আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে দুদিনব্যাপী গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। হাজারো দর্শকের টানটান উত্তেজনার মধ্যেই বাইচের নৌকার মাঝিরা হাঁক দিলেন হেঁইয়ো রে হেঁইয়ো। টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে ফাইনালে ইসলামপুরের রকেট জয়ী হয়।

শুক্রবার ও শনিবার বিকালে জামালপুর শহরের ব্রহ্মপুত্র নদের পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন ঢাকাস্থ জামালপুর সমিতি।

দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে ব্রহ্মপুত্র সেতু থেকে ছনকান্দা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার স্থান জুড়ে নদের দুই পাড়ে এবং ব্রহ্মপুত্র সেতুতে হাজার হাজার দর্শক সমাগম ঘটে। বাইচে জামালপুরের মেলান্দহ, সরিষাবাড়ী, ইসলামপুর ও পার্শ্ববর্তী শেরপুর জেলা থেকে বাংলার বাঘ, তুফান, মনিরাজ, দশের দোয়া, রকেট, বাংলার সম্রাট, দিগন্ত, ময়ূরপঙ্খীসহ নানা নামের ১৫টি নৌকা অংশ নেয়। শুক্রবার ছিল প্রথম রাউন্ড, বিকেল সাড়ে চারটা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ছয়টায় শেষ হয় বাইচ। ওইসব নৌকার মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ৮টি নৌকা ফাইনাল রাউন্ডে পৌঁছায়। শনিবার ওই ৮টি নৌকা নিয়ে একই স্থানে ফাইনাল রাউন্ড হয়।

শুক্রবার বিকেলে উদ্বোধনী দিনে ছিল বাছাই পর্ব এবং শনিবার ছিল প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। শনিবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুদের মাঝে বেশ উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা গেছে। এছাড়াও জেলার সাতটি উপজেলা থেকেই শত শত নৌকায় করেও অনেক দর্শককে নৌকা বাইচ উপভোগ করতে দেখা গেছে। নদের দুই পাড়ে খুদে ব্যবসায়ীরা তাদের বিভিন্ন খাবারসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রির পসরা নিয়ে বসে। শনিবার বিকেলে চূড়ান্ত পর্বে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী নৌকা বাইচ দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে এই প্রতিযোগিতার সমাপ্তি ঘটে।

প্রতিযোগিতা শেষে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি নৌকা বাইচে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী নৌকা বাইচ দলের মাঝে নগদ টাকা, মেডেল ও সনদপত্র বিতরণ করেন। প্রথমস্থান অধিকারী ইসলামপুরের নৌকা রকেট দল পেয়েছে নগদ দেড় লাখ টাকা, দ্বিতীয় স্থান ইসলামপুরের সাজালের চরের নৌকা মনিরাজ দল পেয়েছে নগদ এক লাখ টাকা এবং তৃতীয় স্থান মেলান্দহ উপজেলার দক্ষিণ ঝাইগড়া গ্রামের একতা সংঘের নৌকা দল পেয়েছে নগদ ৫০ হাজার টাকা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. ইমরান আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন, জামালপুর সমিতি, ঢাকার সভাপতি হাছান মাহমুদ রাজা, মহাসচিব গ্রুপ ক্যাপ্টেন অব: শেখ মো. শফিকুল ইসলাম, নৌকা বাইচ বাস্তবায়ন উপ-কমিটর সদস্য সচিব ক্যাপ্টেন (অব:) মো. শহীদুল ইসলাম ও আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম মৃনাল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মির্জা জিল্লুর রহমান শিপন প্রমুখ।


আরও খবর



বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সম্মেলন ভারতে, ঢাকায় আসছেন না পুতুল

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী অক্টোবরে ঢাকায় পূর্ব নির্ধারিত আঞ্চলিক সম্মেলনের ভেন্যু বদলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এই সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন কি না এমন আলোচনার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত এল।

তবে আপাতত এমন কোনো সমীকরণ নিয়ে ভাবতে হচ্ছে না। ঢাকার একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ঢাকার পূর্ব ঘোষিত সম্মেলন হবে ভারতের নয়াদিল্লিতে। ফলে পুতুলকেও আসতে হচ্ছে না। সূত্রটি বলছে, আগামী ১৪ থেকে ১৮ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে সম্মেলনটি হবে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। আন্দোলনকারীদের উপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত হাসিনার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয়েছে। গণহত্যার দায়ে হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে। এরমধ্যে কিছু মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে বোন শেখ রেহানা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে।

