আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

জামালপুরে তিনফসলি জমিতে নকশিপল্লী না করার দাবি কৃষকদের

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ জানুয়ারী 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ জানুয়ারী 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

জামালপুরে চলমান শেখ হাসিনা নকশিপল্লী প্রকল্পের জন্য তিন ফসলি কৃষি আবাদি ভূমি অধিগ্রহণ না করে কৃষকদের বাঁচানোর আকুল আবেদন জানিয়েছে ভূমির মালিক ও কৃষকরা। কৃষকদের জীবন ও জীবিকার একমাত্র অবলম্বন এই কৃষিজমি রক্ষায় তারা মানববন্ধন করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। সেই সাথে নকশিপল্লী প্রকল্প অন্যত্র স্থানান্তরেরও দাবি জানান।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে পৌরসভার চরচন্দ্রায় আবাদি ভূমিতে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান এলাকার ভূমি মালিক কৃষকবৃন্দ ।

প্রায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কৃষক আয়েজ উদ্দিন, জিয়াউল হক, বারেক মন্ডল, মোশাররফ হোসেন, আলমগীর হোসেন, ফারুক হোসেন, ইলাত আলীসহ কৃষিজমির মালিকরা।

বক্তারা বলেন, সরকারি আদেশে জামালপুর জেলা প্রশাসন সদর উপজেলার অন্তর্গত জামালপুর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের চন্দ্রা ও চরচন্দ্রা মৌজা এবং মেলান্দহ উপজেলার চরবানিপাকুরিয়া ইউনিয়নের চরবানিপাকুরিয়া ও চরপলিশা মৌজায় কৃষকদের জমি অধিগ্রহণ করে "শেখ হাসিনা নকশীপল্লী, জামালপুর (১ম পর্যায়)" নামে একটি বৃহৎ প্রকল্প স্থাপনের কার্যক্রম চলছে।

এই প্রকল্পের জন্য দুটি উপজেলার ওই চারটি মৌজায় ৩'শ একর ভূমি অধিগ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে বিগত ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে প্রকল্পটির জমি অধিগ্রহণের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে দুই দফা নোটিশ পাঠানো হয় জমির মালিক কৃষকদের কাছে। এই প্রকল্পটি সম্পর্কে জানাজানি হওয়ার পর থেকেই কৃষি আবাদের জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাওয়ার গভীর শঙ্কায় স্থানীয় হাজার হাজার কৃষকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। আমরা কৃষকরা সবাই এই জমি অধিগ্রহণ না করার জন্য জামালপুরের জেলা প্রশাসককে মৌখিকভাবে অনুরোধ করার পরও প্রশাসন থেকে দুই দফা ভূমি অধিগ্রহণের নোটিশ পাওয়ার পর জমির মালিক কৃষকদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে। তারা তিনফসলি আবাদি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবনযাপনের শঙ্কায় রয়েছেন।

বক্তারা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী কৃষি আবাদি তিনফসলি জমিতে কোনো শিল্প-কলকারখানা স্থাপন না করার জন্য আপনার সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত থাকলেও একটি মহল জামালপুর সদর উপজেলা ও মেলান্দহ উপজেলার ওই চারটি মৌজার কৃষকদের কৃষি জমি অধিগ্রহণ করে সেখানেই 'শেখ হাসিনা নকশিপল্লী নামের প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এই কৃষি জমিগুলো কখনোই অনাবাদি পড়ে থাকে না। ঝিনাই নদীর পশ্চিমপাড়ে উর্বর চরাঞ্চলের এসব জমিতে আমন ধান, বোরো ধান, পাট, মরিচ, সরিষা, কপি, গোল আলু, মিষ্টি আলু, টমেটা, মুলা, গাঁজর, বেগুন, লাউসহ বিভিন্ন প্রকার ফসল ও সবজি আবাদ হয়। এসব ফসল ও সবজি আবাদ করে নিজেদের খাদ্যচাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিক্রি করে কৃষকরা অর্থউপার্জনের মাধ্যমে জীবিকানির্বাহ করে আসছেন বংশ পরম্পরায়। এই তিনফসলি জমিগুলো হলো কৃষকের প্রাণ। চারটি মৌজার আওতায় বিস্তীর্ণ এই আবাদি জমিতে ফসল ফলানোর জন্য কৃষকদের ২৮৫টি অগভীর নলকূপ থেকে পানিসেচ কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।

বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী, "শেখ হাসিনা নকশীপল্লী, জামালপুর" নামের প্রকল্পটি আমাদের তিনফসলি কৃষিআবাদি জমিতে করা হলে দুই উপজেলার হাজার হাজার কৃষক তাদের কৃষি আবাদি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়বে। এতে করে প্রতিটি পরিবারের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করানোসহ সবদিক থেকেই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো। অধিগ্রহণের আওতায় আনার জন্য নোটিশকৃত ওই ৩'শ একর জমি তিনফসলি কৃষি আবাদি জমি কিনা, আপনার মাধ্যমে তা তদন্ত করিয়ে প্রকল্পটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলেও আমরা মনে করি। তাই হাজার হাজার কৃষকদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমাদের জীবনজীবিকার তাগিদে আমাদের তিনফসলি কৃষি জমিগুলো অধিগ্রহণ না করার জন্য আপনার নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি। একই সাথে এই প্রকল্পটি অন্য কোনো স্থানে করার জন্য আপনার কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।'

