গাজায় অব্যাহত হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল।
এমনকি হামলা অব্যাহত রেখে গাজায় পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রবেশেরও সুযোগ দিচ্ছে না তারা। এবার
দেশটি জাতিসংঘের কর্মীদের স্বয়ংক্রিয় ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর)
টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা আর জাতিসংঘের কর্মীদের
স্বয়ংক্রিয় ভিসা দেবে না। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসকে সহযোগিতার অভিযোগ
করে দেশটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইসরায়েলের এমন সিদ্ধান্তের ফলে তাদের সঙ্গে
নতুন উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। দেশটির অভিযোগ, বিশ্ব এ সংস্থাটি দীর্ঘদিন ধরে অন্যায্য
এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণ করে আসছে।
সরকারের মুখপাত্র এইলন লেভি বলেন, ইসরায়েল
এখন জাতিসংঘের কর্মীদের স্বয়ংক্রিয় ভিসা দেবে না। এর বদলে তারা কর্মীদের কেস বাই কেস
ভিত্তিতে ভিসা প্রদান করবে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের যেসব কর্মীরা হামাসের প্রপাগান্ডার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করবে তাদের তাদের সঙ্গে কাজ করা বন্ধ করে দেবে ইসরায়েল। দেশটি তাদের মিত্রদের প্রতিও একই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন>> হামাসের হামলায় পাঁচ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
এর আগে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ৮টি বিষয়ে ইসরায়েলের
কোনো গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করতে পারবে না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
দ্য ইন্টারসেপ্টরের বরাত দিয়ে সোমবার এই খবর জানিয়েছে ফার্স নিউজ।
দ্য ইন্টারসেপ্টরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
গাজায় ইসরায়েলের চলমান অপরাশেন সোর্ড অব আয়রন অভিযান নিয়ে খবর প্রকাশের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা
জারি করেছেন দেশটির সেনাবাহিনীর চিফ সেন্সর ডিরেক্টিভ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কোবি মান্দেলব্লিত।
গেল ৭ অক্টেবর ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সংগঠনের অভিযানের পর পরই এই নিষেধাজ্ঞা জারি
করা হয়।
যেসব বিষয়ে নিধেষাজ্ঞা জারি করা হয়েছে
সেগুলো হলো- ইসরায়েলের ব্যবহৃত অস্ত্রের ধরন, ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা কী ধরনের অস্ত্র
দখল করেছে তা, ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় নিরাপত্তা নিয়ে আলোচিত বিষয়, গাজায় বন্দী থাকা
ইসরায়েলিদের নিয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ না করার মতো বিষয়।
এ ছাড়াও ইসরায়েলি সেনাদের অভিযান সম্পর্কে
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, ইসরায়েলের গোয়েন্দা বিষয় ও তাদের যেসব স্পর্শকাতর স্থানে ফিলিস্তিনি
রকেট আঘাত হানছে এবং সাইবার হামলা ও সিনিয়র সেনা কর্মকর্তাদের গাজার যুদ্ধক্ষেত্র পরিদর্শন
নিয়ে কথা বলা বা সংবাদ প্রকাশ করা নিষেধ।
সেই নিষেধাজ্ঞার আদেশে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি
বাহিনীর অনুমতি ছাড়া এই আট বিষয়ে কোনো খবর প্রকাশ করা যাবে না। এগুলো ইসরাইলের নিরাপত্তার
সাথে জড়িত। এ বিষয়ে পত্রিকা ও রেডিও-টেলিভিশনের রিপোর্টার এবং ডেস্কের সাংবাদিকদের
বিস্তারিত জানানোর অনুরোধ করে ইসরায়েলি বাহিনী।