আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

জাজিরায় এসডিএস এর সহযোগিতায় মাছ চাষ করে সফল শাহনাজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিকে নগর ইউনিয়নের কাজী কান্দি গ্রামের বাসিন্দা মো: মুনির মাঝীর স্ত্রী শাহনাজ বেগম(৪৫)। কৃষক স্বামীর সংসারে এক ছেলে ও দুই মেয়ে সহ পাঁচজনের সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছিলো তাকে। তবে এসডিএস এর সহযোগিতায় মাছ চাষ করে বর্তমানে তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা।

শাহনাজ বেগম ২০১৯ সালে তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে এসডিএস এর বিকে নগর ইউনিয়নের পদ্মা সমিতির একজন সাধারণ সদস্য হন। সদস্য হওয়ার পরে প্রথম এসডিএস থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে তাদের নিজস্ব এক ফসলী একটি নিচু জমিতে স্বামী মো: মুনির মাঝীর সহায়তায় ৫০ শতক জায়গার একটি পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন।

সে সময় পুকুরে কোম্পানীর তৈরী পিলেট খাদ্য এবং হাতে বানানো খাদ্য দিয়ে মাছচাষ করতেন তারা। যার ফলে খাদ্য খরচ বেশী হওয়ায় প্রথম পর্যায়ে সন্তোষজনক লাভ হয়নি তাদের। এরই মধ্যে শাহনাজ বেগম সমিতির মিটিংয়ে মাঠকর্মীর থেকে জানতে পারেন যে, এসডিএস থেকেই প্রশিক্ষণ প্রদান এবং মাছ চাষে সহায়তা করা হয়। জানার পরে তিনি আবেদন করেন প্রশিক্ষণের জন্য।

সম্ভ্যাবতা যাচাই শেষে এসডিএস এর বাস্তবায়নে এবং পিকেএসএফ এর অর্থায়নে সমন্বিত কৃষি ইউনিটের মৎস্য খাত থেকে দুই দিন মেয়াদী মাছ চাষে দক্ষতা উন্নয়ন মূলক প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়। এছাড়া এসডিএস এর পক্ষ থেকে মাছ চাষের সহায়ক উপকরণ হিসেবে চিতলসহ বিভিন্ন কার্প মাছের পোনা বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয় শাহনাজ বেগমকে।

সবশেষে গত বছর এসডিএস থেকে ৫ লক্ষ টাকার লোন নিয়ে ২ একরের একটি পুকুর প্রস্তুত করে পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি পারে পেপে ও কলাসহ করেছেন নানা জাতের সবজির চাষ। এসডিএস এর সরাসরি তত্বাবধানে মাছের নিয়মিত পরিচর্যা ও যথাযথ প্রক্রিয়ায় খাদ্য প্রয়োগের ফলে বেশ ভালো ফলাফলও পেয়েছেন তিনি।

এসময় তিনি চাহিদা ও বাজার মূল্য বিবেচনায় নিয়ে চিতল জাতীয় উচ্চ মূল্যের মাছের সাথে করেছেন কার্প জাতের মাছের চাষ। ২ একরের পুকুরটিতে ৪ শত চিতল, ১ শত আইড় এবং ৬ হাজার কার্প জাতীয় মাছের পোনা ছাড়েন শাহনাজ বেগম। এসময় পুকুরে অন্যান্য খাবার নিয়মিত প্রয়োগের পাশাপাশি চিতল ও আইড় মাছের জীবন্ত খাদ্য হিসেবে তেলাপিয়া ও কার্প মাছের ধানী পোনা ব্যবহার করা হয়।

এসডিএস এর হিসেব মতে গত এক বছরে শাহনাজ বেগম তার পুকুর এবং পাড়ে মাছ ও সবজি চাষে ৮ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় সারে ১২ লক্ষ টাকার সবজি এবং ফসল বিক্রি করেছেন স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে। যেখানে ১০ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় ৩০ হাজার টাকার সবজি উৎপাদন করেছেন এবং ৮ লক্ষ ৫ হাজার টাকা ব্যয়ে মাছ উৎপাদন করেছেন প্রায় ১২ লক্ষ ৫ হাজার টাকার।