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দেন কৃষকরা। এর অনুলিপি ভূমিমন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রণালয়ের সচিব, জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য, সদর উপজেলা ও মেলান্দহ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরও পাঠানো হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: জামালপুর

আরও খবর



নোয়াখালীতে পানির চাপে ভেঙে গেছে স্লুইসগেট

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে তীব্র পানির চাপে ভেঙে গেছে মুছাপুর স্লুইসগেট। এতে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে। তাদের আশঙ্কা, এতে নোয়াখালী ও ফেনীর কিছু কিছু জায়গায় জোয়ারের পানি ঢুকে পড়তে পারে। সোমবার (২৬ আগস্ট) সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ভারতের উজানের ঢল থেকে আসা পানি ফেনীর মুহুরী নদী হয়ে ও ভারি বর্ষণের ফলে কোম্পানীগঞ্জে জমে থাকা পানি মুছাপুর স্লুইসগেটের রেগুলেটরের ২৩টি গেট দিয়ে বঙ্গোপসাগরে যায়। কিন্তু সোমবার সকালে তীব্র পানির চাপে সবকটি রেগুলেটর ভেঙে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা তাসিব বলেন, সকালে মুসাপুর ক্লোজারের স্লুইচগেট ভেঙে গেছে। এর আগে এতদিন ভাটার সময় গেট খুলে দিলে ফেনী ও নোয়াখালীর বন্যার পানি সাগরে নেমে যেত আর জোয়ারের সময় আটকে দেওয়া হতো যাতে সাগরের পানি না ঢুকে। এখন এই গেট ভেঙে যাওয়ায় ফেনী-নোয়াখালীবাসির জন্য দুঃসংবাদ। কারণ, এখন জোয়ার আসলে পানি উল্টো ঢুকবে।

মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, তীব্র পানির চাপে রেগুলেটর ভেঙে গেছে। আমাদের মুছাপুর ক্লোজার শেষ। স্থানীয় মানুষজন কান্নাকাটি করছে। সবাই অসহায় হয়ে পড়েছে। জোয়ার হলে এখন পুরো কোম্পানীগঞ্জ ভেসে যাবে। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করা ছাড়া আর উপায় নাই।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবি) নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরাও বিষয়টি জেনেছি। আসলে রেগুলেটরের ২৩টি গেট দিয়ে প্রচুর পানি নেমেছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।


আরও খবর



শেরপুরে মুখোমুখি সংঘর্ষ দুই মাইক্রোবাস: ১৭ জন আহত

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

শেরপুর পৌর শহরের নবীনগর পাসপোর্ট অফিসের পাশে দু'টি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৭ জন আহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানি না হলেও আহত কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সাড়ে ৫ টার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। আহতদের মধ্যে ৪ জন জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আরো ১০/১২ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের মধ্যে ৪/৫ জন শিশুও রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরে শেরপুর শহরের নবীনগর পাসপোর্ট অফিসের পাশে বিকট শব্দে দুটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে আশপাশের লোকজন এসে আহতদের গাড়ি থেকে বের করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

শেরপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি। তবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কয়েকজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: শেরপুর

আরও খবর



ছাত্রদের ত্রাণসামগ্রী ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতা, উদ্ধার করল সেনাবাহিনী-পুলিশ

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি

Image

নোয়াখালীর কবিরহাটের সুন্দলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. একরামের বিরুদ্ধে ছাত্রদের ত্রাণসামগ্রীর ৬০০ প্যাকেট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই সময় বিএনপি নেতা একরামের অনুসারীরা এক ছাত্রকে কুপিয়ে ও আরেকজনকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। 

মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সেনাবাহিনী ও কবিরহাট থানার পুলিশ ছিনিয়ে নেওয়া ত্রাণগুলো উদ্ধার করে।

এর আগে একই দিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের কালামুন্সি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। 

আটক মো. সৌরভ (১৮) একই উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দই বাড়ির জাহের হোসেনের ছেলে। 

হামলার শিকার শিক্ষার্থী তাসরিফউর রহমান ওরফে নিহাদ অভিযাগ করে বলেন, উপজেলার কালামুন্সি বাজার এলাকার ছাত্ররা ঢাকা থেকে ৬০০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করে নিজেদের এলাকার বন্যাদুর্গতদের মধ্যে বিতরণ করার জন্য যান। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ত্রাণসামগ্রীর প্যাকেটগুলো কালামুন্সি বাজারে আসে। তখন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি একরাম নানা অজুহাতে ছাত্রদের ত্রাণগুলো ছিনিয়ে নিয়ে সুন্দলপুর ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রাখেন। তখন ছাত্রদল নেতা সোহেলের নেতৃত্বে সৌরভ, রিপাত, নোমান ও বাপ্পী ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়।

