আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ইভ্যালির অফিস কার্যক্রম সংক্রান্ত নিয়ে জরুরি নোটিশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

অফিস কার্যক্রম সংক্রান্ত জরুরি নোটিশ দিয়েছে দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ইভ্যালি এমপ্লয়িগণকে নিজ নিজ বাসা থেকে অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া হোম অফিস পদ্ধতিতে ইভ্যালির সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে চলবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে ইভ্যালি। সময় সংবাদের পাঠকদের জন্য তাদের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিটি হুবহু নিচে তুলে ধরা হলো।

সম্মানিত গ্রাহক এবং সেলার,

আপনাদের জন্যই আমাদের সকল আয়োজন। আর তাই বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায়, আপনাদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার লক্ষ্যে, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ রোজ শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ইভ্যালি এমপ্লয়িগণ নিজ নিজ বাসা থেকে অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। 'হোম অফিস' পদ্ধতিতে ইভ্যালির সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে চলমান থাকবে। আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা আমাদের একান্তভাবে কাম্য। ইভ্যালির উপর আস্থা রাখুন, পাশে থাকুন। আপনাদের ভালোবাসাই আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা।

এদিকে গতকাল শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ইভ্যালির চেয়ারম্যান মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন আদালত।

এরপর এদিন রাতে হঠাৎ অসুস্থবোধ করায় মোহাম্মদ রাসেলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে নেওয়া হয় মিডফোর্ড হাসপাতালে। তবে শারীরিক গুরুতর কোন সমস্যা না থাকায় আবারও তাকে থানায় নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে গুলশান থানার ডিউটি অফিসার এএসআই অলিন্দ্র তালুকদার জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে তাকে ঢাকা মেডিকেল পরে সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। এসিডিটির চাপ ছাড়া তার শরীরে তেমন কোনো সমস্যা পাননি চিকিৎসকরা। তাই রাতেই তাকে আবারও থানায় নিয়ে আসা হয়। তবে এখন তিনি ভালো আছেন।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা সিইও রাসেল ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

২০১৬ সালে প্রথমে অনলাইনে ডায়াপার বিক্রি দিয়ে যাত্রা শুরু করেন রাসেল। ২০১৭ সালে এই ব্যবসা করতে গিয়ে বড় একটি অনলাইন প্লাটফর্মের কথা চিন্তা করেন তিনি। সেই চিন্তা থেকেই প্রতিষ্ঠা করেন দেশীয় ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালি। প্রায় ১৭ লাখ নিয়মিত ক্রেতা, ২০ হাজারের বেশি বিক্রেতা নিয়ে বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতে স্বল্প সময়ে প্রথম সারিতে উঠে আসে ইভ্যালি


আরও খবর



আন্দোলনে উত্তাল জবি, উপাচার্যের কাছে যেসব দাবি

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

শিক্ষক ও সহপাঠীকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফাইরুজ অবন্তিকা নামে এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে মাঝরাতেই আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে ক্যাম্পাস। রাতেই আন্দোলনে উত্তাল ক্যাম্পাসে ছুটে যান উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাত ১টায় উপাচার্য ক্যাম্পাসে গেলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আটকে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তখন ড. সাদেকা হালিম শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় ঘোষণা দেন।

এসময় এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত কর্মদিবস সময় নিতে চাইলে শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে আগামী ১২ ঘণ্টায় মধ্যে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেশ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থার দাবি জানান। একই সঙ্গে রাতের মধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন :ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ যে শাস্তির বিধান রয়েছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বিগত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানিসহ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রশাসনের গাফিলতির কারণে অভিযুক্তরা পার পেয়ে গেছেন। তাই এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।

শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগের বিষয়ে উপাচার্য বিগত সময়ে ঘটে যাওয়া সব বিষয়ের সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

এদিকে এর আগে উপাচার্যের নির্দেশে অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। একই সঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ, সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন আইন কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার দাস। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, সঙ্গীতের চেয়ারম্যান ঝুমুর আহমেদ।

এর আগে শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা জেলা সদরের নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। পরে তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফাইরুজ অবন্তিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেছেন।

ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মাঝরাতেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল হয় জবি ক্যাম্পাস। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ বিচারের দাবি জানিয়েছেন। এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে থাকেন। এছাড়া টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন।


আরও খবর



২১৭ বার করোনার টিকা নিয়েছেন যে ব্যক্তি

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জার্মানির ৬২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ২১৭ বার করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিয়েছেন। গত আড়াই বছরে তিনি নিজ উদ্যোগে এসব টিকা নেন। তবে এতে কোনো শারীরিক সমস্যা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি। বিবিসি জানায়, সম্প্রতি এই ঘটনা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সাময়িকী দ্য ল্যানসেট ইনফেকশাস ডিজিজ।

সংবাদমাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশিত হওয়ার পর জার্মানির এরলানগেন-ন্যুরেমবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার আমন্ত্রণ জানান। ওই ব্যক্তি বেশ আগ্রহী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন এবং গবেষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। ওই ব্যক্তি জানান, গত ২৯ মাসে মোট ২১৭ বার করোনা টিকার ডোজ নিয়েছেন তিনি। এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বোধ করেননি।

এরলানগেন-ন্যুরেমবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. কিলিয়ান স্কোবার বিবিসিকে  বলেন, সংবাদপত্রে ওই ব্যক্তির খবর প্রকাশের পর আমরা তার সম্পর্কে জানতে পারি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার আমন্ত্রণ জানাই। তিনি বেশ আগ্রহের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা করেছেন। ওই ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর তার রক্ত ও লালার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়।’

ড. স্কোবার বলেন, আমাদের ধারণা ছিল, একের পর এক টিকা গ্রহণের ফলে হয়তো তার রক্তের শ্বেত রক্ত কণিকাগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু রক্ত কণিকায় কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি। এমনকি তিনি এ পর্যন্ত কোভিডেও আক্রান্ত হননি।’

স্কোবার আরও জানান, করোনা থেকে সুরক্ষা পেতে পর্যায়ক্রমে তিন ডোজ টিকাই যথেষ্ট। ওই ব্যক্তি সৌভাগ্যবান। তার শারীরিক অবস্থা এমন যে বার বার টিকা নেওয়ার পরও কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগতে হয়নি।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এত বেশি টিকা নেওয়ার পক্ষপাতী নন গবেষকেরা। বর্তমান গবেষণা বলে, করোনা থেকে সুরক্ষায় তিন ডোজ টিকাই যথেষ্ট। এর চেয়ে বেশি টিকার দরকার নেই, কারণ সবার শারীরিক অবস্থা এক রকম নয়।


আরও খবর



মিয়ানমার সংঘাত: ফের বিস্ফোরণে কাঁপল টেকনাফ সীমান্ত

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

গত কয়েক দিন শান্ত থাকার পর মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলা সংঘাতের গোলাগুলি ও ভারী গোলাবর্ষণের শব্দে আবারও কেঁপে উঠল কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া এবং সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ সীমান্ত। রবিবার (১৭ মার্চ) রাত থেকে সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে গোলগুলির শব্দ শোনা যায়।

জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হ্নীলার চৌধুরী পাড়া ও সাবরাংয়ের শাহপরীরদ্বীপ সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে গোলাগুলির পাশাপাশি অন্তত ২০ থেকে ৩০টি মর্টারশেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের উত্তরে নাকপুরা এলাকা এবং পূর্বে ধনখালী, হাসুরাতা, নাইক্ষ্যংদিয়া, গর্জনদিয়া ও সংক্ষদাবিল এলাকায় সংঘাতের কারণে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে আজ সোমবার বেলা ১১টার পর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ কমে গেলেও ঘণ্টাখানেক পর পর গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, দেড় মাসের বেশি সময় ধরে মিয়ানমারের রাখাইনে সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) সংঘাত চলছে। উভয়পক্ষে গোলাগুলি, মর্টার শেল, গ্রেনেড বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে। যে কারণে এর প্রভাব এসে পড়ছে এপারে।’

রবিবার (১৭ মার্চ) রাতে হঠাৎ একসঙ্গে প্রায় ২০টি মর্টার শেলের বিস্ফোরণে সীমান্তের লোকজন একটু আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বলে জানান এই জনপ্রতিনিধি।

টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, রাতে বিকট শব্দের মর্টার শেলের বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া, চৌধুরীপাড়া, কুলালপাড়া, ডেইলপাড়া, হাঙ্গারডেইলসহ অন্তত ১৩টি গ্রাম। এতে লোকজনের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ জেটিঘাটের ইজারাদারের টোল আদায়কারী মোহাম্মদ ছিদ্দিক জানান, সোমবার (১৮ মার্চ) ভোরে সেহেরির সময় নাফ নদের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তর থেকে বেশ কয়েকটি গোলাগুলি ও ভারী গোলাবর্ষণের শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন। সকাল থেকে ভারী মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। এ ছাড়া এখনও মাঝে মাঝে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এতে নাফ নদে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা আতঙ্কে রয়েছেন।

বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ওপারে সংঘাতের কারণে মাঝে মাঝে এপারে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে। তবে রাখাইনের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছে বিজিবি। বিশেষ করে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদ ও সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে।’


আরও খবর



নিষিদ্ধ জাল উৎপাদন বন্ধের আহ্বান করে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদ্বোধন

