আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

জানাজার নামাজ নিয়ে নারীদের বিধান

প্রকাশিত:শনিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নারীদের জন্য জানাজার নামাজে বের হওয়া জায়েজ নেই, এমনকি লাশের সঙ্গে যাওয়াও। নবী করিম (সা.), সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়িনদের থেকে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

অনেক সময় দেখা যায়, নারীরা জানাজার নামাজে অংশ না নিলেও লাশের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে গোরস্থান পর্যন্ত যান। বিষয়টি নিয়ে এক ধরনের আবেগ কাজ করে।

নানাজন নানা ব্যাখ্যা করে ইনিয়ে-বিনিয়ে এভাবে লাশের সঙ্গে নারীদের যাওয়ার পক্ষে মতও দেন। তবে ইসলাম এভাবে নারীদের জানাজার (শবযাত্রায় কিংবা লাশের) সঙ্গে চলার বা যাওয়ার অনুমতি দেয় না।

তাবেয়ি যার ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) জানাজার সঙ্গে ছিলেন। হঠাৎ দেখলেন একজন বৃদ্ধা নারীও জানাজার সঙ্গে সঙ্গে আসছে। এটা দেখে রাসূলুল্লাহ (সা.) ক্রোধান্বিত হলেন এবং তার মুখমণ্ডলে ক্রোধের ছাপ ফুটে উঠল। তখন তার নির্দেশে ওই বৃদ্ধাকে ফিরিয়ে দেয়া হলো। এরপর খাটিয়া রাখা হলো- কিন্তু তিনি জানাজা শুরু করলেন না। যখন লোকেরা বলল, ওই সত্তার শপথ! যিনি আপনাকে হকসহ প্রেরণ করেছেন, ওই নারী শহরের বাড়িঘরের আড়াল হয়ে গেছে, তখন তিনি জানাজার তাকবির বললেন। -মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক: ৬২৯০

হজরত উম্মে আতিয়্যা (রা.)-এর বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেন- হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে জানাজায় বের হতে নিষেধ করেছেন। -আল মুজামুল কাবির তবারানি: ২৫/৪৫

আমর ইবনে কায়স (রা.) বলেন, আমরা এক জানাজায় উপস্থিত ছিলাম। আবু উমামাও সেখানে ছিলেন। তিনি দেখলেন জানাজায় কিছু নারীও এসেছে। তখন তিনি তাদের সরিয়ে দিলেন। -মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ১১৪০৮

মুহাম্মদ ইবনুল মুনতাশির (রা.) বলেন, মাসরূক (রা.) ওই জানাজা পড়তেন না, যে জানাজায় কোনো নারী উপস্থিত আছে। -মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ১১৪০৩

বিখ্যাত ইসলামি স্কলার শাবি (রা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো- নারীরা কি জানাজার নামাজ পড়বে? উত্তরে তিনি বললেন, না, নারীরা জানাজার নামাজ পড়বে না, চাই সে পবিত্র হোক কিংবা ঋতুমতি। -মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক: ৬২৯৭

নবী করিম (সা.)-এর উপরোল্লেখিত হাদিস এবং সাহাবা-তাবেয়িনের আমল ও কাজকর্মসমূহ থেকে একথা স্পষ্ট হয় যে, নারীদের জন্য জানাজার উদ্দেশ্যে বের হওয়া জায়েজ নয়।  

নারীরা ঘরে থেকেই মৃতের জন্য ঈসালে সওয়াব ও মাগফিরাতের দোয়া করবেন। এটাই ইসলামের নির্দেশ।

নিউজ ট্যাগ: জানাজার নামাজ

আরও খবর
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে নৌযান শ্রমিকরা

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিভিন্ন দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। আগামী মঙ্গলবার (সোমবার দিবাগত রাত ১২টা) থেকে নৌযান শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করবেন। সংগঠনটির ১১টি দাবির মধ্যে রয়েছে, নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা, নৌপথে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি বন্ধ, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস প্রভৃতি।

