আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

জামিন পেলেন সাংবাদিক অধরা ইয়াসমিন

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মনীষা আচার্য, চট্টগ্রাম

Image

সংবাদ প্রকাশের জেরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভির রিপোর্টার অধরা ইয়াসমিন। 

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইবুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবিরের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।

ট্রাইবুনাল শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন বলে জানিয়েছেন অধরার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক।

তিনি বলেন, অধরা ইয়াসমিনকে ১০ হাজার টাকা বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন। মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২২ অক্টোবরের দিন ধার্য করেন ট্রাইবুনাল।

অধরা ইয়াসমিন বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার ঘটনায় সেই সময় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সাংবাদিকরা ছাড়াও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংগঠন। তারা মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক এই মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানান।

সাইবার ট্রাইবুনাল সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর রাজারবাগ দরবার শরীফের পীর দিল্লুর রহমান ও তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মামলাবাজি, সারাদেশে অসংখ্য মানুষকে হয়রানি, জমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন করেন অধরা ইয়াসমিন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০২৩ সালের ১৩ মে অধরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন২০১৮ এর ২৪, ২৫ ও ২৯ ধারায় মামলাটি করেন রাজারবাগ পীর সিন্ডিকেটের শাকেরুল কবির। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইবুনালের দাখিল করা হলে অধরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

নিউজ ট্যাগ: অধরা ইয়াসমিন

আরও খবর



কাঠ ব্যবসায়ীদের জন্য অস্তিত্ব হারাচ্ছে রাউজানের নামকরা প্রসিদ্ধ কালাচাঁন চৌধুরী হাট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাহাদার হোসেন সাজ্জাদ, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

Image

উত্তর চট্টগ্রামের নামকরা প্রসিদ্ধ কালাচাঁন চৌধুরী হাটের অস্তিত্ব হারাচ্ছে কাঠ ব্যবসায়ীদের জন্য। হাটের জায়গায় অবৈধ দখল নিয়ে কাঠ ব্যবসায়ীরা স্তূপ করে রাখেন কাঠ। ফলে কাঁচাবাজার বসার কোনো জায়গায় না সাপ্তাহিক বাজার বসে না।

তৎকালীন ব্রিটিশ শাসন আমলে চিকদাইর ইউনিয়নের দক্ষিণ সর্তা গ্রামের জমিদার কালাচাঁন চৌধুরী সর্তা খালের পাশে বাজারটি  প্রতিষ্ঠা করেন।সপ্তাহে বুধ-রবিবার দুই দিন এই হাটে নানা ধরনের শাক সবজি পাওয়া যেতো। হাটহাজারী, ফটিকছড়ি ও রাউজানের মানুষের কাছে কাঁচা বাজারের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল কালাচাঁন চৌধুরী হাট।সপ্তাহিক এই হাটে দূর- দূরান্ত থেকে এলাকার কৃষকের উৎপাদিত শাক-সবজি বিক্রির জন্য নিয়ে আসতো ব্যবসায়ীরা। শাক সবজির পাশাপাশি এই হাটে মাছ, মাংসসহ অনন্য নিত্যপণ্য ইত্যাদি পাওয়া যেতো। দূর-দূরান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ী, ক্রেতা- বিক্রেতার পদচারণায় মুখর থাকতো এই কালাচাঁন চৌধুরী হাট। অদূরে শুনা যেতো বাজারে আসা মানুষের শব্দ।কিন্তু এখন আর আগের মতো নেই সেই প্রাণচাঞ্চল্য হাটটি। বাজারের জায়গা বেদখল হয়ে গেছে কাঠ ব্যবসায়ীদের হাতে। কাঠ ব্যবসায়ীরা জলপথে ও গাড়ি যোগে প্রতিদিন বিপুল পরিমান কাঠ গহিরা কালাচাঁন চৌধুরী হাটে এনে বাজারের বিশাল জায়গা দখল নিয়ে স্তুূপ করে রাখেন কাঠের পাহাড়। ফলে কাঁচা বাজার বসার কোন জায়গায় থাকে না।

তবে ২০১৩ সালে রাউজানের সংসদ সদস্য এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী সরকারি অর্থায়নে কালাচাঁন চৌধুরী হাটে তিনটি বাজার শেঠ নির্মাণ করে দিলেও এক যুগধরে মিলে না কালাচাঁন চৌধুরী হাট। সরকারি অর্থায়নে নির্মাণ করা দুইটি বাজার শেঠ দখল করে ফার্নিচারের দোকান ও কারখানা গড়ে তুলেছে কাঠ ব্যবসায়ীরা। আরেকটি বাজার শেঠে স্থানীয় দুই-তিন জন সবজি বিক্রেতা তাদের জমিনের উৎপাদিত শাক-সবজি বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বুধবার বাজারে শাক-সবজি বিক্রি করতে আসা বৃদ্ধ আনোয়ার পাশা বলেন, এক সময় কালাচাঁন চৌধুরী হাটে যে জৌলুস ছিল, এখন তা আগের মত নেই।অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়ে ক্রমেই অস্তিত্ব হারাচ্ছে দেড়শত বছরের ঐতিহ্যবাহী কালাচাঁন চৌধুরী  হাট।

