জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন আবাসিক হলে ক্যান্টিন ব্যবস্থা না থাকায় খাবার নিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে(জাবি) শিক্ষার্থীদের জন্য বর্তমানে ছেলেদের ৯ টি এবং মেয়েদের ৮ হলসহ মোট ১৭ টি হল চালু রয়েছে।এর মধ্যে ছেলেদের ৩ টি হলে নেই ক্যান্টিন ব্যবস্থা। হল গুলো হলো- বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল, শহীদ রফিক-জব্বার হল ও নবনির্মিত শেখ রাসেল হল। ক্যান্টিন না থাকায় এ হলগুলোর শিক্ষার্থীদের নির্ভর করতে হয় অন্য হলের ক্যান্টিনের উপর অথবা বটতলার দোকানগুলোতে। ফলে শিক্ষার্থীদের সময় নষ্ট হচ্ছে আবার হোটেলে খাবারের দাম বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত টাকা দিয়ে খেতে হয়।যা নিয়ে দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা।
শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সীমান্ত বলেন, আমাদের হল সেন্ট্রাল পয়েন্টগুলো থেকে একটু দুরে হওয়ায় বটতলা বা অন্য হলে খেতে যাওয়া আমাদের জন্য কষ্টদায়ক। বটতলায় খাবারের দাম বেশি সাথে অস্বাস্থ্যকর। ঝড় বৃষ্টির সময় আমরা বাইরেও যেতে পারি না।
শহীদ রফিক-জব্বার হলের ৫১ তম আবর্তনের এক শিক্ষার্থী জানান, হলে ক্যান্টিন না থাকায় আমাদের বাইরে উচ্চমূল্যে খাবার খেতে হয়। ডাইনিং আর স্টোর থাকলেও প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য সেখানে খাওয়া নিষেধ।যদিও গত কিছুদিন থেকে আমরা ডাইনিংয়ে খেতে পারছি। তবে ক্যান্টিন চালু হলে আমাদের জন্য সুবিধাজনক হবে।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,যারা ক্যান্টিন চালায় তাদের পরিবার-পরিজন এর খরচ ক্যান্টিনের প্রফিটের উপর নির্ভর করে,লাভ না হওয়ায় কেউ আগ্রহ দেখাচ্ছে না। হলের সবকিছু চালু থাকলে আমাদের জন্যই ভালো। আগ্রহী ক্যান্টিন ব্যবসায়ী পেলে দ্রুত ক্যান্টিন চালু করতে পারবো।
সার্বিক বিষয়ে শহীদ রফিক-জব্বার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহেদ রানা বলেন, ক্যান্টিনে আমাদের শিক্ষার্থীরা এখন থাকছেন।আজকেও প্রভোস্ট কমিটির মিটিংয়ে বলেছি, আমাদের আসবাবপত্র দিয়ে দিলে শিক্ষার্থীদের শিফট করে আমরা শিঘ্রই ক্যান্টিন চালু করতে পারবো।