বর্তমানে এসবের পাশাপাশি নিজস্ব মেশিনে তৈরী মাছের খাদ্যও বিক্রি করছেন তারা। ইতিমধ্যেই বাড়িতে একটি পাকা ঘর নির্মান করেছেন শাহনাজ বেগম। তাছাড়া এক মেয়েকে বানিয়েছেন ডাক্তার। ইতিমধ্যেই এলাকায় শাহনাজ বেগম এবং তার স্বামী সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। স্থানীয় ক্রেতাদের অনেকেই শাহনাজ বেগমের বাড়িতে আসেন মাছ কিনতে এবং তার পুকুর দেখতে। তাদের দেখে স্থানীয় পর্যায়ে অনেকেই এখন উচ্চ মূল্যের মাছ চাষ শুরু করেছেন।

স্থানীয় রুবেল আহমেদ বলেন, আমাদের এলাকার শাহনাজ বেগম ও তার স্বামী মো: মুনির মাঝী এসডিএস এর সহায়তায় মাছ চাষ করে অনেক সফলতা পেয়েছেন। মাছ চাষ করে অল্পদিনের মধ্যেই তাদের সংসারের চিত্র পালটে গিয়েছে। তার দেখাদেখি আমিও এসডিএস এর সহযোগিতায় মাছচাষ শুরু করেছি। আশা করি ভালো কিছু করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

এসডিএস এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সফল উদ্যোক্তা শাহনাজ বেগম জানান- এক সময় ৫ জনের সংসারে ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার খরচতো দূরে থাক, সংসার চালানোই অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার ছিলো আমার জন্য। কিন্তু এসডিএস এর সহযোগিতায় মাছ চাষ শুরু করার পর ধীরে-ধীরে আমাদের অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকে। বর্তমানে আমরা অনেক ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। আমার এক মেয়েকে ডাক্তার বানিয়েছি।

এসডিএস এর সমন্বিত কৃষি ইউনিটের মৎস্য বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, পুকুরে কার্প জাতীয় মাছের সাথে উচ্চ মূল্যের চিতল, আইড়, শোল মাছ চাষ করলে বাজার মূল্য বেশী পাওয়ার পাশাপাশি পুকুরের মাছের ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণে থাকে বিধায় আমরা শাহনাজ বেগমকে এভাবে মাছ চাষের পরামর্শ প্রদান করি। তাছাড়া উচ্চ মূল্যের মাছের জীবন্ত খাবার হিসেবে তেলাপিয়া, মলা, বিভিন্ন প্রজাতির ধানী পোনা প্রয়োগের ফলে সম্পূরক খাদ্য খরচও কম লাগে। যার ফলে শাহনাজ বেগম ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। আমরা আশা করছি আরও অনেকেই এভাবে চাষাবাদে আগ্রহী হবে।


আরও খবর



দাবদাহ : এবার ইংরেজি মাধ্যম স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশের স্কুল কলেজ সাতদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এরমধ্যে বিদেশি কারিকুলামে পরিচালিত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (ইংলিশ মিডিয়াম) শ্রেণি কার্যক্রম কোথাও কোথাও চলছে বলে জানা গেছে। এ অবস্থায় ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করার জন্য বলা হয়েছে।

শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে শ্রেণিকার্যক্রম ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে শ্রেণিকার্যক্রম চলবে।

রোববার (২১ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোহাম্মদ আবুল মনছুর ভূঞাঁ সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

এদিকে গতকাল শনিবার দুপুরে দেশের সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ৫ দিন বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে যেহেতু এরপর শুক্র-শনিবার রয়েছে তাই বন্ধটা টানা ৭ দিনে গিয়ে ঠেকছে। ২৮ এপ্রিল থেকে খুলবে স্কুল কলেজ।

দুই মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে বলেছে, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আবহাওয়া পরিস্থিতির পরিবর্তন সাপেক্ষে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হতে পারে। এরপর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সব কলেজে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ আলাদা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাদের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।


আরও খবর



আজ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব দোল পূর্ণিমা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

