আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

জান্নাতে নবিজির সান্নিধ্য পাবেন যারা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

জান্নাতে প্রিয় নবি (সা.)-এর সান্নিধ্য লাভ করা একজন মুমিনের জন্য পরম সৌভাগ্যের বিষয়। নবিজির সাহাবিরা জান্নাতে তাঁর সান্নিধ্য লাভের গভীর আগ্রহ লালন করতেন। মাঝে মধ্যে নবি (সা.) নিজেই জান্নাতে তাঁর সঙ্গ ও সাহচর্য লাভের উপায় বলে দিতেন। জান্নাতে নবিজির সান্নিধ্য পাবেন যারা তাদের পরিচয় তুলে ধরা হলো-

নবিজির ভালোবাসা

আনাস ইবনু মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত। এক যাযাবর রাসূল (সা.)কে প্রশ্ন করল-কিয়ামত কবে হবে? রাসূল (সা.) তাকে বললেন, তুমি কিয়ামতের জন্য কি পাথেয় প্রস্তুত করেছ? সে বলল, আমি বেশি কিছু প্রস্তুত করতে পারিনি। তবে আল্লাহ ও তার রাসূলকে ভালোবাসি। তিনি বললেন, তুমি তারই সাথি হবে যাকে তুমি ভালোবাস। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৬৩৯)।

সিজদা ও নামাজ

রাবিআহ ইবনু কাব আল আসলামী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল (সা.)-এর সঙ্গে রাত যাপন করছিলাম। আমি তার ওজুর পানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস এনে দিতাম। তিনি আমাকে বললেন, কিছু চাও! আমি বললাম, জান্নাতে আপনার সাহচর্য প্রার্থনা করছি। তিনি বললেন, এছাড়া আরও কিছু আছে কী? আমি বললাম, এটাই আমার আবেদন। তিনি বললেন, তাহলে তুমি অধিক পরিমাণে সিজদা করে তোমার নিজের স্বার্থেই আমাকে সাহায্য কর। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪৮৯)।

নবিজির আনুগত্য

ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবি (সা.)-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনাকে খুব ভালোবাসি। আপনাকে স্মরণ করি। আপনাকে না দেখলে প্রাণ বের হওয়ার উপক্রম হয়। আমি জান্নাতে প্রবেশ করলেও মর্যাদায় আপনার নিচে থাকব। তখন আপনাকে না দেখে থাকা আমার জন্য ভীষণ কষ্টকর হবে। আমি জান্নাতে আপনার সঙ্গে থাকতে চাই। রাসূল (সা.) তার কথার কোনো উত্তর দেননি। অতঃপর এ আয়াত অবতীর্ণ হলো। আর যারা আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য করে তারা তাদের সঙ্গে থাকবে, আল্লাহ যাদের ওপর অনুগ্রহ করেছেন নবি, সিদ্দিক, শহিদ ও সৎকর্মশীলদের মধ্য থেকে। আর সঙ্গী হিসাবে তারা হবে উত্তম। (সূরা নিসা, আয়াত : ৬৯) (আল মুজামুল কবির, তাবরানি, হাদিস : ১২৫৫৯)।

উত্তম আচরণ

জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা.) তোমাদের যে ব্যক্তির চরিত্র ও আচরণ সর্বোত্তম তোমাদের মধ্যে সে-ই আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয় এবং কিয়ামত দিবসেও আমার খুবই কাছে থাকবে। (তিরমিজি, হাদিস : ২০১৮)।

এতিম লালন-পালন

সাহল (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা.) বলেছেন, আমি ও এতিমের প্রতিপালনকারী জান্নাতে এমনিভাবে কাছে থাকবে। এ বলে তিনি শাহাদত ও মধ্যমা আঙুল দুটি দ্বারা ইঙ্গিত করলেন এবং এ দুটির মাঝে কিঞ্চিত ফাঁক রাখলেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৩০৪)।