স্থানীয় লোকজন ও হাটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কালাচাঁন চৌধুরী হাট লাখ টাকার মূল্য ইজারা ডাক হতো।সরকার পেতো রাজস্ব আয়। এখন হাটের ইজারা ডাক হলেও কেউ দিতে চাই না ইজারা। ফলে রাজস্ব আয় পাচ্ছে না।

গহিরা কাঠ ব্যবসায়ী জাহেদ মেম্বার বলেন, গহিরা চৌমুহনীতে প্রতিদিন সকাল বিকাল কাঁচা বাজার বসে। যার কারণে এই হাটে ব্যবসায়ীরা আসে না। কাঠ ব্যবসায়ীদের দখলে থাকার প্রসঙ্গে জানতে চাই তিনি বলেন, কাঠ ব্যবসায়ীদের জায়গায় তাঁরা কাঠ স্তূপ করে রেখেছে। বাজারের জায়গা দখল করেনি। স্থানীয়রা কালাচাঁন চৌধুরী হাটের ঐতিহ্য ফিরে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এবিষয়ে রাউজান  উপজেলা সরকারি কমিশনার (ভূমি) রিদুয়ানুল ইসলাম বলেন, কালাচাঁন চৌধুরী হাটের জায়গা দখল করার কোনো সুযোগ নেই। যদি কালাচাঁন চৌধুরী হাটের জায়গায় গহিরা কাঠ ব্যবসায়ীদের দখলে থাকলে খতিয়ান দেখে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



দোষী সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইএসপিআর

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেনা সদস্যদের মাধ্যমে কিছু লোকের সঙ্গে অশোভন আচরণের কয়েকটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে প্রাপ্ত দোষী সেসব সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেনা সদস্যদের মাধ্যমে কতিপয় ব্যক্তির সঙ্গে অশোভন আচরণের কয়েকটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্খিত ও অনভিপ্রেত, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনোই সমর্থন করে না।

এরই মধ্যে দোষী সেনাসদস্যদের শনাক্ত করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে প্রাপ্ত দোষী সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।


আরও খবর



নতুন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোতাহের হোসেন

প্রকাশিত:রবিবার ১১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন কারা মহাপরিদর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন। সাবেক কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএসএম আনিসুল হককে সেনাবাহিনীতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মীর মুস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ রদ-বদলের তথ্য জানানো হয়েছে।

গত ৮ আগস্ট জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সেনাবাহিনী প্রধান নিন্মলিখিত অফিসারগণকে পার্শ্বে বর্ণিত নিযুক্তিতে বদলির আদেশ দিয়েছেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন সেনাবাহিনীতে প্রত্যাবর্তন করে কারা মহাপরিদর্শক হিসেবে পুনরায় প্রেষণে যোগদান করবেন। আর বর্তমান কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হককে সেনাসদরের এমএন্ডকিউ পরিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিকেএসপির ২১তম মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন।


আরও খবর



চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

জালিয়াতির মাধ্যমে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নগরীর আন্দরকিল্লার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মোহাম্মদ ফোরকানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মোহাম্মদ ফোরকান চট্টগ্রামের বাঁশখালীর পুঁইছড়ি গ্রামের মৃত মাস্টার মাহমুদুর রহমানের ছেলে।

এতে অন্য তিন আসামি হলেন- ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢাকার মিরপুরের মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের মালিক গোপালগঞ্জের বাসিন্দা মুন্সী ফররুখ হোসাইন মিন্টু, তার ভাই মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক স্টাফ রংপুরের বাসিন্দা মুকিত মন্ডল। গত রোববার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারি পরিচালক এনামুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।

তিনি বলেন, জালিয়াতির মাধ্যমে মাধ্যমে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ২৫ টাকা বিল ছাড় করানোর চেষ্টার অভিযোগে মামলাটি দায়ের হয়। আসামিরা দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের একটি ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। মামলা তদন্তে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মামলায় দন্ডবিধির ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯/৫১১ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

