আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে পীস কীপার্স রান অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ মে ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৯ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে আজ রবিবার (২৯ মে) ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে ঢাকার তেজগাঁওস্থ পুরাতন বিমান বন্দর মসজিদ কমপ্লেক্সে এবং অন্যান্য বিভাগীয় শহরে “”শান্তিরক্ষী দৌড়-২০২২ (Peacekeepers Rally/Run-2022) এর মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। আইনমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে “”শান্তিরক্ষী দৌড়-২০২২ (Peacekeepers Rally/Run-2022। শান্তিরক্ষী দৌড়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের শান্তিরক্ষীগণ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং আন্তঃবাহিনী সংস্থাসমূহের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর



হজ প্যাকেজের খরচ কমল

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছর সাধারণ হজ প্যাকেজের খরচ সরকারিভাবে ১ লাখ ৪ হাজার ১৭৮ টাকা এবং বেসরকারিভাবে ৮২ হাজার ৮১৮ টাকা কমানো হয়েছে।

আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে হজযাত্রী প্রশিক্ষণ ২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এসব কথা বলেন।

মো. ফরিদুল হক খান বলেন, হজযাত্রীরা যাতে একেবারেই যৌক্তিক খরচে হজ পালন করতে পারেন সে বিষয় সরকার তৎপর। যাত্রীদের নিবন্ধন থেকে শুরু করে দাপ্তরিক যে প্রক্রিয়াগুলো কিভাবে আরও সহজ করা যায় সে বিষয়ে কাজ চলছে।

তিনি আরও বলেন, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধির পরেও হজের খরচ কমানো সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায়। প্রশিক্ষণে হজের নিয়ম, হজক্যাম্পে, বিমানবন্দর ও সৌদি আরবে হজের সময় করণীয় ও সার্বিক ব্যবস্থা নিয়ে হজযাত্রীদের হাতে-কলমে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



টিপু-প্রীতি হত্যা: আ.লীগ নেতাসহ ৩৩ জনের বিচার শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর ফলে মামলাটির বিচার অনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আলী হোসাইনের আদালত এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ২১ মে সাক্ষ্যগ্রহণ পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. রফিক উদ্দীন (বাচ্চু) এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত ২৫ এপ্রিল মামলায় দায়ে অব্যাহতির আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। এরপর আদালত ২৯ এপ্রিল অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন।

মামলার আসামিরা হলেন কথিত শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহম্মেদ মন্টু, ফ্রিডম মানিক ওরফে জাফর, প্রধান সমন্বয়কারী সুমন সিকদার মুসা, শুটার মাসুম মোহাম্মদ আকাশ, শামীম হোসাইন, তৌফিক হাসান ওরফে বিডি বাবু, ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মারুফ রেজা সাগর, ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরিফুর রহমান ওরফে ঘাতক সোহেল, মতিঝিল থানা জাতীয় পার্টির নেতা জুবের আলম খান রবিন, হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সোহেল শাহরিয়ার, মাহবুবুর রহমান টিটু, নাসির উদ্দিন মানিক, মশিউর রহমান ইকরাম, ইয়াসির আরাফাত সৈকত, আবুল হোসেন মোহাম্মদ আরফান উল্লাহ ইমাম খান, সেকান্দার শিকদার আকাশ, মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম মাতবর, আবু সালেহ শিকদার, কিলার নাসির, ওমর ফারুক, মোহাম্মদ মারুফ খান, ইশতিয়াক আহম্মেদ জিতু, ইমরান হোসেন জিতু, রাকিবুর রহমান রাকিব, মোরশেদুল আলম পলাশ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ তালুকদার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মারুফ আহমেদ মনসুর, রিফাত হোসেন, সোহেল রানা, ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক নেতা আমিনুল, সামসুল হায়দার উচ্ছল ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বাবুল।

২০২৩ সালের ৫ জুন ৩৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার।

২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শোরুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতিও নিহত হন। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হন টিপুর গাড়িচালক মুন্না।

এ হত্যাকাণ্ডের পর ওইদিন রাতেই শাহজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়।


আরও খবর



‘কোক স্টুডিও বাংলা’ তৃতীয় সিজনের প্রথম গান ‘তাঁতি’

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

তাঁতী শিরোনামের গানের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করল কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজন। প্রথম গানে কণ্ঠ দিয়েছেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব, গঞ্জের আলী ও ওলি বয়। চমক হিসেবে পাওয়া গেল দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানকে।