এমন পরিস্থিতিতে অক্টোবরে পূর্ব নির্ধারিত আঞ্চলিক সম্মেলন ঢাকায় হবে কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। কারণ পুতুল ঢাকায় এলে তাকে গ্রেফতার করা হবে কি না এ নিয়ে নানা আলোচনা রয়েছে।

ঢাকা এবং দিল্লির কূটনীতিক সূত্রের ভাষ্য, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাতায়াতে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জাতিসংঘের ভ্রমণ দলিল ব্যবহার করার কথা, যা সাধারণভাবে জাতিসংঘ পাসপোর্ট হিসেবে গণ্য হয়। 

ফলে জাতিসংঘের কর্মকর্তা হিসেবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার বিশেষ আইনি ছাড় পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কূটনৈতিক ছাড় নাও পেতে পারেন। আন্তর্জাতিক পরিসরে এই আইনের দৃষ্টিভঙ্গি বিভিন্ন রকম হতে পারে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচালক হিসেবে পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করেন সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাজের দেখভাল করে দিল্লিভিত্তিক আঞ্চলিক দপ্তরটি।


আরও খবর



তাকসিম না থাকলেও তাঁর সিন্ডিকেট এখনোও ওয়াসায়

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শেখ হাসিনার সরকারের আমলে চারদিকের শত সমালোচনার মুখেও যে মানুষটি বহাল তবিয়তে ছিলেন, তিনি হলেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তবে ওয়াসায় এখনো বহাল তবিয়তে আছে তাঁর বসানো লোকজন। ফলে তাকসিম না থাকলেও তাঁর সিন্ডিকেট এখনো আছে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওয়াসার এমডি হিসেবে নিয়োগ পান তাকসিম এ খান। প্রথম নিয়োগ থেকে মোট সাতবার নিজের চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে ওয়াসাকে যেন নিজের ব্যক্তিগত সংস্থায় পরিণত করেছিলেন এ প্রকৌশলী। নিজস্ব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতায় অনেকটা অচল হয়ে পড়ে সেবাদানকারী এ প্রতিষ্ঠানটি। শুরুতেই তাঁর সেই সিন্ডিকেটে ঢুকে পড়েন ওয়াসার কমপক্ষে ১০ জন প্রকৌশলী।

হাসিনা সরকারের পতনের পর ১৫ আগস্ট স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে তাকসিম এ খানের চুক্তি বাতিল করলেও তাঁর অনুসারীরা এখনো বহাল তবিয়তে। বিষয়টি নিয়ে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বৈদেশিক সাহায্য নেওয়া প্রকল্পের ১৯ হাজার কোটি টাকা এখন ওয়াসার কাঁধে ঋণের বোঝা রেখে গেছেন তাকসিম। এসব প্রকল্পের পিডির দায়িত্বেও রয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

জানতে চাইলে গতকাল শনিবার ঢাকা ওয়াসার সদ্য নিয়োগ পাওয়া এমডি এ কে এম শহীদ উদ্দীন বলেন, আমি এখন ঢাকা শহরের পানি সরবরাহের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। সবই সমাধান হবে। আমি যদি সবকিছু এই মুহূর্তে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করি, তাহলে মানুষের সেবা দিতে পারব না। তাই আপাতত নো কমেন্টস।

ওয়াসার একাধিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৫ আগস্ট বিদায়ী এমডি তাকসিম এ খানের চুক্তির মেয়াদ বাতিল করে নতুন এমডি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হলো তাঁরই দীর্ঘ দিনের বিশ্বস্ত কর্মকর্তা প্রকৌশলী এ কে এম শহীদ উদ্দীনকে। প্রকৌশলী শহীদ ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। এর আগে তাকসিমের পছন্দের পরিচালক, উপদেষ্টা ও প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্বও পালন করেছেন।

তাকসিম সিন্ডিকেটের আরেক সদস্য তাঁর একান্ত অনুসারী হিসেবে পরিচিত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে সংস্থার ৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের পিডি। এ ছাড়া ৮ হাজার কোটি টাকার এডিবি প্রকল্পের পিডি ওয়াহিদুল ইসলাম মুরাদ, তাকসিমের স্টাফ অফিসার ও নির্বাহী প্রকৌশলী বদরুল আলম, সংস্থার সচিব প্রকৌশলী শারমিন হক আমীর, ক্রয় বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জয়নাল আবেদিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আনোয়ার সাত্তার, প্রকল্প পরিচালক ওয়াইজ উদ্দীন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক (১৬ ইউনিয়ন পানি সরবরাহ) আজিজুল হক এবং সায়েদাবাদ পানি সরবরাহ-৩ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান অন্যতম।