রোববার (৩ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।

লিখিত বক্তব্যে চৌধুরী আশিকুল আলম বলেন, নদীমাতৃক দেশের অর্থনীতিতে নৌপরিবহন শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রায় শতভাগ ব্যক্তিমালিকানায় পরিচালিত এই শিল্প স্বল্পব্যয়ে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। দেশের আমদানি ও রফতানি পণ্য পরিবহন অনেকাংশেই নৌপরিবহনের ওপর নির্ভরশীল। অথচ নৌযান শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন ও নিরাপত্তার বিষয় সব সময় উপেক্ষিত থেকেছে।

তিনি বলেন, আমরা এসব সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে বছরের পর বছর দাবি জানিয়ে ও সংগ্রাম করে আসছি। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে দাবি মেনে নিয়ে কিছু কিছু কার্যকর করলেও অধিকাংশ সিদ্ধান্তই উপেক্ষিত বছরের পর বছর। এ কারণে ১১ দাবি নিয়ে আমাদের এই কর্মবিরতির ঘোষণা।

নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের দাবি

>> নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নাবিক কল্যাণ তহবিল ও ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে কন্টিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন।

>> সব মালিক সমিতিসমূহকে এক প্লাটফর্মে এনে এককেন্দ্রিক সিরিয়ালে আনা।

>> মালিক সমিতিন সঙ্গে গেজেট বহির্ভূত দ্বিপাক্ষিক চুক্তিভুক্ত অমীমাংসিত দাবি পুনর্র্নিধারণ করে চুক্তি সম্পাদন।

>> চট্টগ্রাম বন্দরে নিরাপদে জাহাজ রাখার জন্য শঙ্খ নদীকে পোতাশ্রয়ের উপযোগী করা, নদীর নাব্য রক্ষা, নৌপথ, নদী ও সব সমুদ্র বন্দরে পর্যাপ্ত সংখ্যক মার্কা-বয়া-বাতি স্থাপন, চ্যানেলে জাল পাতা বন্ধ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পাইলট সরবরাহ নিশ্চিত করা।

>> চট্টগ্রাম চরপাড়া-জালিয়াপাড়া পর্যন্ত নাবিকদের নিরাপদে ওঠানামার জন্য কমপক্ষে ৫টি ইজারামুক্ত ঘাট ও মেরিন ড্রাইভ সড়কের চরপাড়া ও জালিয়াপাড়া এলাকায় ২টি ফুটওভার ব্রিজ স্থাপন।

>> ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস নিশ্চিত করা।

>> পরীক্ষায় অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ, মালিক কর্তৃক নিশ্চিত হয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া।

>> বালুবাহী নৌযানে কর্মরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশি হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।

>> আদালতের সিদ্ধান্ত ছাড়া মাস্টার-ড্রাইভার সনদ বাতিলের কর্মকাণ্ড বন্ধ করা।

>> সামুদ্রিক মৎস্য শিকারি জাহাজ শ্রমিকদের গেজেটের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন এবং অন্য সব দাবি অবিলম্বে মেনে নিতে হবে।

>> নৌপথে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি-কালোবাজারি-জাহাজ ছিনতাই বন্ধ করা।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম, সহ-সভাপতি সৈয়দ শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলমসহ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ফেব্রুয়ারিতে ৫৮৩ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৪৪

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে ৫৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৪৪ জন নিহত ও ৮৬৭ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৭৯ জন নারী ও ৮২ শিশু রয়েছেন।

বুধবার (১৩ মার্চ) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জাতীয় দৈনিক, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানায়, ফেব্রুয়ারি মাসের দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৮৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৬ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৩৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩২ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ।

ফেব্রুয়ারি মাসের দুর্ঘটনায় ১০৯ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২০ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭৪ জন, যা মোট নিহতের ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ।

এই সময়ে চারটি নৌ-দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন। ৩৪টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত এবং ৬৬ জন আহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জাতীয় দৈনিক, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্টনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করে বুধবার (১৩ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে।


আরও খবর



ক্যালেন্ডারের উপহার : ৩৬৬ দিনের ২৯ ফেব্রুয়ারি আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

