আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

জালিয়াতির মামলায় কাজী এরতেজার স্থায়ী জামিন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০১ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে খিলক্ষেত থানায় করা মামলায় দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী এরতেজা হাসানের স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবীরের আদালত শুনানি শেষে এ জামিন মঞ্জুর করেন।

এদিন তার আইনজীবী স্থায়ী জামিন আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এছাড়া তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা শাহজাহান বিষয়টি জানিয়েছেন।

এর আগে গত ১ নভেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন ২ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেনের আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের ভাই সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া বাদী হয়ে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন- নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ, রিয়াজুল আলম ও সেলিম মুন্সী। ওই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে জালিয়াতিতে ড. এরতেজার সংশ্লিষ্টতা পায় পুলিশ। এরপর গুলশানের অফিস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআিইয়ের একটি দল।

মামলায় বলা হয়, নর্দান ইউনিভার্সিটির জন্য দক্ষিণখানে আশিয়ান সিটি প্রজেক্টে ৫ বিঘা জমি কেনার জন্য একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ৫০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল। প্রথম দফায় ৩০ কোটি টাকা দেয় নর্দার্ন কর্তৃপক্ষ। বাকি টাকা পরিশোধ না করেই আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সই জাল করে জমির রেজিস্ট্রি করা হয়। জমির মূল্য দেখানো হয় মাত্র ৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। জালিয়াতির এ মামলায় আসামি আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ ও রিয়াজুল আলমকে এর আগে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।


আরও খবর



আবারও বাড়ছে স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আবারও বাড়তে যাচ্ছে সোনার দাম। এতে করে বিশ্ববাজারে সোনার দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের বাজারেও এই ধাতুটি সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে। জানা গেছে, শনিবার (৬ এপ্রিল) সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেবে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন।

রোববার (৭ এপ্রিল) থেকে দেশের বাজারে সোনার নতুন দাম কার্যকর হবে। দাম যা-ই বাড়ানো হোক ইতিহাসের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়বে সোনা।

এর আগে গত বছরে স্বর্ণ বিশ্লেষকরা ভবিষ্যত বাণী করেছিলেন, চলতি বছর প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৩০০ ডলার হয়ে যাবে। তাদের সেই পূর্বাভাস সত্য প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্ববাজারে প্রথমবারের মতো এক আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৩০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

বাজুসের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দেশের বাজারে সর্বশেষ সোনার দাম নির্ধারণ করার পর বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রায় ২০০ ডলার বেড়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের বাজারে সোনার দাম না বাড়িয়ে আর বিকল্প কোনো পথ নেই। আন্তর্জাতিক বাজার ও স্থানীয় বুলিয়ান মার্কেটের তথ্য পর্যালোচনা করে নতুন করে সোনার দাম বাড়ানো হবে। এ লক্ষ্যে বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি আজ বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে।

বাজুসের দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, বর্তমানে এমনিতে সোনার দাম অনেক বেশি। যে কারণে ঈদের আগেও এই ব্যবসায় মন্দা দেখা যাচ্ছে। মানুষ সোনার অলঙ্কার খুব একটা কিনছে না। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলছে। যে কারণে বিক্রি না থাকলেও বাধ্য হয়েই ঈদের আগে সোনার দাম আরও বাড়ানো হচ্ছে।

এর আগে দেশের বাজারে সোনার দাম সর্বশেষ নির্ধারণ করা হয় গত ২১ মার্চ। যা কার্যকর হয় ২২ মার্চ থেকে। বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বাড়ার কারণ উল্লেখ করে সেদিন সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা।

এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৭৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৮ হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৭৭ হাজার ৭৯৯ টাকা নির্ধারণ করে। দেশের বাজারে সোনার এত দাম আগে কখনো হয়নি। বর্তমানে এই দামেই সোনা বিক্রি হচ্ছে।

অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে। কারণ বাজুসের নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় নূন্যতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ২৩ হাজার ২৭৭ টাকা গুনতে হচ্ছে।

দেশের বাজারে সর্বশেষ যখন সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়, সে সময় বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ১৫৫ ডলারের কাছাকাছি। এখন সেই দাম বেড়ে ২ হাজার ৩২৯ ডলার হয়ে গেছে। অর্থাৎ দেশের বাজারে সোনার দাম নির্ধারণ করার চেয়ে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্সের দাম ১৭৪ ডলার বেড়ে গেছে।

