আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

জাসদ ছেড়ে আ. লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম কিনলেন ড. আনোয়ার হোসেন

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দলটির দলীয় আবেদন ফরম সংগ্রহ করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন।

আজ সোমবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে নেত্রকোনা-৫ আসনের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। মনোনয়ন ফরম নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন আনোয়ার হোসেন নিজেই। একই সঙ্গে তিনি জানান জাসদ থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগ দেবেন।

জাসদের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম হলেন আনোয়ার হোসেন বড়ভাই মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের। ভাইয়ের সঙ্গে জাসদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন ড. আনোয়ার হোসেন। এরপর শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হলেও সংগঠনটির সঙ্গে তাদের নিবিড় সম্পর্ক ছিল। শিক্ষকতা পেশা থেকে অবসরের পরে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। পরে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন।

সর্বশেষ গত ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জাসদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ড. আনোয়ার হোসেন। সেখানে দলীয় মনোনয়ন বোর্ড, নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়। যেখানে নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সদস্য হিসাবে রাখা হয় আনোয়ার হোসেন।

আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য। বিষয়টি আমি স্থায়ী কমিটির সভায় জানিয়েছি। আমাদের পূর্বধলায় (নেত্রকোনা-৫ আসন) আমার ছোট ভাই বেলাল (ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল) তিনবারের সংসদ সদস্য। সে গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় এখন নির্বাচন করতে পারছে না। এলাকার বিভিন্ন স্তরের মানুষ, সেটা রাজনীতিবিদ ছাড়াও অনেকেই যোগাযোগ করছে। কারণ বেলালের অনুপস্থিতি প্রায় এক বছরের মত। সেখানে আওয়ামী লীগের যে অন্যান্য অংশ রয়েছে তাদের প্রতি মানুষের তেমন আস্থাও নেই। এতে মানুষ নেতা শূন্য হয়ে পড়েছে।

তাঁর পরিবারে প্রতি পূর্বধলার মানুষের চাওয়া পাওয়া রয়েছে বলে জানান আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, এলাকায় আমার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছিল না। কিন্তু ভাইতো আছে। মানুষজন আমাকে চিনেন। বিশেষ করে ১/১১ সময়ে আমার ভূমিকা, জাবির উপাচার্য, মুক্তিযোদ্ধা, সাহসী লোক হিসাবে সংকটে এগিয়ে আসে সেসব কারণে।

নির্বাচন করার চিন্তা ছিল না বলে উল্লেখ করে ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশে একটা বিরাট সংকট তৈরি হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্হিশক্তি ‍যুক্ত হয়ে গেছে এবং আছে। সেখানে ষড়যন্ত্র হচ্ছে নানা রকম। আমি শেখ হাসিনাকে দেশের কান্ডারি মনে করি, কোনো বিকল্প দেখি না। আমি অবসরের পরে জাসদে যোগ দিলেও সব সময় আমার শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। এখন আমার দেশ বিশাল সংকটে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য চেষ্টা হচ্ছে নানাভাবে, সে সময় তাঁর পাশে আমার থাকা দরকার। খুব চিন্তাভাবনা করেই এটা করেছি।

আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশে এখন যে অবস্থা। আমরা জাসদ কিংবা ওয়ার্কার্স পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি অনেক দিন ধরে চেষ্টা করছি, কিন্তু জনগণের মধ্যে সেভাবে আস্থাটা তৈরি হয়নি। বরং দলগুলো ছোট হয়ে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের জোটে আছে। এ ক্ষেত্রে জাসদ থেকে মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থন নেওয়া যেত না এমন এক প্রশ্নে আনোয়ার হোসেন বলেন, ওইটা নেওয়াটা কঠিন ছিল। কারণ ওখানে (পূর্বধলা) জাসদের সাংগঠনিক কাঠামো সেরকম নেই। ওখানেতো জাসদের রাজনীতি কেউ করত না। আমার ভাই আওয়ামী লীগ করে। আমিও রাজনীতিতে তেমন ছিলাম না। এলাকায় দেখলাম সেখানে জাসদের পুরোনো কিছু কর্মী থাকলেও তারা জাসদে (আওয়ামী লীগ হবে) যোগ দিয়ে দিয়েছে।

গত আড়াই মাসে ভাইয়ের অবর্তমানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কাজ করে মুগ্ধ বলে জানান আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ওখানে জাসদের কাঠামো থাকলে তারা মনোনয়ন দিতে পারত। কিন্তু ওখানেতো জাসদ নেই।

