আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স পরীক্ষার আবেদন ফরম পূরণ শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২০ সালের এমএ/এমএসএস/এমবিএ/এমএসসি/এম মিউজ প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স পরীক্ষার আবেদন ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। বুধবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম অন-লাইনে সম্পন্ন করা হবে। আবেদনকারী পরীক্ষার্থীরা ২৪ মে ২০২৩ তারিখ থেকে অনলাইন আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে পারবে। চলবে ১৫ জুন ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত।

আবেদন ফরম কলেজ কর্তৃক নিশ্চয়নের শেষ তারিখ ১৮ জুন ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত। বিস্তারিত তথ্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে  পাওয়া যাবে।


আরও খবর
ইউজিসিতে দুই সদস্য নিয়োগ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ফের হামলা, আহত ২০ সাংবাদিক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মনীষা আচার্য, চট্টগ্রাম

Image

ফের দুর্বৃত্তদের হামলায় আক্রান্ত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব। এতে অন্তত ২০জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় অতর্কিতভাবে প্রেসক্লাবের প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ক্লাবে প্রবেশ করে কিছু দুর্বৃত্ত। পরে তারা চতুর্থ তলায় ক্লাবের মূল অফিসে উঠে সেখানেও তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা বেশকিছু কক্ষে ভাঙচুর চালায়। পরে ক্লাবে উপস্থিত থাকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসহ সাধারণ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এক বিবৃতিতে বলা হয়, হামলায় সিনিয়র সাংবাদিক নির্মল চন্দ্র দাশ, গোলাম মর্তুজা আলী, হেলাল সিকদারসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে আসে।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ জানান, অবরুদ্ধ হওয়ার প্রায় তিনঘণ্টা পর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে থাকা ৪০ জন সদস্যকে উদ্ধার করা হয়। হামলাকারীরা বুধবার সন্ধ্যায় হাতুড়ি ও শাবল দিয়ে প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ক্লাবের ভেতরে প্রবেশ করে। তারা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কক্ষ, মিডিয়া রুম, মিটিং রুম, হিসাব বিভাগ, রিসিভশন ভাংচুর করে। তারা সিসিটিভি ও কম্পিউটারের হার্ডডিস্কসহ ক্লাবের মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ জানান, বুধবার সন্ধ্যায় একদল দুর্বৃত্ত হাতুরি ও শাবল দিয়ে প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ক্লাবের ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় উপস্থিত থাকা সাংবাদিকদের মারধরও করে তারা।

দুর্বৃত্তরা এর আগেও কয়েকদফায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে হামলা চালায় জানিয়ে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা ও সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। একইসাথে তারা এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফফতারের দাবি জানান। দুর্বৃত্তদের ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে ক্লাবের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃবৃন্দ।

হামলার এসব ঘটনা চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অবহিত করেছে। জেলা প্রশাসনের পর গতকাল বুধবার সিএমপি কমিশনারকে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১০ তলা বিশিষ্ট চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ভবনে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান, হজ কাফেলা, আর্কিটেকচারাল অফিস, মোবাইল কমিউনিকেশন অফিস, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও বাতিঘর নামে একটি বই বিপণি কেন্দ্র রয়েছে।


আরও খবর



এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে পড়লো হাজারো শিক্ষার্থী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েছেন প্রায় হাজার খানেক শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল থেকে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে জড়ো হন তারা। দাবি আদায়ে দুপুরের দিকে তারা সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন।

এসময় শিক্ষার্থীরা শ্লোগান দিতে থাকেন। পরে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দশ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি এবং আলোচনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যান।

এদিকে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশ্বাস দেন বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সুমন নামে একজন শিক্ষার্থী বলেন, দেড় মাসের পরীক্ষা আমরা কয়েক মাস ধরে ঝুলে আছি। তারা আমাদেরকে কয়েকদিন আগেও জানিয়েছিল সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখে পরীক্ষা হবে। তাহলে আরও এক মাস লাগবে পরীক্ষার জন্য। এরপর একমাসব্যাপী পরীক্ষা হবে। এত সময় নিলে আমাদের ফলাফল প্রকাশ করবে কখন? আর আমরা ভর্তি হব কবে?