ওয়াসার সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারী তাকসিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং অর্থ জোগানদাতা হিসেবে শহীদ উদ্দীনের নাম আসে সবার আগে। তাকসিমের বিদায়ের পরও তাঁর সহযোগী বর্তমান এমডি শহীদ উদ্দিন তাকসিমের নির্দেশে সিন্ডিকেটের সদস্যদের নানাভাবে সুরক্ষা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা যে পদে আছেন, তাঁদের সেই পদেই রাখবেন ঘোষণা দিয়েছেন শহীদ। বিষয়টি নিয়ে ওয়াসা ভবনে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।


আরও খবর



ইউক্রেনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ৫১

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মধ্য ইউক্রেনের পোলতাভা শহরের একটি মিলিটারি একাডেমি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ হামলায় কমপক্ষে ৫১ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৭১ জন। বুধবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইউক্রেনের স্থল বাহিনী জানিয়েছে, একটি মিলিটারি একাডেমি এবং কাছাকাছি একটি হাসপাতালে রাশিয়ান মিসাইলের আঘাতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ওই মিলিটারি একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া একটি সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিতে ক্যাডেটদের জড়ো করা হয়েছিল। 

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমান হামলার অ্যালার্ম বাজানোর পর বোমা শেল্টারে ঢুকার জন্য মানুষের কাছে পর্যাপ্ত সময় ছিল না।

ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এই আক্রমণের জন্য রাশিয়াকে মূল্য দিতে হবে। তিনি মিত্রদেশগুলোর কাছে আরও বেশি বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রদানের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন যাতে ইউক্রেন নিজে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে। তবে মস্কো এই হামলার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।


আরও খবর
উত্তর প্রদেশে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ধামরাইয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় যুবককে মারধর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধামরাই প্রতিনিধি

Image

ঢাকার ধামরাইয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে এক যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার আমতা ইউনিয়নের বউখন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

আহত যুবক ওয়ালী উল্লাহ্ খান যুবরাজ (২৯) উপজেলার আমতা ইউনিয়নের বাউখন্ড গ্রামের মোশারফ হোসেন খানের ছেলে। তিনি বাউখন্ড কমিউনিটি ক্লিনিকে এমএইচবি পদে কর্মরত আছেন। বর্তমানে যুবরাজ সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন ইউসুফ,শহিদুল,সাজেদুল,আলী হোসেন এরা সকলেই বাউখন্ড গ্রামের বাসিন্দা। ভুক্তভোগী ওয়ালী উল্লাহ্ খান যুবরাজ বলেন,আমি আমার চাচাতো ভাই সামিউল ইসলাম খান সজিবকে নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেই "এগিয়ে যাক নতুন প্রজন্ম আর অল্প কিছু দিন বাকী" এ পোস্ট দেওয়ায় কিশোর গ্যাং ও মাদকসেবী ইউসুফ আলী, শহিদুল ইসলাম সহ ৮-১০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী আমার উপর হামলা চালায়। আর বলে তোর ভাইরে চেয়ারম্যান বানাবি। নে চেয়ারম্যানের স্বাদ মিটিয়ে দিই। পরে আমার ডাক চিৎকারে এলাকার মানুষ এগিয়ে এলে তারা চলে যায় এবং বলে তোর পরিবারের কেউ রক্ষা পাবে না। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের গ্রামে খোজখবর নিলে তাদের কাউকে এলাকায় খোজে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



রোববার থেকে বনজীবী-পর্যটকদের জন্য খুলছে সুন্দরবন

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
তারিক লিটু, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

Image

টানা তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার পর রোববার থেকে বনজীবী ও পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে সুন্দরবন। খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, সুন্দরবনে সম্পদ আহরণের জন্য ১২ হাজার নৌকা ও ট্রলারকে বোর্ড লাইসেন্স সার্টিফিকেট-বিএলসি দেওয়া হয়। এসব নৌযানের মাধ্যমে প্রতিবছর এক থেকে দেড় লাখ জেলে, বাওয়ালি ও মৌয়াল সুন্দরবনের সম্পদ আহরণ করেন।

তিনি বলেন, সুন্দরবন শুধু জীববৈচিত্র্য নয়, মৎস্য সম্পদেরও আধার। জুন থেকে অগাস্ট-এই তিন মাস প্রজনন মৌসুম হওয়ায় সুন্দরবনের নদী ও খালে থাকা বেশিরভাগ মাছ ডিম ছাড়ে। এ কারণে তিন মাসের জন্য জেলে ও পর্যটকদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ।

