আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

ইভিএম প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ছে

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। রোববার (৩০ জুন) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।   

ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, ইভিএমের চলমান প্রকল্প আগামী ২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ছে। রাজনৈতিক দল ও কারিগরি দক্ষ জনবলের মতামত নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

গেল কয়েক বছর ধরে দেশের নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আলোচনায় থাকে ইভিএম। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেড়শ আসনে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইভিএম যন্ত্রের অভাবে তা করা যায়নি।

২০১৮ সালে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ইভিএম প্রকল্প হাতে নেয় ইসি। কেনা হয় দেড় লাখ ইভিএম। প্রতিটি ইভিএম কিনতে খরচ হয় ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এগুলোর জীবনকাল কমপক্ষে ১০ বছর বলা হলেও পাঁচ বছরের মাথায় নষ্ট অবস্থায় পড়ে রয়েছে এক লাখেরও বেশি ইভিএম। নেই রক্ষণাবেক্ষণের কোনো ব্যবস্থা।

এ অবস্থায় আর কদিন পরই শেষ হতে যাচ্ছে ইভিএম প্রকল্পের মেয়াদ। কিন্তু শেষ পর্যায়ে এসে ইসি আরও এক বছর এ মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। একই সঙ্গে প্রকল্পের ব্যয় মেটাতে অবশিষ্ট প্রায় ১০০ কোটি টাকা দ্রুত ছাড় পেতেও আবেদন জানানো হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে ইসির প্রস্তাব পাস হলে শুরু হবে ইভিএমের নতুন অধ্যায়।


আরও খবর



শেয়ারবাজারে দুঃসংবাদ নিয়ে আসছে বাজেট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য দুঃসংবাদ নিয়ে আসছে নতুন বাজেট। ক্যাপিটাল গেইন বা মূলধনি মুনাফার ওপর কর বসাতে যাচ্ছে সরকার এতদিন এ খবর ছিল গুঞ্জন আকারে। এবার তা সত্যি হয়ে আসছে। শেয়ার কেনাবেচায় নির্দিষ্ট অর্থবছরে ৫০ লাখ টাকার বেশি যত টাকা মুনাফা হবে, তার ওপর সরকারকে ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী যে বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন, তাতে এমন প্রস্তাব থাকছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্র এমনটাই জানিয়েছে। সূত্র আরও জানায়, তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার অপরিবর্তিত থাকলেও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে আড়াই শতাংশ কমানো হচ্ছে। এতে করহার ব্যবধান বর্তমানের সাড়ে ৭ শতাংশের স্থলে ৫ শতাংশে নামবে।

টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীদের যখন নাভিশ্বাস উঠছে, দলে দলে সব শেয়ার বেচে বাজার ছাড়ছেন তারা, তখন নীতি-সহায়তার পরিবর্তে করের চাপ বাড়ালে পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, শুধু এ বছরের প্রথম পাঁচ মাসের দরপতনে ৯৪ হাজার বিনিয়োগকারী সব শেয়ার বিক্রি করে বাজার ছেড়েছেন। ফলে বাজারের জন্য এখন দরকার সরকারের নীতি-সহায়তা। অথচ তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান কমিয়ে তালিকাভুক্ত হতে অতালিকাভুক্ত কোম্পানিকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

আইপিও প্রক্রিয়ায় ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার ছেড়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানির বর্তমান করপোরেট করহার ২০ শতাংশ। এর কম শেয়ার বিক্রি করে তালিকাভুক্ত হলে, তাদের করহার সাড়ে ২২ শতাংশ। নতুন অর্থবছরে এ করহার আড়াই শতাংশ হারে বাড়িয়ে যথাক্রমে সাড়ে ২২ শতাংশ এবং ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব আসছে। তবে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করার শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে উভয় ধরনের কোম্পানির করপোরেট করহার থেকে আড়াই শতাংশ করে ছাড় দেওয়ারও প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী।

ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেনের শর্তটি হলো ৫ লাখ টাকার বেশি একক যে কোনো লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে করতে হবে এবং বার্ষিক ব্যয়ে নগদ লেনদেন কোনোভাবেই ৩৬ লাখ টাকার বেশি হতে পারবে না। অবশ্য এ শর্ত নতুন নয়। চলতি অর্থবছরেও রয়েছে। এ ক্ষেত্রে পার্থক্য হলো এখনকার নির্ধারিত করহার কম। তবে শর্ত না মানলে তা আড়াই শতাংশ বেশি দিতে হচ্ছে। নতুন কর প্রস্তাবে আগেই করহার বাড়ানো হচ্ছে। শর্ত মানলে করছাড় দেওয়ার কথা বলা হবে।

এদিকে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার না কমালেও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট করহার আড়াই শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। বর্তমানে শেয়ারবাজারে অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার সাড়ে ২৭ শতাংশ। তবে তালিকাভুক্ত কোম্পানির মতো ব্যাংকের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন না করলে ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়েছে। এবার এ শর্ত পূরণ করতে না পারলে সাড়ে ২৭ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শেয়ারবাজারে নতুন করে কোম্পানি আসা যখন প্রায় বন্ধের পথে, তখন তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত করহার ব্যবধান কমানো হচ্ছে। কয়েক বছর আগেও এ ব্যবধান ছিল ১০ শতাংশ। পরে তা সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। এখন তা ৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে নতুন করে কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে আরও নিরুৎসাহিত হবে। সরকারের এ নীতির ফলে শেয়ারবাজার সার্বিক অর্থনীতির তুলনায় আরও পিছিয়ে পড়বে ও সংকুচিত হবে।

সরকারের এমন সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের প্রতি বিমাতাসুলভমড়ার উপর খাঁড়ার ঘা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএর সভাপতি সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাজারকে স্বাভাবিক করতে তারা সরকারের কাছে নীতি-সহায়তা চেয়েছিলেন। সরকার উল্টো করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।

মূলধনি মুনাফায় করারোপ এবং তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ব্যবধান কমানোর খবরে হতাশা ব্যক্ত করেছেন খোদ শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

তিনি বলেন, এটা ঠিক হচ্ছে না। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করতে করপোরেট করহার ব্যবধান বাড়ানো উচিত। মূলধনি মুনাফায় কর আরোপের খবরেও তিনি একই ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এই কর প্রস্তাব যাতে সরকার প্রত্যাহার করে নেয়, সে লক্ষ্যে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।


আরও খবর



২৯ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই: সংসদে শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ২৯ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের (ভিসি) পদ শূন্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। একই সঙ্গে তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রো-ভাইস চ্যালেন্সর ৮০ টি এবং ৩৫ টি ট্রেজারার পদ শূন্য আছে।

আজ রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে ১১৪ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমিত দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ১০৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে।

স্বতন্ত্র এমপি মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, সারা দেশের কওমী মাদ্রাসাগুলোতে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো সুযোগ-সুবিধা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করার পরিকল্পনা সরকারের আছে। তবে, কওমী মাদ্রাসাসমূহ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের কারিকুলামে চলছে না। এ লক্ষ্যে সমন্বিত একটি নীতিমালা প্রণয়ন এবং কওমী মাদ্রাসা সংক্রান্ত বর্তমানে পৃথক পৃথকভাবে পরিচালিত ৬টি বোর্ডকে সমন্বিত করে একটি কওমী শিক্ষা বোর্ড গঠনের বিষয়টি সরকারের পর্যালোচনাধীন আছে।

ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানান, দেশে ৭৩ টি কৃষি কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে রংপুরে বিভাগে সর্বোচ্চ ১৯ টি এবং সিলেটে বিভাগে সর্বনিম্ন ২টি কৃষি কলেজ রয়েছে। ময়মনসিংহ বিভাগে ৩টি, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে ৬টি করে, রাজশাহী বিভাগে ১১টি ঢাকা ও খুলনা বিভাগে ১৩টি করে কৃষি কলেজ রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে আধুনিক টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপন করা হচ্ছে। যাতে কৃষি, মৎস্য, প্রাণি সম্পদ বিষয়ে আধুনিক ট্রেড অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এতে করে পৃথকভাবে কৃষি কলেজ স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তাই দেশের জেলা সমূহে নতুন করে কৃষি কলেজ স্থাপনের পরিকল্পনা নেই।

