আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
মুক্তিপণে সন্তুষ্ট জলদস্যুরা, কততে নির্ধারিত হল জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন? সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রীর মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু ‘নির্বাচনে খরচ ১ কোটি ২৬ লাখ, যেভাবেই হোক তুলবো’ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫৩ কোটি ডলার রিজার্ভ কমল চট্টগ্রামে আর্টিকেল ১৯ এর দিনব্যপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ কংগ্রেস থেকে শিবসেনায় যোগ দিলেন গোবিন্দ পরিবেশ দূষণে বছরে অকাল মৃত্যু হচ্ছে পৌনে ৩ লাখ বাংলাদেশির প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার ৭০ হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা

জাগ্রত চৌরঙ্গী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ডান হাতে গ্রেনেড, বাঁ হাতে রাইফেল। লুঙ্গি পরা, খোলা শরীর, দৃপ্ত পায়ে পেশিবহুল মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্যটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তার সড়কদ্বীপে দাঁড়ানো। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্যের গল্প উঠলে চোখে ভাসবেই জাগ্রত চৌরঙ্গী। এটিই দেশে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ভাস্কর্য। মহান মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ১৯ মার্চের সশস্ত্র প্রতিরোধযুদ্ধে নিহত ও আহত বীরদের অসামান্য আত্মত্যাগ স্মরণে ১৯৭৩ সালে নির্মিত হয়েছিল জাগ্রত চৌরঙ্গী। ঢাকা আর্ট কলেজের সেই সময়ের অধ্যক্ষ দেশের খ্যাতিমান ভাস্কর আবদুর রাজ্জাকের হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হয়েছিল এই দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যকর্ম।

তৎকালীন গাজীপুরে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল আমীন আহম্মেদ চৌধুরী বীরবিক্রম ভাস্কর্যটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ২৪ ফুট ৫ ইঞ্চি বেদিসহ জাগ্রত চৌরঙ্গীর উচ্চতা ৪২ ফুট ২ ইঞ্চি। কংক্রিট, গ্রে ও হোয়াইট সিমেন্টের ঢালাইয়ে নির্মিত ভাস্কর্যটিতে ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৩ নম্বর সেক্টরের ১০০ জন এবং ১১ নম্বর সেক্টরের ১০৭ জন শহীদ সেনা ও মুক্তিযোদ্ধার নাম রয়েছে। ভাস্কর আবদুর রাজ্জাক সহযোগী হামিদুজ্জামান খানকে নিয়ে ১৯৭২ সালে ভাস্কর্যটির নির্মাণকাজ শুরু করেন। কাজ শেষ হয় ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বরে। জাগ্রত চৌরঙ্গীর প্রকৌশলী ছিলেন আবদুর রশিদ, তাঁর দুই সহকারী ছিলেন এম আহমদ ও আবদুল হক। নির্মাণ তত্ত্বাবধানে ছিলেন মো. আসলুল হক ও আবদুল হক। ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সুবেদার খন্দকার মতিউর রহমান বীরবিক্রম। নির্মাণকাজে জড়িত সবাই ছিলেন ঢাকা আর্ট কলেজের। আলোকসজ্জার দায়িত্বে ছিল গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড।

জানা গেছে, ১৯৭১ সালে জয়দেবপুর (পরে গাজীপুর) সেনানিবাসের ভাওয়াল রাজবাড়িতে ছিল পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট কার্যালয়। ২৫-৩০ জন ছাড়া সবাই ছিলেন বাঙালি সেনা কর্মকর্তা। পাকিস্তানিরা বাঙালি দমনের নীলনকশা অনুযায়ী ১৫ মার্চের মধ্যে রাইফেল জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। বাঙালি সেনারা রাজি না হলে ১৯ মার্চ সকালে ঢাকা ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জাহান জেব অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিতে জয়দেবপুর সেনানিবাসে আসেন। এ খবর জানাজানি হলে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে স্থানীয় জনতা লাঠি, তীর-ধনুক নিয়ে জয়দেবপুর বটতলায় জড়ো হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ওই যুদ্ধে মনু খলিফা, ফুটবলার হুরমত আলী ও কানু মিয়া এবং কিশোর নিয়ামত শহীদ হয়। জয়দেবপুরে পাকিস্তানি হানাদারদের সঙ্গে এই সম্মুখযুদ্ধের পর সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। সারা দেশে স্লোগান ওঠে, জয়দেবপুরের পথ ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো

গাজীপুরের ইতিহাসবিদদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯ মার্চের সশস্ত্র যুদ্ধে শহীদ হুরমত-মনু খলিফাদের স্মৃতি অমর করতে গাজীপুর ক্যান্টনমেন্টের ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের তৎকালীন সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (পরে মেজর জেনারেল) আমীন আহম্মেদ চৌধুরী বীরবিক্রম গাজীপুরে ভাস্কর্য তৈরির উদ্যোগ নেন। ভাস্কর্য নির্মাণের জন্য তিনি দায়িত্ব দেন ভাস্কর আব্দুর রাজ্জাককে। ভাস্কর্যটি তৈরিতে ৩০ হাজার ইট, ইটের গুঁড়া, রড এবং প্রায় ৩০০ ব্যাগ সিমেন্ট লাগে। ভাস্কর্যটির নির্মাণকাজ চলে আর্ট কলেজে। কাজ শেষ হলে ক্রেনের সাহায্যে সেটি ট্রাকে তুলে ঢাকা থেকে গাজীপুরে আনা হয়।

ভাস্কর্যটি নির্মাণে সবচেয়ে বেশি শ্রম দিয়েছেন ভাস্কর আব্দুর রাজ্জাক। তিনি দিনরাত মেজর জেনারেল আমীন আহম্মেদের বাসায় থেকে কাজ করেছেন। আমীন আহম্মেদ চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে শহীদ হুরমত আলীর মা কদরজানকে দিয়ে ভাস্কর্যের উদ্বোধন করাতে। কিন্তু কদরজান মারা যাওয়ায় তা আর হয়নি। পরে ভাস্কর্যটি আর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়নি।

গাজীপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুস ছাত্তার জানান, অতীতে বাসে যাতায়াতের সময় বহুদূর থেকে জাগ্রত চৌরঙ্গী দেখা যেত। ভাস্কর্যটি দেখে যাত্রীরা চান্দনা বাসস্ট্যান্ডে নামত। ভাস্কর্যের হাতের গ্রেনেড ও রাইফেল দেখিয়ে মা-বাবা তাঁদের শিশুসন্তানদের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাস সম্পর্কে জানাতেন।

গাজীপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার আবদুর রউফ নয়ন বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের স্মৃতি ধরে রাখতে অনেক দেশ নানা উদ্যোগ নেয়। সবার ওপরে থাকে বীরদের ইতিহাস ও বীরত্ব নিয়ে ভাস্কর্য। জার্মানি, রাশিয়া, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশে রাস্তা ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ ধরনের ভাস্কর্য বেশি দেখা যায়। এ ধরনের ভাস্কর্য স্থাপনে আমাদের দেশ এখনো পিছিয়ে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য আরো বেশি বেশি স্থাপন করা দরকার।

নিউজ ট্যাগ: জাগ্রত চৌরঙ্গী

আরও খবর
আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস

সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪




খালেদা জিয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে ফের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন তার পরিবার। একইসঙ্গে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সাজা স্থগিত করে স্থায়ী মুক্তির আবেদনও করা হয়েছে।

তবে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আর নির্বাহী আদেশে খালেদার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ আবার ৬ মাস বাড়ানো হতে পারে।  সোমবার সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, আবেদন হাতে পেলেও এখনো ভালোভাবে পড়ে দেখার সুযোগ তার হয়নি। ফাইল পড়ে দেখে মঙ্গলবার তিনি সিদ্ধান্ত জানাবেন। খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না। তাকে বিদেশ থেকে ডাক্তার এনে চিকিৎসা করার অনুমতিও দিয়েছিলাম। ডাক্তার তাকে চিকিৎসাও করেছিলেন, ডাক্তার তাকে সুস্থও করেছেন। খালেদা জিয়ার এবারের মেয়াদ ছয় মাস হয়, নাকি আরও বেশি হয়, সেটা জানার জন্য আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