চার বছর পর আবার ২০২৪ সালটি ৩৬৬ দিনের। প্রতি চার বছর পর ক্যালেন্ডার একটি বাড়তি দিন উপহার দেয়। সব সময় যেখানে ২৮ দিনে ফেব্রুয়ারি মাস হয়, সেখানে ৩৬৫ দিনে হয় বছর। কিন্তু চার বছর পর পর ফেব্রুয়ারি মাসটি হয়ে যায় ২৯ দিনে। এই ঘটনাকে অধিবর্ষ বা লিপ ইয়ার বলা হয়। ২০২৪ এমন একটি লিপ ইয়ার অর্থাৎ অতিরিক্ত এক দিনের বছর।

সহজভাবে বলতে গেলে, প্রতি চার বছরে একটি অধিবর্ষ বা লিপ ইয়ার পাওয়া যায়। ২০২০ একটি অধিবর্ষ ছিল এবং ২০২৪-এর পরে, ২০২৮ একটি অধিবর্ষ হিসাবে বিবেচিত হবে। এ বছর ফেব্রুয়ারির ক্যালেন্ডারে একটি অতিরিক্ত দিন যোগ হয়েছে। অর্থাৎ বছরটি ৩৬৫ দিনের পরিবর্তে ৩৬৬ দিনের।

বাংলা, হিজরি ক্যালেন্ডার আমাদের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলেও সারা বছর সব দাপ্তরিক ও সাধারণ জীবনযাপনে ইংরেজি বর্ষের ক্যালেন্ডারই বহুল ব্যবহৃত। আসলে এই ইংরেজি ক্যালেন্ডার গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার নামে পরিচিত, যেখানে ৩৬৫ দিনে এক বছর হিসাব করা হয়।

বৈজ্ঞানিক হিসাব মতে, সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর কক্ষপথে প্রায় ৩৬৫ দশমিক ২৫ দিন সময় লাগে। আরও সহজভাবে বলতে গেলে, একটি সৌর ক্যালেন্ডারের এক বছরে পৃথিবী সূর্যের চারপাশের বৃত্তাকার কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরতে সময় নেয় ৩৬৫ দিন, ৫ ঘণ্টা, ৪৮ মিনিট এবং ৪৬ সেকেন্ড।

একটি সাধারণ বছর এভাবেই ৩৬৫ দিনে শেষ হয়। অতিরিক্ত প্রায় ছয় ঘণ্টা চার বছরে ২৪ ঘণ্টা হয়। এই ২৪ ঘণ্টা হলো পৃথিবীর একবার নিজের অক্ষের চারিদিকে ঘোরার সময়। সেই হিসাবে অতিরিক্ত সময় বা ২৪ ঘণ্টা চতুর্থ বছরে ফেব্রুয়ারি মাসে অতিরিক্ত দিন হিসেবে যুক্ত হয়। এটি করা না হলে ফসলের চক্র এবং ঋতু পরিবর্তনের সময় ধীরে ধীরে বদলে যাবে।

জানা যায়, রোমান ক্যালেন্ডারে ৩৫৫ দিন ছিল (যা সৌর বছরের চেয়ে ছোট ছিল)। সময় ও ঋতুগুলোর সঙ্গে এই ক্যালেন্ডারের অসামঞ্জস্য ছিল। তাই, রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার জুলিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেছিলেন, যা একটি সৌর ক্যালেন্ডার এবং মিশরীয় ক্যালেন্ডার দ্বারা অনুপ্রাণিত। এতে একটি লিপ ইয়ার রাখা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে, ১৫৮২ সালে, যখন জুলিয়ান ক্যালেন্ডারকে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে পরিমার্জিত করা হয়, তখন ফেব্রুয়ারিতে একটি লিপ ডে যোগ করার ঐতিহ্য বজায় ছিল।

লোকমুখে প্রচলন আছে, জুলিয়াস সিজার রোমের ক্ষমতায় আসার আগে পর্যন্ত ৩৫৫ দিনে বছর, এমন ক্যালেন্ডারই সবাই মেনে চলত যেখানে প্রতি দুই বছর পরপর একটা অতিরিক্ত ২২ দিনের মাস যু্ক্ত হতো। কিন্তু এটা আসলে সমস্যার একটা জটিল সমাধান ছিল এবং উৎসবের দিনগুলো ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে যেতে শুরু করে। তাই সিজার তার জ্যোতির্বিজ্ঞানী সোসিজেনেসকে বিষয়টি সহজ করার নির্দেশ দেন।

