আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

জামায়াতের মিছিল-মিটিং করার সুযোগ নেই : তানিয়া আমীর

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

রিটকারী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর বলেছেন, নিবন্ধন বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতের আপিল খারিজ হয়ে যাওয়ায় দলটির আর কোনো অস্তিত্ব থাকল না। তাই জামায়াত আজ থেকে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবে না। কোনো মিছিল মিটিং করতে পারবে না।

তিনি বলেন, যদি জামায়াত কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে তাহলে আমরা আদালত অবমাননার আবেদন নিয়ে আপিল বিভাগে যাব।

রোববার (১৯ নভেম্বর) আপিল বিভাগের আদেশের পর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে, আজ জামায়াতে ইসলামীর আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। ফলে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন তা বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। ২০১৩ সালে জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন অবৈধ বলে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

বার বার সময় দেওয়ার পরও জামায়াতের আইনজীবীরা আপিল শুনানিতে অংশ না নেওয়ায় আজ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ দলটির আপিল খারিজ করে আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর ও অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম।

আজ শুনানির শুরুতে জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলীর পক্ষে সময় প্রার্থনা করেন অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান। তখন আপিল বিভাগ বলেন, আপনাদের সময় আবেদন খারিজ করা হলো। একই সঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ডিসমিস ফর ডিফল্ট ঘোষণা করছি।

মূল মামলার আপিল খারিজ হয়ে যাওয়ায় দলটির মিছিল-সমাবেশসহ সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা আবেদন এবং জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন গ্রহণ করেননি সর্বোচ্চ আদালত।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনে নির্বাচন কমিশন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নিবন্ধিত দলগুলোই কেবল নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। ওই বছরের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন।

এর কয়েক মাস পর ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি। ২ দিন পর ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক (পরে প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. আবদুল হাইয়ের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেন। ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

রুলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০ (বি) (১) (বি) (২) ও ৯০ (সি) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। রুল জারির পর ওই বছরের ডিসেম্বরে একবার, ২০১০ সালের জুলাই ও নভেম্বরে দুইবার এবং ২০১২ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে দুইবার তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয় জামায়াত। এসব সংশোধনীতে দলের নাম জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ পরিবর্তন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী করা হয়।

পরে ২০১৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রিট আবেদনকারীরা রুল শুনানির জন্য বেঞ্চ গঠন করতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেন। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৫ মার্চ আবেদনটি বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেনের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়। ১০ মার্চ সাংবিধানিক ও আইনের প্রশ্ন জড়িত থাকায় বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দেন দ্বৈত বেঞ্চ। ওইদিন প্রধান বিচারপতি তিন বিচারপতির সমন্বয়ে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করে দেন।

২০১৩ সালের ১২ জুন ওই রুলের শুনানি শেষ হলে যেকোনো দিন রায় দেবেন বলে জানিয়ে অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ।

পরে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ বলে রায় দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জেম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ। এ রায়ের ভিত্তিতে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।

হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন একই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। পরে একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আবার আপিল করে। ওই আপিল শুনানিতে উদ্যোগ নেয় রিটকারী পক্ষ। সে অনুসারে আপিলটি চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি কার্যতালিকায় ওঠে। এরপর ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে আজ আপিলটি খারিজ করা হলো।


আরও খবর
জামিন পেলেন না মির্জা ফখরুল

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




যুক্তরাষ্ট্র বেশি কিছু চায়নি, সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের কাছে বেশি কিছু চায়নি, তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছে। সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি সবাই নির্বাচনে আসবে, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হবে। পৃথিবীকে দেখাতে চাই, আমরা একটা স্বচ্ছ-সুন্দর ও সংঘাতমুক্ত নির্বাচন করেছি। সংঘাত নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য হবে সংঘাতমুক্ত একটা নির্বাচনের আয়োজন করা। সবাই মিলে এটা আমরা পারবো। নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমাদের একটা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছিল।

তারা এখন কথাবার্তা কম বলছে, তাদের কি চুপ করিয়ে দিতে আপনারা বাধ্য করেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, না, না। কী বলেন! বাধ্য করবো কীভাবে? পাগল নাকি? নো-ওয়ে। আমাদের সে ক্ষমতা নেই। বন্ধুদেশ যারা, তারা আমাদের অনেক সময় উপদেশ দেয়, যেটা ভালো সেটা আমরা গ্রহণ করি।

তিনি বলেন, আমরা সব বিষয়ে পণ্ডিত না, একটি সুন্দর নির্বাচনের জন্য কেউ ভালো পরামর্শ দিলে আমরা তাদের স্বাগত জানাবো। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যারা দীর্ঘদিন ধরে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে আসছে। সম্প্রতি তারা সংঘাতমুক্ত নির্বাচনের কথা বলছেন। আমরা মারামারি চাই না। তবে সংঘাতমুক্ত চাইলেও সেটা আমরা একা পারবো না। এজন্য সব দলমতের আন্তরিকতা দরকার। ঐকান্তিক ইচ্ছা দরকার। ইচ্ছা থাকলে পারবো। আর উন্নত দেশগুলোকে আমরা অগ্রাহ্য করতে পারি না। তারা আমাদের বন্ধুদেশ। তাদের সঙ্গে কেবল নির্বাচনই না, বিভিন্ন ধরনের সম্পর্ক রয়েছে।