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য জাল উৎপাদন বন্ধ করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান।

সোমবার (১১ মার্চ) চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার মোলহেড এ জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোহাং সেলিম উদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোঃ আলমগীর, চাঁদপুর জেলার জেলা প্রশাসক জনাব কামরুল হাসান এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তিনি বলেন, দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের। অথচ অবৈধভাবে জাটকা আহরণের নেপথ্যে কিছু মানুষ কাজ করে থাকে। জাটকা ধরার সাথে জড়িতরা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন জাটকা ধরলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। যারা কারেন্ট জালসহ অবৈধ জাল ব্যবহার করে জাটকাসহ রেনুপোনা ধরে ফেলে তারা সমাজ ও দেশের শত্রু। দেশের মৎস্য সম্পদের যারা শত্রু তাদের ব্যাপারে কোন তদবীর শোনা হবে না এবং এ ব্যাপারে কঠোরতা অবলম্বন করা হবে বলে তিনি এ সময় জানান।

মন্ত্রী বলেন, জাটকা ইলিশ সংরক্ষণ এবং ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিগত বছরের ন্যায় এ বছরও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে মৎস্য অধিদপ্তর ১১ মার্চ হতে ১৭ মার্চ পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৪ উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ইলিশ হলো মাছের রাজা, জাটকা ধরলে হবে সাজা

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে জাটকা রক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সর্বসাধারণকে বিশেষ করে জেলে, মৎস্যজীবী সম্প্রদায় ও ইলিশের সাথে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ী, আড়তদারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করা এবং ব্যাপক প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়টিকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে হবে বলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর ইলিশসহ সকল মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও মৎস্য সম্পদের সাথে জড়িত মৎস্য চাষী, জেলে/মৎস্যজীবী জীবনমান উন্নয়নে বাস্তবভিত্তিক ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। যার ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৭১ লক্ষ মেট্রিকটনে যা ২০০২-০৩ অর্থবছরে ছিল মাত্র ১.৯৯ লক্ষ মে.টন।

দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের ১২ ভাগ ইলিশ থেকে আসে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ মৎস্য প্রজাতির উৎপাদন বৃদ্ধি ও এ সম্পদের টেকসই উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিই নয়, জনবান্ধব এ সরকার জেলে ও মৎস্যজীবীদের উন্নয়নেও বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে মৎস্য অধিদপ্তরসহ মাঠ প্রশাসন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, নৌপুলিশ, র‌্যাব এবং বিজিবি জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে। প্রয়োজনীয় লোকবল, নৌযানসহ প্রয়োজনীয় রশদের স্বল্পতা এবং অভিযানে নানাবিধ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান সফলভাবে বাস্তবায়ন করছেন।

মন্ত্রী বলেন, জাটকা ও মা ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে জেলেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের মাধ্যমে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য উপকরণ হিসেবে বকনা বাছুর(গরু), ছাগল, ভ্যান বিতরণসহ ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। প্রকল্প মেয়াদে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও উপকূল-মোহনা তীরবর্তী ৩১৭০০টি সুফলভোগী জেলে পরিবারকে বিকল্প কর্মসংস্থানে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণসহ উপকরণ বিতরণ করা হচ্ছে।

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হলে জাটকা নিবিড়ভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। জাটকা আহরণ বন্ধে অভিযান জোরদারকরণের পাশাপাশি দেশের সকলকে জাটকা রক্ষার গুরুত্ব বোঝাতে প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রাখতে হবে। মা ইলিশ সংরক্ষণ ও জাটকা রক্ষার মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে এবং ইলিশ সাধারণ মানুষের জন্য আরো সহজলভ্য হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ, আর এই সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের। দেশের সকল মানুষের হাতের নাগালে ইলিশ মাছ যেমন পৌছে দিতে চাই তেমনি দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদাশিক মুদ্রা অর্জন করতে চাই।

এ লক্ষ্যে মা ইলিশ রক্ষা ও জাটকা সংরক্ষণে আপামর জনগণকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধকরণের জন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া যে বলিষ্ট ভূমিকা পালন করছেন তার জন্য তিনি গণমাধ্যমকর্মী দের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।


আরও খবর



রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেল সোয়া ৫টায় তারা এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে সস্ত্রীক বঙ্গভবনে যান ভুটানের রাজা।

এর আগে এদিন ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে দিনের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাদের সঙ্গে উপস্থিত থেকে ওয়াংচুকও শ্রদ্ধা জানান।

তার আগে সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান ভুটানের রাজা। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আওয়ামী লীগ সরকার গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর এটি বাংলাদেশে কোনো দেশের শীর্ষ নেতার প্রথম সফর।

সফরের শুরুর দিন রাজা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন এবং জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।


আরও খবর