সোসিজেনেস তখন ৩৬৫ দিনে বছর করে যে অতিরিক্ত ছয় ঘণ্টার মতো থেকে যায়, সেটি মিলিয়ে নিতে চার বছর পরপর একটা অতিরিক্ত দিন ক্যালেন্ডারে যুক্ত করেন। আর এভাবেই ২৯শে ফেব্রুয়ারির জন্ম। যা পরবর্তীতে পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরি সূক্ষ্ম পরিমার্জন করেন।

নিউজ ট্যাগ: লিপ ইয়ার

আরও খবর
ব্যাটারি চেক করার দিবস আজ

রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪




সুগার মিলের আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, নিয়ন্ত্রণে ১৮ ইউনিট

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে একটি সুগার মিলে (চিনির কারখানা) লাগা আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট। আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।

সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে ওই মিলে আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত আগুন জ্বলছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী ও কোস্ট গার্ড।

ওই মিলের কর্মকর্তারা বলছেন, চিনির মিলের ছয়টি গোডাউনের মধ্যে একটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। সেখানে আমদানি করা অপরিশোধিত চিনি রাখা ছিল। আগুনের তীব্রতা বাড়ার কারণে অন্য গোডাউনে আগুন ছড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

এদিকে, ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, বিকেল ৪টার দিকে কর্ণফুলী থানাধীন ইছানগর এলাকার চিনি মিলটির গোডাউনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে কর্ণফুলী ও আনোয়ারা ফায়ার স্টেশন আগুন নেভাতে কাজ করছে।

এ ছাড়া ইতোমধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী ও কোস্ট গার্ড।


আরও খবর



৭১ বছর পর এভারেস্টের চেয়ে বড় ধূমকেতুর দেখা মিলতে যাচ্ছে

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পৃথিবীর খুব কাছে আসছে মাউন্ট এভারেস্টের চেয়ে বড় একটি ধূমকেতু। দীর্ঘ ৭১ বছর পর বিরল এই ধূমকেতুর দেখা মিলতে যাচ্ছে। ধূমকেতুটির নাম ১২পি/পনসব্রুকস। এটি খালি চোখেও দেখা যেতে পারে।

১২পি/পনস-ব্রুকস ধূমকেতুটি নির্দিষ্ট সময় পরপর পৃথিবীর কাছাকাছি আসে। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করা ধূমকেতুটি প্রতি ৭০ বছর পরপর সৌরজগতের ভেতরে চলে আসে। জ্যোতির্বিজ্ঞানী জ্যঁ-লুইস পনস ১৮১২ সালে প্রথম ধূমকেতুটি আবিষ্কার করেন। এরপর ১৮৮৩ সালে এটি আবার দেখতে পান জ্যোতির্বিজ্ঞানী উইলিয়াম রবার্ট ব্রুকস। তাদের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়।

সর্বশেষ ১৯৫৪ সালে ধূমকেতুটি সূর্যের কাছাকাছি এসেছিল। এরপর ২০৯৫ সালে এটি আবার সূর্যের কাছাকাছি আসতে পারে। একে অনেক সময় শয়তান (ডেভিল) ধূমকেতু হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।

আগামী ২১ এপ্রিল ধূমকেতুটি সূর্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছাবে। ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জ্যোতির্বিদেরা দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে এটি দেখতে পাচ্ছেন এবং ছবি তুলছেন। আগামী ২ জুন এটি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসবে। এ সময় পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব হবে ১৪ কোটি ৪০ লাখ মাইল।

আগামী ৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে সূর্যগ্রহণ থাকায় ওই সময় এটি সেখান থেকে দেখা যেতে পারে। অন্য ধূমকেতুর মতোই ১২পি/পনস-ব্রুকস মূলত ধূলি, বরফ ও ধাতব পদার্থের তৈরি। সূর্যের কাছাকাছি গেলে তাপে সেখান থেকে গ্যাস বের হয় এবং ধূলিকণা মিশে ধূমকেতুর বায়ুমণ্ডল সৃষ্টি করে। এ ছাড়া সৌরবায়ুর কারণে ধূমকেতুর একটি লেজ সৃষ্টি হয়।


আরও খবর
গুগল ডুডলে মহান স্বাধীনতা দিবস

মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