এর মধ্যে গত এক সপ্তাহেই প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ৯৭ দশমিক ১৪ ডলার বা ৩ দশমিক ৫২ ডলার। এ দামের মধ্যে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শুক্রবারই বেড়েছে ৪০ দশমিক শূন্য ৯ ডলার বা ১ দশমিক ৭৫ ডলার। এতে সপ্তাহ শেষে প্রতি আউন্স সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩২৯ দশমিক ৫২ ডলার। সোনার এতো দাম আগে কখনো দেখেনি বিশ্ববাসী।

এ বিষয়ে বাজুসের এক সদস্য বলেন, বর্তমানে দেশের বাজারে সোনা রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে। অতিরিক্ত দাম হওয়ার কারণে মানুষ এখন সোনার অলঙ্কার খুব একটা কিনছে না। ফলে ঈদকেন্দ্রীক জুয়েলারি ব্যবসায় মন্দা চলছে। বিক্রি না থাকলেও এখন দেশের বাজারে সোনার দাম না বাড়ানোর আর কোনো বিকল্প নেই। বিশ্ববাজারে যে হারে দাম বেড়েছে তাতে দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়াতে হবেই।

তিনি বলেন, ঈদকেন্দ্রীক বিক্রি ভালো না হওয়ায় প্রাথমিকভাবে আমরা চেয়েছিলাম ঈদের আগে সোনার দাম আর না বাড়ানোর। যে কারণে দুই সপ্তাহ ধরে বিশ্ববাজারে সোনার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও দেশের বাজারে দাম বাড়ানো হয়নি। কিন্তু এখন বাধ্য হয়ে ঈদের আগেই দাম বাড়াতে হচ্ছে। কারণ দেশের বাজারে সোনার দাম নির্ধারণের পর এরইমধ্যে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রায় ২০০ ডলার বেড়ে গেছে। এখন দেশের বাজারে দাম না বাড়ালে সোনা পাচার হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজই বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং সোনার নতুন দাম নির্ধারণের লক্ষ্যে বৈঠকে বসবে। তারা আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার বিষয়টি পর্যালোচনার পাশাপাশি স্থানীয় মার্কেটের তথ্যও পর্যালোচনা করবে। সার্বিক তথ্য পর্যালোচনা করে বৈঠকের মাধ্যমে সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হবে।

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, বিশ্ববাজারে যে হারে সোনার দাম বেড়েছে তাতে দেশের বাজারে নতুন করে দাম বাড়াতেই হবে। সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করতে আমরা আজ বৈঠক করবো। বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে নতুন করে দাম কত বাড়বে।


আরও খবর
দাম কমলো সোনার

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




হবিগঞ্জে গণপিটুনিতে এক ডাকাত নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জে লাখাই উপজেলায় গণপিটুনিতে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মধ্যরাতে উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের গোয়াকারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ডাকাত সর্দার হিরাজ মিয়া (৪৫) সদর উপজেলার ধল গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে।

লাখাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাত অনুমানিক ১২টার দিকে ওই স্থানে কয়েকজন ডাকাত মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে ডাকাতি করছিল। এ সময় গ্রামবাসী ধাওয়া দিয়ে হিরাজ মিয়াকে গণপিটুনি দেয়। আর জনতার ধাওয়া খেয়ে বাকি ডাকাতরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় হিরাজ মিয়াকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।

নিহত ডাকাত সর্দার হিরাজ মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১২টি ডাকাতির মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: আইএইএ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইরানে সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে দেশটির ইসফাহানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এখানে একটি বড় বিমান ঘাঁটির পাশাপাশি রয়েছে পারমাণবিক স্থাপনাও।

তবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। এছাড়া ইসফাহানের কাছে অবস্থিত পারমাণবিক স্থাপনাটি স্বাভাবিক ভাবে’ কাজ করছে বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি।

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বলেছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় কোনো ক্ষতি হয়নি বলে তারা নিশ্চিত করতে পারে।

এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি সবার কাছ থেকে সর্বোচ্চ সংযমের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, পারমাণবিক স্থাপনাগুলো কখনোই সামরিক সংঘাতের লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়।’

