রাস্তার উদ্বোধন করেন। মতবিনিময় সভা শেষে দুপুরে তেবাড়িয়াপাইকশা বাজার এবং তেবাড়িয়া মহারাজের দোকান হতে নদীর ঘাট পর্যন্ত রাস্তার ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন। পরে সলিমাবাদে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত  উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ খান ঝলকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন।


আরও খবর
অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




তিন নদীতে অভিযানে কোটি টাকার অবৈধ জাল জব্দ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মোছাদ্দেক হাওলাদার, বরিশাল প্রতিনিধি

Image

বরিশালের মুলাদী ও বাবুগঞ্জ উপজেলাধীন তিনটি নদীতে অভিযান চালিয়ে প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার (২০ মার্চ) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৎস্য অধিদপ্তরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম।

তিনি জানান, বরিশালের মুলাদী ও বাবুগঞ্জ উপজেলার আড়িয়াল খাঁ, নয়া ভাঙ্গনী, মুলাদী পাতার চর নদীতে মৎস্য অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও র‌্যাব ৮-এর সদস্যরা যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে আটটি পাই জাল, ছয়টি মশারি জাল, ১৬টি চরঘেরা জালসহ ২০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল (যার আনুমানিক মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা) জব্দ করে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে।

মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন মুলাদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নিজাম উদ্দিন।

অভিযানে মৎস্য অধিদপ্তর মুলাদীর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম, বাবুগঞ্জের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার এম এম পারভেজ, র‌্যাব ৮ বরিশালের ডিএডি মো. আজাদুর রহমান, মুলাদী থানার উপ-পরিদর্শক মিঠুন মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




মেহেদির রঙ গাঢ় করতে চান? জেনে নিন কৌশল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

আমাদের যেকোনো উৎসবের সঙ্গে মেহেদির সম্পর্ক প্রগাঢ়। মেহেদি পরতে ভালোবাসেন না এমন নারী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আর ঈদ এলে তো কথাই নেই। তাদের ঈদের কেনাকাটায় যে জিনিসগুলো না হলেই নয় তার মধ্যে একটি হলো মেহেদি। চাঁদরাতে ঘরে ঘরে নারীর হাতে মেহেদি পরার ধুম পড়ে যায় যেন। তবে অনেকে মেহেদি দেওয়ার পর মনের মতো রং আসে না বলে মন খারাপ করেন। কিছু উপায় মেনে চললে মেহেদির রঙ গাঢ় করা সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক-

মেহেদির রঙ গাঢ় করার ক্ষেত্রে একটি কার্যকরী উপায় হতে পারে চিনি এবং লেবুর রস ব্যবহার। মেহেদি যখন শুকিয়ে যাবে তখন লেবুর রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে হাতে সেই মিশ্রণ লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর শুকিয়ে গেলে হাত মুছে নিতে হবে। এতে রঙ গাঢ় হবে, সেইসঙ্গে হবে দীর্ঘস্থায়ী।

মেহেদি ব্যবহারের আগে হাত-পা শেভ কিংবা ওয়াক্স করবেন না। ফলে ত্বকের উপরের স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই পরে ওই ত্বকে মেহেদি ব্যবহার করলে গাঢ় রং পাওয়া যায় না। মেহেদি লাগানোর অন্তত ৩ থেকে ৪ দিন আগে এসব কাজ সম্পন্ন করুন।

মেহেদির রং গাঢ় করার ক্ষেত্রে লবঙ্গ কাজে লাগাতে পারেন। প্রথমে একটি লোহার কড়াই চুলায় বসিয়ে চুলা জ্বালিয়ে দিন। এরপর তাতে কয়েকটি লবঙ্গ দিন। কড়াই থেকে ধোঁয়া বের হলে তার ওপর আপনার হাত দুটি ধরে রাখুন। এতে মেহেদির রং সহজেই গাঢ় হবে। তবে সাবধান থাকুন, গরম কড়াই যেন হাতে না লাগে।

গাঢ় রং পেতে উৎসব বা অনুষ্ঠানের অন্তত ২৪ বা ৪৮ ঘণ্টা আগে মেহেদি ব্যবহার করুন। সেইসঙ্গে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ১২ ঘণ্টা মেহেদি হাতে রাখুন। তাহলেই পাবেন গাঢ় রং।

সরিষার তেল ব্যবহার করুন মেহেদির স্থানে। তারপর একটি ব্যান্ডেজ দিয়ে স্থানটি ঢেকে ঘুমিয়ে পড়ুন রাতে। সকালে দেখবেন মেহেদির রং অনেকটাই গাঢ় হয়েছে।

মেহেদি তুলে ফেলার পর হাত গরম রাখতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় হাতে ভিক্স বা অন্য কোনো ব্র্যান্ডের সর্দি-কাশির বাম লাগিয়ে ঘুমাতে গেলে। এতে সারা রাত হাত গরম থাকবে। এরপর সকালে উঠে সুন্দর গাঢ় রঙ পাবেন। তবে হাতে বাম লাগানো অবস্থায় সেই হাত দিয়ে কোনো খাবার খাবেন না বা চোখে-মুখে ডলবেন না।

অন্যদিকে সাবান পানি দিয়ে কখনো মেহেদি তুলবেন না। এমনকি মেহেদি তুলে ফেলার পরও কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা ওখানে পানি লাগাবেন না।


আরও খবর