আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

জামালপুর-ঢাকা-জামালপুর রোডে পুনরায় চালু হলো বিআরটিসি বাস সার্ভিস

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

জামালপুর-ঢাকা-জামালপুর রোডে বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু হয়েছে। জেলার নাগরিকদের দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে পুনরায় জামালপুর শহরের ফৌজদারি মোড় এলাকায় ফিতা কেটে এ বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করা হয়।

বুধবার বিকালে জেলা প্রশাসক মোঃ শফিউর রহমান ফিতা কেটে এ বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করেন। এসময় অন্যানদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শীতেষ চন্দ্র রায়, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মুনমুন জাহান লিজা, বাস মালিক সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম জার্নিস, জেলা সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি শামীমা খান, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জেলা কমিটির সভাপতি সাংবাদিক জাহাঙ্গীর সেলিম, জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আইনজীবী ইউসুফ আলী, সাবেক সভাপতি এম.এ জলিল, ও বিআরটিসি কর্মকর্তা কামরুজ্জামান প্রমুখ।

জানা যায়, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ জামালপুর-টাঙ্গাইল-ঢাকা সড়কে দুটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস দিয়েছে। বাস দুটি জামালপুর ফৌজদারী মোড় থেকে সকাল ৭টায় ও রাত ১২টায় টাংগাইল হয়ে ঢাকায় যাবে এবং ঢাকার কমলাপুর বিআরটিসি ডিপো থেকে জামালপুর উদ্দেশে রাত১২টা ও সকাল ৭টা দিকে ছেড়ে আসবে। বিরতিহীন ভাবে বিআরটিসি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসে জামালপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত পুরো দূরত্বের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৫২০ টাকা।

আরো জানা যায়, জেলার নাগরিকদের দাবির প্রেক্ষিতে এর আগে ২০১৯ সালে বিআরটিসির বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছিল। কিন্তু বাস মালিকদের সিন্ডিকেটের কারণে কয়েক মাস যেতে না যেতেই ওই বাস সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়। এ রোডে ব্যক্তিমালিকানাধীন বাস সার্ভিসের অবস্থা খুবই নাজুক। ভালো মানের কোনো বাস সার্ভিস নেই। এতে দীর্ঘদিন ধরে এই জেলার মানুষ সড়কপথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নানা দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন। দুটি এসি বাসের কারণে এই দুর্ভোগ কিছুটা কমবে। তবে যাত্রীসেবার মান ধরে রাখতে হবে।

উদ্বোধনকালে জামালপুর জেলা প্রশাসক মোঃ শফিউর রহমান সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জামালপুর ঢাকা রোডে এ বাস দুটির স্বাভাবিক গতীতে চলাচলের ক্ষেত্রে কোনো সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে এটি যেন বন্ধ না হয় এজন্য যাত্রী সাধারণ বাস মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।

নিউজ ট্যাগ: জামালপুর

আরও খবর



নদীর সঠিক সংখ্যা নির্ধারণে পানি সম্পদ উপদেষ্টার নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আগামী ২ মাসের মধ্যে দেশের নদীর সঠিক সংখ্যা চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডাব্লিউটিএ, নদী রক্ষা কমিশন এবং বিভাগীয় কমিশনারগণকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

তিনি বলেন, যৌথভাবে প্রণয়নকৃত তালিকা জনমত ও আপত্তি দাখিলের সুযোগ দেয়ার জন্য ওয়েব সাইটে প্রকাশ করতে হবে এবং এ সংক্রান্ত আপত্তি গ্রহণ পূর্বক প্রযোজ্যক্ষেত্রে শুনানী গ্রহণ করতে হবে। তিনি এসময় ৬৪ জেলায় অন্তত ৬৪টি নদী চিহ্নিত করে নদীর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করতে আগামী ২ মাসের মধ্যে সময়ভিত্তিক, ব্যয় সাশ্রয়ী, কর্মপরিকল্পনা দাখিল করতে এবং পরবর্তীতে সমন্বিত অভিযানের মাধ্যমে দখল উচ্ছেদ করবেন।

বুধবার রাতে বাংলাদেশের নদ-নদীর প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ এবং সংকটাপন্ন নদ-নদীগুলোর দখল ও দূষণমুক্তকরণ নিয়ে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় পরিবেশ ও পানিসম্পদ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানের পরিচালনার সভায় নৌপরিবহন এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব,  ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিআইডাব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, নদী রক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি এবং বিভাগীয় কমিশনারবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

