রমজান মাসে স্কুল খোলা থাকবে কি থাকবেনা
তা নিয়ে দু'দিন ধরেই চলছে সিদ্ধান্তহীনতা। রমজান মাসে স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশের পর
আবার রাষ্ট্রপক্ষ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পবিত্র রমজানে প্রাথমিক
ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের আদেশ আপাতত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার
আদালত। তবে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য মঙ্গলবার (১২ মার্চ)
দিন ঠিক করেছেন আদালত।
সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে আপিল বিভাগের
চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল আবেদনের
পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মুহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে
ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. সাইফুজ্জামান। এ সময় অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল
শেখ (এসকে) মুহাম্মদ মোর্শেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
আর রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ।
এর আগে আজ পবিত্র রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক
স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে
আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা
হয়। তারই ধারাবাহিকতায় সেটি শুনানি হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণকল্পে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ছুটির
তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধনপূর্বক আসন্ন পবিত্র রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক
ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ মার্চ থেকে রোজা শুরু হবে।
অন্যদিকে, ১১ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত মোট
১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চালু
রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সরকারি-বেসরকারি
মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ২০২৪ সালের (১৪৩০-১৪৩১ বঙ্গাব্দ) শিক্ষাবর্ষের
ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করা হয়েছে। এর পরে বিষয়টি নিয়ে একজন অবিভাবক
রিট আবেদন করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে পবিত্র রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়
খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে জারি করা দুটি প্রজ্ঞাপন দুই মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
এদিকে, রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়
খোলা রাখার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট দায়ের
করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মন্ডল। কিন্তু ওই রিটের শুনানি এখনো হয়নি
বলে জানান রিটকারী আইনজীবী।