আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে রোহিঙ্গাবিষয়ক প্রস্তাব গৃহীত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৭ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৭ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটিতে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি শীর্ষক প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়ে‌ছে। নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় বুধবার (১৬ ন‌ভেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। জা‌তিসং‌ঘের বাংলা‌দেশ স্থায়ী মিশন জানায়, রেজুলেশনটি যৌথভাবে উত্থাপন করে ওআইসি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এবারের প্রস্তাবটিতে ১০৯টি দেশ সহ-পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে, যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ।

প্রস্তাবে প্রাথমিকভাবে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর। এতে রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণ খুঁজে বের করা, রাখাইন রাজ্যে স্বপ্রণোদিত, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূতসহ জাতিসংঘের সকল মানবাধিকার ব্যবস্থাপনাকে পূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

স্থায়ী মিশন বল‌ছে, মিয়ানমারের রাজনৈতিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে প্রস্তাবটিতে আঞ্চলিক দেশ ও আঞ্চলিক সংস্থাগুলো যেমন আসিয়ান-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষ করে সর্বসম্মতিক্রমে আসিয়ান গৃহীত পাঁচ দফা সুপারিশের দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরত্বারোপ করা হয়েছে এতে। চলমান বিচার ও দায়বদ্ধতা নিরুপণ প্রক্রিয়ার ওপর প্রস্তাবে সজাগ দৃষ্টি বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে।  পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলার অগ্রগতি এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউশনের তদন্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে।

প্রস্তাবে বাংলাদেশের প্রতি সংহতি প্রকাশ ও বাংলাদেশ গৃহীত মানবিক প্রচেষ্টার স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ন্যায় বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ আইসিসি, আইআইএমএম ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে যেভাবে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে তা প্রসংশিত হয়েছে।  প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার সময় প্রদত্ত বক্তব্যে বাংলাদেশের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রত্যাবর্তনের আগ পর্যন্ত ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সংহতি পাওয়ার দাবি রাখে। এই মানবিক সাড়া দান প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত অর্থায়ন। গুরুত্বপূর্ণ এই মানবাধিকার ইস্যুতে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ওআইসি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন  চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স।

বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ মেয়াদি উপস্থিতির অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে তি‌নি ব‌লেন, আমরা মানবিক বিবেচনায় মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলাম। ব্যস্তচ্যুত এ জনগোষ্ঠীর সবসময়ই মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। সে লক্ষ্যে আমরা দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় ফ্রন্টে বহুমূখী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছি, যাতে মিয়ানমারে নিরাপদ ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবর্তন উপযোগী পরিবেশ তৈরি হয়।

স্থায়ী মিশন বল‌ছে, জাতিসংঘের এ প্রস্তাটি রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতি বিভিন্ন অঞ্চল ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সংহতি প্রকাশের একটি অনন্য উদাহরণ। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় যে মিয়ানমারের পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে; যার ফলে বিলম্বিত হচ্ছে রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানের লক্ষে রেজুলেশনটি জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করতে অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: রোহিঙ্গা

আরও খবর



‘শ্রুতিকটু’ শব্দ থাকা ২৪৭ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিভিন্ন রকমের শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক নাম থাকা দেশের ২৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করেছে সরকার। বুধবার (৩ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দীনের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খুলনার কয়রার খাসিটানা উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে উদয়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা পাটাচোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে ছায়াবিথী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান চোরমর্দ্দন বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম জ্ঞানপ্রদীপ চোরমর্দ্দন বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চোরমর্দ্দন বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম জমিদারবাড়ি চোরমর্দ্দন বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাটোরের লালপুর উপজেলার গোদাগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে সালামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার চোরমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে মাতৃছায়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একই উপজেলার চুলধরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে ফুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ভণ্ডগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে বর্ণমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ এভাবে শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

গত বছরের ১৯ জানুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তন নীতিমালা-২০২৩ জারি করেছে মন্ত্রণালয়।

ওই সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেকগুলোর নাম শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক ভাবার্থসংবলিত। যা শিশুর রুচি, মনন, বোধ ও পরিশীলিতভাবে বেড়ে ওঠার অন্তরায়। এজন্য মন্ত্রণালয় এসব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে সুন্দর, রুচিশীল, শ্রুতিমধুর এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী এ রকম নেতিবাচক ভাবার্থসংবলিত নাম পরিবর্তন করা হবে।