তিনি আরও বলেন, একটা বোর্ড পরীক্ষা কিভাবে ৬-৭ মাস পর্যন্ত ঝুলে থাকে? সেজন্য আমরা এটা মানি না। আমরা চাই যেসব পরীক্ষা হয়েছে সে অনুযায়ী পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হোক। দাবি না মানলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।


আরও খবর



এনবিআর চেয়ারম্যানসহ ১০ সচিবের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া মোট ১৯ জন পূর্ণ সচিবের মধ্যে ১০ জনের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে৷ বুধবার (১৪ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে৷ এতে সই করেছেন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি৷

নিয়োগ বাতিলের এ তালিকায় রয়েছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিম, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, সড়ক, পরিবহন বিভাগের সচিব এ বি এম আমিনুল্লাহ নুরী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম ওয়াহিদা আক্তার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী সদস্য (সচিব) মো. খাইরুল ইসলাম।


আরও খবর



সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নামে ৩ হত্যা মামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট সিরাজগঞ্জে বিএনপিকর্মী মো. সুমন, আব্দুল লতিফ ও জেলা যুবদলের সহসভাপতি সোহানুর রহমান রঞ্জু নিহতের ঘটনায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। এই তিন হত্যা মামলায় মন্ত্রিপরিষদের সাবেক সচিব কবির বিন আনোয়ারকে আসামি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় তিনটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। তিনটি মামলায় সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার ছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী, সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত মুন্নাকেও আসামি করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সুমন হত্যা মামলায় ১৫৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় একশ থেকে দেড়শ জনকে আসামি করে সুমনের বাবা মো. গঞ্জের আলী মামলা করেন। আব্দুল লতিফ হত্যা মামলায় ১৫৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় একশ থেকে দেড়শ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহতের বোন সালেহা খাতুন। তা ছাড়া জেলা যুবদলের সহসভাপতি সোহানুর রহমান রঞ্জু নিহতের ঘটনায় ১৫০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় একশ থেকে দেড়শ জনকে আসামি করে মামলা করের নিহতের স্ত্রী মৌসুমী খাতুন।

মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দানিউল হক মোল্লা, সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহম্মেদ, সাবেক এমপি জান্নাত আরা হেনরীর স্বামী সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লাবু তালুকদার, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ।


আরও খবর



নিষেধাজ্ঞার মাঝেই সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
তারিক লিটু, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

Image

প্রতি বছর ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে প্রবেশ ও মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকে। মূলত এ সময়টাকে মাছের প্রজনন মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। তবে নিষেধাজ্ঞার মাঝেই বনের নদ-নদী ও খালে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার করছেন একশ্রেণীর জেলেরা। এতে হুমকির মুখে পড়েছে বনের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য।

অভিযোগ রয়েছে, বন বিভাগের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে সুন্দরবনসংলগ্ন জেলেরা বিষ দিয়ে মাছের পাশাপাশি কাঁকড়াও শিকার করছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উপকূলের প্রান্তিক মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস সুন্দরবন। বিষ প্রয়োগের ফলে পানি বিষাক্ত হয়ে অন্যান্য জলজ প্রাণীও মারা যাচ্ছে। উদ্ভিদের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।

বন বিভাগের তথ্য বলছে, ১৩টি বড় নদীসহ ৪৫০টির মতো খাল রয়েছে সুন্দরবনে। জোয়ারে পানিতে প্লাবিত হওয়া বনের জলাধার ভেটকি, রূপচাঁদা, দাঁতিনা, চিত্রা, পাঙাশ, লইট্যা, ছুরি, মেদ, পাইস্যা, পোয়া, তপসে, লাক্ষা, কই, মাগুর, কাইন, ইলিশসহ ২১০ প্রজাতির সাদা মাছের আবাস। এছাড়া রয়েছে গলদা, বাগদা, চাকা, চালী, চামীসহ ২৪ প্রজাতির চিংড়ি। শিলাসহ ১৪ প্রজাতির কাঁকড়ার প্রজননও হয় এখানে। পাশাপাশি এখানে ৪৩ প্রজাতির মালাস্কা ও এক প্রজাতির লবস্টার রয়েছে।

