‘আমরা জার্মানিতে
আম, আনারস, শাক-সবজি রপ্তানি করতে চাই’ বলে মন্তব্য
করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রোস্টার। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে কৃষিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন>> ‘রমজানে ন্যায্যমূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে’
তিনি বলেন, ‘আমরা জার্মানিতে
আম, আনারস, শাক-সবজি রপ্তানি করতে চাই। আমরা বলেছি, কোয়ালিটির ব্যাপারে আমরা কোনো আপস
করব না। উৎপাদনের ক্ষেত্রে মানের প্রশ্নে আপস করা হবে না। এ ক্ষেত্রে আমাদের জিরো টলারেন্স।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার সময়
থেকে জার্মানির সঙ্গে আমাদের একটা সুসম্পর্ক রয়েছে। তারা আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। জার্মানি
উন্নত দেশ, কৃষিতে উন্নত। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করবে। পূর্বাচলে আমরা
একটি আন্তর্জাতিকমানের প্যাকিং হাউস ও ল্যাব করতে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে জার্মানির কারিগরি
সহযোগিতা দরকার। এ বিষয়েও তারা সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে।’
বাজার নিয়ন্ত্রণে বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নেওয়া হবে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বেশি মুনাফার জন্য মানুষের বুকে চাকু মারলাম, সেটা তো হয় না। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এগিয়ে যাওয়া। এগিয়ে যাওয়ার জন্য উন্নত প্রযুক্তির চাষাবাদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। এখানে অনেক বিজ্ঞানী রয়েছেন, আমরা তাদের কাজে লাগাতে চাই।
আরও পড়ুন>> দুই রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘উৎপাদন এবং যাতে
বেশি হয়, সে জন্য আমরা কোনো ভূমি খালি রাখতে চাই না। যেসব জায়গায় ফসল ফলানো যায়, সেখানে
যাতে কৃষকেরা উৎপাদনে উৎসাহিত হয়, আমরা সে পদক্ষেপ নেব। প্রয়োজনে আমরা উঠান বৈঠক করব।
গ্রামপর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণের কর্মকর্তারা রয়েছেন। প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন উপসহকারী
কৃষি কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা প্রতিটি এলাকায় ঘুরে ফসলের সমস্যা কী, কীটনাশক সঠিকভাবে
ব্যবহার হচ্ছে কি না এবং সঠিক মাত্রায় সার দিচ্ছে কি না—তা তদারকি করে
থাকেন। সেই তদারকি আরও জোরদার করা হবে।’