হামলাকারীরা মো. মাইন উদ্দিন আকাশ (১৬) নামে এক ছাত্রকে কুপিয়ে ও নিহাদ (১৬) নামে আরেক ছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে ছাত্ররা বিষয়টি পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে এসে ছাত্রদের ত্রাণসামগ্রী উদ্ধার করে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সুন্দলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. একরাম অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন ত্রাণগুলো উদ্ধার করেছে। এরপর যাদের ত্রাণ তাদের ফেরত দেওয়া হয়েছে। তারা তাদের লোক দিয়ে ত্রাণসামগ্রীগুলো বিতরণ করেছে।

স্থানীয়রা জানান, সেখানে ১৪০-১৫০ ত্রাণের প্যাকেট ছিল।

কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। অভিযুক্ত বিএনপি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা হয়েছে। দলীয় বৈঠকে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। 

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, খবর পেয়ে ছাত্রদের ত্রাণসামগ্রীগুলো উদ্ধার করে ফেরত দেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। ছাত্ররা লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএনপি নেতারা অভিযুক্ত বিএনপি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করার কথাও জানান তিনি।  

নিউজ ট্যাগ: নোয়াখালী

আরও খবর



পরিবেশ উপদেষ্টার সাথে ইউএনডিপি এবং ফরাসি প্রতিনিধি দলের বৈঠক

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ স্টেফান লিলারের নেতৃত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল, রবিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সাথে বৈঠকে মিলিত হন।

বৈঠকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিবেশগত এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। মূল আলোচ্য বিষয়গুলির মধ্যে ছিল বাংলাদেশ সরকার এবং ইউএনডিপি-এর মধ্যে টেকসই পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু সহনশীলতা, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানো, পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকায় (ECA) বাস্তুতন্ত্র ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা, হাওর অঞ্চলে স্থানীয়  ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা, টেকসই শক্তি, কম-কার্বন নগর উন্নয়ন, জলবায়ু সহনশীল জীবনধারা, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা এবং ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থের পরিমাণ হ্রাস করা।

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশের পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ধারাবাহিক অংশীদারিত্ব এবং নতুন উদ্ভাবনী সমাধানের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন যে, পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে নতুন সহযোগিতার সুযোগ অনুসন্ধান এবং চলমান উদ্যোগগুলিকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন।

রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ লিলার বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (SDG) অর্জনে, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে ইউএনডিপি-এর প্রতিশ্রুতির পুনর্ব্যক্ত করেন।

এর আগে, ফরাসি রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুইয়ের নেতৃত্বে একটি ফরাসি প্রতিনিধি দল পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তাদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল বন সংরক্ষণ, আন্তঃসীমান্ত বায়ু দূষণ, নদী দূষণ, বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণ, শিল্প দূষণ, পার্বত্য এলাকার সংরক্ষণ এবং সুন্দরবন, শাল বন এবং চট্টগ্রাম পার্বত্য চট্টগ্রাম (CHT) রক্ষা। বৈঠকে পলিথিন শপিং ব্যাগের নিষেধাজ্ঞার জরুরি প্রয়োগ, জলবায়ু কর্ম সহযোগিতা, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (NAP) বাস্তবায়ন, উপকূলীয় বনায়ন এবং অভিযোজন চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

বৈঠকের পরে, উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গণমাধ্যমকে ব্রিফ করেন এবং তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।


আরও খবর



জাতিসংঘের গুম সনদে বাংলাদেশের সাক্ষর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতিসংঘের গুম এবং নির্যাতন বিষয়ক কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় স্বাক্ষর করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

জানা গেছে, দায়িত্ব নেওয়ার পর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং দেশের বাইরে বাংলাদেশ মিশনগুলোর রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওইসব বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ঢাকার কূটনীতিকদের জানান, অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার সমুন্নত রাখার বিষয়ে খুবই সোচ্চার। যার অংশ হিসেবে জাতিসংঘের গুম এবং নির্যাতন বিষয়ক কনভেনশনে দ্রুত স্বাক্ষর করা হবে।

অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থাকেও যথাযথভাবে কার্যকর করতে চায়। এ জন্য সঠিক উদ্যোগ নেয়া হবে। আমলাদের মানবাধিকার সংস্থার দায়িত্ব না দিয়ে এই ইস্যুতে যারা সংগঠক (অ্যাক্টিভিস্ট) তাদের দায়িত্ব দেয়া হবে। এ ছাড়া বহুল সমালোচিত দেশের সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল বা এই আইনের যথাযথ সংশোধন করা হবে। মূলত মানবাধিকার ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ছাড় দিতে নারাজ।

গত ১৬ বছরে র‌্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে কত গুমের ঘটনা ঘটেছে তার তদন্তে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের কমিশন গঠন করেছে সরকার। গত ২৭ আগস্ট কমিশন অব ইনকয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬ এর ক্ষমতাবলে এই কমিশন গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস এবং মানবাধিকার কর্মী সাজ্জাদ হোসেন।


আরও খবর