গত ৬ মার্চ পরিবারের পক্ষে খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম সাত্তার আবেদনের চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেন। রোববার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, আবেদনপত্রে ম্যাডামের স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। ম্যাডামের ছোটভাই (শামীম ইস্কাদার) অসুস্থ থাকায় আমি চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দিয়েছি। আবেদনপত্রে শামীম ইস্কাদার বলেন, বেগম জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষায় দরকার দেশের বাইরে চিকিৎসা।

আবেদন পত্রটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। সোমবার সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনমন্ত্রী বলেন, মেয়াদ বৃদ্ধি করার আইনি সুযোগ আছে, কিন্তু বিদেশে যাওয়ার অনুমতি বা অন্য কিছু করার আইনি সুযোগ নাই।

আনিসুল হক বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কিন্তু মুক্ত। তাকে দুটো শর্ত দেওয়া হয়েছে। একটা হচ্ছে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না, দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে তিনি ঢাকায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। তাকে কিন্তু চলাফেরা বা চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অনুমতি নিতে হয় না এবং তিনি অনুমতি নেনও না। সেই ক্ষেত্রে খালেদা জিয়াকে আবার মুক্তির কথা বলাটা একটু ইরিলেভেন্ট।

কেন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে না, সেই প্রশ্নে পুরোনো ব্যাখ্যা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, একটা জিনিস আমি বুঝতে পারছি না। বহুবার আমি আইনের ব্যাখ্যা দিয়েছি। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার বাইরে গিয়ে আমাদের কিছু করার নেই। তারপর প্রতিবারই তারা প্রথম যে চিঠি লিখেছিল সেই আকারেই আবেদন করছে।

সরকারপ্রধান চাইলে খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে কিনা জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, সরকারপ্রধান মানে হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তিনি যেহেতু এটা নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন, এখন এটা পরিবর্তন করার আইনি কোনো বিধান নেই। সরকার প্রধানকে আইনের ভেতরে থেকে মানবিক বিবেচনা করতে হবে। আইনের বাইরে গিয়ে তিনি মানবিক কারণ দেখাতে পারবেন না। প্রথম বার থেকেই মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে জামিন (নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি) দেওয়া হচ্ছে। এখন সেই মেয়াদ বারবার রিনিউ হচ্ছে, সেটা কিন্তু মানবিক কারণেই হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেন আদালত। সেই থেকে প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন তিনি। পরে মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে দুটি শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

প্রথমটি হলো, তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। দ্বিতীয় শর্তটি হলো, তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। তখন করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস অন্তর অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।

সর্বশেষ গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ মার্চ।


আরও খবর



ফেসবুক থেকে আয় করার সহজ ৪ উপায়

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

বর্তমানে ফেসবুক শুধু ছবি, ভিডিও বা মনের অবস্থা বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার প্ল্যাটফর্ম না। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ফেসবুক থেকে এখন আয় করা যায় লাখ লাখ টাকা। এখানে প্রতি মুহূর্তে কয়েকশ কোটি মানুষ লগইন করছেন।

ঘরে বসে ফেসবুক স্ক্রোল করেই আপনি আয় করতে পারবেন। জেনে নিন ফেসবুক থেকে আয় করার কয়েকটি উপায়-

ব্র্যান্ড কোলাবরেশন : ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার একটি ভালো উপায় হলো ফেসবুকের অফিসিয়াল ব্র্যান্ড কোলাবরেশন প্রোগ্রামে যোগ দেওয়া। তবে অফিসিয়াল পার্টনারশিপ প্রোগ্রামের জন্য যোগ্য হতে আপনার ফেসবুক পেজে কমপক্ষে এক হাজার ফলোয়ার লাগবে।

কনটেন্ট নির্মাণ : আপনি যদি একজন কনটেন্ট নির্মাতা হন, তাহলে আপনি একাধিক উপায় ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। কোনো ব্র্যান্ডের সঙ্গে সহযোগিতা করা এবং তাদের জিনিসে প্রচার আপনার কনটেন্টের মাধ্যমে করলে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।