নাটোর-৪ আসনের সরকার দলীয় এমপি সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের অবসরভাতা ও কল্যাণ ভাতায় পর্যাপ্ত অর্থসংস্থান না থাকায় মূলত বেশি সময় লাগছে এবং সমস্যা তৈরি হচ্ছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সমস্যার উত্তরণে কমিটি গঠন করেছে। কমিটি এখন তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের সরকার দলীয় এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, বর্তমানে সারা দেশে এমপিওবিহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৪ হাজার ৬১৩ টি।

এম লতিফের আরেক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক করার পরিকল্পনা সরকারের আছে। সে জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। আশা করা যায় যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নকল সার্টিফিকেট যারা চাকরি করছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে কি না বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হকের এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড জাল সার্টিফিকেট শনাক্তের বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (IICT) বিভাগের সঙ্গে গত ১২ মে চুক্তি করা হয়েছে। উক্ত বিভাগের বিশেষজ্ঞগণ ইতিমধ্যে জাল সার্টিফিকেট শনাক্তের কার্যক্রম শুরু করেছেন। শনাক্তের পর প্রাপ্ত সকল জাল সার্টিফিকেট বাতিল এবং জাল সার্টিফিকেটধারীদের তথ্য অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৬৯৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত চালু

চট্টগ্রাম ১১ আসনের সরকার দলীয় এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেন, এখন পর্যন্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে ৬৯৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ আলোচনার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে চালু করার বিষয়টি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

স্বতন্ত্র এমপি পঙ্কজ নাথের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জানান, সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের মধ্যে ৫০ জনেরও কম শিক্ষার্থী আছে এমন স্কুলের সংখ্যা ৯৪৪ টি।


আরও খবর



চট্টগ্রামে ঝুটের গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামে ঝুটের গোডাউনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর সিটি গেট এলাকার ওই গোডাউনে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট কাজ করছে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আবদুল্লাহ জানান, বেলা ১১টার দিকে নগরীর সিটি গেট এলাকার ওই ঝুটের গোডাউনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।


আরও খবর



বাংলাদেশকে ৬৫ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের জন্য ৬৫ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার ৬৩৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১১৭.৫১ টাকা ধরে)।

আজ শনিবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস এ তথ্য জানায়। শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বোর্ড এই অর্থ অনুমোদন করে।

সংস্থাটি জানায়, চট্টগ্রামের বে-টার্মিনাল গভীর সমুদ্রবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে বিনিয়োগ ও উন্নয়নের জন্য ৬৫ কোটি অর্থ সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এটি বিশ্ববাণিজ্য প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন করবে বাংলাদেশকে। পাশাপাশি বন্দরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমদানি-রফতানি ব্যয় কমিয়ে আনবে বলে মনে করে সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাংক জানায়, বে টার্মিনাল সামুদ্রিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৬ কিলোমিটার জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক ব্রেকওয়াটার নির্মাণ করা হবে। নতুন এই আধুনিক বে টার্মিনাল আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত হবে। এই টার্মিনালে প্যানাম্যাক্স জাহাজের মতো বড় আকারের জাহাজগুলোর জন্য সুযোগ বাড়াবে এবং জাহাজের টার্নঅ্যারাউন্ড সময়কে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে। এর মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে।

বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৯০ শতাংশ এবং এর ৯৮ শতাংশ কনটেইনার প্রবেশ করে। তবে এই বন্দর দিয়ে ছোট ফিডার জাহাজগুলো প্রবেশ করতে পারে।

বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করে। যা উল্লেখযোগ্য সক্ষমতার সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হয়। বে টার্মিনাল একটি গেম চেঞ্জার হবে। এটি বর্ধিত বন্দর সক্ষমতা এবং পরিবহন খরচ ও সময় হ্রাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতার উন্নতি ঘটাবে। এর মাধ্যমে মূল বৈশ্বিক বাজারে নতুন সুযোগ উন্মোচন করবে।