এ বন সংরক্ষক আরও বলেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে জেলে ও পর্যটকদের সুন্দরবনে ঢোকার পাস (অনুমতি) দেওয়া হবে। নির্ধারিত ফরেস্ট স্টেশনগুলোকে এ বিষয়ে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। অনুমতিপত্রের মেয়াদ অনুযায়ী, সুন্দরবনে অবস্থানকারী জেলেদের তালিকা বনরক্ষীদের ক্যাম্প কর্মকর্তার কাছেও থাকবে। বনরক্ষীরা তালিকা অনুযায়ী প্রতিটি খালে টহল দিয়ে অনুমোদন পাওয়া জেলেদের নৌকা যাচাই করে দেখবেন।

বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, জেলে-বাওয়ালিরাও এখন সুন্দরবনের ভেতরে মাছ ও কাঁকড়া ধরতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।তবে সাধারণ জেলে-বাওয়ালিদের অভিযোগ, নিষিদ্ধ সময়ে সুন্দরবনে অপরাধ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকার স্থানীয় জেলেদের কয়েকটি অসাধুচক্র বন বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপন চুক্তির মাধ্যমে সুন্দরবনে ঢুকে অল্প সময়ে বিষ ছিটিয়ে মাছ ও কাঁকড়া শিকার করছেন।বনের ভেতরে গাছ পুড়িয়ে চলে শুঁটকি তৈরি। দেশ-বিদেশের বাজারে ওই চিংড়ির শুঁটকির চাহিদা ও দাম বেশি।মাছ ও কাঁকড়া সুন্দরবনসংলগ্ন আশপাশ এলাকার আড়ত এবং বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হয়।এতে প্রকৃত জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।

এ বিষয়ে খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমারের ভাষ্য, নিষিদ্ধ মৌসুমে সুন্দরবন কেন্দ্রীক সব ধরনের অপরাধ দমনে সচেষ্ট থাকেন বনরক্ষীরা। তবে এর মধ্যে দুএকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে।দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বনরক্ষীদের কারও বিরুদ্ধে অবহেলা অথবা অপরাধীর সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এই বন কর্মকর্তা।

বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে জলভাগের পরিমাণ ১ হাজার ৮৭৪ দশমিক ১ বর্গকিলোমিটার; যা পুরো সুন্দরবনের আয়তনের ৩১ দশমিক ১৫ শতাংশ। ১৩টি বড় নদীসহ ৪৫০টির মত খাল রয়েছে সুন্দরবনে।

জোয়ারে পানিতে প্লাবিত হওয়া এই বনের জলাধার ভেটকি, রূপচাঁদা, দাঁতিনা, চিত্রা, পাঙ্গাশ, লইট্যা, ছুরি, মেদ, পাইস্যা, পোয়া, তপসে, লাক্ষা, কই, মাগুর, কাইন, ইলিশসহ ২১০ প্রজাতির সাদা মাছের আবাস।এছাড়াও রয়েছে গলদা, বাগদা, চাকা, চালি, চামিসহ ২৪ প্রজাতির চিংড়ি।বিশ্বখ্যাত শিলা কাঁকড়াসহ ১৪ প্রজাতির কাঁকড়ার প্রজনন হয় এখানে।

বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সুন্দরবনের প্রতি সব দেশের মানুষের আকর্ষণ রয়েছে। সুন্দরবনের সাতটি ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রে প্রতিবছর আড়াই লাখের বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেন।বন বিভাগ থেকে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সুন্দরবন ভ্রমণ করেন ২ লাখ ১৬ হাজার পর্যটক। যা থেকে সুন্দরবন বিভাগের রাজস্ব আয় হয় ৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

২০২১-২২ অর্থবছরে সুন্দরবনে ৭৫ হাজার ৫৬০ জন দেশি এবং ৮৬৪ জন বিদেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছেন। ওই অর্থবছর সুন্দরবন বিভাগ পর্যটকদের কাছ থেকে ৮৮ লাখ ৯৪ হাজার ৭০ টাকা রাজস্ব আয় করে।

খুলনার ট্যুর অপারেটরা জানান, সুন্দরবনে পর্যটনের মৌসুম শুরু হয় অক্টোবরে, চলে মার্চ পর্যন্ত। এই ছয় মাসের ব্যবসার জন্য এ খাতের ব্যবসায়ীরা অপেক্ষায় থাকেন। তবে গত মৌসুম দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সুন্দরবন কেন্দ্রীক পর্যটন ব্যবসায় ধস নামে।

নিউজ ট্যাগ: সুন্দরবন

আরও খবর