আরও খবর



শবে কদর নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

মহিমান্বিত রাত শবে কদর।  এ রাতে ইবাদতের সুযোগ পেলে আল্লাহ তায়ালা পেছনের সব গুনাহ মাফ করে দেন। রাসূল সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজানে ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রোজা রাখবে, তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে এবং যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদরে রাত জেগে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে, তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারি : ১০১৪; মুসলিম : ৭৬০)

রাসূল সা. হাদিসের সুসংবাদ অনুযায়ী প্রত্যেক মুসলমান এই রাতের ফজিলত লাভের চেষ্টা করেন। ফজিলতের প্রতি মানুষের আগ্রহ থেকে এই রাত নিয়ে অনেক ভুল ধারণার প্রচলন হয়েছে। এখানে এমন কিছু ভুল ধারণা তুলে ধরা হল

প্রত্যেক মুসলমানের হৃদয়েই মহিমান্বিত এই রাতের বরকত হাসিলের আকাঙ্ক্ষা থাকে। তবে এই রাতকে কেন্দ্র করে কিছু ভুল ধারণা প্রচলিত হয়ে আছে আমাদের সমাজে। এখানে তিনটি ভুল ধারণার কথা তুলে ধরা হলো

নির্দিষ্ট কোনো দিনে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করা : অনেকে রমজানের ২৭ তম রাতকেই নিশ্চিত লাইলাতুল কদর মনে করেন। অথচ বিষয়টি সঠিক নয়। রমজানের শেষ দশকের যেকোনো বেজোড় রাতই হতে পারে লাইলাতুল কদর।

হজরত আয়েশা রা. বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, তোমরা মাহে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো। (বুখারি: ২০১৭)

এতএব, শুধু ২৭ রমজানকে লাইলাতুল কদর নির্দিষ্ট করা ঠিক নয়।

গোসলের বিশেষ ফজিলত : যেকোনো ইবাদতের আগে পূতঃপবিত্র হওয়া আবশ্যক। তাই অনেকেই লাইলাতুল কদরে ইবাদতের আগে পবিত্র হওয়ার জন্য গোসল করার বিশেষ ফজিলত ও সওয়াব আছে বলে মনে করেন। ইসলামের দৃষ্টিতে বিষয়টি সঠিক নয়।

যারা ফজিলতের কথা বলেন, তাদের দলিল হলো, একটি দুর্বল হাদিস, যা মূলত রমজানের শেষ দশ রাতের প্রতি রাতে মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে নবীজির গোসল করার কথা জানায়। (ইবনে রজব) তবে এর সঙ্গে শবে কদরের কোনো সম্পর্ক নেই এবং এর কোনো ফজিলতও বর্ণিত হয়নি।

বিশেষ নিয়মে নামাজ আদায় করা : লাইলাতুল কদরে অনেকের মুখে বিশেষ নামাজ, এর নিয়ত, নিয়ম, রাকাতসংখ্যা, বিশেষ সুরা ইত্যাদি নিয়ে কথা শোনা যায়। কেউ কেউ বলেন, এক রাকাতে সুরা কদর অন্য রাকাতে সুরা ইখলাস পড়া হবে।  কিন্তু ইসলামি শরীয়তে এসব কথার কোনো ভিত্তি নেই। শবে কদরে ইবাদতের কথা থাকলেও নির্দিষ্ট কোনো ইবাদতের উল্লেখ নেই। (আবদুল হাই লখনবি, আল-আসার: ১১৫)


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




কলকাতায় ঈদে একমাত্র ‘মির্জা’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

কলকাতায় ঈদ নিয়ে খুব একটা মাতামাতি নেই। সিনেমা মুক্তিতেও অনীহা প্রযোজক-পরিচালকদের। তাই টালিগঞ্জের দর্শকদের জন্য ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে একমাত্র সিনেমা মির্জা। সুমিত সাহিলের পরিচালনায় এতে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অঙ্কুশ হাজরা-ঐন্দ্রিলা সেন।

