আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেড়েছে ভিক্ষুক, বিব্রত শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাবি প্রতিনিধি

দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে বেড়েছে ভিক্ষুকদের আনাগোনা। ক্যাম্পাসে ভিক্ষুকদের এমন অবাধ বিচরণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভিক্ষুকমুক্ত ক্যাম্পাস চায় তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অধিকাংশ শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণ আবাসিক হওয়ায় এখানের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন হলে থেকে। পড়াশোনার ব্যয় নির্বাহের জন্য পরিবার থেকে পাঠানো নির্দিষ্ট টাকা নয়তো টুকটাক টিউশনির উপর নির্ভর করতে হয়। প্রতিটি টাকায় খরচ করতে হয় হিসেব করে। ক্যাম্পাস উন্মুক্ত হওয়ায় ভিক্ষুক, পাগল, ছিন্নমূল মানুষের অবাধ চলাফেরা বেড়েছে, এতে একদিকে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় বিব্রতকর অবস্থায়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক চলাফেরা বিঘ্নিত হচ্ছে। ভিক্ষুকের আড়ালে লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে অপরাধী চক্রের। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে কতৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

সংস্কৃতির রাজধানীর খ্যাত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ভিক্ষুকরা অবস্থান নেয়। শহীদ মিনার, ডেইরি গেইট, নতুন কলা ভবন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী, বটতলাসহ যেসব জায়গায় শিক্ষার্থীদের যাতায়াত বেশি, সেসব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান নেয় তারা। ক্লাস থেকে বের হতেই 'বাবা আমারে দুইডা টাকা দেন', 'স্যার কয়ডা টাকা দেন ভাত খামু'- এরকম আকুতি শুনতে হয় প্রায় সব শিক্ষার্থীকে। এছাড়াও কিছুদিন থেকে ২-৩ জন পাগলকেও ছোটাছুটি করতে দেখা যাচ্ছে।

শহীদ মিনারে বারবার হাত পেতে টাকা চাইছিল একজন বৃদ্ধা। তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিক্ষা করেন তিনি। সেন্ট্রাল ফিল্ডে আনুমানিক ৫ বছরের এক শিশু ভিক্ষা করা অবস্থায় বললো, 'মোরে কিছু টেহা দেও, মুই ভাত খামু, মোর মা বেমার (অসুস্থ), মোর বাপ মরা গেছে।' থাকে কোথায় জিজ্ঞেস করা হলে সে বলে, 'মুই মোর মায়ের লগে থাহি। মা আজ বেমার তাই মুই বের হইছি। মোর খালার লগে এখানে আইছি। খালা বইয়া আছে ওইদিকে, টাকা উঠান শ্যাষ হইলে লইয়া যাবো সাথে কইরা।'

সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৯তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মোঃ সিফাতুল্লাহ বলেন, 'ক্যাম্পাসে সবসময় ভিক্ষুক ছিল, শিক্ষার্থীরা মানবিক দিক বিবেচনা করে সাহায্য করে। তারা রাস্তার পাশে থেকে ভিক্ষা করতে পারে কিন্তু অনেকে ক্লাস চলাকালীন অবস্থায় ঢুকে পড়েন। এটা একই সাথে বিরক্তির কারণ আবার উদ্বেগেরও বিষয়। কোন ফর্ড যাতে ভিক্ষার নামে এসে অপকর্ম করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।'

বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ৫১তম আবর্তনের আরেক শিক্ষার্থী অমি বলেন, 'আমাদের শিক্ষার্থীদের চাহিদার চেয়ে অর্থ কম, তার উপর এতো এতো ভিক্ষুককে অনুগ্রহ দেখানো আমাদের পক্ষে অসম্ভব। তাই এটা একটা সমস্যায় পরিণত হয়েছে।'

সার্বিক বিষয়ে জানতে ক্যাম্পাসের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'ক্যাম্পাসে তো বহিরাগত নিষিদ্ধ নয়, নিষিদ্ধ হলে আমরা ব্যাবস্থা নিতে পারতাম। আর ভিক্ষুকের আড়ালে কে অপরাধী সেটা বোঝা কষ্টকর। গত পরশু দিন আমরা পরিসংখ্যান এর সামনে থেকে একজনকে ধরে নিয়ে আসলাম। আসলে তাদের উদ্দেশ্য হলো কেউ না থাকলে ভিতরে যা কিছু পাবে তাই নিয়ে যাবে। ডিপার্টমেন্টের ভিতরে এবং বাইরে গার্ড থাকে, তাদের এবিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।'


আরও খবর
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ৯ ফেব্রুয়ারি

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




আবারও ফিলিস্তিনিদের পাশে রাশিয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজা উপত্যকায় আরও সাহায্যের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। দেশটির জরুরি প্রস্তুতি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ২৭ টন মানবিক সহায়তার একটি চালান সরবরাহ করবে বিজ্ঞপ্তিতে এমনটা জানানো হয়েছে।

