আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের গৌরবোজ্জ্বল প্লাটিনাম জয়ন্তী, অর্থাৎ ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (২৩ জুন) সকাল ৭টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

প্রথমে প্রধানমন্ত্রী ও পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।

প্লাটিনাম জয়ন্তীতে সূর্যোদয়ের সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

এ দিন সকাল সাড়ে ১০টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদল শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করবে।

এছাড়া বিকেল ৩টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, আমন্ত্রিত অতিথিসহ দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা অংশ নেবেন।


আরও খবর
প্রত্যাহার হওয়া ২৫ জেলায় নতুন ডিসি

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৯, ফেনীতেই ২৩

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত ৫৯ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে, এরমধ্যে ফেনীতেই সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর খোঁজ মিলেছে। এখনও দেশের ১১টি জেলায় ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৯৯৫টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।

শনিবার (৩১ আগস্ট) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, বন্যা আক্রান্ত জেলার সংখ্যা ১১টি (ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার)। মৃত ৫৯ জনের মধ্যে পুরুষ ৪১ জন, নারী ৬ জন ও শিশু ১২ জন। এরমধ্যে কুমিল্লায় রয়েছেন ১৪, ফেনী- ২৩, চট্টগ্রাম-৬, খাগড়াছড়ি- ১, নোয়াখালী-১, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-১, লক্ষ্মীপুর-১ ও কক্সবাজার ৩ জন এবং মৌলভীবাজারে ১ জন। নিখোঁজ রয়েছেন ১ জন (মৌলভীবাজার)।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ সিলেট, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে।

এছাড়াও ৬৮টি উপজেলা বন্যাপ্লাবিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন ও পৌরসভা ৫০৪টি। বর্তমানে মোট ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৯৯৫টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা ৫৪ লাখ ৫৭ হাজার ৭০২ জন।

পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য মোট ৩ হাজার ৯২৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মোট ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৩০৫ জন লোক এবং ৩৬ হাজার ১৩৯টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য মোট ৫১৯টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে।


আরও খবর
প্রত্যাহার হওয়া ২৫ জেলায় নতুন ডিসি

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




টুকু-পলক-সৈকতসহ ৬ জন ফের রিমান্ডে

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহাইল ও ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের ফের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পৃথক দুই হত্যা মামলায় টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের তিনদিন করে ৬ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় ৬ আসামিকে সাত দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর আক্কাস মিয়া। তিনি শামসুল হক টুকু, আরিফ খান জয় ও মোহাম্মদ সোহাইলের পুনরায় সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

এদিকে, তদন্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানার পরিদর্শক মিন্টু চন্দ্র বণিক গ্রেপ্তার দেখানোসহ আহমদ হোসেন ও তানভীর হাসান সৈকতকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

আর জুনায়েদ আহমেদ পলককে বাড্ডা থানায় সুমন সিকদার এবং সূত্রাপুর থানায় ইকরাম হোসেন কাওসার ও ওমর ফারুক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। বিএনপিপন্থী আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলামও রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।

গত ১৪ আগস্ট রাজধানীর খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় ১২তম জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজধানীর পল্টনে কামাল মিয়া নামে এক রিকশাচালককে হত্যা মামলায় তাদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানি আবু সায়েদ হত্যা মামলায় ২০ আগস্ট আরিফ খান জয়ের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

রাজধানীর গুলশান থেকে ২০ আগস্ট রাতে আহমদ হোসেন ও বনানী এলাকা থেকে সোহায়েলকে আটক করা হয়। পরদিন পল্টন থানায় যুবদল নেতা নবীন তালুকদার হত্যা মামলায় তাদের চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।

২৫ আগস্ট খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওইদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহমিদ মোবিন রাতুলকে হত্যাচেষ্টা অভিযোগে চকবাজার থানার মামলায় সৈকতের আরও পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



টিএসসিতে গণত্রাণ: ৪ দিনে সংগ্রহ ৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢাবি প্রতিনিধি

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণত্রাণ কর্মসূচিতে অনলাইন-অফলাইন মিলিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৫ কোটি ২৩ লাখ ৩ হাজার ৬০৩ টাকা ৬৮ পয়সা সংগ্রহ করা হয়েছে। আর চার দিন ধরে চলা এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন খাতে মোট ব্যয় করা হয়েছে ৩০ লাখ ১২ হাজার ৯৭০ টাকা।

রোববার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে(টিএসসি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক লুৎফর রহমান, মিডিয়া ও কমিউনিকেশন উইংয়ের প্রধান রেজওয়ান আহম্মেদ রিফাত ও ত্রাণ কার্যক্রমের টিএসসি বুথের প্রধান সমন্বয়ক অদিতি।

