আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

জাহাঙ্গীরনগর বাঁচাও আন্দোলনে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সংহতি সমাবেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বনভূমি উজাড় করে যত্রতত্র ভবন নির্মাণ না করে অংশীজনের মতামত নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের দাবিতে সংহতি সমাবেশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার (১১ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম জাহাঙ্গীরগর বাঁচাও আন্দোলন এর আয়োজনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে শিক্ষার্থীদের সমর্থন জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের  শিক্ষকরা।

সংহতি সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের  শিক্ষার্থী জোবাঈদা মৌটুসী ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী  প্রাপ্তি দে তাপসীর  সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ  ছাত্র ইউনিয়ন  কেন্দ্রীয় সংসদের একাংশের  সাধারণ সম্পাদক  রাকিবুল রনি। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ১৪ শত ৪৫ কোটির যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে সেই  অর্থই অনর্থের মূল হয়ে দাঁড়িয়েছে। টাকা পেয়ে প্রশাসন খরচ করার জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়েছে। পরকল্পনা ছাড়া যত্রতত্র ভবন নির্মাণ করছে। গাছ কেটে উজাড় করছে। উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন লেকচার থিয়েটারে প্রতিটি কক্ষে ১০০ জন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন  ৬২ টি কক্ষ তৈরি হচ্ছে। তাহলে নতুন ভবন তৈরি করার প্রয়োজন কোথায়? আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের জন্য আন্দোলন করে আসছি। প্রশাসন মনে করছে টাকার ভাগ দিয়ে  আন্দোলনকে দমিয়ে রাখবে।  ২০১৯ সালে তৎকালীন উপাচার্য ফারজান ইসলাম আন্দোলনকারীদের বলেছিলেন তোমাদেরও টাকার দরকার? তাদের কাছে  টাকাই সবকিছু। আমরা দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চর জন্য বরাদ্দ  দেওয়া হয় মাত্র ২ হাজার টাকা। যেখানে বরাদ্দ দেওয়া দরকার সেখানে না দিয়ে অপ্রয়োজনীয় খাতে অর্থ খরচের প্রবণতা প্রশাসনকে বন্ধ করতে হবে

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের ১৫শত কোটি বরাদ্দের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চরিত্র নষ্ট হয়েছে, কর্মকর্তা-কর্মকর্তদের চরিত্র নষ্ট হয়েছে, শিক্ষার্থীদের একটি অংশের চরিত্র নষ্ট হয়েছে। পাবলিক বিশ্বিবদ্যালয়ে যত্রতত্র  ভবন বানিয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় বানানোর পাঁয়তারা করছে। আমার মনে হয় উইকেন্ড প্রোগ্রাম চালু হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ই তার চরিত্র হারিয়েছে। উইকেন্ড প্রোগ্রামের টাকা জমিয়ে যখন কোন বিভাগ স্বতন্ত্র ভবন নির্মাণ করতে চায়, তখন প্রশাসনও  নিজেদের টাকা খরচ না করার উল্লাসে সম্মতি জ্ঞাপন করে। কোথায় ভবন নির্মাণ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি হবে সে বিষয়টিও বিবেচনা করে না। আমাদের দাবি উন্নয়ন হোক তবে পরিকল্পিতভাবে

মাহা মির্জা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হয়ত মনে করছেন ক্যাম্পাসে অনেক বেশি বনভূমি রয়েছে। এর থেকে কিছু গাছ কেটে ভবন নির্মাণ করলে পরিবেশের কোন ক্ষতি হবে না। কিন্তু আমরা জানি বাংলাদেশের মোট আয়তনের তুলনায় বনভূমি অনেকটাই কম। এজন্য আমাদের দেশের যে প্রান্তেই বনভূমি রয়েছে সেগুলো সংরক্ষণ করা জরুরি। কারণ আমরা গেল গ্রীষ্মের মৌসুমে দেখেছি পরিবেশের তাপমাত্রা রেকর্ড মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য প্রশাসনের উচিত পরিকল্পিতভাবে প্রকৃতি ধ্বংস না করে উন্নয়ন করা