কন্যাশিশুর লালন-পালন

আনাস ইবনু মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল বলেছেন, যে ব্যক্তি দুটি মেয়ে সন্তানকে সাবালক হওয়া পর্যন্ত প্রতিপালন করে, কিয়ামতের দিনে সে ও আমি এমন পাশাপাশি অবস্থায় থাকব, এ বলে তিনি তার হাতের আঙুলগুলো মিলিয়ে দিলেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস ২৬৩১)।

অধিক দরুদ পাঠ

আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আমার ওপর অধিক সালাত (দরুদ) পাঠ করে, কিয়ামতের দিন সে-ই আমার অধিকতর কাছে থাকবে (তিরমিজি, হাদিস : ৪৮৪)।

তাকওয়া অবলম্বন

মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) যখন তাকে ইয়েমেনে পাঠান তখন তিনি তাকে বিদায় দিতে বের হন। মুয়াজ (রা.) সওয়ারিতে চলছেন, রাসূল (সা.) হাঁটছেন আর অসিয়ত করছেন। অসিয়ত করা শেষ হলে রাসূল (সা.) বললেন, হে মুয়াজ! সম্ভবত এ বছরের পর আমার সঙ্গে তোমার আর দেখা হবে না। হয়তো তুমি আমার মসজিদের পাশ দিয়ে হাঁটবে, আমার কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে! (কিন্তু আমার দেখা পাবে না)। এ কথা শুনে রাসূল (সা.)-এর আসন্ন বিচ্ছেদ-বিরহে মুয়াজ (রা.) অঝোরে কাঁদতে শুরু করলেন। এরপর রাসূল (সা.) মদিনার দিকে ফিরে তাকালেন এবং বললেন, আমার পরিবারের এ লোকেরা মনে করে, তারা আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ। অথচ বিষয়টি এমন না; আমার সর্বাধিক নৈকট্যপ্রাপ্ত হলো ওই ব্যক্তি, যে আল্লাহভীতির জীবন অবলম্বন করে। সে যে কেউই হোক এবং যেখানেই অবস্থান করুক। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২২০৫২)।

দোয়া করা

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, এক রাতে আমি কয়েক রাকাত নফল নামাজ পড়লাম। নামাজের শেষে আল্লাহতায়ালার হামদ-ছানা আদায় করলাম। নবি কারিম (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠ করলাম। এরপর দোয়া করতে শুরু করলাম। তখন রাসূল (সা.) আমার অগোচরে বলতে থাকেন-তুমি (আল্লাহর কাছে) চাও, তোমাকে দেওয়া হবে। তুমি দোয়া কর, তোমার দোয়া কবুল করা হবে।

ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমি দোয়া করলাম। এরপর মসজিদ থেকে বাড়িতে চলে এলাম। ভোর হলে আবু বকর সিদ্দিক (রা.) আমার বাড়িতে আসেন এবং জিজ্ঞেস করেন, আপনি আজ রাতে কী দোয়া করেছেন? আমি বললাম, আমি এই দোয়া করেছি-হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এমন ইমান চাই, যার পর কুফরের দিকে প্রত্যাবর্তন হবে না। এমন নিয়ামত চাই, যা কখনো ফুরাবে না। আর আমার (পরম) চাওয়া, চিরস্থায়ী জান্নাতে প্রিয়নবির (সা.)-এর সঙ্গ লাভ। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৪৩৪০)।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




গরম বাড়ছে, সুস্থ থাকতে যা করবেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বাড়ছে তাপমাত্রা। এই গরমে নিজেকে সুস্থ রাখাই অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। গরমে একটু অসতর্ক হলেই নানা ধরনের অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে। তাই এসময় নিজের প্রতি থাকতে হবে বাড়তি যত্নশীল। গরমের তীব্রতাকে পাশ কাটিয়ে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য আপনাকে করতে হবে কিছু কাজ। প্রতিদিনের সেসব ছোট ছোট কাজের দিকে খেয়াল রাখলেই সুস্থ থাকা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক গরমে সুস্থ থাকতে কী করবেন-