মোট পাওয়া অর্থের মধ্যে টিএসসিতে নগদ ৪ কোটি ৩৯ লাখ ১ হাজার ৬৯০ টাকা, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৬২ লাখ ৯৪ হাজার ১২০ টাকা, ব্যাংকিং মাধ্যমে ২১ লাখ ৭ হাজার ৭৯৩ টাকা ৬৮ পয়সা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ব্যয়কৃত অর্থ ত্রাণসামগ্রী, জরুরি ওষুধ, ত্রাণসামগ্রী রাখার ব্যাগ এবং স্বেচ্ছাসেবকদের খাবার ক্রয় করতে ব্যয় হয়। তার মধ্যে খেজুর বাবদ ১৫ লাখ ৭৮ হাজার ৯০০ টাকা, মুড়ি বাবদ ৪ লাখ ৩০০ টাকা, বিস্কুট বাবদ ২ লাখ ১ হাজার ৫০ টাকা, গুড় বাবদ ২ লাখ ৫২ হাজার ৮৪০ টাকা, ভলান্টিয়ারদের রাত ও দুপুরের খাবার ৩৯ হাজার টাকা, পলিথিন ১ লাখ দুই হাজার ৫০০ টাকা, বস্তা ১ লাখ ৭৯ হাজার টাকা, চিনি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, রিকশা ও ভ্যান ভাড়া ৬৫০ টাকা এবং দড়ি, কলম ও কার্টার বাবদ ৭৩০ টাকা ব্যয় হয়। এছাড়া গাড়ির সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকদের আট হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।

রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মোট ৫০ ট্রাক ভর্তি ৫০ হাজারের অধিক ত্রাণসামগ্রী বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়। প্রতি ট্রাকে ৮০০-১০০০টি রিলিফ প্যাকেজ (এক পরিবার) এবং ২০-৩০ কেস পানি দিয়ে পরিপূর্ণ করা হয়। প্রতিটি প্যাকেজে একটি পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার এবং ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া, বিমান বাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে ৩ হাজার প্যাকেজ হেলিকপ্টারযোগে বন্যাকবলিত দুর্গম অঞ্চলগুলোতে বণ্টন করা হয়েছে। এছাড়া, ৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা নগদ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

গণত্রাণ কর্মসূচিতে পাওয়া অর্থ-সামগ্রী বিভিন্ন জেলায় সশরীরে এবং প্রশাসনের সাহায্যে বিতরণ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এ বিষয়ে সমন্বয়ক রেজওয়ান রিফাত বলেন, আমরা গত কয়েকদিন ধরে গণত্রাণ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৫০টি ট্রাক পূর্ণ করে বন্যা কবলিত এলাকায় পাঠানো হয়েছে। অনেকে একই ত্রাণ দেওয়ায় একটি প্যাকেজ তৈরিতে বিভিন্ন জিনিসের ঘাটতি দেখা যায়। ফলে সংগৃহীত টাকা থেকে সেগুলো কিনতে হয়েছে। তাছাড়া, অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবকদের দুপুর ও রাতের খাবারের পেছনেও আমাদের খরচ হয়েছে। প্রতি ট্রাকে প্রথম দিকে ১০ জন করে স্বেচ্ছাসেবক পাঠানো হয়েছিল। পরে সেটি কমিয়ে ৫ জন এবং বর্তমানে ৩ জন করে পাঠানো হচ্ছে।


আরও খবর
রাবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব

বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে হবে, না হলে মানুষ শান্তিতে থাকবে না : ইউনূস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর ভারতে বসে দেশ সম্পর্কে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বক্তব্য-বিবৃতিকে অবন্ধুসুলভ আচরণ বলে বর্ণনা করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বাংলাদেশে তাকে প্রত্যর্পণ না করা পর্যন্ত হাসিনাকে ভারতে চুপ থাকতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস এই মন্তব্য করেন। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে পিটিআই।

বুধবার পিটিআইকে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে ইউনূস আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন, হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশ অনুরোধ না করা পর্যন্ত ভারত যদি হাসিনাকে নিজের দেশে রাখতে চায়, তাহলে তাকে (হাসিনাকে) আরও মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া হাসিনা ছাড়া সবাইকে ইসলামপন্থি হিসেবে তুলে ধরার জন্য তিনি ভারতের সমালোচনাও করেন।

হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ঢাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে পিটিআই-কে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, ভারতের সাথে শক্তিশালী সম্পর্ককে বাংলাদেশ সম্মান করে এবং এই কারণে নয়াদিল্লিকে অবশ্যই এমন ধারণা বাইরে যেতে হবে যেটাতে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য সব রাজনৈতিক দলকে ইসলামপন্থি হিসেবে চিত্রিত করে এবং শেখ হাসিনা ছাড়া দেশ আফগানিস্তানে পরিণত হবে বলে মনে করা হয়।