অ্যাকশন ধাঁচের গল্পে নির্মিত মির্জা ১০ এপ্রিল মুক্তির কথা ছিল। তবে ঈদ ১১ এপ্রিল হওয়ায় এক দিন পিছিয়ে নেওয়া হয়। এর কারণ হিসেবে অভিনেতা ও প্রযোজক অঙ্কুশ ভারতীয় গণমাধ্যমে বলেন, অনেক যত্নে নির্মাণ করা হয়েছে মির্জা। এতে আমি অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনায়ও রয়েছি। তাই সিনেমাটি নিয়ে আমরা বেশ আশাবাদী। সেই আশা থেকেই এক দিন পিছিয়ে ঈদের দিন মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিন ফেস্টিভ্যাল থাকায় আশা করছি দর্শকদের ভালো রেসপন্স পাব। তবে অঙ্কুশের মির্জাকে যুদ্ধ করতে বলিউড দুই সিনেমার সঙ্গে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ১০ এপ্রিল ভারতীয় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বলিউডের সিনেমা বড়ে মিয়া ছোটে মিয়াময়দান। যার কারণে কলকাতাও সেভাবে হল পাচ্ছে না মির্জা

সিনেমায় অঙ্কুশ ও ঐন্দ্রিলা ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন ঋষি কৌশিক, কৌশিক গাঙ্গুলি, শোয়েব কাবির, জিমি ব্যানার্জি, প্রিয়া মণ্ডল ও শঙ্কর দেবনাথ।


আরও খবর



উত্তপ্ত বান্দরবান: থানচি বাজারে গোলাগুলি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের থানচি বাজারে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ৯টার দিকে থানচির বাজার সংলগ্ন এলাকায় গোলাগুলি শুরু হয়।

থানচির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, থানচি বাজার এলাকায় গোলাগুলি চলছে। বাজারে পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে কাদের গোলাগুলি চলছে সেটা নিশ্চিত করা যায়নি। বাজারের পাশে অন্য আরেকটি জায়গাসহ মোট দুটি জায়গায় গোলাগুলি চলছে।

রাত ৯টা ৩০ মিনিটে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানচি বাজার ও এর আশপাশের এলাকায় গোলাগুলি চলছিল।

থানচি বাজারের ২০০ থেকে ৩০০ গজের ভেতরেই রয়েছে থানচি থানা, একটি বিজিবি ক্যাম্প এবং থানচি বাজারের শেষ মাথায় রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি চেকপোস্ট।

এর আগে, গতকাল বুধবার দুপুরে থানচি বাজারে গুলি চালিয়ে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।

সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে থানচি বাজার ঘিরে ফেলে ডাকাতরা। তারা ব্যাংক ও এর আশপাশের এলাকায় অস্ত্রের মুখে সবার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর তারা ব্যাংক দুটির ভেতরে ঢুকে পড়ে।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে বজ্রপাতে শিশুসহ নিহত ৩

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠিতে ঝড়ের সময় বজ্রপাতে দুই নারী ও এক শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছে। রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলার কাঠালিয়া ও সদর উপজেলায় সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন জেলার কাঠালিয়া উপজেলার আওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের মুন্সিরাবাদ গ্রামের হেলেনা বেগম, ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখের ইউনিয়নে মিনারা বেগম ও সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের ইসালিয়া গ্রামের মাহিয়া আক্তার ঈশানা।

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, উপজেলার মুন্সিরাবাদ গ্রামের হেলেনা বেগম বৃষ্টিতে ঘরের বাইরে নামলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। অন্যদিকে সদর উপজেলায় মাঠে গরু আনতে যাবার সময় মাহিয়া আক্তার শিশু নিহত হয়। সদর উপজেলায় ঝড় বৃষ্টি চলাকালে মিনারা বেগম গুরুতর আহত হন। পরে দুপুরের দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিনারা বেগমের মৃত্যু হয়।

ওসি আরও বলেন, সকালে তাণ্ডব চালানো এই বজ্রসহ ঝড়ে ঝালকাঠি জেলার চার উপজেলায় শতাধিক বসতঘর ভেঙে পড়েছে। এ সময় গাছপালারও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সকাল থেকেই পুরো জেলায় বিদ্যুতসংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। দুপুর দেড়টায় ঝালকাঠি শহরে বিদ্যুৎ আসলেও রাজাপুর ও কাঠালিয়াসহ অনেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।


আরও খবর