ব্যাকগ্রাউন্ড শিল্পী হিসেবে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। গানের ভিডিওতে মাইক্রোফোন হাতে পর্দায় এসেছেন জয়া। শতরূপা ঠাকুরতা রায়, গঞ্জের আলী ও লুইস অ্যান্থনির লেখা এই গান প্রযোজনা করেছেন তৃতীয় সিজনের মিউজিক কিউরেটর শায়ান চৌধুরী অর্ণব।

তৃতীয় সিজনের প্রথম গান নিয়ে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কোক স্টুডিও জানিয়েছে, তাঁতী একজন শিল্পী, কাপড়ের বুননে যিনি ফুটিয়ে তোলেন আমাদের সংস্কৃতির সমৃদ্ধ ইতিহাস। কাপড় বোনার সময় একধরনের ছন্দ তৈরি হয়। তাঁতের শব্দের সঙ্গে প্রতিটি সুতা যেন হয়ে ওঠে গানের এক একটি চরণ। আর প্রতিটি চরণ এই ঐতিহ্যকে বহন করে নিয়ে চলে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।

এই শব্দ, এ বিষয়টিই তুলে ধরা হয়েছে কোক স্টুডিও বাংলার নতুন গানটিতে। তাঁতি গঞ্জের আলীর সঙ্গে অর্ণবের সুর মিলে গানটি এই শৈল্পিকতাকে প্রকাশ করেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ওলি বয়ের অ্যাফ্রোবিটের ফিউশন। বাংলাদেশে বসবাসকারী নাইজেরিয়ান এই শিল্পীর পরিবেশনা গানটিতে যোগ করেছে নতুন মাত্রা।

তৃতীয় সিজনে থাকবে বিভিন্ন ধারার শিল্পীদের পরিবেশিত নানা ধরনের মোট ১১টি গান। প্রথম দুই সিজনের মতোই এই সিজনেও মিউজিক কিউরেটর হিসেবে আছেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব। সংগীত প্রযোজক হিসেবে তাঁর সঙ্গে আরও থাকবেন প্রীতম হাসান, ইমন চৌধুরী, শুভেন্দু দাশ শুভ এবং অন্যরা।


আরও খবর



ঈদ জামাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ৭টা ২২ মিনিটে শুরু হয় মোনাজাত।

১২ মিনিটব্যাপী চলা এই মোনাজাত করান বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। এ সময় আল্লাহ্‌র কাছে দুহাত তুলে দোয়া করেন ছোট বড় সব বয়সী মুসল্লিরা।

মোনাজাতে দেশবাসীর কল্যাণ ও সুস্থতা কামনা করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া কামনা করা হয়। একইসঙ্গে মোনাজাতে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি, মৃত সকলের মাগফিরাত, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রুহে মাগফিরাত কামনা করেন। নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোলাকুলির পাশাপাশি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এর আগে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাতের পর শুরু হয় ঈদের বিশেষ খুতবা। প্রথম জামাতে ইমাম ছিলেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন এই মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

এরপর বায়তুল মোকাররমে সকাল ৮টায় ঈদের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া সকাল ৯টায় তৃতীয়, চতুর্থ সকাল ১০টায়, পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



রমনায় বোমা হামলা: ২৩ বছরেও শেষ হয়নি মামলার বিচার

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার মামলা ঝুলে আছে ২৩ বছর ধরে। সাক্ষী হাজির না হওয়ায় বিচারিক আদালতের গণ্ডি পেরোতে পারেনি মামলাটি। এছাড়া হত্যা মামলাটি বিচারিক আদালতে নিষ্পত্তি হলেও, হাইকোর্টে এসে আটকে গেছে। জানা গেছে, ১০ বছরে অন্তত কয়েকশো বার পিছিয়েছে শুনানি।

রাজধানীর রমনা বটমূলে ২০০১ সালে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ (হুজি)। বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ১০ জন। আহত হন অনেকে। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়।

দুই মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ একসঙ্গে শুরু হলেও ২৩ বছরেও বিচারিক আদালতের গণ্ডি পার হতে পারেনি বিস্ফোরক মামলাটি। কারণ হিসেবে সাক্ষী হাজির না হওয়া, প্রতি বছর এই একই যুক্তি দিয়ে আসছেন রাষ্ট্রপক্ষ।