আব্দুল মোমেন বলেন, আমাদের বেশির ভাগ নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি লোক ভোট দেন। শুধু ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি নির্বাচনে অল্প কয়েকজন লোক ভোট দিয়েছিলেন। আমার খেয়াল নেই, তবে ২০ শতাংশ লোক ভোট দিয়েছিলেন মনে হচ্ছে। যেটা খালেদা জিয়ার ভোটাবিহীন নির্বাচন ছিল। ওই নির্বাচনে জাতিগতভাবে সবচেয়ে কম লোক ভোট দিয়েছেন।

অন্য দল না এলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমেরিকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সবসময় নির্বাচন হয়। আমি একটি পরিসংখ্যানে দেখলাম, আলাবামায় ৭২ শতাংশ আইনপ্রণেতা বিনাভোটে নির্বাচিত। ম্যাসাচুসেটস-এ সম্মানিত লোকজন, সিনেটর কেনেডি কিংবা জন কেরি, তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রার্থী হননি। সম্মানিত লোকদের বিরুদ্ধে আমেরিকায় কোনো দলের লোক দাঁড়াননি। এটা কোনো বড় কিছু না। প্রায় ক্ষেত্রেই দেখবেন, যারা নির্বাচিত হচ্ছেন, তারাই বছরের পর বছর নির্বচিত হচ্ছেন। এটা নিয়ে মাথাব্যথার কোনো কারণ নেই।

আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে আমাদের অনেক কিছু বলতে পারে, আবার আমরা বলতে পারি না। সব দেশের সার্বভৌমত্ব একরকম না। আমাদের গার্মেন্টস খাতকে বাঁচাতে হবে, অর্থনীতিকে বাঁচাতে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো ব্যাখ্যা আছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা সত্য যে যুক্তরাষ্ট্র পরাশক্তি। আমরা তাদের ইগনোর করতে পারি না, আমরা ইগনোর করিও না। আমাদের এমন কোনো উদ্দেশ্য নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ গুরুত্বসহকারে বিবেচনার কারণ জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, তবে আমাদের দেশের একটা বাস্তবতা আছে। আমরা সে অনুসারে কাজ করি। বাস্তবতার নিরীক্ষে তারা কোনো পরামর্শ দিলে আমরা অব্যাহত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। ভালো-মন্দ আমরা তাদের বলি। আমেরিকা সবসময় বাস্তববাদী। আমেরিকা ডকট্রিন অব রিয়েলিটিতে বিশ্বাস করে।

আমেরিকা ১৯৭১ সালে আমাদের সমর্থন দেয়নি। তারা আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ভঙ্গ করে পাকিস্তানের জান্তা সরকারকে সহায়তা করেছে। কিন্তু ১৬ ডিসেম্বর আমরা যখন স্বাধীনতা পেলাম, এরপর থেকে আমেরিকা আমাদের অব্যাহত সমর্থন দিয়ে গেছে। কোনোদিন আমাদের বিরুদ্ধে যায়নি। এর মানে, দেশ হয়ে গেছে, সুতরাং তারা আমাদের সঙ্গে আছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন করতে পারলে আমেরিকা অবশ্যই আমাদের সঙ্গে থাকবে। কারণ তাদের একমাত্র দাবি এটা। তারা আমাদের কাছে বেশি কিছু চায়নি। তারা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছে, আমরাও সেটি চেয়েছে। কার্যত, তারা আমাদের সহায়তা করছে। আমি তাদের বলবো, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে, তাদের তারা ভিসানীতিতে ঢুকাক বা যা করার করুক।


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




৮৩ জন নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগ দিলো ইসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন করে ৮৩ জনকে উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশরের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার পদের মধ্য হয়ে ৮৩ জনকে উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

নিয়োগপ্রাপ্তদের আগামী ১২ ডিসেম্বর যোগদান করতে বলা হয়েছে। ওই তারিখে যোগদান না করলে তার নিয়োগপত্র বাতিল করা হবে।

উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সাত জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ছিল ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে বলে জানায় ইসি।

নিউজ ট্যাগ: নির্বাচন কমিশন

আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের হামলায় মার্কিন সামরিক ড্রোন ভূপাতিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের হামলায় মার্কিন সামরিক ড্রোন ভূপাতিত হয়েছে। ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী বেশ শক্তিশালী এবং দেশটির উপকূলে ড্রোনটিকে গুলি করে ভূপাতিত করার এই ঘটনা ঘটে।