সভায় পানি সম্পদ উপদেষ্টা বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর দেশের সবচাইতে দূষিত নদীর তালিকা প্রণয়ন করবে এবং দূষণকারী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে দূষণ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান ও তদারকি করবে। প্লাস্টিক দূষণে আক্রান্ত নদীর তালিকা করে দূষণ থেকে পরিত্রাণে কর্ম পরিকল্পনা করবে। পরিবেশ অধিদপ্তর সকল নদীর জন্য হেলথ কার্ড প্রস্তুত করবে, যা নদীর প্রাণ সত্ত্বার পরিচয়। অভিযান পরিচালনায় ও পরবর্তীতে আবারো দখল ও দূষণ রোধ করতে এলাকাবাসী, তরুণ প্রজন্ম, সামাজিক সংগঠন, এনজিওদের  সম্পৃক্ত করতে হবে ও পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দিতে হবে। সকল অফিসে প্লাস্টিকের পানির বোতল, প্লাস্টিকের ফোল্ডার ও প্লাস্টিক ব্যানার ব্যবহার পরিহার কার্যক্রম শুরু করতে হবে।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বিআইডাব্লিউটিএ ঢাকা সার্কুলার নৌপথের প্রস্তাবনার সর্বশেষ অবস্থা ও এই প্রস্তাবনার সম্ভাব্যতা বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সাথে মত বিনিময় করবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় উপরোক্ত নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়মিত পর্যালোচনা করবে।

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ৩ মাসের মধ্যে নদী রক্ষা কমিশনের আইনের সংশোধনের প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করবে। এ লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। ব্যয়সহ চলমান ও বাস্তবায়িত নদী খনন প্রকল্পগুলোর বিস্তারিত তালিকা ও প্রভাব বিষয়ে মতামত ও প্রভাব প্রদান করতে হবে।

সভায় নৌপরিবহন উপদেষ্টা কীর্তনখোলা, রূপসাসহ গুরুত্বপূর্ণ নদীসমূহের পাড় অবৈধ দখলমুক্ত করতে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলাপ্রশাসকদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, অবৈধ পলিথিন ব্যাগ বন্ধে এবং পরিবেশ বান্ধব পাটের ব্যাগের ব্যাপক প্রচলনে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সাথে একটি ক্যাম্পেইন করা হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, নদী রক্ষা কমিশন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং পানি বিশেষজ্ঞগণের পরিমাপে দেশে মোট নদীর সংখ্যায় ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। প্রেক্ষিতে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রিট পিটিশন নম্বর-৮৫৩৯/২০২১ এর নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।


আরও খবর



সরকারি সংবাদমাধ্যমগুলোর স্বায়ত্তশাসন দাবি সম্পাদকদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি সংবাদমাধ্যমগুলোর স্বায়ত্তশাসন দাবি করেছেন দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকগণ। আজ (মঙ্গলবার) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এক বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের সময় অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন সম্পাদকেরা। এ সময় সাংবাদিকতাবিরোধী সব কালাকানুন বাতিলের দাবি করা হয়েছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যেভাবে মামলা করা হচ্ছে, তা বন্ধের দাবিও করা হয়েছে। ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, বিটিভি, বিএসএস এবং রেডিও, যেগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে সেগুলোকে স্বায়ত্ত শাসন দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। তারা যেন পেশাগতভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সারাবিশ্ব বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা উৎসুক বাংলাদেশকে সহায়তা করতে।

দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক বলেন, আমরা কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার আশা করছি। সেই সংস্কারের মধ্যে সংবিধান পরিবর্তন, স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করা, বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলো, এন্টি করাপশন কমিশন, হিউম্যান রাইটস কমিশন, নির্বাচন কমিশন এগুলোকে সংস্কার করা। সত্যিকার অর্থে গণমুখী সংস্থা আমরা চাই। নির্বাচন কমিশন যাতে ভবিষ্যতে ভোটারদের চিন্তার প্রতিফলন ঘটান, এরকম একটা সংস্থা চাই। আমরা এমন দুর্নীতি দমন কমিশন, তারা যেন স্বাধীন ভাবে দেশের দুর্নীতি দমন করতে পারে।