রুশ গণমাধ্যম তাস জানায়, প্রেস দপ্তর থেকে বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের একটি বিমান মাখাচকালা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এল আরিশ বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। ২৭ টন সাহায্যের ভেতরে রয়েছে- জেনারেটর, জামাকাপড়, ব্যান্ডেজ সামগ্রী, খাবার ও শিশু সামগ্রী।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং জরুরি পরিস্থিতিবিষয়ক মন্ত্রী আলেকজান্ডার কুরেনকভের এসব সামগ্রী পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে, রাশিয়ার জরুরি অবস্থাবিষয়ক মন্ত্রণালয় গাজা উপত্যকায় বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদানে দুটি বিমান পাঠায়। 

আরও পড়ুন>> ইসরায়েলি জাহাজ আটক করেছে হুতি বিদ্রোহীরা

এক রুশ মুখপাত্র জানান, রুশ প্রেসিডেন্টের গাজা উপত্যকার মানুষের কাছে মানবিক পণ্য পরিবহনের জন্য রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয়ের দুটি Il-76 বিমান পাঠানো হয়েছে।

এসব পণ্যের সামগ্রিক ওজন ২৮ টন। সেখানে বিভিন্ন ওষুধ, হেমোস্ট্যাটিক এজেন্ট এবং ব্যান্ডেজিং উপকরণ রয়েছে। কার্গো দুটি মিসরীয় রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আর তারা এসব পণ্য গাজা উপত্যকায় পৌঁছে দেবে। গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।

নিউজ ট্যাগ: ফিলিস্তিন

আরও খবর



১০ ডিসেম্বর দেখে পরবর্তী কর্মসূচি দেবে বিএনপি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image
জামায়াতে ইসলামীকে সক্রিয়ভাবে পাশে চায় বিএনপি। এ নিয়ে উভয় দলের হাইকমান্ডের মধ্যে কয়েক দফা কথাবার্তাও হয়েছে।

হরতাল-অবরোধের মধ্যেই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা সদরে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এই কর্মসূচির সময় নির্বাচনকালীন প্রশাসন কী ভূমিকা রাখে, তা পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করে পরবর্তী কর্মসূচি প্রণয়ন করার চিন্তা করছে সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়া দেশের এই অন্যতম বিরোধী দল।

বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, তফসিল ঘোষণার পর দেশে বর্তমানে নির্বাচনকালীন প্রশাসন বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে- সরকারের পক্ষ থেকে এ রকম দাবি করা হচ্ছে। এই প্রশাসন বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের মানববন্ধন কর্মসূচি কীভাবে পালন করতে দেয়, তা থেকেই স্পষ্ট হবে, আসলে তারা কোন ভূমিকা রাখতে চলেছে।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা জানাচ্ছেন, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের পর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর এখনও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্র্যাকডাউন চলছে। যে নেতাকর্মীরা এখনও গ্রেপ্তার হননি, মামলা থাকায় তারাও আত্মগোপনে আছেন। ঢাকাসহ স্থানীয় পর্যায়ের সব নেতাকর্মীর বাড়িতেই হামলা-লুটপাট চলছে। তাই নেতাকর্মীদের কেউই বাইরে বের হতে পারছেন না। এই অবস্থায় ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসকে সামনে রেখে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপির এখন প্রধান অগ্রাধিকার হচ্ছে- ২৮ অক্টোবরের পর থেকে আত্মগোপনে গিয়ে গ্রেপ্তার এড়ানো নেতাকর্মীদের রাজপথে উপস্থিত করা; পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা।

বিএনপির নেতারা মনে করছেন, ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষিত হওয়ার পরও বিএনপিকে মাঠে আসতে দিতে চাইছে না সরকার। সে কারণেই সরকার বিএনপির বিভিন্ন সভা-সমাবেশ থেকে নেতাকর্মীদের এখনও নির্বিচারে গ্রেপ্তার করে চলেছে। এমনকি পেশাজীবীদের সমাবেশ থেকেও নেতাদের গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত ১ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদ-এসএসপি ও শ্রমিক দলের যৌথ উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ হয়। এই সমাবেশ থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান নির্ধারিত সময়ের আগেই বক্তব্য দিয়ে চলে যান। তবে গ্রেপ্তারের আশঙ্কা থাকলেও ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত হরতাল-অবরোধের ফাঁকে ফাঁকে বিক্ষোভ-সমাবেশজাতীয় কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির।

এদিকে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে গত রবিবার রাতে ভার্চুয়ালি দলটির স্থায়ী কমিটির সভা হয়। তাতে নতুন কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত এক নীতিনির্ধারক জানান, বৈঠকে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি দেওয়া হবে। আগের মতো দুই দিবসেই যথাক্রমে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী বেদিতে ও সাভারে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার চিন্তা করছে বিএনপি।

এ ছাড়া এক দফার ভিত্তিতে যুগপৎ এবং যুগপতের বাইরে আন্দোলনরত সব বিরোধী দলকে নিয়ে ঢাকায় গণমিছিল, পেশাজীবীদের উদ্যোগে সারা দেশে সভা-সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তবে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