ড. ইউনূস বলেন, ভারতে হাসিনা অবস্থান করায় কেউই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। কারণ বিচার করার জন্য আমরা তাকে ফেরত আনতে চাই। তিনি (হাসিনা) ভারতে রয়েছেন এবং সেখান থেকেই মাঝে মাঝে তিনি কথা বলছেন, এটি সমস্যা তৈরি করছে। যদি তিনি চুপ থাকতেন, তাহলে আমরা ভুলে যেতাম; মানুষও এটা ভুলে যেত যদি তিনি তার নিজের জগতেই থাকতেন, কিন্তু তিনি ভারতে বসে কথা বলছেন এবং দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন, কেউই এটা পছন্দ করছে না।

এই মন্তব্যের মাধ্যমে ড. ইউনূস স্পষ্টতই গত ১৩ আগস্ট হাসিনার বক্তব্যের কথাই উল্লেখ করেন। সেসময় হাসিনা ন্যায়বিচার দাবি করেছিলেন এবং বলেছিলেন, সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, হত্যা ও ভাঙচুরের সাথে জড়িতদের অবশ্যই তদন্ত, চিহ্নিত এবং শাস্তি দিতে হবে।

ড. ইউনূস পিটিআইকে বলেন, এটা আমাদের বা ভারতের জন্য ভালো নয়। এটি নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে।

পিটিআই বলছে, ছাত্র-জনতা অভূতপূর্ব সরকার বিরোধী বিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং ভারতে পালিয়ে যান। এরপর প্রায় চার সপ্তাহ ধরে ভারতে তার উপস্থিতি বাংলাদেশে অনেক জল্পনাকেই উসকে দিয়েছে।

হাসিনার চুপ থাকার বিষয়ে বাংলাদেশ তার অবস্থান ভারতের কাছে জানিয়ে দিয়েছে কি না জানতে চাইলে ড. ইউনূস বলেন, মৌখিকভাবে এবং বেশ দৃঢ়ভাবে জানানো হয়েছে যে তার চুপ থাকা উচিত।

নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, সবাই এটা বোঝে। আমরা বেশ দৃঢ়ভাবে বলেছি যে তার চুপ থাকা উচিত। এটি আমাদের প্রতি অবন্ধুসুলভ অঙ্গভঙ্গি; তাকে সেখানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এবং সেখান থেকে তিনি প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি যে স্বাভাবিক নিয়মেই সেখানে (ভারতে) গেছেন তা নয়। জনগণের অভ্যুত্থান এবং জনরোষের কারণে তিনি পালিয়ে গেছেন।

ইউনূস বলেন, (হাসিনা সরকারের আমলে হওয়া) নৃশংসতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ন্যায়বিচারের জন্যই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। হ্যাঁ, তাকে (হাসিনাকে) ফিরিয়ে আনতে হবে, তা না হলে বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে থাকবে না। হাসিনা যে ধরনের নৃশংসতা করেছেন, তাকে এখানে সবার সামনে বিচার করতে হবে।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলার সময় ড. ইউনূস ভারতের সাথে সুসম্পর্কের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন। কিন্তু তিনি জোর দিয়ে বলেন, নয়াদিল্লিকে এই মনোভাব ত্যাগ করতে হবে যে শুধুমাত্র হাসিনার নেতৃত্বই বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, (বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার উপায় হচ্ছে) ভারতের তাদের নিজেদের আখ্যান থেকে বেরিয়ে আসা। আখ্যানটি হলো (বাংলাদেশে) সবাই ইসলামপন্থি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ইসলামপন্থি এবং বাকি সবাই ইসলামপন্থি এবং এই দেশকে তারা আফগানিস্তানে পরিণত করবে। আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নিরাপদ থাকবে। এই আখ্যানে ভারত বিমোহিত। ভারতকে এই আখ্যান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও তাদের আরেকটি প্রতিবেশী।


আরও খবর



রাজনীতি মুক্ত ঘোষণা পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জুবায়ের খান প্রিন্স, পাবনা

Image

শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে রাজনীতি মুক্ত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন অনুমোদিত ও রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের নীতি নির্ধারণী ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনা ও বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১ এর ধারা ১১(১২) অনুযায়ী সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ ঘোষণা করা হলো। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস ঘোষণা করা হলো।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট বিজয় হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এরপর রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে বিভিন্ন সময় দাবি দাওয়া তুলে ধরছেন আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীরা। এরই অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি সহ সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। এর ধারাবাহিকতায় গত সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে উপাচার্যের সাথে দেখা করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ক্যাম্পাসকে রাজনীতি মুক্ত করার আল্টিমেটাম দেন পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা।

একইসাথে ১৩ দফা দাবিসহ প্রো-ভিসি ও ট্রেজারারের পদত্যাগ, প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্র উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের বদলির আল্টিমেটামও দেন। আল্টিমেটামের পরই প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার পদত্যাগ করেন এবং প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্র উপদেষ্টাসহ কয়েকটি দপ্তরে পরিবর্তন আনেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এরপর মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে রাজনীতি মুক্ত ঘোষণা করা হয়।


আরও খবর