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিগের অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, ২০১৮ সাল থেকে শুনে আসছি একটি মাস্টারপ্ল্যান হচ্ছে। প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তিদের থেকে শুনে আসছি যে, এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বিভাগে ক্লাশ করার জন্য ও শিক্ষকদের বসার জায়গার অভাব রয়েছে। এই সমস্যাগুলো সমাধান না করে প্রশাসন একের পর এক নতুন  বিভাগ খুলছে । অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। আমরা দেখেছি লেকের পাড়ে রাস্তার পাশে নতুন কলা ভবন নির্মাণ করার ফলে রাস্তার পাশে গাড়ির শব্দে শিক্ষার্থীদের ক্লাশ- পরিক্ষায় সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। জহির রায়হান মিলনায়তনের ভিতরে গরমে বসা যায় না।এইভাবে নির্মাণ কাজ করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয় কারা তার জবাব পাওয়া যায় না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাশরুম সংকট নিরসনে ভবন নির্মাণের জন্য মাস্টারপ্ল্যান করা দরকার। কিভবে নির্মাণ করলে প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস হবে না, কারো ক্ষতি হবে না সেভাবেই পরিকল্পনা করা দরকার। পূরাতন অব্যবহৃত ভবনগুলো  ফেলে না রেখে সেগুলো বহুতল ভবনে রুপ দিয়ে চাহিদা মেটানো যেত। আমরা জানাতে চাই সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো সমাধান করা হোক।

সংহতি সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক  মাফরুহী সাত্তার, বাংলাদেশ পরিবেশ  আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবীর,  ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস এর শিক্ষক অলিউর রহমান সান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রফিকুজ্জামান ফরিদ,জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট সাবেক সভাপতি মুশফিক উস সালেহীন  গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক সাদিকুল ইসলাম সোহেল,  পরিবেশ উপ-পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক  পারভীন ইসলাম, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক  মেহের বিশ্বাস, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক  সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতা মাহাথির মোহাম্মদ, সাভার উপজেলা সরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম পাটওয়ারী, পরিবেশ বিষয়ক উপ পরিষদের সদস্য সৈয়দ রত্না।


আরও খবর



ইন্দোনেশিয়ায় অগ্ন্যুৎপাত: বন্ধ ঘোষণা ৬টিরও বেশি বিমানবন্দর

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপের কাছে রুয়াং আগ্নেয়গিরি থেকে আবারও অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা উদ্‌গিরণ ও আশপাশে ছাই ছড়িয়ে পরায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়।

এদিকে ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে ছয়টি’রও বেশি বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

খবর অনুসারে, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ছাই মালয়েশিয়ার বোর্নিও দ্বীপ পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে। সুনামি আশঙ্কায় কর্তৃপক্ষ হাজার হাজার লোককে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে।

বুধবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মাউন্ট রুয়াং থেকে মঙ্গলবার তিন দফা অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। লাভা ও ছাই আকাশের পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।

কর্তৃপক্ষ ১২ হাজার স্থানীয়কে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ জারি করেছে। অগ্ন্যুৎপাতের পর ছাই ও লাভা সমুদ্রে পড়ার কারণে সুনামির আশঙ্কা করা হচ্ছে।


আরও খবর



ঈদের আগের‌ দিন ফাঁকা বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌ক

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প‌রিবা‌রের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভা‌গি কর‌তে বা‌ড়ি যা‌চ্ছেন মানুষজন। ত‌বে আজ মহাসড়‌কে নেই তেমন কোনো প‌রিবহন। দু্ই-তিন প‌রিবহ‌ন দেখা গে‌লেও ঈদের আগের দিন মহাসড়ক ফাঁকা র‌য়ে‌ছে। ফ‌লে কোনো ভোগা‌ন্তি ছাড়াই স্ব‌স্তি নি‌য়ে বা‌ড়ি যা‌চ্ছেন ঘরমুখো মানুষজন। আজ বুধবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কে এমন চিত্র দেখা‌ গে‌ছে।

