গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থী
জাহাঙ্গীর আলম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন ঋণখেলাপি ছিলেন। তাই তার মনোনয়নপত্র আইন অনুযায়ী
বৈধ বলার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
মনোয়নপত্র বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে
জাহাঙ্গীর আলমের রিট খারিজের লিখিত আদেশে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ
মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার ৫ পৃষ্ঠার লিখিত আদেশ
প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৭ এপ্রিল মনোয়নপত্র
জমা দেওয়ার দিন সিআইবি রিপোর্টে জাহাঙ্গীর আলমের নাম ছিল। গত ২ মে তিনি সিআইবি রিপোর্টের
ওপর স্থগিতাদেশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জাহাঙ্গীরের ফেরার অপেক্ষায় আ.লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা
স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯
এর ৯ (২) ধারা তুলে ধরে আদেশে বলা হয়েছে, এই আইন অনুযায়ী জাহাঙ্গীর আলম মনোনয়নপত্র
জমা দেওয়ার দিন কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে গৃহীত কোন ঋণ বা কিস্তি পরিশোধে
ব্যর্থ হন তাহলে ঋণগ্রহীতা ছাড়াও বন্ধকদাতা বা জামিনদার ঋণ খেলাপি বলে গণ্য হবেন।
এর আগে গত ৮ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন
নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীর আলমের দায়ের
করা রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ
মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: পাঁচ সিটির নির্বাচনে প্রার্থী দিল জাপা
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক
অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে
শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল
শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, মো. আসাদুজ্জামান
মনির, ওয়ায়েস আল হারুনী, নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী প্রমুখ।
এখন পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে
আপিল করেননি।
গত ৭ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে
মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন জাহাঙ্গীর আলম।
রিটে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
গত ৪ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে
মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের করা জাহাঙ্গীর আলমের আপিল নামঞ্জুর
হয়।
গত ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে
গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী
জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল
করা হয় বলে জানানো হয়। তবে তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী
লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান। জাহাঙ্গীর
আলম দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।