তিনি বলেন, প্রকল্পটি কন্টেইনার টার্মিনালগুলোর উন্নয়নের জন্য বেসরকারি বিনিয়োগকে একত্রিত করবে। সরকারি অর্থায়নের সাথে বিশ্বব্যাংকের বিনিয়োগ বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করবে এবং সামগ্রিক বে টার্মিনাল উন্নয়নের সাথে যুক্ত ঝুঁকি কমাতে অবদান রাখবে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট এবং প্রকল্পের দলনেতা হুয়া টান বলেছেন, বে টার্মিনাল দেশের সমুদ্রবন্দর অবকাঠামোর আধুনিকীকরণ এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাজারের সংযোগ উন্নত করতে অবদান রাখবে। বে টার্মিনাল, চট্টগ্রাম বন্দরের পশ্চিমে আনন্দনগর/সন্দ্বীপ চ্যানেলে অবস্থিত এবং ঢাকার সাথে বিদ্যমান সড়ক ও রেল যোগাযোগের কাছাকাছি, বাংলাদেশের কন্টেইনারের পরিমাণের ৩৬ শতাংশ পরিচালনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। শিপিং কোম্পানি, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, আমদানিকারক, রপ্তানিকারক এবং মালবাহী ফরওয়ার্ডারসহ টেকসই পরিবহন পরিষেবাগুলোতে উন্নত অ্যাক্সেসের মাধ্যমে এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্পসহ বাংলাদেশকে ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানানো হয় এক বিজ্ঞপ্তিতে।


আরও খবর



শনিবারও চলবে ডিএনসিসির উচ্ছেদ অভিযান

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

মোহাম্মদপুরের সাতমসজিদ হাউজিং এলাকায় আগামীকাল শনিবারও সকাল সাড়ে ১০টা থেকে উচ্ছেদ অভিযান ও খাল খনন কাজ পরিচালনা করবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

এদিকে উদ্ধার হওয়া জমি দখলমুক্ত রাখতে ছুটির দিনেও অভিযান পরিচালনা করে খাল খননের কাজ করছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। শুক্রবার সাদিক অ্যাগ্রোর দখলে থাকা উদ্ধার করা অংশে খাল খননের কাজ শুরু করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

শুক্রবার (২৮ জুন) মোহাম্মদপুরের সাতমসজিদ হাউজিং এলাকায় থেকে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাঝে জুমার নামাজের বিরতির পর আবারও খনন কাজ চলে। একইভাবে আগামীকাল শনিবার ফের উচ্ছেদ, খাল খনন করবে ডিএনসিসি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের তথ্য কর্মকর্তা পিয়াল হাছান বলেন, ডিএনসিসির খাল উদ্ধারে টানা তিনদিন ওই এলাকায় অভিযান চলছে। গতকাল বৃহস্পতিবার অভিযান পরিচালনা করে ৬০টি অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিয়ে ১০ বিঘা জমি উদ্ধার করে ডিএনসিসি। সাদিক অ্যাগ্রোর উদ্ধার করা অংশে খাল খনন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মোহাম্মদপুরের সাতমসজিদ হাউজিং এলাকা শুক্রবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে খাল খনন কার্যক্রম পরিচালনা করছে ডিএনসিসি। আগামীকালও এই কার্যক্রম চলবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ডিএনসিসির নিজস্ব জমি, খাল ও রাস্তা দখল করে গড়ে তোলা ৬০টির বেশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় ১০ বিঘা নিজস্ব সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়। যার মধ্যে সাদিক অ্যাগ্রোর দখল করা খালের অংশও ছিল।

উচ্ছেদ করা স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে দোকানপাট, রেস্টুরেন্ট, কাঠের মিল, রাজনৈতিক দলের অফিস ও একটি গবাদি পশুর বাণিজ্যিক ফার্মের স্থাপনা। উচ্ছেদ শেষে উন্মুক্ত নিলামে জব্দ করা মালামাল ৬৭ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।


আরও খবর