সুন্দরবনের সাধারণ জেলে ও বাওয়ালিদের অভিযোগ, কিছু জেলে সুন্দরবনের ভেতরে ঢুকে বিষ দিয়ে মাছের পাশাপাশি কাঁকড়া শিকার করেন। এসব মাছ ও কাঁকড়া আশপাশের এলাকার আড়ত এবং বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হয়। বনের ভেতরে কাঠ পুড়িয়ে চলে শুঁটকি তৈরি। সম্প্রতি কয়রা ও দাকোপের ২০-২৫ জন মাছ ব্যবসায়ী বনের টহল ফাঁড়ির কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে জেলে বহর নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছেন।

তবে বন বিভাগ বলছে, সুন্দরবনকেন্দ্রিক সব ধরনের অপরাধ দমনে সচেষ্ট তারা। ১ আগস্ট সুন্দরবনের জোলাখালীর খালে বিষ ছিটিয়ে শিকার করা ৭০ কেজি চিংড়িসহ একটি নৌকা জব্দ করেছেন বন বিভাগের কর্মীরা। তবে এর সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি বন বিভাগ। তাছাড়া বনের মার্কি ও মান্দারবাড়ী এলাকায় এমন দুটি স্থানের সন্ধান পেয়ে তা উচ্ছেদ করেছেন তারা। সেখানে গাছ কেটে তৈরি করা হয়েছে ফাঁকা জায়গা। সুন্দরী, পশুর, গেওয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ সাজিয়ে বিশেষ কায়দায় বানানো হয়েছে মাচা। এসব মাচার ওপর চিংড়ি রেখে নিচে তৈরি আরেকটি মাচায় গাছ রেখে আগুন দেয়া হয়। এ প্রক্রিয়ায় চিংড়ি শুকিয়ে তৈরি হয় শুঁটকি। গত বছরের ২২ জুলাই মান্দারবাড়ী খালসংলগ্ন এলাকায় গাছ কেটে চিংড়ি শুকানোর একটি মাচার সন্ধান পান বন রক্ষীরা।

সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির বলেন, প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের ছত্রছায়ায় এক শ্রেণীর জেলে সুন্দরবনের ভেতরে ঢুকে বিষ দিয়ে মাছ ও কাঁকড়া শিকার করেন। এতে পানি বিষাক্ত হয়ে অন্যান্য জলজপ্রাণীও মারা যাচ্ছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বনের জলজ জীববৈচিত্র্য। উদ্ভিদের ওপরও এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। উপকূলের প্রান্তিক মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস সুন্দরবন। বন ঘিরে প্রায় দেড় লাখ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। নিয়ম মেনে সুন্দরবন থেকে সম্পদ আহরণ করা না হলে ইকোসিস্টেমের ক্ষতি হবে। মাছ ও গাছ আশঙ্কাজনক কমে যাওয়ার কারণে প্রান্তিক মানুষও জীবিকার উৎস হারাচ্ছে। এ কারণে তাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতাও বেড়েছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সুন্দরবন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, সুন্দরবনের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। তবে বনের ক্ষতি করে নয়। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতেই বনের ভেতরে প্রবেশের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা। এটা যত জোরদার হবে ততই সুন্দরবনের জন্য ভালো। সুন্দরবন সুরক্ষায় এর ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর বিকল্প কর্মসংস্থানে রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ এবং বনে প্রবেশাধিকার আরো সংরক্ষিত হওয়া দরকার। অবস্থানগত কারণে খুলনার নয়টি উপজেলার মধ্যে কয়রার বেশির ভাগ মানুষই সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল। এ জেলার সুন্দরবন প্রভাবিত অন্য উপজেলাটি হলো দাকোপ। এ উপজেলা দুটির সুন্দরবনসংলগ্ন গ্রামগুলোর মানুষ মাছ, কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করে।

এ বিষয়ে খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, নিষিদ্ধ মৌসুমে সুন্দরবনকেন্দ্রিক সব ধরনের অপরাধ দমনে সচেষ্ট বনরক্ষীরা। এর মধ্যে দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বনরক্ষীদের কারো বিরুদ্ধে অবহেলা অথবা অপরাধীর সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সুন্দরবন থেকে সরাসরি সম্পদ আহরণ করেন দুই থেকে তিন লাখ বনজীবী। তাদের বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।


আরও খবর