আপনি কি তাহলে জাসদ থেকে পদত্যাগ করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি অবশ্যই পদত্যাগ করবো। তাদের বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি। আওয়ামী লীগ থেকে যেহেতু মনোনয়ন নিয়েছি, তাদের সঙ্গে যুক্ত হবো। আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগ যোগ দেব।

এ বিষয়ে জানতে জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতারকে কল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি। পরে মোবাইলে এসএমএস পাঠালেও কোনো উত্তর দেননি।

তবে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, উনি এখনো আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য। আমাদের এখানে থাকলে জোট থেকে ওনার মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকত। আমরা আসনটা নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের দেনদরবার-আলোচনা করতাম। কিন্তু সেখানে যাওয়া সে সম্ভাবনাও কমে গেছে।


আরও খবর
রবিবার হরতাল-অবরোধ দিচ্ছে না বিএনপি

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




ভোটের মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে সাত লাখ সদস্য

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠে থাকবে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। আজ সোমবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি বলেন, নির্বাচনে ৫ লাখ ১৬ হাজার আনসার সদস্য, ২ হাজার ৩৫০ জন কোস্টগার্ড, ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি এবং র‍্যাবসহ পুলিশ থাকবে ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন। নির্বাচনে যারা দায়িত্ব পালন করবে তাদের সঙ্গে আজ বৈঠক হয়েছে। এটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকের অংশ।

ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, বাজেট কখনো চূড়ান্ত হয় না। সম্ভাব্য বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়। পার ডে, পার পারসন হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদিত হার অনুযায়ী, কত সংখ্যক নিয়োগ হবে সেই বিষয়টি নিয়ে মূলত আলোচনা হয়েছে। তারা একটি বরাদ্দ অ্যাডভান্স চেয়েছে। কতটুকু আমরা বরাদ্দ দেব, বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে বিষয়গুলো নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সচিব অশোক কুমার বলেন, সব মিলিয়ে বাজেট কত এটা বলা যাবে না। যে অনুযায়ী মোতায়েন হবে, সে অনুযায়ী বরাদ্দ হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের যে হার আছে, সে অনুযায়ী তারা বরাদ্দ পাবে। সে জন্য কমিশন আলাদা কোনো হার দেয় না।

কোন বাহিনী কত দিনের জন্য মোতায়েন করা হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কত দিনের জন্য মোতায়েন হবে সেই সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন। সে অনুযায়ী পরিপত্র জারি করা হবে।


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




বাফুফেকে ২০ হাজার ডলার জরিমানা!

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ৭৯ ধাপ এগিয়ে থাকা লেবাননকে রুখে দেওয়ার পর বাংলাদেশের ফুটবলে বইছে সুবাতাস। শেখ মোরসালিনের বিশ্বমানের গোলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিনিয়ত শেয়ার করছেন ফুটবলপ্রেমীরা। একই সঙ্গে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ঠাসা গ্যালারির ছবি প্রদর্শন করে অনেকে বোঝাতে চেয়েছেন, ফুটবলে নতুন করে বইছে জোয়ার।

ফুটবল মাঠে দর্শক ফেরার খবরটি ইতিবাচক হয়ে যেমন এসেছে, তেমনি করে সমর্থকদের অশোভন আচরণের জন্য বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে)। মাঠে দর্শকদের আতশবাজি ফোটানোর কারণে ম্যাচের সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে এবং তা ফিফার নিয়ম ভেঙেছে।

সেই জন্য জরিমানা করার বিষয়টি মৌখিকভাবে ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন মঙ্গলবার বাংলাদেশ-লেবানন লড়াইয়ে  ম্যাচ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মালয়েশিয়ার সিতি জুরায়দা মুস্তফা। অফিসিয়ালি এখনও চিঠি না পেলেও ফিফার রুলসের কথা বলে মৌখিকভাবে ম্যাচ কমিশনার জরিমানার অঙ্ক ২০ হাজার ডলার হবে বলেও জানিয়েছেন ফুটবল ফেডারেশনকে। বৃহস্পতিবার জরিমানার কথাটি বলেছেন বাফুফের বিশ্বস্ত একটি সূত্র।