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে টানা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে এবং এর মধ্যেই ইয়েমেনে মার্কিন ড্রান ভূপাতিত হওয়ার ঘটনা ঘটল। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা একটি মার্কিন সামরিক ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা এবং ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি আন্দোলন জানিয়েছে।

একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, হুথি বাহিনী ইয়েমেনের উপকূলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি এমকিউ-৯ ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। হুথি সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্রও এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ড্রোন ভূপাতিত করার এই ঘটনা এমন সময় ঘটল যখন গাজা উপত্যকায় হামাসের সাথে যুদ্ধের নামে নির্বিচার আগ্রাসন চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের তার ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েল। মূলত আর এই কারণে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ওয়াশিংটন।

এর আগে গত মাসে, ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের দিকে হুথিদের নিক্ষেপ করা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং বেশ কয়েকটি ড্রোনকে আটকে দিয়েছিল মার্কিন নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ।

বিবিসি বলছে, ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধকে ঘিরে আঞ্চলিক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী, মেরিন এবং সহায়ক বহু জাহাজসহ সামরিক সরঞ্জাম মধ্যপ্রাচ্যে জড়ো করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে ইয়েমেন ও ইসরায়েলের মধ্যে অবস্থিত লোহিত সাগরে সামরিক জাহাজে সেনা মোতায়েনের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী এবং তেহরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র। ২০১৪ সাল থেকে হুথিরা ইয়েমেনের সৌদি সমর্থিত সরকারি বাহিনীর সাথে দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে।

এই অঞ্চলে ইরান-সমর্থিত আরেকটি গ্রুপ লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর ডেপুটি লিডার এই সপ্তাহে বিবিসিকে বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের বেসামরিক হত্যাযজ্ঞের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক যুদ্ধের ঝুঁকি রয়েছে।

শেখ নাইম কাসেম বলেছেন, অত্যন্ত গুরুতর এবং খুব বিপজ্জনকভাবে সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে এই অঞ্চলে এবং কেউ সেটির প্রতিক্রিয়া থামাতে পারবে না


আরও খবর



গাজার স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ২০০

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার আল-ফাখুরা স্কুলে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ২০০ জন নিহত এবং শত শত মানুষ আহত হয়েছেন।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া শরণার্থী শিবির জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) পরিচালিত স্কুলটিতে হামলা চালায় ইসরায়েল।

বোমা হামলার পর সেখানকার বিভীষিকাময় ছবি সামনে আসছে। ছবিতে দেখা গেছে, আল-ফাখুরা স্কুলের অনেক কক্ষ ও করিডোরে ফিলিস্তিনিদের মরদেহ পড়ে আছে। নিহতদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে। 

আরও পড়ুন>> গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ১২ হাজার

গাজা থেকে আলজাজিরার প্রতিনিধি ইমাদ জাকৌত বলেন, স্বাভাবিক সময়ে জাবালিয়া শরণার্থী শিবির অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ থাকে। এই শরণার্থী শিবিরের ভেতরের কিছু বাসিন্দা ইসরায়েলি বাহিনীর নির্দেশে গাজা উপত্যকার দক্ষিণে পালিয়েছেন। আর অন্যরা কোনো নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পাননি। যে কারণে তারা জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু এখন স্কুলগুলোও আর নিরাপদ নয়।


আরও খবর



সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্য উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাঙালি জাতির গৌরব, আত্মত্যাগ ও সাহসিকতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান সাত জন বীরশ্রেষ্ঠের স্বরণে নির্মিত ভাস্কর্য আমরা তোমাদের ভুলব না এর উদ্বোধন করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। রোববার (১২ নভেম্বর ) ঢাকা সেনানিবাসের মাটিকাটা মিলিটারি পুলিশ চেকপোস্ট এলাকায় নির্মিত এ ভাস্কর্য উদ্বোধন করেন তিনি।আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে আপামর জনতার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর বাঙালি সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। এ স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে রয়েছে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী ৩০ লাখ শহীদ এবং সাতজন অকুতোভয় বীরশ্রেষ্ঠর চিরস্মরণীয় অবদান। 

আরও পড়ুন>> আজও নেতাকর্মীশূন্য বিএনপি কার্যালয়, পাহারায় পুলিশ

আমরা তোমাদের ভুলব না ভাস্কর্যটিতে অর্ধবৃত্তাকার প্রাচীরে- সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে তুলে ধরা হয়েছে। ভাস্কর্যের সম্মুখে ফোয়ারা- নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।

ফোয়ারা থেকে প্রাচীর পর্যন্ত সংযুক্ত রেখাগুলো সূর্যরশ্মির প্রতীক যা দিয়ে নির্দেশ করা হয়েছে, বীরশ্রেষ্ঠরা জাতির সূর্য সন্তান এবং তারা সূর্যরশ্মির ন্যায় দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আলোর দিশারী ও অনবদ্য অনুপ্রেরণার উৎস।

অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা, অন্যান্য অফিসার, জুনিয়র কমিশনড অফিসার, অন্যান্য পদবির সেনাসদস্য ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