পর্যাপ্ত পানি পান করুন : তাপপ্রবাহ আমাদের শরীরে একটি শুষ্ক প্রভাব ফেলে, যা শরীরের তাপমাত্রায় ডিহাইড্রেশন এবং ব্যাঘাত ঘটায়। তাই পানির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে আপনার প্রতিদিনের তালিকায় আরও পানি যোগ করুন। মনে রাখবেন, মাত্র ৪% পানির ক্ষয় ডিহাইড্রেশন হতে পারে এবং ১৫% হলে, এটি মারাত্মক হতে পারে।

মৌসুমী খাবার খান : সাধারণত বিশেষজ্ঞরা স্বাস্থ্যকর শরীর বজায় রাখতে ডায়েটে পর্যাপ্ত প্রোটিন এবং ফাইবার যোগ করার পরামর্শ দেন। তবে বছরের এই সময়ে এই জাতীয় খাবার পরিহার করার পরামর্শ দেওয়া হয় কারণ এগুলো হজম হতে সময় নেয়। গ্রীষ্মে স্বাস্থ্যকর হজম বাড়াতে এবং অন্ত্রের সমস্যা, বদহজম, ডিহাইড্রেশন ইত্যাদি এড়াতে মৌসুমী খাবার, উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাবার এবং তাজা শাক-সবজি বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেয়।

বাইরে যাওয়ার সময় ঠান্ডা খাবার এবং পানীয় সঙ্গে রাখুন : গ্রীষ্মের অসহনীয় তাপেও কিন্তু কাজের জন্য বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। তাই সারাদিন সতেজ থাকার জন্য বাইরে যাওয়ার সময় ঠান্ডা খাবার ও পানীয় সঙ্গে রাখুন। ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) এর মতে, বাতাসে তাপ ব্যাকটেরিয়ার দ্রুত বৃদ্ধি করে, যা খাদ্য দূষণ এবং খাদ্যজনিত অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই বিশেষজ্ঞরা হালকা এবং শীতল খাবার, আস্ত ফল এবং সাইট্রাস পানীয় সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেন। এই খাবার এবং পানীয়গুলো প্রচণ্ড গরমেও আপনার শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

টাটকা রান্না করা খাবার খান : আগেই বলা হয়েছে, গ্রীষ্মের মৌসুমে খাদ্য দূষণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই খাদ্যজনিত অসুস্থতার ঝুঁকি এড়াতে প্রতিদিন তাটকা রান্না করা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কোনো খাবার প্যাক করার আগে তা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে তবেই করুন।


আরও খবর
হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪




জব্বারের বলিখেলায় এবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার শরীফ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলিখেলার ১১৫তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লার শরীফ। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ৪১ মিনিটে তাকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন রেফারিরা। এবারের আসরে রানার আপ হয়েছেন কুমিল্লার মোহাম্মদ রাশেদ।

বিকেল ৫টা ২৯ মিনিটে দুই বলির চূড়ান্ত কুস্তি শুরু হয়। ১২মিনিট পর শরীফ বলীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এবারের বলিখেলায় ৮৬ জন কুস্তিগির অংশ নিয়েছিলেন। প্রতিযোগিতায় তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে সৃজন চাকমা ও সীতাকুণ্ডে রাশেদ।

বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জব্বারের বলিখেলায় প্রধান অতিথি রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।

এর আগে বিকেল ৪টার দিকে বলিখেলা উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বলিখেলার স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এনএইচটি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর।

বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া শরীফ ট্রফির পাশাপাশি প্রাইজ মানি পেয়েছেন ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকারীরা ট্রফির সঙ্গে পেয়েছেন যথাক্রমে ২০ হাজার, ১০ হাজার ও ৫ হাজার টাকা। বলীখেলায় সেমিফাইনালে পর্যায়ের আগে মোট ৪৩ রাউন্ড খেলা হয়। প্রাথমিক রাউন্ডে জয়লাভকারী প্রত্যেকে দেড় হাজার টাকা পেয়েছেন।