এদিকে ইসফাহানের কাছে পারমাণবিক স্থাপনাটি স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে’ কাজ করছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় টিভি। ইরানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নিউজ নেটওয়ার্ক প্রেস টিভি জানিয়েছে, ইসফাহান শহরের কাছে অবস্থিত ওই পারমাণবিক স্থাপনায় বিস্ফোরণ বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো চিহ্ন’ নেই।

প্রেস টিভির এই প্রতিবেদনে পারমাণবিক স্থাপনাটি চিহ্নিত করা হয়নি, তবে ইরানের প্রধান পারমাণবিক কেন্দ্রটি ইসফাহানের উত্তরে নাতাঞ্জ শহরে অবস্থিত। এই শহরটি আবার ইসফাহান প্রদেশের মধ্যে অবস্থিত।

এর আগে ইরানের আধা-সরকারি ফারস নিউজ এজেন্সি জানায়, শুক্রবার ভোরে ইরানের ইসফাহান শহরের উত্তর-পশ্চিমে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ফারস জানিয়েছে, শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণটি ঘটেছে। তবে বিস্ফোরণের সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি এই নিউজ এজেন্সি।

ইরানের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত এই ইসফাহান প্রদেশে একটি বড় বিমান ঘাঁটি, বড় ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কমপ্লেক্স এবং বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনা রয়েছে।

এছাড়া ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা নিরাপদে’ রয়েছে বলে আগেই জানায় ইরানের আরেক রাষ্ট্রীয় টিভি ও সম্প্রচারকারী আইআরআইবি। নির্ভরযোগ্য সূত্র’কে উদ্ধৃত করে সংস্থাটি বলেছে, ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা সম্পূর্ণ নিরাপদ’।

অন্যদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির সংবাদদাতা বলেছেন, ইসফাহান শহরও নিরাপদ’ রয়েছে।

নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রটি এর আগেও অবশ্য নাশকতামূলক হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। ২০২১ সালে একই অবকাঠামোতে একটি নিয়ন্ত্রিত’ বিস্ফোরণের খবরও রিপোর্ট করা হয়েছিল।


আরও খবর



গুলশানে বারের সামনে চুলোচুলি, সেই ৩ নারী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের ক্যাফে সেলেব্রিটা বারের সামনে সম্প্রতি কয়েকজন নারীর চুলোচুলি ও মারামারির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

গ্রেপ্তার তরুণীরা হলেন- শারমিন আক্তার মিম, নুসরাত আফরিন বৈশাখী ও ফাহিমা ইসলাম।

হারুন অর রশীদ বলেন, বারের সামনে কয়েকজন নারীর মধ্যে হাতাহাতির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মামলা করেন। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্ত ৩ নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে, গত ১৪ এপ্রিল বারের সামনে সাদা পোশাক পরা নারী ও লাল শাড়ি পরা এক নারীর মধ্যে হাতাহাতির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

এতে দেখা যায়, হাতাহাতির সময় চিৎকার করছিল নারীরা। কয়েকজন পুরুষ তাদেরকে থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।


আরও খবর



বুলেট-বোমা, ক্ষুধায় বিষণ্ন ঈদ গাজায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম পালনের পর ধর্মীয় এ উৎসবকে সামনে রেখে চারদিকে আনন্দ-উল্লাস। তবে বিশ্বে এমনো এক প্রান্ত রয়েছে যেখানে শুধুই স্বজন হারানোর হাহাকার। বাতাসে লাশের গন্ধ। বিধ্বস্ত কংক্রিটের ভাঁজে ভাঁজে রক্তের ছাপ। ধূলিসাৎ হয়ে গেছে মসজিদ, পার্ক, ঐতিহাসিক ভবনসহ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। বুলেট-বোমা, ক্ষুধায় এবার বিষণ্ন ঈদ গাজায়। বাড়িতে খাবার নেই। নতুন পোশাক নেই। জীবনেরও কোনো নিয়শ্চয়তা নেই। ইসরাইলের অমানবীয় অত্যাচারে আনন্দহীন ঈদ কাটাবে গাজাবাসী। আলজাজিরা।