দেখা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কের রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও বঙ্গবন্ধু সেতু গোলচত্ত্বর এলাকায় তেমন কোনো প‌রিবহন উত্তরবঙ্গের দি‌কে যে‌তে দেখা যায়‌নি। দুই-‌তিনটা ক‌রে প‌রিবহন গ‌তি‌ নি‌য়ে চলাচল কর‌ছে। এছাড়াও মহাসড়‌কে তেমন কোনো যাত্রীও নেই। ত‌বে কিছু মানুষজন বাস না পে‌য়ে ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রা‌ক ও পিকআপে যা‌চ্ছেন।

জানা যায়, চির‌চেনা এই মহাসড়‌কে প্রতিবছরই ঈদের আগের রা‌তেও ব‌্যাপক মানু‌ষের স্রোত থাকে। ফ‌লে প‌রিবহ‌নের চাপ ছিল মহাসড়‌কে। এতে আইনশৃঙ্খলা বা‌হিনীর সদস‌্যদের মহাসড়‌কের প‌রিবহন চলাচল স্বাভা‌বিক কর‌তে হিমশিম খেত। জেলা পুলিশের নানা পদক্ষেপের কারণে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন মানুষজন।

ত‌বে গতকাল মঙ্গলবার চরম ভোগা‌ন্তি‌তে পড়‌তে হ‌য়ে‌ছিল উত্তরব‌ঙ্গের ঘরমুখো মানু‌ষদের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়‌কেই প্রচণ্ড রো‌দের ম‌ধ্যে যানজ‌টের কব‌লে প‌ড়ে‌ছিল। প‌রে বঙ্গবন্ধু সেতু‌র প‌শ্চিম টোলপ্লাজা বন্ধ রে‌খে সেতু‌তে একমুখী ক‌রে উত্তরব‌ঙ্গের দি‌কে প‌রিবহনগু‌লো ছে‌ড়ে দেওয়ায় টাঙ্গাইলের মহাসড়‌কে প‌রিবহ‌নের চাপ ক‌মে‌ছিল। মঙ্গলবার সকাল থে‌কে বিকেল পর্যন্ত পরপর দুইবার দুই ঘণ্টা ক‌রে প‌শ্চিম টোলপ্লাজায় ঢাকাগামী লেন বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।

মহাসড়কে দায়িত্বরত এক পু‌লিশ সদস্য জা‌নান, বুধবা‌রে ঈদ হ‌বে এই টা‌র্গেটে এবং সব প্রতিষ্ঠান আগেই ছু‌টি হ‌য়ে যাওয়ায় মানুষ আগে থে‌কেই বা‌ড়ি‌তে যাওয়া শুরু ক‌রে‌ছিল। ত‌বে মঙ্গলবার গা‌র্মেন্টসের লোকজনসহ অন‌্যান‌্যরা একসঙ্গে রওনা হওয়ায় মহাসড়কে চাপ বে‌ড়ে‌ছিল। ত‌বে আজ‌কে তেমন মানুষ বা‌ড়ি যাওয়ার নেই। যারা যাওয়ার তারা চ‌লে গে‌ছেন। ফ‌লে মহাসড়‌কে তেমন প‌রিবহন নেই। একদম ফাঁকা মহাসড়ক।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর আশরাফ জানান, মহাসড়‌কে তেমন প‌রিবহন নেই। পরিবহনগু‌লো স্বাভা‌বিক গ‌তি‌তেই চলাচল কর‌ছে। উত্তরবঙ্গগামী মানুষজন স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন। 


আরও খবর



মেহেরপুরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মহাজনপুর গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছেন।

দুই প্রার্থীর একজন হলেন- মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমাম হোসেন মিলু ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা।