জব্বারের বলিখেলার ইতিহাস

১৯০৯ সালে বকশিরহাটের স্থানীয় ধনী বণিক বদরপাতি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জব্বার সওদাগর এই কুস্তি প্রতিযোগিতার সূচনা করেন। জানা যায়, এই ব্যবসায়ীর শুধু কুস্তির প্রতি ভালোবাসা ছিল না বরং তার মধ্যে ছিল দেশের প্রতি ভালোবাসা। ওই সময় ভারতে ব্রিটিশ শাসনে অবসানে চট্টগ্রামে দানা বাঁধছিল আন্দোলন। পরে তার নাম অনুসারেই এই আয়োজনের নামকরণ হয়েছে।

আয়োজক কমিটির সেক্রেটারি ও প্রতিযোগিতার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল জব্বারের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল বলেন, আমার দাদা এই আয়োজনের সূচনা করলেও এটা এখন আর পারিবারিক ঐতিহ্য নয়। এটা চট্টগ্রামের সকল মানুষের এবং তারা এই অনুষ্ঠানকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।


আরও খবর
কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক শরীফের মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় শরিফুল ইসলাম শরীফ (৪২) নামে এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহত শরিফ মিরপুর উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের গেটপাড়া গ্রামের মৃত নাদের আলী মণ্ডলের ছেলে। শরিফ ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার মিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। এছাড়াও তিনি কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সদস্য ও মিরপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও একটি পুত্র সন্তান রেখে গেছেন।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে কুষ্টিয়া থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন শরীফ। পথে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর আঞ্চলিক সড়কের তাঁতিবন্ধ এলাকায় জেটি আইয়ের সামনে পাখি ভ্যানের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলটির সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি ও কুষ্টিয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. কামারুল আরেফিনসহ জেলার সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন।


আরও খবর



পহেলা বৈশাখে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর রমনায় পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা নেই। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় রমনা পার্কে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এতথ্য জানান তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির অসম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ। সেজন্য এটার ওপর বারবার আঘাত এসেছে। সহিংস হামলা হয়েছে, জঙ্গি হামলা হয়েছে। সেজন্য সবকিছু মাথায় রেখেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা পরিকল্পনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট হামলার শঙ্কা আমার কাছে নেই।

তিনি বলেন, রমনা বটমূলে আগামীকাল বিকেল ৫টার পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে। এরপর আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়াও সন্ধ্যার আগে সবাইকে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হবে।

হাবিবুর রহমান বলেন, রমনায় টুরিস্টদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য টুরিস্ট পুলিশ বুথ রয়েছে। লেক এলাকা নিরাপত্তা দিতে নৌপুলিশের টহল রয়েছে। এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সাময়িক মেডিকেল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। রক্তদানের ব্যবস্থার পাশাপাশি বিনামূল্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে সুপেয় পানি বিতরণের ব্যবস্থা রয়েছে।

দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।


আরও খবর



রাজধানীর শ্যামবাজারঘাটে লঞ্চে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শ্যামবাজার ঘাটে জেটিতে থাকা একটি লঞ্চে আগুন লেগেছে। এমভি বাঙালি নামে লঞ্চটির তিনতলায় এ আগুন লাগে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে এ আগুনের ঘটনা ঘটে। তবে এ সময় লঞ্চে কোনো যাত্রী ছিল না।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আগুনের ফোন পাওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে। বর্তমানে সদরঘাট নদীর ফায়ার স্টেশনের ২টি ইউনিট ও পোস্তগোলা ফায়ার স্টেশনে ২টি ইউনিটসহ মোট ৪টি ইউনিট কাজ করছে।

আগুন লাগার প্রাথমিক কারণ জানা যায়নি।


আরও খবর