সাংবাদিকতাবিরোধী সব কালাকানুন বাতিলের দাবি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন, সাইবার সিকিউরিটি আইনের মধ্যে সাংবাদিক নিপীড়নের যে অধ্যায়গুলো আছে সেগুলো কার্যত হবে না। এমনটা যাতে ঘোষণা করা হয়। এটা সংস্কারের জন্য ওনারা সময় নিয়ে করতে পারেন। তিনি সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন সাংবাদিকতা বিশ্বাস করেন। আমাদেরকে যে বিশেষ আবেদন করেছেন, আমরা যেন আমাদের লেখনীর মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা। এ সরকারের ভুল ত্রুটি সোচ্চার ভাবে, নির্দ্বিধায় সেটা যেন কাগজে ছাপি। এই সরকারকে সাহায্য করি।

তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সত্যিকার অর্থে মিডিয়ার স্বাধীনতা বিশ্বাস করেন। মিডিয়াবান্ধব যদি কোনো সরকারপ্রধান আমরা পেয়ে থাকি, তাহলে আমরা এখন পেয়েছি। আমরা এর জন্য অত্যন্ত আনন্দিত।

সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা যদি মনে করেন যে, একটা গ্রুপ করে দেওয়া বা একটা বিশেষ কমিটি করে দিয়ে সব ধরনের আইনের যে পরিবর্তন করা হয়। আমারও সংবিধান সংস্কার চাই। আমরা গণতান্ত্রিক রিফর্ম চাই।

সাংবাদিকদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন যে এগুলো তার সরকারের কোনো পলিসিগত কিছু না।

মাহফুজ আনাম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কতদিন থাকবে সেটা সম্পাদকদের কাছে জিজ্ঞেস করেছেন ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস। সে বিষয়ে অনেকের মতামত দিয়েছেন। তবে এই সরকারের মূল অ্যাজেন্ডা কী? সেটার অনুপাতে সময়। ২,৩, ৫বছর, ওনার নিজস্ব কোনো চিন্তা নেই। জাতি কী চায়? জনতা কী চিন্তা করছেন? সেটা তিনি জানতে চান৷ তিনি মিডিয়াকে আহ্বান করেছেন। আমরা যেন জনগণের কথা লিখি।


আরও খবর



বাংলাদেশে সাংবাদিকদের নির্ভয়ে কাজের পরিবেশ থাকতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সাংবাদিকরা যেন নির্ভয়ে কাজ করতে পারেন, বাংলাদেশে তেমন পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে বিচারিক প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হলে সংবাদকর্মীদের জন্য পক্ষপাতহীন আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছে দেশটি।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অন্তত দুজন সাংবাদিকের গ্রেপ্তার ও আসামি হওয়ার প্রেক্ষিতে স্থানীয় সময় বুধবার (২৮ আগস্ট) এ আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শত শত মামলায় এখন পর্যন্ত অর্ধ লক্ষাধিক ব্যক্তি আসামি হয়েছেন। সাবেক মন্ত্রী, বিচারপতি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন স্তর, প্রশাসন, ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষক, খেলোয়াড়, শিল্পী ও আওয়ামী লীগের সব স্তরে নেতাকর্মীরা এখন আসামি হচ্ছেন। বিচারিক প্রক্রিয়ায় আইনগতভাবে তাদের অধিকার যেন প্রতিপালন হয়, সে বিষয়েও লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ভাষ্য জানতে চাইলে একজন মুখপাত্র লিখিত বিবৃতিতে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই মুখপাত্র বলেন, সাবেক কর্মকর্তা ও সাংবাদিকসহ সবার জন্য নিরপেক্ষ বিচারের নিশ্চয়তা চেয়ে আমরা ন্যায় ও পক্ষপাতহীন আইনি প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করছি।

তিনি বলেন, বিশেষ করে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে প্রতিশোধপরায়ণতার শিকার হওয়া এড়াতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ বিচারপ্রাপ্তি ও তাদের প্রাপ্য সম্ভাব্য সব সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।

হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন আওয়ামীপন্থি সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত দম্পতি শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রূপা। বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর তারা চাকরি হারান এবং গ্রেপ্তার হন।

এদিকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেই অর্ধ শতাধিক মামলা হয়েছে। তার দোসর হিসেবে বর্ণনা করে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের শরিক দলের নেতাদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারদের অনেককে আদালতে তোলা হচ্ছে, রিমান্ডে দেওয়া হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে জনরোষের বহিঃপ্রকাশ দেখা যাচ্ছে, আক্রান্ত হচ্ছেন আসামিরা। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলারও খবর রয়েছে।