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারও জরিমানার শঙ্কা করছেন। যদিও বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে জরিমানা না করার অনুরোধ করেছেন বাফুফে কর্তারা। প্রায় ২৫ লাখ টাকার মতো জরিমানা দিতে হবে, নাকি এবারের মতো ছাড়া পেয়ে যাবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, তা এক সপ্তাহের মধ্যে জানা যেতে পারে।

আরও পড়ুন>> চোট সারছে না, লম্বা সময় পুনর্বাসনে তাসকিন

কিংস অ্যারেনা মূলত বসুন্ধরার ভেন্যু। সিলেটের মাঠ খেলার অনুপযোগী এবং বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম সংস্কার কাজের জন্য জাতীয় দলের খেলার ভরসা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন স্টেডিয়াম বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু ম্যাচটি যেহেতু জাতীয় দলের, তাই দর্শকদের উচ্ছৃঙ্খলার জন্য জরিমানাটা দিতে হবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকেই। মূলত ৭-৮ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার গ্যালারিতে সেদিন ১২ হাজারেরও বেশি দর্শক উপস্থিত ছিলেন।

ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত দর্শক মাঠে প্রবেশ করে বেশ কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছেন। সমর্থকদের আতশবাজি ফোটানো, মাঠে বোতল মারা এবং মাঠে ঢুকে যাওয়ার বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয়েছিল ম্যাচ কমিশনার জুরায়দা মুস্তফার। কোন গ্যালারি থেকে এসব করা হয়েছে তা চিহ্নিত করতে ইতোমধ্যে অভ্যন্তরীণভাবে কাজ শুরু করে দিয়েছে ফেডারেশন। অনেকেরই ধারণা, দেশের ফুটবলে নতুন সমর্থকগোষ্ঠী বাংলাদেশ ফুটবল আলট্রাস এর সমর্থকদের গ্যালারি থেকেই নাকি সবুজ আর লাল রং মিশ্রিত আতশবাজি ফোটানো, বোতল মারা এবং মাঠে ঢুকে যাওয়ার মতো ফিফার নিয়মবহির্ভূত কর্মকাণ্ড ঘটেছে। এর জন্য দায় এড়াতে পারে না ফেডারেশন।

বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে সমন্বয় করেই সবকিছু করা হয়েছে। এত চেক করার পরও কীভাবে এসব নিয়ে মাঠে ঢুকেছে দর্শকরা, তা আমরা দেখছি। আর ফিফা থেকে অফিসিয়ালি না জানানো পর্যন্ত এখনই কিছু বলতে পারছি না। যতটুকু মনে হচ্ছে, ২০ হাজার ডলারের মতো জরিমানা হতে পারে এই কারণে। আমরা ফিফাকে অনুরোধ করেছি, বিষয়টি বিবেচনা করতে। এখন দেখা যাক কী হয়। ফিফা এসব বিষয় তাদের ডিসিপ্লিন কমিটিতে পাঠাবে। তার পর আমাদের সিদ্ধান্ত জানাবে তারা’– বলেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক।

ইউরোপিয়ান ফুটবলে গ্যালারিতে দশর্কদের আতশবাজি ফোটানোর কারণে জরিমানা গুনতে হয়েছিল বেনফিকার মতো অনেক ক্লাবকে। দেশের ক্লাবের মতো নানা ইস্যুতে অতীতে জরিমানা গুনতে হয়েছিল বাফুফেকেও। সাবেক কোচ জেমি ডে, রেনে কোস্টারের মতো কোচদের পারিশ্রমিক পরিশোধ না করায় জরিমানা দিতে হয়েছিল দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে।

আর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অতীতেও দর্শকদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণে জরিমানা গুনতে হয়েছিল বাফুফেকে। ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর বাংলাদেশ-কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দর্শকদের অশোভন আচরণের জন্য ১৩ লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছিল বাফুফেকে। একই কারণে এবার আরও বড় অঙ্কের জরিমানার সামনে ফুটবল ফেডারেশন।

নিউজ ট্যাগ: বাফুফে জরিমানা

আরও খবর
অবশেষে শুরু হতে যাচ্ছে খেলা

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




নির্বাচনের অজুহাতে এনআইডি সংশোধন বন্ধ করা যাবে না: ইসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন কাজের অজুহাতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন ও সংশোধন সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে না বলে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে।