সনাতন বা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দোল পূর্ণিমা বা হোলি উৎসব আজ সোমবার। উৎসবটি বাংলাদেশে দোলযাত্রা, দোল পূর্ণিমা নামেও বেশ পরিচিত। এদিন দোলযাত্রা ও গৌর পূর্ণিমা উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন মন্দিরে পূজা, হোম যজ্ঞ ও প্রসাদ বিতরণসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর অনুসারীরা।

এ উৎসবটি ঘিরে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে দোল উৎসব ও কীর্তনের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে এদিন সকাল থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত নানা আয়োজন চলবে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা একে অপরকে আবিরে রাঙিয়ে উদযাপন করবেন দিনটি।

দোলযাত্রা হচ্ছে হিন্দা বৈষ্ণবদের উৎসব। বৈষ্ণব বিশ্বাস মোতাবেকএদিন শ্রীকৃষ্ণ রাধিকা এবং তার সখীদের সঙ্গে বৃন্দাবনে আবির খেলেছিলেন। সেই থেকে দোল খেলার শুরু।

এ কারণে দোলযাত্রার দিন এ মতবাদে বিশ্বাসীরা রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ রঙে রাঙিয়ে দোলায় চড়িয়ে নগর কীর্তনে বের হয়ে পড়েন। তখন তারা নানা রঙের খেলায় মেতে উঠেন।

উৎসবটি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা নামেও পরিচিত হলেও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, মাদরাজসহ নানা স্থানে দোল উৎসব নামে পরিচিত। এছাড়া উত্তর, পশ্চিম ও মধ্য ভারত এবং নেপালে হোলি নামেও পরিচিত এ উৎসবটি। আবার কোথাও কোথও বসন্ত উৎসবও বলা হয়। রাধা-কৃষ্ণ পুষ্পরেণু ছিটিয়ে দোল উৎসব করতেন। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে এখন পুষ্পরেণুর জায়গায় আবির এসেছে।

নিউজ ট্যাগ: দোল পূর্ণিমা

আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




বাংলা নববর্ষ উদযাপনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৩ নির্দেশনা

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আর কদিন পরই বাঙালিরা উদযাপন করবে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১। এ উপলক্ষে ১৩ নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার (২৭ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনাগুলো হলো:

- দেশব্যাপী বর্ষবরণ অনুষ্ঠান, বৈশাখী মেলা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও আয়োজকরা সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।

- রমনার বটমূল, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুইপিং, ডগস্কোয়াডসহ বিশেষ নিরাপত্তা নেয়া হবে। এসব অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় ফোর্স ও গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ নজরদারি থাকবে।

- বাংলা নববর্ষ উদযাপন নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

- বাংলা একাডেমি ও বিসিকের একাডেমি প্রাঙ্গণে নববর্ষের মেলায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

- রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ দেশের যেকোনো স্থানের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে।

- বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতে হবে। নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বয় করে নিরাপত্তা দেবে।

- নববর্ষে কূটনৈতিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও স্থাপনায় বিশেষ নিরাপত্তা দেয়া হবে।

- নববর্ষ উদযাপনকালে ঢাকা মহানগরের অনুষ্ঠানে ও সারাদেশে অনুষ্ঠেয় অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অগ্নিনির্বাপক গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ ফায়ার সার্ভিস টিম থাকবে। মেডিকেল টিমও থাকবে।

- বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ইভটিজিং, ছিনতাই/পকেটমারসহ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট ও গোয়েন্দা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।

- বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো যাবে না।

- নববর্ষে দেশের কারাগারে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

- কোনো ধরনের ফানুস বা আতশবাজি ফুটানো যাবে না।

- বাংলা নববর্ষে মাদকের অপব্যবহার রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর
ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন ৫ জুন

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




ঈদের ফ্যাশনে দেশীয় পোশাকের সমাহার নিয়ে এলো 'মিরা'

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলছে মুসলিম ধর্মাবলম্বী অন্যতম ইবাদত পবিত্র রমজান। এরই মধ্যে চলে এসেছে ঈদ উৎসবের আমেজ। প্রস্তুত হচ্ছে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজগুলো হাল ফ্যাশনের পণ্য সম্ভার নিয়ে। প্রতি বছর ঈদকে কেন্দ্র করে বাজার ছেয়ে যায় নানারকম বিদেশী পোশাকে। এর ভিড়েও দেশীয় পোশাককে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ও জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে  গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠান। তেমনি একটি দেশীয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড মিরা।