বিচারিক আদালত হত্যা মামলায় যে রায় দিয়েছে, মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন ও আসামিদের করা আপিল শুনানির জন্য সে মামলা হাইকোর্টে ঝুলে আছে। আর বিস্ফোরক আইনের মামলাটি এখনো ঢাকা মহানগর ১৫ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালে রায়ের অপেক্ষায়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, সাক্ষীদের হাজির করতে না পারায় বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম শেষ করা যায়নি। আর হাইকোর্টে হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি ঈদের ছুটির পরপরই শুরু করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

২০০১ সালে হামলার পর পরই ওই দিনই নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন। দুই মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১৪ জঙ্গিকে আসামি করা হয়।

ঘটনার প্রায় আট বছর পর দুই মামলায় ১৪ জনকে আসামি করে ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকার আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

হত্যা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দায়রা জজ রুহুল আমিন প্রধান আসামি মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন। এরপর খালাস চেয়ে উচ্চ আদালত হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা। অন্যদিকে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য নিয়ম অনুযায়ী মামলাটি হাইকোর্টে যায়।

এ মামলায় বিভিন্ন সময়ে আপিল শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা থেমে আছে। হত্যা মামলাটি অবশ্য বিচারের প্রথম ধাপ পেরিয়েছে ১০ বছর আগে। এরপর হাইকোর্টে এসে আটকে গেছে। ফলে গত ১০ বছরেও আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমোদন মেলেনি। বিভিন্ন সময়ে আদালতে উঠলেও অন্তত কয়েকশো বার পিছিয়েছে শুনানি।

এ মামলার দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে বিএনপি সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ চার আসামি এখনো পলাতক। তবে হুজি নেতা মুফতি হান্নানের ফাঁসি অন্য এক মামলায় কার্যকর করা হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির বলেন, হত্যা মামলাটির আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এসেছিল। রাষ্ট্রপক্ষ সময় আবেদন করেছে, তাই সময় শুরু হয়নি।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত তিনটি কোর্টে মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল। এমনকি আংশিক শুনানিও হয়েছিল। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বারবার সময় চাওয়া হয়। ২০১৪ সালের ডেথ রেফারেন্স এটি। যার শুনানি শুরুই হয়নি।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন গত ৯ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, রমনার বটমূলের হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, মামলাটি শুনানির জন্য হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে রয়েছে। আগামী মাসে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ মামলার আপিল শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ওই বেঞ্চের একজন বিচারক আগে আইনজীবী হিসেবে এ মামলার কাজে ছিলেন। তাই তিনি শুনানি করতে পারেননি। এ কারণে হয়ত কিছুটা সময় লেগেছে। তবে এবার শুনানি হবে। আমরা প্রস্তুত আছি- বলেন রাষ্ট্রের প্রধান এ আইন কর্মকর্তা।

অন্যদিকে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন।

সাবেক ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরী হত্যা মামলার রায় অনুযায়ী ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রাতে মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ফলে রমনা বটমূলের বিস্ফোরক আইনের মামলা থেকে তার নাম বাদ যায়।

এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন- মাওলানা তাজউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, মাওলানা আবু বকর, হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা আকবর হোসাইন, মাওলানা শাহাদাৎ উল্লাহ জুয়েল, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা সাব্বির ও মাওলানা শওকত ওসমান। তাদের মধ্যে তাজউদ্দিন, আবদুল হাই ও জাহাঙ্গীর পলাতক রয়েছেন।

২০২২ সালের ২১ মার্চ বিস্ফোরক মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৪ জনের সাক্ষ্য শোনেন আদালত। ওই বছরের ৩ এপ্রিল আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন সাত আসামি। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাননি।

ওইদিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ওই বছরের ১১ অগাস্ট দিন ধার্য করেন বিচারক। কিন্তু তার আগেই ২৮ জুলাই ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল মামলাটি মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ফেরত পাঠায়।

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুলাহ আবু বলেন, সাক্ষীরা একবার সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন। কিন্তু পরে ওই সাক্ষীদের সহজে পাওয়া যায়নি। দীর্ঘদিন হয়ে গেছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিচারকাজ শেষ হওয়া উচিত।

প্রায় দুই যুগ ধরে চলা এই হামলার বিচার শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ জানান শিল্পীরা। সঙ্গীতশিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল বলেন, আমাদের দেশের কিছু লোক আছেন, যারা বাঙালি সংস্কৃতিকে বাঁকা চোখে দেখেন। তবে এ ঘটনার একটি পূর্ণাঙ্গ রায় যেন পাই, সে প্রত্যাশা করি।


আরও খবর