কমিশন জানায়, তফশিল হয়ে যাওয়ায় মাঠ কর্মকর্তাদের অনেকেই নানা অজুহাতে নতুন করে নিবন্ধন, এনআইডি সংশোধন কার্যক্রমে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন। বিষয়টি কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যেহেতু জাতীয় পরিচয়পত্র এখন অপরিহার্য, তাই এই সেবা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না। এমনকি দুর্ভোগেও ফেলা যাবে না। তাই কমিশন এমন নির্দেশ দিয়েছে।

ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী নির্দেশনাটি সব আঞ্চলিক কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের গত ৫ অক্টোবরের ২৪তম সভায় জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নতুন নিবন্ধনসহ সংশোধন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়েছে।

আরও পড়ুন>> নতুন প্রকল্পে অর্থছাড় এবং ত্রাণ-অনুদান বিতরণ স্থগিতের নির্দেশ

নির্দেশনায় বলা হয়, এনআইডি সংশোধনের ক্ষেত্রে সংশোধিত তথ্য এবং নতুন নিবন্ধিত ব্যক্তি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রেরিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে না। তবে কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রয়োজন হলে সম্পূরক ভোটার তালিকা পাঠানো হবে। কেবল জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই তিনি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার হিসেবে ভোট দিতে পারবেন না। ভোট দিতে হলে মুদ্রিত ভোটার তালিকায় নাম থাকতে হবে। এ জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বাছাইসহ সব কার্যক্রম সর্বশেষ প্রেরিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা বা সিডি বা মুদ্রিত তালিকা অনুসারে সম্পন্ন করতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ১৪ সেপ্টেম্বরেরর পর নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনক্রমে কারও নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ও ৩০ সেপ্টেম্বরের পর ভোটার স্থানান্তর করা হলে সম্পূরক ভোটার তালিকা সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হবে এবং সেক্ষেত্রে সম্পূরক ভোটার তালিকার ভিত্তিতেও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা বেশি: ইসি আলমগীর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, অতীতে জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল। এবার সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। নির্বাচনে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। অতীতের মতো সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেটের নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অবাধ নির্বাচনের জন্য ইসি সবাইকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের প্রতি কারও কোনো চাপ নেই। শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অন্য সবাইকে চাপ দিয়ে বেড়াচ্ছেন। বিদেশিরা কখনই আমাদের চাপ দেয়নি। আমাদের চাপ দেওয়ার অধিকারও তাদের নেই।

নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণের সম্ভাবনা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে মো. আলমগীর বলেন, এ মুহূর্তে কোনো সুযোগ আছে বলে আমাদের আইন অনুযায়ী দেখছি না। আমাদের যে পর্যন্ত সুযোগ ছিল আমরা বলেছি। যদি তারপরও কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়, সেক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হবে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কায়ছারুল ইসলাম, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিউর রহমান প্রমুখ।


আরও খবর



ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে ‘মিগজাউমের’ তাণ্ডব, নিহত ১২

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের তাণ্ডব চলছে। এখন অন্ধ্রপ্রদেশের বাপাটলাতে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। এছাড়া তামিলনাডু, অন্ধ্র প্রদেশে ও ওড়িশায় প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টির আঘাতে চেন্নাইতে ১২ জন মারা গেছে।

দুপুর আড়াইটা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম স্থলভূমিতে প্রবেশ করে। ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার গতিতে হাওয়া বইতে থাকে। সমুদ্রের পানিতে বড় বড় ঢেউ উঠতে থাকে। অন্ধ্রের উপকূল পেরোতে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের সময় লাগে দুই ঘণ্টা। ঘূর্ণিঝড় এবার শক্তি হারাতে থাকবে এবং সাধারণ ঝড়ে পরিণত হবে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। এর প্রভাবে ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন>> মিগজাউমের প্রভাবে লন্ডভন্ড ভারতের উপকূল, মৃত্যু ৮

এখন ঝড়ের সঙ্গে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশে। তামিলনাড়ুতেও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, অন্ধ্রে কিছু জায়গায় প্রবল বৃষ্টি হবে। তামিলনাড়ুতে মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টি হবে। কিছু জায়গায় প্রবল বৃষ্টিও হতে পারে।

অন্ধ্রপ্রদেশের বাপটালাতে ঘূর্ণিঝড় চলার সময় সমুদ্রে বিশাল ঢেউ উঠতে থাকে। তবে এর ফলে কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। অন্ধ্র, তামিলনাড়ু থেকে কোনো খবর এখনও আসেনি। তবে ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঝড়-বৃষ্টির ফলে শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।


আরও খবর