দেশজ ও পরিবেশবান্ধব সব পণ্য নিয়ে ফ্যাশন হাউজ মিরা ইতোমধ্যেই নজরকাড়তে শুরু করেছে রুচিশীল ও ফ্যাশন সচেতন মানুষের। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে পান্থপথের মোড় কিংবা সাইন্স ল্যাবরেটরির মোড় যে কোন একদিক থেকে গেলেই গ্রিন রোডে কমফোর্ট হাসপাতালের পাশেই ১৬৭/এ নম্বর ভবনের তৃতীয় ফ্লোরে কাজ চলছে মিরা-র প্রথম নিজস্ব আউটলেট এর। সেখানেই কথা হয় মিরা ব্র্যান্ড এর কর্ণধারদের অন্যতম শুভ্রা কর এর সাথে।

শুভ্রা কর বলেন, এবার ঈদ এবং বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ প্রায় একই সময়ে। ঈদ এবং বর্ষবরণ দুটোই খুব বড় উৎসব।  তাই এই উৎসবের সময়কে সামনে রেখে মিরা তার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। কিন্তু এই উৎসবে আয়োজনে দেখা যায় আমাদের বাজার ছেয়ে যায় সব ভিনদেশী পণ্যে। নিজের দেশের তৈরি সুন্দর সব পোশাক, গহনা বা অন্যান্য পণ্য ছেড়ে আমরা বিদেশি পণ্য খুঁজি। অথচ তার চেয়ে মানসম্মত ও সুন্দর কিছু দেশেই পাওয়া যায়, আমরা জানিই না! বিদেশী পণ্যের ভিড়ে মিরা তাই  নিয়ে এসেছে দেশীয় সব পণ্য ও ডিজাইনের সমাহার। আমাদের কাছে পাচ্ছেন সঠিক কাউন্টের অথেটিক জামদানি শাড়ি, আমাদের নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনে করা কাপল সেট বা ফ্যামিলি কম্বো। থাকছে হ্যান্ডপেইন্ট এর পাঞ্জাবি, পরিবেশ বান্ধব বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরী নিজস্ব ডিজাইনের গহনা, অলঙ্কার। এছাড়া ছোট বড় সবার জন্য টিশার্টও পাচ্ছেন।

তিনি বলেন, আমাদের অনেক পণ্য দেখে অনেকে অবাক হন এবং প্রশ্ন করেন যে এগুলো দেশে তৈরি কিনা, কারণ দেশে এত সুন্দর বা ভালো পণ্য তৈরি হয় তাদের ধারণা ছিল না। মিরা-র মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের এই নিজস্ব ঐতিহ্য ও শিল্পকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া ও জনপ্রিয় করে তোলা। একইসাথে ফ্যাশনকে যথাসম্ভব পরিবেশবান্ধব রাখা। আমাদের সব পণ্য আমাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে কারিগর দ্বারা প্রস্তুত করা এবং সেখান থেকেই সংগ্রহ করা এবং মানের দিক থেকে আমরা কোন আপোষ করি না। আমি আশা করবো এদেশের মানুষ আরো বেশি দেশীয় পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী হবে এবং উৎসবে আয়োজনে আমাদের নিজস্ব শিল্পকে গর্ব করে সবার কাছে তুলে ধরবে।

মিরা-র যেকোনো পোশাক কিনতে ভিজিট করতে পারেন তাদের ফেসবুক পেজ www.facebook.com/mirabrandbd অথবা ইন্সটাগ্রাম আইডি www.instagram.com/mirabrandbd/-এ। এ ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭২৮-৩২৫১৫০ নম্বরে। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনে শীঘ্রই মিরা-র প্রথম আউটলেট শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকার গ্রিন রোডে।


আরও খবর



ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার ফল বৃহস্পতিবার

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, বিজ্ঞান ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট এবং চারুকলা ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টায় প্রকাশ করা হবে।

বুধবার (২৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশাসনিক ভবনে অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফল প্রকাশ করবেন।


আরও খবর