ফেসবুক ইভেন্ট : ফেসবুকের একটি বিশেষ অপশন রয়েছে, যাকে ইভেন্ট বলা হয়। তার মাধ্যমেও আপনি টাকা আয় করতে পারেন। আপনি ফেসবুক লাইভেও একটি ইভেন্ট হোস্ট করতে পারেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং : আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ে ভালো হন, তাহলে অনলাইন ব্র্যান্ডগুলো আপনাকে একজন ফ্রিল্যান্সার বা কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ করতে ইচ্ছুক হতে পারেন। সেখান থেকেও অনেক উপার্জনের সুযোগ থাকে।


আরও খবর
গুগল ডুডলে মহান স্বাধীনতা দিবস

মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪




জাজিরায় ইউপি উপ-নির্বাচন

ঘোড়া প্রতীক নিয়ে লুৎফর রহমান নির্বাচিত

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সম্পন্ন হলো শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচন।

আজ শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মাঝে দিনব্যাপী কেন্দ্রে কেন্দ্রে ছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং অফিসার মো. মিজানুর রহমান তালুকদার জানান, নির্বাচনে মো: লুৎফর রহমান ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৫৩১৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম এ ওয়াহাব চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪১৩২ ভোট। এছাড়া মতিউর রহমান অটোরিক্সা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১১ ভোট, মুফরাত সিদ্দিকি টেবিল ফ্যান প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ ভোট, মোসা: হাচিনা বেগম আনারশ প্রতিকে পেয়েছেন ১৭ ভোট, মো: আলী আশরাফ মাল মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৯ ভোট, টেলিফোন প্রতীক নিয়ে কামরুল হাসান পেয়েছেন ৬ ভোট।

নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, দিনব্যাপী ভোটে কোনো ধরনের সমস্যা আমাদের নজরে আসেনি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে তিনজন যুবক জালভোট দিতে আসায় তাদের আটক করেছে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৫২৯০ জন। এই উপ-নির্বাচনে ৯৬০৮ জন ভোটার তাদের ভোট প্রদান করেছে। বাতিল হয়েছে ৬৩ ভোট।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাবেক নির্বাচিত চেয়ারম্যান সফি উদ্দিন খলিফা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান। এরপর পদটি শুন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।


আরও খবর



সমরাস্ত্র প্রদর্শনী-২০২৪ পরিদর্শন করছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর সমরাস্ত্র প্রদর্শনী-২০২৪ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁও পুরাতন বিমান বন্দরের জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর এই সমরাস্ত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর বিভিন্ন স্টল ও প্যাভেলিয়ন ঘুরে দেখেন এবং সমরাস্ত্রগুলো পরিদর্শন করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীকে স্টল ও সমরাস্ত্রের পরিচিতি ব্রিফ করা হয়। তিনি সশস্ত্র বাহিনীর অবদান সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর নির্মিত স্টল পরিদর্শন করেন। প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

এসময় মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সেনাপ্রধান, নৌবাহিনীর প্রধান, বিমান বাহিনী প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সংসদ সদস্য, সংশ্লিষ্ট সচিব, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মিশনের প্রধান এবং পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ২৬ থেকে ৩০ মার্চ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমরাস্ত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে এ সমরাস্ত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



ভোটের পরিবেশ সন্তোষজনক: ইকরামুল হক টিটু

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামুল হক টিটু। বেলা ৯টায় নগরীর প্রিমিয়ার আইডিয়াল স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, ভোটের পরিবেশ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক। ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতিও ভালো। দীর্ঘদিন মানুষের জন্য কাজ করায় এবার টেবিল ঘড়ি প্রতীক বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবে।

ভোটগ্রহণে ধীরগতি নিয়ে তিনি বলেন, অনেক ভোটারের আঙুলের ছাপ না মেলায় তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসতে হচ্ছে। একজন ভোটার ২ থেকে ৩ বার যদি এই বিড়ম্বনায় পড়ে তার প্রভাব ভোটে পড়তে পারে। বিষয়টির ব্যাপারে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ময়মনসিংহ

আরও খবর