মামলার এজহারে বলা হয়, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জন্য এমআরআই ইক্যুইপমেন্ট (আইসিউ ভেন্টিলেটর, আইসিউ বেড ও কার্ডিয়াক পেশেন্ট মনিটর উইথ আইভিপি এবং ক্যাপনোগ্রাফি) ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে ৬টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজ নির্বাচিত হয় এবং প্রতিষ্ঠানটিকে ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল যন্ত্রপাতি সরবরাহের জন্য কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। এতে ৮টি আইসিইউ ভেন্টিলেটর, ৮টি আইসিইউ বেড এবং ১টি কার্ডিয়াক পেশেন্ট মনিটর বাবদ মোট ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার মালামাল সরবরাহ করে এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে যন্ত্রপাতির ত্রুটি থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেগুলো গ্রহণ করেনি।

এজাহারে বলা হয়, মালামাল সামগ্রীর ত্রুটি ও টেন্ডার প্রক্রিয়ার অনিয়ম নিয়ে ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর দুদক একটি মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। যা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি যন্ত্রপাতিসমূহ হাসপাতালে রেখে চলে যায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিলের অর্থ বরাদ্দ প্রদান করলেও ব্যয় মঞ্জুরী প্রদান করা হয়নি। ব্যয় মঞ্জুরীপত্র প্রদান না করায় জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাধায়ক ডা. শেখ ফজলে রাব্বি ব্যয় মঞ্জুরীপত্র চেয়ে ২০২২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি দেন। এরপর মন্ত্রণালয় থেকে কোনো ব্যয় মঞ্জুরীপত্র প্রদান করা হয়নি।

একই বছরের ২৬ জুন মুন্সি ফররুখের ভাই মুন্সী সাজ্জাদ হোসেন তার হোয়াটসঅ্যাপ মোবাইল নম্বর থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সুশীল কুমার পাল স্বাক্ষরিত চিফ একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার, সেগুনবাগিচা বরাবর প্রেরিত একটি ভুয়া ব্যয় মঞ্জুরীপত্র চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ ফোরকানের মোবাইল নম্বরে পাঠান।

এতে ভুয়া জালিয়াতির মাধ্যমে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ ফজলে রাব্বির মোবাইলে ফরোয়ার্ড করে দেন। ২০২২ সালের ২৮ জুন আহমেদ এন্টারপ্রাইজের অফিস সহকারী মুকিত মন্ডল জেনারেল হাসপাতালে আসেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মুন্সী ফররুখ, তার ভাই সাজ্জাদ, অফিস সহকারী মুকিত মন্ডল চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফোরকান পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া জালিয়াতির মাধ্যমে ডা. শেখ ফজলে রাব্বির একক স্বাক্ষরে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ২৫ হাজার টাকার একটি বিল প্রস্তুত করেন।

বিলটি পাশ করার জন্য একই দিনে চট্টগ্রামের বিভাগী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার অফিস বরাবর পাঠানো হয়। বিলটি অনুস্বাক্ষর (হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার স্বাক্ষর বিহীন) বিহীন ছিল। তবে বিলের অফিস কপি ও বিল রেজিস্ট্রারে তার স্বাক্ষর রয়েছে। 

চট্টগ্রাম বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ অফিস সেই বিলটি যাচাই-বাছাইকালে অর্থ বরাদ্দ পত্রের পৃষ্ঠাঙ্কন না থাকা, পত্রটি চট্টগ্রামের হিসাবরক্ষণ অফিস বরাবর না হয়ে হিসাবরক্ষণ অফিস, সেগুনবাগিচা বরাবর হওয়াসহ সার্বিক পর্যালোচনায় জিও ভুয়া হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি এবং বিলটি বাতিলপূর্বক ফেরত পাঠানো হয়। এতে উক্ত চেক উত্তোলন করতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিয়োগ বাতিল

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।

রোববার (১৮ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার উপসচিব কানিজ ফাতেমা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের (কোড নম্বর ৩৮০১৩) সঙ্গে সরকারের সম্পাদিত চুক্তিপত্রের অনুচ্ছেদ-৭ অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করা হলো।

জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।

গত বছরের জানুয়ারিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) পদে আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে দ্বিতীয়বারের মতো একই পদে দুই বছরের জন্য চুক্তিতে নিয়োগ দেয় সরকার।

২০২০ সালের ২৩ জুলাই তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এর আগে, খুরশীদ আলম ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলমসহ অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ সব কর্মকর্তার অপসারণসহ দুই দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিভিন্ন হাসপাতাল-স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা। দ্রুততম সময়ে এসব দাবি মেনে না নিলে বৃহত্তর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুমকিও দেন তারা।


আরও খবর
ডেঙ্গুতে ৮ মাসে মারা গেছেন ৯২ জন

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