রফিকুল ইসলাম তোতার দাবি, শুক্রবার দিনগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমাম হোসেন মিলুর কিছু সমর্থক মহাজনপুর বাজারে তাদের একটি অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় তার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে হামলাকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে তার ৫ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ইসলাম শেখের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে অন্যরা হলেন- রাজন আলী (২৬), শাহাজাহন আলী (২৫), আব্দুস সাত্তার (৫৫) আনারুল ইসলাম (৫০)। তাদের মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

অন্যদিকে আমাম হোসেন মিলুর দাবি, তার সমর্থকরা একটি অফিস উদ্বোধনের জন্য রফিকুল ইসলাম তোতার অফিসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় তোতার কর্মী-সমর্থকরা তার সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তার ৮ কর্মী-সমর্থক রাসেল শেখ (২৩), শাহেদ আলী (২৫), শাহাবুদ্দীন (৫০), উজ্জ্বল (৩২), রমজান আলী (২১), মেহেরাব হোসেন (২২), সৌরভ মেম্বার (৪৭) ও হাবিবুর রহমান (২২) আহত হয়। তাদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার দত্ত বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী আমাম হোসেন মিলু ও রফিকুল ইসলাম তোতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষের লোকজন লাঠি-শোঠা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তবে অফিস ভাঙচুরের বিষয়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী একে অপরকে দোষারোপ করছেন। ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ রয়েছে। ফুটেজ দেখে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি।


আরও খবর



হবিগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জের হুরগাও গ্রামের হারুন মিয়া হত্যা মামলায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ২১ বছর পর এ মামলার রায় এলো।

হবিগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ-১-এর বিচারক মো: আজিজুল হক মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জালাল মিয়া, রুহুল আমিন, কুতুব আলী, ফজল মিয়া, রফিক মিয়া, জাকির হোসেন, আব্বাছ উদ্দিন।

আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ছায়েদ মিয়া, মিজান মিয়া, আব্দুল মতলিব, কালা মিয়া, জিয়াউল হক, আয়াত আলী, ইছাক মিয়া, কুতুব আলী, জজ মিয়া, ইব্রাহিম মিয়া।

২০০৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি হুরগাও গ্রামে গ্রাম্য বিরোধের জের ধরে হারুন মিয়াকে হত্যা করা হয়। একই দিন তার চাচাতো ভাই সুমন আহমেদ ৪৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২১ বছরে রাষ্ট্রপক্ষ ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনকে আদালতে উপস্থাপন করে। আসামিদের মধ্যে আটজন বিভিন্ন সময় স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করায় তাদেরকে হত্যা মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

রায় ঘোষণার সময় একজন ছাড়া সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সালেহ উদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর



চট্টগ্রামে তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যা, ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

আপন তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যার দায়ে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. কামাল হোসেন সিকদার এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আবুল কাশেম প্রকাশ ওরফে জামাই কাশেম ও মো. ইউসুফ ওরফে বাইট্যা কাশেম।

২০ বছর আগে নগরের বালুছড়া এলাকায় সম্পত্তির জন্য আপন তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যা করেন দণ্ডিতরা। রায়ের বিষয়টি বৃহস্পতিবার বিকালে দেশ রূপান্তরকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী আল আমিন।

জানা গেছে, ২০০৪ সালের ৩০ জুন আসামিরা বালুছড়ার বাসায় গিয়ে আপন তিন ভাইবোন সাইফুল ইসলাম, আলমগীর ও মিনু বেগমকে গুলি করে হত্যা করে দণ্ডিতরা। এ ঘটনায় সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আয়েশা আক্তার শিল্পী বাদী হয়ে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০০৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি এম এ ফয়েজ বলেন, এই মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি আবুল কাশেম ও  মো. ইউসুফকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। একই সাথে তাদের দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

একই মামলার অপর দুই আসামি গিট্টু নাসির ও ফয়েজ মুন্না র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।


আরও খবর