গাজা উপত্যকায় যা ঘটছে তা প্রত্যক্ষ করা হৃদয়বিদারক। ইহুদিবাদীরা তাদের পৈশাচিক আচরণ এবং ঘৃণ্য পেশা দিয়ে শোক ও বেদনাকে ছড়িয়ে দিয়েছে গাজায়। অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে শুধুই দুর্ভিক্ষ। অনেকেই স্বজন হারিয়ে একাকী ঈদের দিনটি কাটাবে। তবুও অসংখ্য গাজাবাসীর আশায় দিন কাটাচ্ছে তাদের দুঃখের অবসান হবে। তাদের মতে, শহিদদের রক্ত ইসরাইলের বর্বর সামরিক দখলদারিত্ব থেকে মুক্তির পথকে উন্মুক্ত করে দেবে।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে ফিরতে শুরু করেছেন সেখানকার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। সোমবার দলে দলে ফিলিস্তিনিরা বিধ্বস্ত শহরে ফিরছেন। দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী আংশিক সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর এই ফিরে আসা শুরু হয়েছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে। খান ইউনিসে অনেকেই নিজের শহরকে চিনতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।

ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অসংখ্য ভবন, অ্যাপার্টমেন্ট ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব হারিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুল ও হাসপাতাল। সড়কগুলোতে বুলডোজার চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। বাস্তুচ্যুত হওয়া নাজওয়া আয়াশ নামের আরেকজন বলেছেন, তার পরিবারের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের তৃতীয়তলায় তিনি যেতে পারছেন না। কারণ সিঁড়ি নেই। ধ্বংসস্তূপ বেয়ে উপরে ওঠে তার ভাই সন্তানদের জন্য কিছু জিনিসপত্র নিয়ে এসেছেন। বাসেল আবু নাসের আরেক বাসিন্দা বলেছেন, শহরটি ধ্বংসনগরী হয়ে গেছে। জীবনের কোনো স্পন্দন নেই। তারা কিছুই অবশিষ্ট রাখেনি।

যুদ্ধবিধ্বস্ত অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজাতে ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরাক সরকার। এছাড়া গাজার আহত ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ এবং তাদের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।

রোববার ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি এ ঘোষণা দেন। এক বিবৃতিতে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী জানান, তার দেশ গাজার বাসিন্দাদের জন্য এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠাবে। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে জ্বালানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে গাজা উপত্যকায়। জ্বালানির অভাবে সেখানকার হাসপাতাল, পানি ব্যবস্থাপনা, বেকারি ও ত্রাণ কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। তাই ফিলিস্তিনি নাগরিকদের সুবিধার্থে এই সহায়তা দিচ্ছে ইরাক।

অন্যদিকে অবরুদ্ধ গাজায় ৩০০টিরও বেশি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। সোমবার এই ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রতিদিন ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের সর্বোচ্চ সংখ্যা এটি। দুর্ভিক্ষগ্রস্ত অঞ্চলটিতে খাদ্য সহায়তা প্রবেশের জন্য ইসরাইলকে ক্রমবর্ধমানভাবে চাপ দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এরই মধ্যে দেশটি সোমবার ফিলিস্তিনি এই ভখণ্ডে ৩২২টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করানোর কথা জানিয়েছে। তবে অঞ্চলটির অনাহারে ভোগা লাখ লাখ ফিলিস্তিনির জন্য গাজায় সোমবার প্রবেশ করা এই সংখ্যক ট্রাক যথেষ্ট নয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া একটি বিবৃতিতে ইসরাইলের কোঅর্ডিনেটর অব গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিস ইন দ্য টেরিটরি (সিওজিএটি) বলেছে, ত্রাণবাহী গাড়িবহরের ২২৮টি ট্রাকে খাদ্যপণ্য ছিল। এই ট্রাকগুলো মোট সংখ্যার ৭০ শতাংশ। রাফাহ থেকে আলজাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজউম জানিয়েছেন, অন্য ট্রাকগুলোও কারেম আবু সালেম সীমান্ত দিয়ে গিয়েছিল। এই সীমান্তটি ইসরাইলিদের কাছে কেরেম শালোম নামে পরিচিত। তিনি বলেন, মানবিক সহায়তা বহনকারী গাড়ি বহরের অধিকাংশ গাড়িই পানি, চিনি, আটা ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বোঝাই ছিল।


আরও খবর