একটি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হয়ে গেলে পরবর্তী এক মাস কঠোর আন্দোলেন পরিচালনার বিষয় নিয়ে গত রবিবারের বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীকে সক্রিয়ভাবে পাশে চায় বিএনপি। এ নিয়ে উভয় দলের হাইকমান্ডের মধ্যে কয়েক দফা কথাবার্তাও হয়েছে। যুগপৎ আন্দোলনের অন্য শরিকদের কাছেও এ বিষয়টি তুলেছে বিএনপি। তারা এ বিষয়টিকে কীভাবে দেখছে, তার ওপরও নির্ভর করছে আন্দোলনের বিকল্প কর্মসূচির ধরন।

এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আমরা সরকার পদত্যাগের এক দফার আন্দোলনে আছি। এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। সরকারের আচার-আচরণই বলে দেবে আমাদের আন্দোলনের চরিত্র কেমন হবে।

বিএনপি তার মিত্রদের নিয়ে গত ১২ জুলাইয়ের পর থেকে সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন সরকারের এক দফার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ দলটির মহাসমাবেশ পণ্ড করে দেয়। এরপর থেকে বিএনপি হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করে আসছে।


আরও খবর
রবিবার হরতাল-অবরোধ দিচ্ছে না বিএনপি

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে আটজনই ঢাকার বাইরের বাসিন্দা। রোববার (১২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৭৪৮ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটির ৩৫১ জন এবং ঢাকা সিটির বাইরে এক হাজার ৩৯৭ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ১৮৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ লাখ ৯১ হাজার ৮৩২ জন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২ লাখ ৮৪ হাজার ১৭৩ জন। মারা গেছেন ১ হাজার ৪৭৬ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটির ৮৬৩ জন এবং ঢাকা সিটির বাইরের ৬১৩ জন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। গত বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ জুন মাস থেকে শুরু হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছর মে মাস থেকেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একই সঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বছরব্যাপী নানা উদ্যোগ নিলেও কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

উল্লেখ্য, গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ২৮১ জন।


আরও খবর



৩৭ ঘণ্টায় ১৫ গাড়িতে আগুন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীসহ সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তৃতীয় দফায় টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে বুধবার সকাল ৬টায়। যা শেষ হবে শুক্রবার সকাল ৬টায়। তৃতীয় দফার এ কর্মসূচি চলাকালে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদেশে প্রতি তিন ঘণ্টায় একটি করে যানবাহন এবং প্রতি চার ঘণ্টায় একটি করে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাতে ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গতকাল বুধবার সকাল ৬টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার রাত ৭টা ৩৭ মিনিট পর্যন্ত সাড়ে ৩৭ ঘণ্টায় ১৫টি যানবাহনে আগুন দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন>> ফের ৪৮ ঘন্টার অবরোধের ডাক বিএনপির

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সারাদেশে প্রতি তিন ঘণ্টায় একটি করে যানবাহন এবং প্রতি ৪ ঘণ্টায় একটি করে বাসে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে শুধু ঢাকায় প্রায় ছয় ঘণ্টায় একটি করে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

সারাদেশে ১৫টি আগুনের ঘটনার মধ্যে রাজধানীর হাজারীবাগ, তাঁতীবাজার, কাকলী, মিরপুর, ধানমন্ডি, বারিধারা ও মাতুয়াইলে সাতটি, ঢাকা বিভাগের গাজীপুরে তিনটি, চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়িতে একটি, রাজশাহী বিভাগের শিবগঞ্জ ও বগুড়ায় একটি, বরিশাল বিভাগের গৌরনদী ও বরগুনায় দুটি এবং চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালীতে একটি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।


আরও খবর



হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন বাস্তবতা বিবর্জিত: অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে বিরোধী নেতা-কর্মীদের ব্যাপকহারে গ্রেপ্তার নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) প্রতিবেদন বাস্তবতা বিবর্জিত বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন। সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আমিন উদ্দিন বলেন, যাদের সাজা হচ্ছে, সবই সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে। সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়া কারো বিরুদ্ধে বিচার করা হচ্ছে না। 

আরও পড়ুন>> নির্বাচন নিয়ে দেশ একটা সংকটে আছে: সিইসি

গতকাল রোববার প্রকাশিত হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ বিরোধী দলীয় নেতা ও সমর্থকদের টার্গেট করছে। গত ২৮ অক্টোবর প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সমাবেশের পর থেকে প্রায় ১০ হাজার বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৩ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎকার, ভিডিও ও পুলিশের প্রতিবেদন বিশ্লেষণের ভিত্তিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ প্রমাণ পেয়েছে যে, সাম্প্রতিক নির্বাচন-সম্পর্কিত সহিংসতায় নিরাপত্তা বাহিনী অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ, নির্বিচারে গণগ্রেপ্তার, জোরপূর্বক গুম, নির্যাতন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী। কর্তৃপক্ষের উচিত সহিংসতার সমস্ত ঘটনা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা। এমনকি উভয় পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করেছে- এমন মামলাও তদন্ত করা উচিত।


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