এসব বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার যে উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস, আমরা তাকে স্বাগত জানিয়েছি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠাকে অন্তর্বর্তী সরকার অগ্রাধিকারে রাখায় আমরা অনুপ্রাণিত।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি অনেক পুলিশ থানায় ফিরেছেন এবং সেনাবাহিনী তাদের সহযোগিতা করছে। আগেই বলেছি, মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আমরা কাজ করতে প্রস্তুত। এই সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, ঐক্য ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের রূপরেখা নিয়ে কাজ করছে।

দেশের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে বিপুল জনগোষ্ঠী বন্যাকবলিত। যারা বন্যায় প্রিয়জন হারিয়েছেন এবং যাদের ঘরবাড়ি হারিয়ে গেছে, তাদের জন্য গভীর সমবেদন জানিয়ে বন্যার্তদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা দেওয়ার কথা তুলে ধরেন মুখপাত্র।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা এবং বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির মাধ্যমে ইউএসএআইডি ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার সহায়তা দিয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও সহায়তাসামগ্রী দিতে ইউএসএআইডি প্রস্তুত রয়েছে।


আরও খবর



রেজিস্ট্রেশন ছাড়া যাওয়া যাবে না সেন্টমার্টিন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যটক সীমিত করার পাশাপাশি রেজিস্ট্রেশন বা অনুমতি ছাড়া কোনো পর্যটক দ্বীপটিতে যেতে পারবে না। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে সেন্টমার্টিন দ্বীপে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে কনসালটেশন শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল হামিদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করে পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষার পাশাপাশি সেখানকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করা হবে। কক্সবাজার শহরকে গুরুত্ব দিয়ে প্লাস্টিক মুক্ত করার জন্য খুব দ্রুত কাজ শুরু করা হবে বলেও জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

সাগরকে প্লাস্টিক মুক্ত রাখতে সকলের সহযোগিতা চেয়ে তিনি আরো বলেন, পাহাড় কাটা ও জলাশয় ভরাটের বিষয়ে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। এটার জন্য জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে। দেশের নদীগুলোর দূষণ নিয়ে আমরা কাজ করছি। নদীগুলোকে দূষণমুক্ত রাখার জন্য ইতিমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

ইউনিডোর সহযোগিতায় পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ইউনিডোর বাংলাদেশ প্রধান ড. জাকি উজ্জামান, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী, বাংলাদেশে টেকসই প্লাস্টিক ব্যবহার এবং সামুদ্রিক লিটার প্রতিরোধের দিকে সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গির জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সোলেমান হায়দার, পরিচালক (এনভি. ক্লিয়ারেন্স) মাসুদ ইকবাল মো. শামীম, পরিবেশবাদী সংগঠন ধরার কক্সবাজার সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সারোয়ার আলম, ইউএনডিপির হেড অব এক্সপেরিমেন্টেশন রমিজ উদ্দিন, বাপার কক্সবাজার সভাপতি এইচ এম এরশাদ, বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু, ইয়েস কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল মামুন, কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জমির উদ্দিন প্রমুখ।


আরও খবর



বাংলাদেশ থেকে সরে গেল নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

অবশেষে গুঞ্জনই সত্যি হলো। বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বিবেচনায় নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছে ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ।

ক্রিকবাজ জানায়, মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) এক বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নতুন আয়োজক হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। আগামী ৩-২০ অক্টোবর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আইসিসির ভার্চুয়াল সভায় এই সিদ্ধান্তের কথা সূত্রের বরাতে জানিয়েছে ক্রিকবাজ। তবে এখন পর্যন্ত বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়নি।

এর আগে, বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তার আশ্বাস দেয়া হলেও ১৯ আগষ্ট অস্ট্রেলিয়া নারী দলের অ্যালিসা হিলি জানিয়েছিলেন, এমন পরিস্থিতিতে ঢাকা ও সিলেটে বিশ্বকাপ আয়োজন করা ভুল হবে। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কের এমন মন্তব্যের পরদিন জানা যায়, বাংলাদেশ নয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে হতে যাচ্ছে এবারের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

২০ ওভারের বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিতে আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ে নিজেদের মতামত দিয়েছেন বিভিন্ন দেশের বোর্ড পরিচালক ও কর্মকর্তা। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে বিশ্বকাপ সরানোর প্রস্তাব দেয়া হলে সেটাতে সম্মতি দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আরব আমিরাতে বিশ্বকাপ হলেও আয়োজক স্বত্ব থাকবে বাংলাদেশের হাতেই। এমনটা জানিয়েছে ক্রিকবাজ।


আরও খবর